ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু
ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু হয়, সেটি জানার গুরুত্ব কতটা ? তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু সে সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
.
ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু
প্রতি বছর ঈদুল আজহার সময় আমাদের মনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আসে—ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু হয়? এটি শুধু একটি প্রশ্ন নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ আমলও বটে। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে তাকবীর বলতে আল্লাহর মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা বোঝায়। ঈদুল আজহার তাকবীর শুরু হয় ৯ জিলহজ ফজরের নামাজের পর থেকে এবং শেষ হয় ১৩ জিলহজ আসরের নামাজ পর্যন্ত। এই তাকবীরকে বলা হয় "তাকবীরে তাশরীক"।
এই সময়কালকে "আয়্যামুত তাশরীক" বলা হয়। ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, এই পাঁচদিনে প্রতিটি ফরজ নামাজের পর তাকবীর বলা সুন্নত। পুরুষদের জন্য উচ্চস্বরে বলা এবং নারীদের জন্য নিচু স্বরে বলা উত্তম। এই তাকবীরের মাধ্যমে ঈদের দিনগুলোর পবিত্রতা, ত্যাগের মহিমা ও আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু হয়, এই প্রশ্নের উত্তর জানা মানে তাকওয়া এবং সুন্নত চর্চার একটি চমৎকার সুযোগ গ্রহণ করা।
তাকবীরের দোয়া হলো: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ। এই দোয়া কেবল মুখের কথা নয়, বরং এক গভীর ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ ইবাদত। অনেক মুফাসসির ও মুফতিগণ বলেন, এই তাকবীর বলা হচ্ছে কুরবানি ও হজের সময় আল্লাহর নির্দেশ পালন করার মানসিকতা প্রদর্শন। যারা কুরবানি করছেন বা কুরবানির নিয়তে আছেন, তাদের জন্য এই তাকবীর বলা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তাই বুঝতেই পারছেন, ঈদুল আজহার তাকবীর শুরু হয় কখন থেকে , সেটি জানার গুরুত্ব কতটা। তাই মুসলিম হিসেবে আমাদের জানা উচিত, যদি আমরা তাকবীর পড়ার এই সময়সীমা মেনে চলি, তবে ইনশাআল্লাহ আমাদের ঈদ হবে পূর্ণাঙ্গ ও বরকতময়।
ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম জানা একজন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ঈদের নামাজ অন্যান্য নামাজের থেকে কিছুটা আলাদা, কারণ এতে রয়েছে অতিরিক্ত তাকবীর। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ দুই রাকাতের হয় এবং প্রতি রাকাতে তিনটি অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়া হয়। এই ছয়টি তাকবীরের মাধ্যমে ঈদের নামাজ পূর্ণতা পায় এবং তা হয়ে ওঠে একটি বিশেষ ইবাদত। ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু হয় ।
তা জানার পরপরই ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম জানা দরকার।এই নামাজে আজান ও ইকামত নেই, বরং ইমাম মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ শুরু করবেন নিয়তের মাধ্যমে। তাকবীরগুলো সুনির্দিষ্ট নিয়মে আদায় করতে হয়। ঈদুল আজহার নামাজ মূলত একটি বড় জামাতে আদায় করা হয়, সাধারণত খোলা মাঠে বা ঈদগাহে। সেখানে উপস্থিত সকল মুসল্লি একসঙ্গে তাকবীর দেন এবং এই সম্মিলিত ইবাদতের মধ্য দিয়ে ঈদের শুরুটা হয় মহিমান্বিতভাবে।
ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু হয় এই বিষয়টি জানার পর যারা নামাজে অংশ নিচ্ছেন, তারা যেন তাকবীরের গঠন ও ধাপগুলোও ভালোভাবে অনুসরণ করেন।
নিচে ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো:
প্রথম রাকাতে:
- প্রথমে নিয়ত করে তাকবীরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার)
- এরপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর (হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে বলা হয় এবং তারপর হাত ছেড়ে দেওয়া হয়)
- তারপর সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা তিলাওয়াত করা হয়
- এরপর রুকু, সিজদা ও দ্বিতীয় রাকাতে উঠা
দ্বিতীয় রাকাতে:
- সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা তিলাওয়াত
- অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর (আবারও হাত তুলে বলা হয়, তারপর হাত ছেড়ে দেওয়া হয়)
- তারপর রুকু, সিজদা, তাশাহহুদ এবং শেষে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা হয়
এই ছয়টি অতিরিক্ত তাকবীরের কারণে নামাজকে বলা হয় "ছয় তাকবীরের নামাজ"। এটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত এবং সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকেও সমর্থিত। এই তাকবীরগুলো আদায় করার সময় মুসল্লিদের মনোযোগ ও একাগ্রতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেউ যদি একটি তাকবীর ভুলে যায়, তবে নামাজ ভেঙে যায় না, তবে ইস্তিগফার করা উত্তম। সর্বোপরি, ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম জানা মানে শুধুমাত্র নামাজ আদায়ের নিয়ম জানা নয়, বরং তা হলো একটি মহান ইবাদতের রীতি ও আদবকে সম্মান জানানো।
ঈদের তাকবীর কয়টি
ঈদের নামাজে অতিরিক্ত তাকবীরের সংখ্যা হলো ছয়টি। অর্থাৎ, দুই রাকাত নামাজে প্রথম রাকাতে তিনটি এবং দ্বিতীয় রাকাতে তিনটি অতিরিক্ত তাকবীর আদায় করা হয়। এটি ছয় তাকবীরে ঈদের নামাজের মৌলিক বৈশিষ্ট্য।তবে কেউ কেউ তাকবীরে তাহরিমাকেও গণনার মধ্যে রাখেন, ফলে তখন সংখ্যাটি হয় সাত।
কিন্তু অধিকাংশ আলেমের মতে, তাকবীরে তাহরিমা হলো নামাজের শুরুর নিয়তের অংশ, এটি অতিরিক্ত তাকবীরের মধ্যে পড়ে না। অতএব, প্রকৃত অতিরিক্ত তাকবীরের সংখ্যা হল ছয়টি।ঈদের তাকবীর কয়টি এই প্রশ্নের উত্তর জানার মাধ্যমে মুসল্লিরা নামাজের রীতি ও নিয়ম আরও ভালোভাবে অনুসরণ করতে পারে। কারণ অনেক সময় দেখা যায় কেউ তিনটা তাকবীর দিয়ে থেমে যায়, আবার কেউ চারটা বলে ফেলে বিভ্রান্ত হয়।
তাই পূর্বে থেকেই জানা থাকা উচিত—আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু হয় সে বিষয়ে। এই অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীরের মাধ্যমে ঈদের নামাজের মাহাত্ম্য আরও গভীর হয়। প্রতিটি তাকবীর আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে এবং মুসলিমদের অন্তরে তাকওয়া ও একাগ্রতা জাগিয়ে তোলে। সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে শুরু করে আজ অবধি এই নিয়মই অনুসৃত হয়ে আসছে।
ঈদের তাকবীর কয়টি—এই তথ্য জানার পাশাপাশি এই আমল সঠিকভাবে পালন করাও জরুরি। মনে রাখতে হবে, এই তাকবীরগুলো শুধু উচ্চারণ নয়, বরং একটি আবেগময় ইবাদতের প্রকাশ।
ঈদের নামাজ কি ফরজ না ওয়াজিব
ঈদের নামাজ কি ফরজ না ওয়াজিব—এটি একটি চিরচেনা প্রশ্ন যা ঈদ এলেই মানুষের মুখে শোনা যায়। অনেকেই এই ইবাদতকে সুন্নত মনে করেন, আবার কেউ কেউ ফরজ বলেন। কিন্তু ইসলামী ফিকহের আলোকে সঠিক ব্যাখ্যা হলো, ঈদের নামাজ ফরজ নয়, বরং ওয়াজিব। বিশেষ করে হানাফি মাজহাব অনুযায়ী ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ ওয়াজিব। এর মানে হচ্ছে, ঈদের নামাজ ছেড়ে দিলে গুনাহ হয়, যদিও তা ফরজের মতো কঠিন নয়।
হানাফি আলেমদের মতে, ঈদের নামাজের জন্য আলাদা দলিল রয়েছে। কুরআনে আল্লাহ বলেন, "তোমার রবের জন্য নামাজ আদায় করো ও কুরবানি করো" (সূরা কাওসার)। এই আয়াত থেকে ফিকহবিদগণ ঈদের নামাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। রাসূল (সা.) নিজেও কখনো ঈদের নামাজ ত্যাগ করেননি এবং সাহাবিদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ (সা.) হায়েযগ্রস্ত নারীদেরও ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যেন তারা খুতবা শুনতে পারেন।
