নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয়
নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, খিচুনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় সৃষ্ট খিচুনি রোগ শিশুর জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয় সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
.
নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয়
নবজাতকের খিচুনি রোগ বেশিরভাগ অভিভাবকের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খিচুনি হলে শিশুর হাত-পা কাঁপতে পারে, চোখ উল্টে যেতে পারে, জিহ্বা শক্ত হয়ে যায়, এমনকি জ্ঞান হারানোর মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। তবে চিকিৎসা ও সঠিক যত্নের মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নবজাতকের খিচুনি রোগ ভালো হয়ে যায়।
নবজাতকের খিচুনি রোগ ভালো হওয়া নির্ভর করে এর ধরনের ওপর। অনেক সময় অক্সিজেনের ঘাটতি, রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া বা মস্তিষ্কে সংক্রমণের কারণে খিচুনির সমস্যা দেখা দেয়। জন্মগত কোনো সমস্যার কারণে হলে চিকিৎসার সময় বেশি লাগতে পারে। তবে জন্মের সময় হওয়া কোনো সাময়িক সমস্যার কারণে হলে চিকিৎসার মাধ্যমে এটি ভালো হয়ে যেতে পারে।
যেসব নবজাতকের খিচুনি হয় তাদের বেশিরভাগই দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা প্রদানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। মস্তিষ্কে বড় কোনো সমস্যা না থাকলে সাধারণত ওষুধ ও পর্যাপ্ত যত্নের মাধ্যমে খিচুনি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে নিউরোলজিক্যাল সমস্যা হলে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার আওতায় পড়তে পারে। পরিবারের জিনগত কারণেও নবজাতকের খিচুনি দেখা দিতে পারে।
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ ও নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমেই খিচুনি ভালো হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসক দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খিচুনির প্রবণতা কমে যায়। অনেক সময় অভিভাবকরা খিচুনি কমানোর জন্য চিকিৎসার পাশাপাশি এই রোগের চিকিৎসা হিসাবে কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করেন।
যথাযথ চিকিৎসা ও যত্ন নেওয়া হলে নবজাতকের খিচুনি রোগ ভালো হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই এটি সাময়িক একটি সমস্যা যা কমে যায়। তবে খিচুনির মাত্রা গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সঠিক চিকিৎসা, পর্যাপ্ত যত্ন ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নবজাতকের খিচুনি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।
খিচুনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
খিচুনি রোগ হলে শিশুর জন্য তা বেশ ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তবে কিছু ঘরোয়া উপায় খিচুনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘরোয়া ভাবে খিচুনি রোগের চিকিৎসা সঠিকভাবে অনুসরণ করলে অনেক ক্ষেত্রে খিচুনির প্রকোপ হ্রাস পেতে পারে এবং শিশুর স্বাভাবিক সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব হয়।
- খিচুনি হলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। তাই শিশুকে খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা পরিবেশে রাখা উচিত নয়। শরীরের স্বাভাবিক উষ্ণতা বজায় রাখতে হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরানো এবং নিয়মিত শরীর মুছে দেওয়া ভালো ফল দিতে পারে।
- বুকের দুধ বা তরল খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ানো গেলে শরীরের ভেতরকার পানিশূন্যতা দুর করে ও পানির ভারসাম্য বজায় থাকে। যা খিচুনির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- এছাড়া এর ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
- অনেক সময় খিচুনি হলে শিশুর আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। যা শিশুর অবস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে। শান্ত ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। শিশুর খিচুনি হলে তাকে ধীরে ধীরে মাথা একপাশে কাত করে রাখতে হবে। যাতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে।
- খিচুনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে শিশুর হাত-পা ও মাথায় হালকা গরম তেল মালিশ করলে স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখা সম্ভব হতে পারে।
- নবজাতকের খিচুনি হলে অনেক অভিভাবক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ও সঠিক যত্ন নিলে নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয়, তা নিয়ে সংশয় থাকেনা। শিশু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
- ঘরোয়া যত্নের পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো ও চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি।
সঠিক সময়ে যত্ন নেওয়া ও কিছু কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে খিচুনি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে যদি বারবার খিচুনি হয় বা অবস্থা গুরুতর মনে হয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বাচ্চাদের খিচুনি রোগের লক্ষণ
অনেক অভিভাবক খিচুনির লক্ষণ সম্পর্কে অবগত না থাকার কারণে সময়মতো চিকিৎসা নিতে দেরি করেন। বাচ্চাদের খিচুনি রোগের লক্ষণ শুরুতে হালকা মনে হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি তীব্র হতে পারে।
