দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি

দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, দুধ থেকে দই তৈরি হয় কোন ব্যাকটেরিয়ার জন্য সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
দই-মেকারে-মিষ্টি-দই-বানানোর-রেসিপি
দই বাঙালির বিশেষ করে মিষ্টি দই খেতে সবাই ভালোবাসে। ঘরে বসেই যদি পারফেক্ট দই বানানো যায় তাহলে আর দোকান থেকে কেনার দরকার হবে না। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
.

দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি

দই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি খাবার হিসেবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয় এবং এর স্বাস্থ্যকর গুণাগুণও অনেক রয়েছে। বাজার থেকে কেনা দই অনেক সময় অতিরিক্ত মিষ্টি বা রাসায়নিক সংযোজনযুক্ত হতে পারে। তাই ঘরে বসেই স্বাস্থ্যকর ও পারফেক্ট মিষ্টি দই তৈরি করতে চাইলে দই মেকার ব্যবহার করা একটি চমৎকার উপায়। দই মেকারে দই তৈরি করলে এটি স্বাদে ও গুণগত মানে দোকানের দইয়ের মতোই হবে। আসুন আপনাদের সাথে বিস্তারিতভাবে দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

যা যা লাগবেঃ
  • গরুর দুধ ১ লিটার পরিমাণ – দই তৈরির জন্য ফ্যাটযুক্ত দুধ ব্যবহার করলে দই বেশি মোলায়েম ও ঘন হবে।
  • চিনি ২০০ গ্রাম – মিষ্টির পরিমাণ আপনার পছন্দ অনুযায়ী কম-বেশি করতে পারেন।
  • টক দই ২ টেবিল চামচ পরিমাণ – এটি স্টার্টার কালচার হিসেবে কাজ করবে এবং দুধকে দইয়ে পরিণত করতে সাহায্য করবে।
  • গুঁড়া দুধ ১ চা চামচ পরিমাণ– এটি দইকে অতিরিক্ত ঘন ও মজাদার করতে সাহায্য করবে। আপনার খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এটি ইচ্ছা অনুযায়ী মিশিয়ে নিতে পারেন নতুবা বাদ দিতে পারেন।
প্রস্তুত প্রণালিঃ
  • প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ঢেলে মাঝারি আঁচে চুলায় বসান। দুধ ধীরে ধীরে গরম হতে দিন।
  • দুধ ফুটে উঠলে চিনি মেশান এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন, যাতে চিনি পুরোপুরি গলে যায়।
  • চিনি গলে গেলে তার সাথে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে আরও ৫ মিনিট জ্বাল দিন। এটি দইকে অতিরিক্ত ঘন ও ক্রিমি করবে।
  • এবার দুধ নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এটি ৪০-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে আদর্শ তাপমাত্রা। যদি খুব গরম অবস্থায় টক দই মেশান, তবে ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর বেশি ঠান্ডা হলে দই ভালোভাবে জমবে না।
  • ঠান্ডা হওয়ার পর টক দই মিশিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন, যাতে কোনো দানাদানা না থাকে এবং মিশ্রণ মসৃণ হয়।
  • এবার মিশ্রণটি দই মেকারের পাত্রে ঢেলে দিন এবং ঢাকনা বন্ধ করুন।
  • দই মেকার চালু করুন এবং ৭-৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। দই জমার জন্য এটি পর্যাপ্ত সময়।
  • নির্দিষ্ট সময় পর দেখবেন দই সুন্দরভাবে জমে গেছে। এরপর এটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করতে দিন। কারণ ঠান্ডা অবস্থায় দই আরও সুস্বাদু ও জমাট হবে।
এই সহজ পদ্ধতিতে দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি অনুসরণ করে ঘরেই পারফেক্ট দই তৈরি করতে পারবেন।

