ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে

ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
ব্রেন-টিউমার-হলে-কি-মানুষ-বাঁচে
ব্রেন টিউমার হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই চিকিৎসার উপর নির্ভর করে। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
.

ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে

ব্রেন টিউমার জটিল রোগটি মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি ঘটায়। এটি সাধারণত দুই ধরনের হয়: প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি। সঠিক সময়ে শনাক্ত এবং উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর টিউমারের দ্রুত বৃদ্ধি বা এর অবস্থান খুব জটিল জায়গায় হলে পরিস্থিতি মারাত্মক হতে পারে।

তবে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি যেমন অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েছে এবং অনেক রোগী দীর্ঘকাল বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়েছেন। ব্রেন টিউমার হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা টিউমারের ধরন, আকার এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে দ্রুত শনাক্তকরণের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করা হলে রোগীর সুস্থ হওয়া সম্ভব।

এটি এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে চিকিৎসকদের অবস্থা নির্ণয় এবং টিউমারের প্রকৃতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসায় অনেক নতুন পদ্ধতি- ইমেজিং প্রযুক্তি, আধুনিক অস্ত্রোপচার প্রযুক্তি, এবং নতুন ধরনের কেমোথেরাপি বা টার্গেটেড থেরাপি ব্যবহৃত হচ্ছে। এই নতুন চিকিৎসার পদ্ধতিগুলি রোগীদের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ

ব্রেন টিউমারের লক্ষণগুলি অনেক সময় ধীরে ধীরে বিকশিত হয় এবং প্রাথমিক পর্যায়ে সেগুলি সাধারণ উপসর্গের মতো মনে হতে পারে। এই লক্ষণগুলির মধ্যে যদি কোনো একটি বা একাধিক দেখা গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
  • মাথাব্যথা এমন একটি উপসর্গ যা ব্রেন টিউমারের ক্ষেত্রে এটি একেবারেই আলাদা। এটি দীর্ঘস্থায়ী এবং স্বাভাবিক মাথাব্যথার চেয়ে আরও তীব্র হতে পারে। এ ধরনের মাথাব্যথা সাধারণত সকালে উঠে বা রাতে ঘুমানোর সময় বাড়ে।
  • যদি কোনো রোগী মাথাব্যথার সঙ্গে অতিরিক্ত বমি বমি ভাব বা বমি অনুভব করে থাকে। তাহলে এটি ব্রেন টিউমারের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এটি সাধারণত মস্তিষ্কের চাপের কারণে ঘটে।
  • ব্রেন টিউমারের কারণে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, দুটি চিত্র দেখতে পাওয়া বা এক চোখ দিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা হতে পারে। এধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন।
  • ব্রেন টিউমারের কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন বা রক্তের প্রবাহের সমস্যা হতে পারে। যার ফলে মূর্ছা যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। এটি সাধারণত গুরুতর উপসর্গ এবং অবিলম্বে চিকিৎসা দরকার।
  • মস্তিষ্কের বিশেষ অংশে টিউমার হওয়ার কারণে স্মৃতি সমস্যা, কথাবার্তার সমস্যা, চিন্তা করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এটি ব্রেন টিউমারের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
  • ব্রেন টিউমার মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কোনো অংশে থাকে, তবে রোগী শারীরিকভাবে একপাশে অক্ষম হতে পারে। হাত বা পা অবশ হয়ে যেতে পারে। যা টিউমারের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে।
  • মনোযোগের অভাব বা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমস্যা হতে পারে ব্রেন টিউমারের কারণে।
  • মাথার মধ্যে ভারী ভাব বা অস্বস্তি অনুভূতি হওয়া। যদি এটি দীর্ঘসময় ধরে চলে তাহলে এটি ব্রেন টিউমারের ইঙ্গিত দিতে পারে।
এ সব লক্ষণ সাধারণত অন্যান্য রোগেও হতে পারে। তবে এগুলো একত্রিত হয়ে এবং নিয়মিত হতে থাকলে তা ব্রেন টিউমারের সম্ভাবনাকে শক্তিশালী করে। ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে, সে প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যদি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায় এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। তবে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়ে।