- খিচুনি হওয়ার সময় সাধারণত বাচ্চার শরীর অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁপতে থাকে। হাত-পা হঠাৎ শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে চোখ উল্টে যেতে দেখা যায়। যা অভিভাবকদের জন্য আতঙ্কের কারণ হতে পারে।
- শিশুর মুখ, হাত বা পায়ের মাংসপেশি অস্বাভাবিকভাবে কেঁপে উঠতে পারে, যা খিচুনির অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
- কিছু শিশু খিচুনির সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং ১-২ মিনিটের জন্য কোনো সাড়া দেয় না। এ অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কারণ দীর্ঘ সময় অচেতন থাকলে মস্তিষ্কের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
- খিচুনি চলাকালীন শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। যা মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
- অনেক সময় খিচুনির আগে বাচ্চার আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়। বাচ্চা অস্বাভাবিকভাবে বিভ্রান্ত হতে পারে, কথা বলার সময় আটকে যেতে পারে বা অকারণে আতঙ্কিত অনুভব করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে শিশু অস্পষ্টভাবে তাকিয়ে থাকে বা হঠাৎ করে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো বন্ধ করে দেয়। যা খিচুনির একটি আগাম লক্ষণ হতে পারে।
- খাবারের প্রতি অনীহা, অতিরিক্ত ঘুমানো বা ঘুমের মধ্যে ধড়ফড় করা, বারবার হাত-পা নাড়ানো ইত্যাদিও বাচ্চাদের খিচুনি রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা যেতে পারে। কিছু শিশু হঠাৎ করে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘুমাতে শুরু করে।
- অভিভাবকদের মনে অনেক সময় প্রশ্ন জাগে, নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয়। সঠিক চিকিৎসা ও যত্নে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খিচুনি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় এবং ধীরে ধীরে এটি ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শিশু সুস্থ হতে পারে।
খিচুনির লক্ষণ দেখা দিলে খিচুনি রোগের কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিছু ভুল পদ্ধতি শিশুর অবস্থাকে আরও খারাপ করে দিতে পারে।
বাচ্চাদের খিচুনি কেন হয়
বাচ্চাদের খিচুনি বা সিজার এক ধরনের স্নায়বিক সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সাধারণত নবজাতক থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চাদের খিচুনি হওয়ার পেছনে জ্বর, জন্মগত সমস্যা, মস্তিষ্কের ইনফেকশন, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া, ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা বা জিনগত কারণ থাকতে পারে। অনেক সময় উচ্চ জ্বরের কারণে শিশুদের ফিবারাইল সিজার হতে পারে।
যা ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এ ধরনের খিচুনি সাধারণত স্বল্পস্থায়ী হয় এবং বড় কোনো ক্ষতির কারণ হয় না। নবজাতকদের ক্ষেত্রে জন্মকালীন সমস্যা যেমন অক্সিজেনের অভাব, অপরিপক্ব মস্তিষ্কের গঠন বা মায়ের গর্ভকালীন সংক্রমণ খিচুনির কারণ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের মতো রোগও ভূমিকা রাখে।
এ ছাড়া বংশগতভাবে মৃগী রোগ থাকলে শিশুর মধ্যে খিচুনির ঝুঁকি বেশি থাকে। কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে খাবারের অ্যালার্জি বা বিষক্রিয়ার কারণেও খিচুনি দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের সাধারণ খিচুনি স্বল্পস্থায়ী ও কম ক্ষতিকর হয়। তবে খিচুনি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় বা ঘন ঘন হলে তা গুরুতর কোনো সমস্যার ইঙ্গিত। এক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। শিশুর খিচুনি হলে আতঙ্কিত না হয়ে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলানো উচিত।
শিশুকে নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে। মুখে কিছু দেওয়া উচিত নয়, কারণ এতে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এসবের জন্য অনেক অভিভাবক নবজাতকের খিচুনি নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন এবং জানতে চান নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয় নাকি। সাধারণত নবজাতকদের বেশিরভাগ খিচুনি সময়ের সঙ্গে ভালো হয়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদি হলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ সম্ভব হয়।
খিচুনি রোগ কি ভালো হয়
খিচুনি রোগ অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যেতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে খিচুনির কারণ, তীব্রতা এবং চিকিৎসার ধরন ও সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর। যদি খিচুনি কোনো সাময়িক কারণ যেমন জ্বর, ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা বা সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে, তবে সঠিক চিকিৎসা পেলে তা ভালো হয়ে যেতে পারে।
আর যদি খিচুনি মৃগী বা অন্য কোনো দীর্ঘমেয়াদি স্নায়বিক সমস্যার কারণে হলে নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে নবজাতকদের খিচুনি নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয়, না তা নির্মূল সম্ভব নয়। যদি খিচুনির কারণ চিহ্নিত করা যায় এবং সঠিক চিকিৎসা নেওয়া হয়, তবে এটি ভালো হয়ে যেতে পারে।