দুধ থেকে দই তৈরি হয় কোন ব্যাকটেরিয়ার জন্য

দুধ থেকে দই তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়াটি একটি জৈব রাসায়নিক পরিবর্তনের ফল। এতে প্রধান ভূমিকা পালন করে কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া। যা দুধের ল্যাকটোজ তথা দুধের প্রাকৃতিক চিনিকে ল্যাকটিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত করে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, দুধ থেকে দই তৈরিতে কোন ব্যাকটেরিয়ার অবদান রয়েছে। সে সম্পর্কে ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করছি।

দই তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়ার প্রয়োজন পড়ে থাকে। দুধ থেকে দই তৈরির জন্য দুটি প্রধান ব্যাকটেরিয়া কাজ করে- একটি হচ্ছে ল্যাক্টোব্যাসিলাস বুলগারিকাস (Lactobacillus bulgaricus) এবং অন্য আরেকটি হলো স্ট্রেপটোকক্কাস থার্মোফিলাস (Streptococcus thermophilus)। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো একসঙ্গে কাজ করে দুধের ল্যাকটোজ ভেঙে ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে।

এই অ্যাসিড দুধের প্রোটিনকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যার ফলে দুধ দইয়ে পরিণত হয়। দইয়ের স্বাদ ও টেক্সচারের ওপর ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব রয়েছে। ল্যাক্টোব্যাসিলাস বুলগারিকাস দইয়ের টেক্সচার ঘন করতে সাহায্য করে এবং হালকা টক স্বাদ আনে। অন্যদিকে স্ট্রেপটোকক্কাস থার্মোফিলাস মিষ্টি ও মোলায়েম দই তৈরিতে ভূমিকা রাখে।

সুতরাং দুধ থেকে দই তৈরি হয় কোন ব্যাকটেরিয়ার জন্য- এ নিয়ে সংশয় আর থাকার কথা নয়।‌ এই ব্যাকটেরিয়াগুলোর কারণে আমরা সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর দই উপভোগ করতে পারি।

গরুর দুধ দিয়ে দই বানানোর রেসিপি

গরুর দুধ দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দই তৈরি করা খুবই সহজ এবং স্বাস্থ্যকর। বাজারের দইয়ের স্বাদ পেতে হলে সঠিক পদ্ধতিতে দই বানাতে হবে। দই তৈরির জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ব্যাকটেরিয়ার সঠিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক গরুর দুধ দিয়ে দই বানানোর রেসিপি।

যা যা লাগবেঃ ১ লিটার গরুর দুধ – এটি ফুল ফ্যাট দুধ ব্যবহার করলে দই আরও ঘন ও মোলায়েম হবে। আর টেবিল চামচ টক দই – এটি স্টার্টার কালচার হিসেবে কাজ করবে। যা দুধকে দইয়ে পরিণত করতে সাহায্য করবে।

প্রস্তুত প্রণালিঃ
  • প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ঢেলে মাঝারি আঁচে চুলায় বসান। দুধ ধীরে ধীরে গরম হতে দিন এবং মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। যাতে পাত্রের নিচে লেগে না যায়।
  • দুধ ফুটে উঠলে চুলা বন্ধ করে নামিয়ে নিন। এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কিছুটা ঠান্ডা হতে দিন। দুধের তাপমাত্রা ৪০-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে আদর্শ। কারণ এই তাপমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। যেহেতু দুধ থেকে দই তৈরি হয় কোন ব্যাকটেরিয়ার জন্য জানা আছে। তাই সেই অনুযায়ী পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত।
  • ঠান্ডা হওয়ার পর দুধের মধ্যে ২ টেবিল চামচ টক দই মেশান। এটি ভালোভাবে নাড়ুন যাতে দই সমানভাবে মিশে যায় এবং কোনো দানাদানা ভাব না থাকে।
  • এখন তৈরি করা মিশ্রণটি একটি বাটিতে ঢেলে দিন এবং ঢাকনা দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।
  • এবার এটি এমন একটি উষ্ণ স্থানে রাখুন যেখানে সরাসরি ঠান্ডা বাতাস না লাগে। সাধারণত ৭-৮ ঘণ্টা পর দই জমে যায়। শীতকালে দই জমতে বেশি সময় লাগতে পারে। তাই উষ্ণ স্থানে রাখতে হবে।
  • নির্দিষ্ট সময় পর ঢাকনা খুলে দেখুন দই জমে গেছে কি না। যদি দেখতে পান জমে গেছে, তাহলে এটি ফ্রিজে রেখে দিন এবং ঠান্ডা করতে দিন। কারণ ঠান্ডা দই আরও সুস্বাদু হয়ে থাকে।
  • দই ভালোভাবে জমার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যদি আপনার ঘরে তাপমাত্রা কম হয়, তবে দই রাখার পাত্রটি মোটা কাপড় দিয়ে মুড়ে রাখুন, এতে উষ্ণতা ধরে রাখা সহজ হবে।
  • যদি দই বেশি টক হয়ে যায়, তাহলে পরের বার কম সময় রেখে দেখুন।
  • মিষ্টি দই বানাতে চাইলে দুধের সাথে চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।
এই সহজ পদ্ধতিতে গরুর দুধ দিয়ে দই বানানোর রেসিপি অনুসরণ করে ঘরেই পারফেক্ট দই তৈরি করতে পারবেন।

