ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের তরুণদের অদম্য প্রচেষ্টা আজ দেশকে বিশ্বমানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
.
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং খাতে ব্যাপক অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেলেও বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে এক অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণা ও প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer-এ বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা দক্ষতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং কাজের মানের দিক থেকে বিশেষভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও কনটেন্ট রাইটিং এই খাতগুলোতে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। Payoneer এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্রিল্যান্স আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম দশটি দেশের মধ্যে রয়েছে, যা একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য গর্বের বিষয়। এমনকি করোনাকালীন সময়েও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং খাত দৃঢ়তা ধরে রেখেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি বড় উৎসে পরিণত হয়েছে।
সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা সাপোর্ট এবং ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধি ফ্রিল্যান্সিং খাতে তরুণদের আগ্রহ ও অংশগ্রহণকে আরও উৎসাহিত করেছে। ফলে কাজের গুণগত মান ও আয়ের পরিমাণও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবমিলিয়ে, ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বমানে প্রতিনিয়তই শক্তিশালী হচ্ছে এবং এটি ভবিষ্যতের জন্য আরও সম্ভাবনাময় এক খাত হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
বর্তমানে প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব হচ্ছে। অনেকেই কম্পিউটার না থাকায় হতাশ হন, কিন্তু স্মার্টফোনের সঠিক ব্যবহার জানলে আপনি সহজেই ঘরে বসে একটি নির্দিষ্ট স্কিল শিখে ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করতে পারেন।
প্রথমে, আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন স্কিলটি আপনি শিখতে চান যেমন, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, বা গ্রাফিক ডিজাইন। এন্ড্রয়েড প্লে স্টোরে Canva, Google Docs, Trello, Quora, এবং Fiverr অ্যাপের মতো অনেক ফ্রি অ্যাপস আছে, যেগুলোর মাধ্যমে কাজ শেখা ও অনুশীলন করা যায়।
ইউটিউব একটি দারুণ রিসোর্স, যেখানে বাংলায় ও ইংরেজিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার হাজারো ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। এছাড়াও, Facebook গ্রুপ বা অনলাইন কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে আপডেট থাকা এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত রিয়েল এক্সপেরিয়েন্স জানা সম্ভব। প্রতিদিন নিয়মিত কিছুটা সময় স্কিল শেখার পেছনে দিলে আপনি কয়েক মাসেই একটি নির্দিষ্ট কাজে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন।
তাই, যাঁরা জানতে চান মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, তাঁদের জন্য উত্তর হলো সঠিক পরিকল্পনা, নিয়মিত অনুশীলন এবং ইন্টারনেট রিসোর্সের যথাযথ ব্যবহারই হতে পারে সাফল্যের চাবিকাঠি। মোবাইলই হতে পারে আপনার প্রথম ইনকাম সোর্স তৈরির মাধ্যম।
ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায়
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের ধরনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, যার ফলে ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাবনাময় পেশা হিসেবে উঠে এসেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে তরুণদের সংখ্যা বেশি, সেখানে ফ্রিল্যান্সিং নতুন দিগন্তের দুয়ার খুলে দিয়েছে। অনেকেই জানতে চান, ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এবং ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায় এই প্রশ্নের উত্তর পেতে নিচের পয়েন্টগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
দক্ষতা অর্জনঃ প্রথম ধাপে একটি নির্দিষ্ট স্কিল শেখা জরুরি। জনপ্রিয় কিছু স্কিল হলো: গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।
অনুশীলন ও পোর্টফোলিও তৈরিঃ শেখার পর প্র্যাকটিস করে নিজের কাজের নমুনা তৈরি করতে হবে, যা ভবিষ্যতে ক্লায়েন্টদের দেখানো যাবে।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে যোগদানঃ Fiverr, Upwork, Freelancer, PeoplePerHour প্রভৃতি সাইটে প্রোফাইল খুলে সেখানে দক্ষতা অনুযায়ী গিগ বা প্রস্তাব তৈরি করতে হবে।
ছোট কাজ দিয়ে শুরুঃ শুরুতে ছোট ছোট কাজ নিয়ে অভিজ্ঞতা ও রেটিং অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ।
ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগঃ ভালোভাবে প্রপোজাল লেখা এবং সময়মতো কাজ জমা দেয়া পেশাদারিত্ব দেখায়।
নিজেকে আপডেট রাখাঃ প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখা এবং মার্কেট ট্রেন্ড সম্পর্কে জানা দরকার।
লোকাল সোর্স ব্যবহারঃ ফেসবুক গ্রুপ বা লোকাল নেটওয়ার্ক থেকেও কাজ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ফ্রিল্যান্সিং আয়কারী দেশগুলোর মধ্যে অবস্থান করছে, যা প্রমাণ করে যে একটু চেষ্টা ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই খাতে সফল হওয়া সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং অনেকের জন্য একটি আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার বিকল্প হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে যারা ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে চান। অনেকেই ভাবেন, ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে—আসলে এর নির্দিষ্ট কোনো খরচ নির্ধারিত নেই, কারণ এটি নির্ভর করে আপনি কোন স্কিলটি শিখতে চান এবং কোথা থেকে শিখছেন তার উপর।