এছাড়া কিছু সাধারণ ঘরোয়া পদ্ধতি খিচুনি প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। এই রোগের ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি হিসেবে কিছু ক্ষেত্রে ম্যাগনেসিয়াম বা ভিটামিন বি৬-এর মতো পুষ্টি উপাদান খিচুনি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
শিশুর খিঁচুনি রোগের চিকিৎসা
শিশুর খিচুনি রোগের চিকিৎসা মূলত তার কারণের ওপর নির্ভর করে। খিচুনি জ্বরজনিত হলে সাধারণত জ্বর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এটি বন্ধ করা যায়। ফিবারাইল সিজার হলে শিশুকে ঠান্ডা পরিবেশে রাখতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বর কমানোর ওষুধ দিতে হবে। তাই নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয় এটা না ভেবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আবার খিচুনি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা ঘন ঘন হলে চিকিৎসক কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষা, যেমন ইইজি, এমআরআই বা রক্তপরীক্ষা করতে পারেন।
এছাড়া খিচুনি হলে শিশুকে নিরাপদে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খিচুনির সময় শিশুর শরীর শক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই তাকে নরম কোনো জায়গায় রাখতে হবে। শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকায় মুখে কিছু দেওয়া উচিত নয়। অনেক অভিভাবক খিচুনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা দিয়ে খিচুনি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। গুরুতর খিচুনির ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
খিচুনি রোগীর খাবার
খিচুনি রোগীর জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিছু খাবার খিচুনির মাত্রা বাড়াতে পারে। আবার কিছু খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে খিচুনি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতে পারে। স্বভাবত খিচুনি রোগীদের জন্য পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য পরিকল্পনা করা হয়। যাতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত হয় এবং খিচুনির ঝুঁকি কমানো যায়।
খিচুনি রোগীদের জন্য কিটোজেনিক ডায়েট বেশ কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এটি একটি উচ্চ চর্বিযুক্ত, কম কার্বোহাইড্রেট এবং পর্যাপ্ত প্রোটিনযুক্ত খাদ্য পরিকল্পনা। যা শরীরে কিটোন তৈরি করে এবং মস্তিষ্কের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে কিছু শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক যারা নিয়মিত খিচুনি রোগে ভুগছেন, তারা এই ডায়েট অনুসরণ করলে খিচুনির মাত্রা কমতে পারে।
তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অনুসরণ করা উচিত নয়। খিচুনি রোগীদের জন্য কিছু উপকারী খাবারের মধ্যে রয়েছে- শাকসবজি, বাদাম, ডিম, মাছ, নারকেলের তেল, অলিভ অয়েল, দই এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার। ভিটামিন বি৬ ও ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার, যেমন কলা, পালংশাক, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ভালো এবং কিছু ক্ষেত্রে খিচুনির প্রবণতা কমাতে সহায়তা করতে পারে।
অন্যদিকে খিচুনির মাত্রা বাড়াতে পারে এমন কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। উদাহরণস্বরূপ অতিরিক্ত চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চা, কফি, সফট ড্রিংকস, অ্যালকোহল এবং মনোস্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার খিচুনির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এসব নিয়ম না মেনে নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয় এ নিয়ে চিন্তা করাটা উচিত নয়। নবজাতকের খিচুনির কারণ চিহ্নিত করা এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা হলে বেশিরভাগ সময়ই এটি ভালো হয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে খিচুনির মাত্রা বাড়াতে পারে এমন কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। উদাহরণস্বরূপ অতিরিক্ত চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চা, কফি, সফট ড্রিংকস, অ্যালকোহল এবং মনোস্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার খিচুনির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এসব নিয়ম না মেনে নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয় এ নিয়ে চিন্তা করাটা উচিত নয়। নবজাতকের খিচুনির কারণ চিহ্নিত করা এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা হলে বেশিরভাগ সময়ই এটি ভালো হয়ে যেতে পারে।
তবে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এছাড়া কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি খিচুনি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। খিচুনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে পর্যাপ্ত পানি পান করা, স্ট্রেস কমানো, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। তবে শুধুমাত্র ঘরোয়া উপায়ের উপর নির্ভর না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে নবজাতকের খিচুনি রোগ কি ভালো হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে বাচ্চাদের খিচুনি কেন হয়, রোগের লক্ষণ, খিচুনি রোগ কি ভালো হয়, শিশুর খিঁচুনি রোগের চিকিৎসা এবং খাবার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url