মিষ্টি দই কতদিন ভালো থাকে

  • মিষ্টি দই কতদিন ভালো থাকে, এটা মূলত সংরক্ষণের পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে মিষ্টি দই ৫-৭ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে এয়ারটাইট পাত্রে রাখতে হবে যাতে অন্য খাবারের গন্ধ না লাগে।
  • সাধারণত ঘরের তাপমাত্রায় ২৪ ঘণ্টার বেশি ভালো থাকে না। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায় দই দ্রুত নষ্ট হতে পারে।
  • সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি অনুসারে তৈরি দইও এক সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা থাকে। তবে দই যদি অস্বাভাবিক গন্ধ ছড়ায় বা টেক্সচার পরিবর্তন হয়, তাহলে তা খাওয়া উচিত নয়।

ফ্রিজ ছাড়া দই সংরক্ষণের উপায়

দই সাধারণত ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হলেও অনেক সময় ফ্রিজ না থাকলে ঘরোয়া উপায়ে দই ভালো রাখা সম্ভব। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বা বিদ্যুৎ না থাকলে এই পদ্ধতিগুলো খুব কার্যকর। নিম্নে ফ্রিজ ছাড়া দই সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
  • দই সংরক্ষণের জন্য ঠান্ডা ও বাতাস চলাচলকারী ছায়াযুক্ত স্থান বেছে নিন। এতে তাপমাত্রা কম থাকায় দই সহজে নষ্ট হয় না এবং ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে।
  • মাটির হাঁড়ি বা পাতিল দই সংরক্ষণের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রাকৃতিকভাবে দইকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দই দীর্ঘক্ষণ ভালো থাকে।
  • একটি বড় পাত্রে ঠান্ডা পানি নিয়ে তার মধ্যে দইয়ের পাত্রটি ডুবিয়ে রাখুন। এই পদ্ধতিটি দইকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং গরমের দিনে ১২-১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো রাখে।
  • দইয়ের পাত্র একটি পাতলা ও সুতির কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখলে অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষিত হয় এবং দই দ্রুত টক হয়ে যায় না।
  • তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে ফ্রিজই সর্বোত্তম বিকল্প। কারণ ফ্রিজে দই মেকারে তৈরি মিষ্টি দই রাখার পর ৫-৭ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

ফ্রিজে দই রাখার নিয়ম

দই সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে এটি দ্রুত নষ্ট হতে পারে বা স্বাদ-টেক্সচার পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি অনুসারে তৈরি দই দীর্ঘদিন ভালো রাখতে হলে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। আসুন ফ্রিজে দই সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতিগুলো জেনে নিই। দই সংরক্ষণের জন্য বায়ুরোধী বা এয়ারটাইট পাত্র ব্যবহার করুন।