অন্যান্য মাজহাবে কিছু আলেম ঈদের নামাজকে সুন্নত মুয়াক্কাদা বলেছেন, আবার কেউ কেউ ফরজে কিফায়া বলেছেন। তবে হানাফি মাযহাবের অনুসারীরা ওয়াজিবই গ্রহণযোগ্য মনে করেন, কারণ রাসূল (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামের আমলে তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। ঈদের নামাজ যদি কেউ বিনা কারণে ছেড়ে দেয়, তাহলে সে গুনাহগার হবে। বিশেষ করে ঈদুল আজহার মত একটি দিনের নামাজ ছাড়ার মানে হলো—ঈদের আত্মিক গুরুত্বকে অবহেলা করা।
তাই একজন সচেতন মুসলমানের উচিত ঈদের নামাজকে অবহেলা না করা এবং ঈদের সকালে সতেজ হয়ে ঈদগাহে যাওয়া। নামাজ পড়া যেমন সুন্নাতের অনুসরণ, তেমনি একটি বরকতময় দিনকে ইবাদতের মাধ্যমে শুরু করার অন্যতম উপায়।
ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
ঈদের নামাজ অন্যান্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা জুমার নামাজের মতো নয়। ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ দুই রাকাতবিশিষ্ট এবং এতে রয়েছে ছয়টি অতিরিক্ত তাকবীর। নামাজ শুরু হয় ইমামের নেতৃত্বে, সরাসরি নিয়তের মাধ্যমে। নিয়ত করার পর প্রথমে তাকবীরে তাহরিমা বলা হয়। তারপর তিনটি অতিরিক্ত তাকবীর বলা হয়, প্রতিটির পর হাত ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা তিলাওয়াত করা হয় এবং রুকু ও সিজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ হয়। দ্বিতীয় রাকাত শুরু হয় সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পাঠের মাধ্যমে। এরপর আবার তিনটি অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়া হয়, প্রতিটি তাকবীরের পর হাত ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর রুকু, সিজদা ও তাশাহহুদ শেষে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা হয়। এই নিয়মেই ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজ শেষে ইমাম ঈদের খুতবা প্রদান করেন।
যদিও অনেক মুসল্লি খুতবার আগেই চলে যান, তবে খুতবা শোনা সুন্নাত এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুতবার মাধ্যমে ঈদের গুরুত্ব, কুরবানির তাৎপর্য ও সমাজিক বার্তা তুলে ধরা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটিই ইসলামিক ঐতিহ্যের একটি সৌন্দর্যমণ্ডিত অংশ। যারা নিয়ম জানেন না, তারা ঈদের আগে ইমাম বা স্থানীয় আলেমদের কাছে জেনে নিতে পারেন। এতে নামাজে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং কোনো বিভ্রান্তি থাকবে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ঈদের নামাজ যেন সময়মতো এবং জামাতে আদায় করা হয়।
ঈদের নামাজের তাকবীর দেওয়ার নিয়ম
ঈদের নামাজের তাকবীর দেওয়ার নিয়ম ইসলামিক ইবাদতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে ঈদুল আজহার নামাজে এই তাকবীরগুলো আলাদা গুরুত্ব বহন করে, কারণ এগুলো ঈদের আনন্দ এবং আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা করার অন্যতম উপায়। অনেকেই ঈদের নামাজে অংশ নেন ঠিকই, কিন্তু তাকবীর দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিভ্রান্ত থাকেন। ঈদের নামাজ শুরু হয় নিয়তের মাধ্যমে। প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরিমা দেওয়ার পর অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দিতে হয়।