ইউটিউব ও বিভিন্ন ফ্রি অনলাইন প্ল্যাটফর্মঃ এখানে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সুযোগ পাবেন। তবে এতে সময় ও ধৈর্য বেশি লাগে।
অনলাইন কোর্সঃ এই সকল প্ল্যাটফর্ম, যেমন- Coursera, Udemy, কিংবা LinkedIn Learning-এ ৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যেই ভালো কোর্স পাওয়া যায়।
আইটি ইনস্টিটিউটঃ বাংলাদেশে বিভিন্ন আইটি ইনস্টিটিউট যেমন BITM, LEDP, Creative IT, CodersTrust ইত্যাদিতে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ আছে, যেগুলোর কোর্স ফি সাধারণত ৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকার মধ্যে।
নানান উদ্যোগঃ এছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি নানা উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য ফ্রি ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বলা যায়, আপনি চাইলে একদম বিনামূল্যেও শেখা শুরু করতে পারেন, আবার চাইলে প্রিমিয়াম কোর্সে বিনিয়োগ করে আরও গভীরভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এই প্রশ্নের উত্তর খুব পরিষ্কারঃ বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ ফ্রিল্যান্সিং আয়কারী দেশ, এবং এই খাতে প্রবেশের জন্য আপনার দরকার কেবল ইচ্ছাশক্তি, শেখার আগ্রহ এবং ধৈর্য।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি প্রয়োজন
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি ও উপকরণ দরকার যা আপনার শেখার পথ সহজ করে তুলবে। অনেকেই জানতে চান ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি প্রয়োজন চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নিই:
- কম্পিউটার বা স্মার্টফোনঃ শেখার জন্য একটি ভালো মানের ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন থাকা জরুরি। যদিও অনেক কাজ মোবাইল দিয়েও শেখা যায়, তবে পেশাদার পর্যায়ে যেতে কম্পিউটার প্রয়োজনীয়।
- ইন্টারনেট সংযোগঃ নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া শেখা বা কাজ, কোনোটিই সম্ভব নয়। অন্তত ১০ Mbps গতির ইন্টারনেট থাকলে ভালো।
- সঠিক মানসিকতা ও ধৈর্যঃ অনেকেই শুরুতেই দ্রুত ফলাফল আশা করেন, কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং শেখা ও সফল হওয়া সময়সাপেক্ষ। তাই ধৈর্য ও মনোযোগ অপরিহার্য।
- একটি নির্দিষ্ট স্কিল বেছে নেওয়াঃ শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন স্কিল শিখবেন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, বা কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।
- বিশ্বস্ত শেখার মাধ্যমঃ ইউটিউব, Coursera, Udemy, বা স্থানীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে শেখা যেতে পারে।
- প্র্যাকটিস ও বাস্তব অভ্যাসঃ শেখার পাশাপাশি প্রতিদিন অনুশীলন করলে দক্ষতা দ্রুত বাড়ে।
- ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতাঃ ক্লায়েন্টদের সঙ্গে পেশাদারভাবে কথা বলার জন্য মৌলিক ইংরেজি জ্ঞান থাকা দরকার।
- কমিউনিটিতে সংযুক্ত থাকাঃ ফেসবুক গ্রুপ বা ফোরামে সক্রিয় থাকলে নতুন তথ্য, ক্লায়েন্ট এবং গাইডলাইন পাওয়া সহজ হয়।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ ফ্রিল্যান্সিং আয়কারী দেশগুলোর একটি, তাই সঠিক প্রস্তুতি নিলে আপনিও এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় এবং দ্রুত বর্ধনশীল কর্মক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এই প্রশ্নের উত্তরে গর্বের সাথে বলা যায়, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফ্রিল্যান্সিং দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং আয়ের দিক থেকে টপ ফাইভ দেশের তালিকায় অবস্থান করছে, যা আমাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার একটি বড় প্রমাণ। তবে এই খাতে সফল হতে হলে প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণ ও গাইডলাইন। অনেকেই জানতে চান, ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো? সঠিকভাবে শেখার জন্য প্রথমেই নির্ভরযোগ্য কোনো ট্রেনিং সেন্টার খুঁজে বের করা জরুরি।
বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত আইসিটি ডিভিশনের অধীন বিভিন্ন প্রকল্প যেমন "লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট" থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়াও, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন CodersTrust, Creative IT, এবং BASIS Institute of Technology & Management (BITM) অনেকদিন ধরেই মানসম্মত প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
এছাড়া ইউডেমি, কোরসেরা, স্কিলশেয়ার-এর মতো আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত নানা কোর্স পাওয়া যায়, যেগুলো ঘরে বসেই শেখা সম্ভব। শেখার পাশাপাশি নিয়মিত প্র্যাকটিস, পোর্টফোলিও তৈরি ও ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট স্কিল বাড়ানোও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট কিভাবে খুলবেন মোবাইলে
বর্তমানে মোবাইলই হয়ে উঠেছে ছোট একটি অফিস। যারা কম্পিউটার ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, তাদের জন্য মোবাইল ব্যবহার করেই একাউন্ট খোলা একটি সহজ সমাধান। ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এবং ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট কিভাবে খুলবেন মোবাইলে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে কোন মার্কেটপ্লেসে আপনি কাজ করতে চান, যেমন Fiverr, Upwork বা Freelancer.