ব্রেন টিউমার হলে কি হয়

ব্রেন টিউমার হলে মানুষের মস্তিষ্কের কোষগুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। যার ফলে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে চাপ তৈরি হয়। এটি নানা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে এবং কখনো কখনো জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। ব্রেন টিউমার হলে কোষের বৃদ্ধি মস্তিষ্কের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
  • যা বিভিন্ন শারীরিক অক্ষমতা, মেমোরি সমস্যা, অনুভূতি এবং আচরণে পরিবর্তন ঘটাতে পারে। টিউমারের আকার, অবস্থান এবং ধরন অনুযায়ী রোগী বিভিন্ন ধরনের শারীরিক বা মানসিক সমস্যা অনুভব করতে পারে।
  • যখন ব্রেন টিউমার বৃদ্ধি পায় তখন মস্তিষ্কের চাপ বাড়তে থাকে। আর স্নায়ুতন্ত্র, চোখ, শ্বাসপ্রশ্বাস, এবং মস্তিষ্কের অন্যান্য কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে। এই অবস্থায় রোগী মাথাব্যথা, বমি, দৃষ্টিশক্তি সমস্যা, মূর্ছা যাওয়া এবং শরীরের একপাশে অক্ষমতার মতো লক্ষণ অনুভব করতে পারে।
  • এ ছাড়া ব্রেন টিউমারের কারণে নিউরোলজিক্যাল সমস্যা যেমন স্মৃতি হারানো, চিন্তা বা বোধগম্যতার সমস্যা, শরীরের পেশী দুর্বল হওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
  • এ রোগের নিরাময় প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে পারে- ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে? ব্রেন টিউমারের কারণে মানুষ বাঁচতে পারে, যদি তা দ্রুত শনাক্ত করা হয় এবং সঠিক চিকিৎসা শুরু করা হয়। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি এবং টার্গেটেড থেরাপি রোগীকে দীর্ঘ জীবন দিতে সহায়ক হতে পারে।
যদি রোগটি বেশি প্রসারিত হয় এবং চিকিৎসার সুযোগ না পাওয়া যায়, তবে এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ একে সময়মতো শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।

ব্রেন টিউমার কেন হয়

ব্রেন টিউমার হওয়ার কারণ এখনও পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। কিছু নির্দিষ্ট কারণ বা ঝুঁকির উপাদান রয়েছে যা ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। প্রধান কারণগুলির মধ্যে জিনগত প্রভাব, পরিবেশগত দূষণ ও জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস অন্তর্ভুক্ত।
  • ব্রেন টিউমারের অন্যতম প্রধান কারণ হলো জিনগত বা বংশগত প্রবণতা। পরিবারের কোনো সদস্য ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের সদস্যদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • কিছু নির্দিষ্ট জিনের পরিবর্তন বা মিউটেশনও ব্রেন টিউমারের সৃষ্টি করতে পারে। যেমন অটোসোমাল ডমিনেন্ট প্যাটার্নের মধ্যে কিছু রোগের কারণে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • কিছু পরিবেশগত উপাদান- অতিরিক্ত রেডিওঅ্যাকটিভ বা আয়নিত রশ্মির প্রভাবে ব্রেন টিউমার হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা পারমাণবিক রেডিওঅ্যাকটিভ উপকরণের কাছাকাছি কাজ করেন তাদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও কিছু রাসায়নিক, বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শও ব্রেন টিউমারের সৃষ্টি করতে পারে।
  • বয়স এবং লিঙ্গেরও ব্রেন টিউমার হওয়ার সাথে সম্পর্ক রয়েছে। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে কিছু ধরনের ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষ করে গ্লিওমা নামক টিউমারের ক্ষেত্রে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মস্তিষ্কের কোষের গুণগত মান কমে যেতে থাকে। ফলে ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
  • ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে তা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, অবস্থান এবং রোগীর সামগ্রিক শারীরিক পরিস্থিতির ওপর। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যত দ্রুত রোগটি শনাক্ত করা হয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়া হয়, ততই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
  • কিছু ক্ষেত্রে HIV বা অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণ ঘটলে মস্তিষ্কে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সংক্রমণ ব্রেন টিউমারের সৃষ্টি করতে পারে। যা গুরুতর হতে পারে এবং চিকিৎসা না হলে জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
  • ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করতে পারে। যা পরবর্তীতে টিউমারের সৃষ্টি করতে পারে। এই দুটি অভ্যাস দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত রাখলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে।
এই কারণগুলো ছাড়াও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণও ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এর সঠিক কারণ খুঁজে বের করা খুবই কঠিন এবং প্রতিটি মানুষের জন্য পরিস্থিতি আলাদা হতে পারে।