এটি দইকে শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং বাইরের দুর্গন্ধ ঢুকতে বাধা দেয়। কাঁচের বা ফুড-গ্রেড প্লাস্টিকের পাত্র ভালো বিকল্প হতে পারে। ফ্রিজের খুব ঠান্ডা বা পিছনের অংশে রাখলে দই অনেক সময় শক্ত হয়ে যায় এবং তার স্বাভাবিক টেক্সচার নষ্ট হতে পারে। তাই ফ্রিজের মাঝামাঝি অংশে রাখা ভালো। যেখানে তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকে।

দই খুব সহজেই অন্যান্য খাবারের গন্ধ শোষণ করতে পারে। তাই দইয়ের পাত্রটি এমন স্থানে রাখুন যেখানে ঝাল, মশলাদার বা অন্য কোনো তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার থাকে না। অন্য খাবারের গন্ধ এড়ান। প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাঁচের পাত্র ব্যবহার করুন। দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের জন্য কাঁচের পাত্র ভালো। কারণ এটি দইয়ের আসল স্বাদ ধরে রাখে এবং রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হয় না।

সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে দই ৫-৭ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। এজন্য ফ্রিজে রাখার পর ৭ দিনের মধ্যে খেয়ে ফেলুন। তবে দইয়ের গন্ধ বা স্বাদ পরিবর্তন হলে তা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। দই কখনো ফ্রিজ থেকে বের করে বেশি সময় বাইরে রাখবেন না। ফ্রিজ থেকে বের করার পর দই ঘরের তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ রাখলে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বেড়ে যেতে পারে, ফলে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ফ্রিজে দই রাখার নিয়ম অর্থাৎ এই নিয়মগুলো মেনে চললে দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি অনুসারে তৈরি দইও দীর্ঘ সময় ভালো থাকবে।

দই কি ডিপ ফ্রিজে রাখা যায়

দই এমন একটি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য যা প্রায় কম বেশী সকলেই পছন্দ করে তাই এটি সংরক্ষণ করা সম্পর্কে সকলেই জানতে আগ্রহী। দই সাধারণত ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। তবে অনেকে ভাবেন, দই কি ডিপ ফ্রিজে রাখা যায়। হ্যাঁ, দই ডিপ ফ্রিজে রাখা সম্ভব। তবে এতে দইয়ের স্বাদ ও টেক্সচার পরিবর্তন হতে পারে।

ডিপ ফ্রিজে (-১৮°C) বা তার চেয়ে কম তাপমাত্রায় দই রাখলে এটি শক্ত হয়ে যায় এবং বরফের স্ফটিক তৈরি হয়। যা এর মসৃণতা নষ্ট করে। ফলে যখন এটি গলানো হয়, তখন দইয়ের পানি ও ঘন অংশ আলাদা হয়ে যেতে পারে। আর যা খেতে খুব একটা উপভোগ্য নয়। যদি দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য দই ডিপ ফ্রিজে রাখতে চান, তাহলে এটি বায়ুরোধী পাত্রে রাখুন। আর তা ব্যবহারের আগে ধীরে ধীরে ফ্রিজে রেখে গলিয়ে নিন।

তবে দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি অনুসারে তৈরি করা দই স্বাদ ও গুণগত মান ঠিক রাখতে সাধারণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করাই ভালো। ডিপ ফ্রিজে রাখলে দই রান্নার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সরাসরি খাওয়ার জন্য তাজা দইই উত্তম। দই খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই এটি স্বাস্থ্যকরও। সঠিক পদ্ধতিতে বানালে ঘরেই পারফেক্ট দই তৈরি করা সম্ভব।

মিষ্টি দই তৈরিতে রেসিপি অনুসরণ করে দই মেকারের সাহায্যে সহজেই দই বানানো যায়। আবার দুধ থেকে দই তৈরির ক্ষেত্রে দুধ থেকে দই তৈরি হয় কোন ব্যাকটেরিয়ার জন্য এই তথ্য জানা দরকার। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর ও ঘরোয়া দই খেতে চান, তাহলে অবশ্যই এই রেসিপিগুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর রেসিপি তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে দই মেকারে মিষ্টি দই বানানোর জন্য রেসিপি, দই তৈরির ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা, ফ্রিজে সংরক্ষণ এবং ফ্রিজ ছাড়া দই সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url