Fiverr এ একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ (মোবাইল থেকে):
ধাপ ১ঃ Google Play Store বা Apple Store থেকে Fiverr অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
ধাপ ২ঃ অ্যাপটি ওপেন করে “Join” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩ঃ ইমেইল, Google অ্যাকাউন্ট অথবা Facebook দিয়ে সাইন আপ করুন।
ধাপ ৪ঃ ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য প্রাথমিক তথ্য দিন।
ধাপ ৫ঃ ইমেইল ভেরিফিকেশন করুন (ইমেইলে পাওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে)।
ধাপ ৬ঃ প্রোফাইল সেটআপ করুন – নাম, প্রোফাইল পিকচার, বায়ো, ভাষা ও স্কিল যুক্ত করুন।
ধাপ ৭ঃ গিগ তৈরি করুন – কী সার্ভিস দেবেন, কীভাবে কাজ করবেন তা লিখুন ও প্রাইস নির্ধারণ করুন।
Upwork এ একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ (মোবাইল থেকে):
ধাপ ১ঃ Play Store বা App Store থেকে Upwork for Freelancers অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
ধাপ ২ঃ “Sign Up” বাটনে ক্লিক করুন এবং ইমেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন শুরু করুন।
ধাপ ৩ঃ নাম, ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং লোকেশন দিন।
ধাপ ৪ঃ ইমেইল ভেরিফাই করে প্রোফাইল সেটআপে যান।
ধাপ ৫ঃ আপনার স্কিল, অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন (Hourly বা Fixed), ভাষা, শিক্ষা ও কাজের ইতিহাস যুক্ত করুন।
ধাপ ৬ঃ প্রোফাইল সাবমিট করুন (Upwork প্রোফাইল রিভিউ করে অনুমোদন দেয়)।
ধাপ ৭ঃ একবার একাউন্ট অ্যাপ্রুভ হলে কাজের জন্য আবেদন শুরু করতে পারবেন।
Freelancer.com এ একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ (মোবাইল থেকে):
ধাপ ১ঃ Freelancer অ্যাপটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন।
ধাপ ২ঃ অ্যাপ ওপেন করে “Sign Up” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩ঃ ইমেইল/ফেসবুক/গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।
ধাপ ৪ঃ আপনার ইউজার টাইপ “Work as a Freelancer” সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৫ঃ প্রোফাইলে নাম, স্কিল, অভিজ্ঞতা ও প্রোফাইল পিকচার যুক্ত করুন।
ধাপ ৬ঃ মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল ভেরিফাই করুন।
ধাপ ৭ঃ কাজ খুঁজতে শুরু করুন এবং বিড করে প্রজেক্ট পাওয়ার চেষ্টা করুন।
অনেকেই ভাবেন, শুধুমাত্র ল্যাপটপ থাকলেই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে এখন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খুব সহজ, কারণ ইউটিউব ও অনলাইন কোর্স প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য মোবাইল-ফ্রেন্ডলি টিউটোরিয়াল রয়েছে। তাই মোবাইল দিয়েই শুরু করুন আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 2025
২০২৫ সালে ফ্রিল্যান্সিং বাজারে কিছু নির্দিষ্ট স্কিলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যারা নতুনভাবে এই খাতে প্রবেশ করতে চান, তাদের জন্য জানা জরুরি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 2025 সালে।
- গ্রাফিক ডিজাইনঃ লোগো ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন ইত্যাদির চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় কোম্পানিগুলো সবসময় দক্ষ ডিজাইনার খুঁজছে।
- ডিজিটাল মার্কেটিংঃ SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং ও ইমেইল মার্কেটিং এখন প্রতিটি ব্যবসার অন্যতম চালিকাশক্তি। এই ফিল্ডে অভিজ্ঞদের জন্য ২০২৫ সালে অনেক কাজ থাকবে।
- ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ HTML, CSS, JavaScript, WordPress, Shopify ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে দক্ষদের জন্য প্রচুর কাজ আসবে। ওয়েবসাইট বানানোর চাহিদা কখনোই কমবে না।
- ভিডিও এডিটিং ও অ্যানিমেশনঃ ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্র্যান্ড প্রমোশনের জন্য ভিডিও কনটেন্টের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে এই স্কিলে অভিজ্ঞদের বাজার চাহিদা বেশ।
- ভয়েস ওভার ও ট্রান্সলেশনঃ বিভিন্ন ভাষার ভয়েস ওভার ও অনুবাদের কাজ এখন আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয়।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, বাংলাদেশ এখন গ্লোবাল মার্কেটে শীর্ষ তিন ফ্রিল্যান্সিং দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দক্ষ জনশক্তি ও অনলাইনভিত্তিক কাজের প্রসারে এই অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url