ব্রেন টিউমারের লক্ষণ

ব্রেন টিউমারের লক্ষণগুলি বেশ জটিল এবং ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কারণ মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে টিউমার অবস্থান করতে পারে। সাধারণত এটি মস্তিষ্কের বিভিন্ন ফাংশনকে প্রভাবিত করে। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।
  • ব্রেন টিউমারের লক্ষণগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হলো মাথাব্যথা। যা প্রাথমিক অবস্থায় তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এটি সাধারণত সকালে উঠে বা রাতে ঘুমানোর সময় বাড়ে এবং মাথার এক জায়গায় স্থির থাকতে পারে।
  • এছাড়া ব্রেন টিউমারের লক্ষণগুলির মধ্যে বমি বমি ভাব বা বমি, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, চোখে অন্ধকার দেখা, চোখের সামনে দুটি চিত্র দেখা এবং স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে।
  • টিউমারের অবস্থান যদি মস্তিষ্কের এমন কোন অঞ্চলে হয় যেখানে গতি বা সমন্বয়ের নিয়ন্ত্রণ হয়। তবে রোগী পা বা হাতের শক্তি হারাতে পারে। যা অক্ষমতার সৃষ্টি করতে পারে।
  • ব্রেন টিউমারের আরও লক্ষণ হতে পারে মূর্ছা যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মস্তিষ্কের কার্যক্রমে বিভ্রাট, যেমন চিন্তা করতে সমস্যা হওয়া, কথা বলতে সমস্যা হওয়া বা আচরণে পরিবর্তন হওয়া। এছাড়া টিউমারের কারণে শরীরের একপাশে অক্ষমতা বা অস্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
  • ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে, তা ভাগ্যের সঙ্গে অনেকাংশে নির্ভর করে টিউমারের ধরন এবং চিকিৎসার দ্রুততা ও যথাযথতা ওপর।
এই লক্ষণগুলির মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা সময়মতো শুরু করা হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

ব্রেন টিউমার কি ভালো হয়

ব্রেন টিউমার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্ভর করে টিউমারের ধরন, আকার, অবস্থান এবং রোগীর বয়স ও শারীরিক অবস্থা উপর। অনেক ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে শনাক্ত এবং চিকিৎসা শুরু করলে ব্রেন টিউমার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টিউমারটির খুব বড় আকারে বৃদ্ধি বা তার অবস্থান এমন জায়গায় হয় যা অপারেশন করে অপসারণ করা কঠিন, তবে রোগীকে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হতে পারে।

বর্তমানে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসায় আধুনিক পদ্ধতিগুলি যেমন অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি এবং টার্গেটেড থেরাপি অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকরী হয়েছে। অপারেশন মাধ্যমে টিউমার সরানো সম্ভব হলে রোগী দ্রুত সুস্থ হতে পারে। তবে টিউমারটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ মস্তিষ্কের অংশে থাকলে তা অপসারণ করা কঠিন হয়ে ওঠে।

এর ফলে চিকিৎসা আরো জটিল হয়ে যায় এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ে। ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে, তা নির্ভর করে রোগী কত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেছেন এবং চিকিৎসকের দ্বারা নেওয়া পদ্ধতির সফলতার ওপর। অনেক রোগী আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে সক্ষম হচ্ছেন।

টিউমারটি শুরুর দিকে শনাক্ত এবং চিকিৎসা শুরু করা গেলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিছু ক্ষেত্রে টিউমারের ধরণ খুব আক্রমণাত্মক হতে পারে। যা চিকিৎসা গ্রহণ সত্ত্বেও জীবনকে বিপদে ফেলে দিতে পারে। এ কারণে টিউমারের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করা এবং উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেন টিউমার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে

ব্রেন টিউমারের পরিপ্রেক্ষিতে জীবনকাল নির্ভর করে অনেক ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ওপর। যেমন টিউমারের ধরন, আকার, অবস্থান এবং চিকিৎসার শুরু এবং প্রক্রিয়া। কিছু ব্রেন টিউমার খুব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং আধুনিক চিকিৎসা দ্বারা রোগী অনেক বছর বাঁচতে পারে। তবে কিছু টিউমার খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং জীবনকে বিপদে ফেলতে পারে।

যদি টিউমারটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হয় এবং চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যায়, তবে রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার জীবনকালও দীর্ঘ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমারের অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি এবং টার্গেটেড থেরাপির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা সম্ভব। তবে টিউমারটির অবস্থান জটিল স্থানে হলে অপারেশন বা অন্যান্য চিকিৎসার মাধ্যমে পুরোপুরি চিকিৎসা করা সম্ভব হয়না।

এক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে, তার উত্তর অনেকটা নির্ভর করে চিকিৎসার দ্রুততা এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর। কিছু টিউমার দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যার ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। অন্যান্য টিউমার শিথিল বৃদ্ধি পায় এবং চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক সময় ভালো হওয়া সম্ভব।

ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ মাথাব্যথা, বমি, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিলে, রোগী দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়ে। তাই টিউমারের ধরন ও চিকিৎসার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত রোগী কতদিন বাঁচবে তা নির্ধারিত হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যাবে ততই রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে ব্রেন টিউমার হলে কি হয়, ব্রেন টিউমার কেন হয়, ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ, ব্রেন টিউমার কি ভালো হয়, ব্রেন টিউমার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url