প্রতিটি তাকবীরের সময় হাত কানের পাশে তোলা হয় এবং তারপর পাশে নামিয়ে রাখা হয়। এই তিনটি তাকবীর শেষে ইমাম সূরা ফাতিহা এবং একটি সূরা পাঠ করেন। এরপর রুকু, সিজদা ও দ্বিতীয় রাকাতে উঠা হয়। দ্বিতীয় রাকাতে প্রথমেই সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়া হয়। এরপর আবার তিনটি অতিরিক্ত তাকবীর দিতে হয়, ঠিক প্রথম রাকাতের মতো। প্রতিটি তাকবীরের সময় হাত কানের পাশে উঠিয়ে তারপর ছেড়ে দিতে হয়।
এই তাকবীরগুলো আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, কৃতজ্ঞতা এবং ঈদের তাৎপর্য তুলে ধরে। তারপর রুকু, সিজদা ও তাশাহহুদ শেষে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা হয়। ঈদের নামাজের তাকবীর দেওয়ার নিয়ম জানলে মুসল্লিরা নামাজে আত্মবিশ্বাসের সাথে অংশ নিতে পারে এবং কোনো বিভ্রান্তিতে পড়ে না। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ তাকবীর দিতে গিয়ে গড়বড় করেন বা ভুল করে ফেলেন, যা মূল ইবাদতের ভাবগাম্ভীর্যকে ব্যাহত করে। এজন্য ঈদের আগে স্থানীয় আলেমদের কাছে জেনে নেয়া উত্তম।
ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু হয়, তা যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, তেমনি এই তাকবীরগুলোর সময় ও পদ্ধতি জানা ঈদের নামাজকে অর্থবহ করে তোলে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমরা যেন এই সুন্নতগুলো পালন করি আন্তরিকতার সাথে।
ঈদের নামাজ কয় রাকাত
ঈদের নামাজ কয় রাকাত—এ প্রশ্নের উত্তর জানা প্রতিটি মুসলমানের জন্য জরুরি। অনেকেই ঈদের দিনে নামাজ আদায় করতে গিয়ে এই সাধারণ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত হন। ইসলামের মূল নির্দেশনা হলো, ঈদের নামাজ দুই রাকাত। এই দুই রাকাত নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর থাকে—তিনটি প্রথম রাকাতে এবং তিনটি দ্বিতীয় রাকাতে। ঈদুল আজহার দিনটি অত্যন্ত বরকতময় ও তাৎপর্যময়। এই দিনে নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করি এবং তাকওয়া প্রকাশ করি।
ঈদের নামাজ শুরু হয় নিয়তের মাধ্যমে, আজান বা ইকামত ছাড়াই। প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরিমা ও তিনটি অতিরিক্ত তাকবীর, তারপর সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা, এরপর রুকু ও সিজদা। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সূরা পাঠের পর আবার তিনটি অতিরিক্ত তাকবীর, এরপর রুকু, সিজদা এবং সালাম। এই নিয়মই সুন্নাতে মোয়াক্কাদা দ্বারা প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরাম এভাবেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
কেউ কেউ যদি প্রশ্ন করেন, ঈদের নামাজ তিন রাকাত বা চার রাকাত হয় কি না—তবে তার উত্তর হবে, না। এটি নির্ধারিতভাবে দুই রাকাত এবং ছয় তাকবীরের মাধ্যমে আদায়যোগ্য। ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু হয় এই বিষয়ে যেমন সচেতনতা দরকার, তেমনি ঈদের নামাজ কয় রাকাত তা জানাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়মে, সঠিক রাকাতে, নির্ধারিত তাকবীরের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করলেই আমরা এই ইবাদতের পূর্ণতা লাভ করতে পারি।
তাই ঈদের পূর্বে প্রতিটি মুসলমানের উচিত নামাজের রাকাত সংখ্যা, তাকবীরের নিয়ম এবং খুতবার তাৎপর্য সম্পর্কে জানা ও বুঝে নেয়া। এতে ঈদের নামাজ শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা হয়ে না থেকে প্রকৃত অর্থে একটি ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে এই দুই রাকাত নামাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই প্রশ্নের উত্তর জানার পর ঈদের পূর্ণতা আসে এই নামাজের মাধ্যমেই।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ঈদুল আজহার তাকবীর কখন থেকে শুরু তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে ঈদুল আজহার তাকবীর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url