জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায়
জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
আমাদের মুখের চারপাশে জ্বর ঠোসা একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা অনেকের জীবনকে অস্বস্তিকর করে তোলে। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
.
জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায়
জ্বর ঠোসা হলে প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরোয়া উপায়ে তা সামলানো যেতে পারে। এই উপায়গুলো প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। তবে সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- ঠান্ডা সেঁক জ্বর ঠোসা নিরাময়ে কার্যকর। একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফের টুকরো নিয়ে ঠোসার ওপর চেপে ধরুন। এটি ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। বরফের পরিবর্তে ঠান্ডা পানির কাপড় ব্যবহার করাও যেতে পারে।
- রসুনের অ্যান্টিভাইরাল গুণ জ্বর ঠোসা নিরাময়ে সহায়ক। একটি রসুনের কোয়া কেটে সরাসরি ঠোসার ওপর চেপে ধরুন। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং দ্রুত সেরে ওঠার সহায়ক। তবে রসুন ব্যবহারের আগে ঠোসার স্থান পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- টি ট্রি অয়েল জ্বর ঠোসার চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। এক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল একটি তুলায় নিয়ে ঠোসার ওপর লাগান। এটি ভাইরাসের বৃদ্ধি ঠেকায় এবং ফোসকার আরাম দেয়। একইভাবে, নারকেল তেলের অ্যান্টিসেপটিক গুণও সংক্রমণ নিরাময়ে সাহায্য করে।
- অ্যালোভেরা জেল জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় হিসেবে ব্যবহার করলে জ্বর ঠোসার ব্যথা ও জ্বালা কমায়। প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল ঠোসার ওপর সরাসরি লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এটি ফোসকার আরামদায়ক এবং নিরাময় প্রক্রিয়া দ্রুততর করে।
- মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। একটি পরিষ্কার তুলার সাহায্যে ঠোসার ওপর মধু লাগান। এটি সংক্রমণ কমায় এবং ত্বকের ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে।
- লবঙ্গ তেল ব্যথা উপশমে কার্যকর। এক ফোঁটা লবঙ্গ তেল তুলায় নিয়ে ঠোসায় লাগান। এটি ব্যথা কমিয়ে সংক্রমণ নিরাময়ে সাহায্য করে।
- এছাড়া ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে হবে। আবার খাদ্যাভ্যাসের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন লেবু, কমলা ইত্যাদি খাবেন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
- জ্বর ঠোসা দ্রুত সারাতে মানসিক চাপ কমানো জরুরি। নিয়মিত যোগব্যায়াম বা ধ্যান করলে মানসিক চাপ কমে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে জ্বর ঠোসা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হলেও তবুও ঘন ঘন হলে বা তীব্র আকার ধারণ করলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক যত্ন ও ঘরোয়া উপায়ে জ্বর ঠোসা দ্রুত সারিয়ে তোলা সম্ভব।
ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ
জ্বর ঠোসা (হার্পিস ল্যাবিয়ালিস) হলো হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস (HSV) সংক্রমণের একটি বহির্প্রকাশ। সাধারণত HSV-1 এই সমস্যার জন্য দায়ী হলেও কখনও কখনও HSV-2-ও কারণ হতে পারে। একবার ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করলে এটি স্নায়ুর ভেতরে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায় এবং সময়ে সময়ে সক্রিয় হয়ে ঠোঁট বা মুখে ফোসকা সৃষ্টি করে। ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার প্রধান কারণগুলো নিম্নে দেয়া হলো।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতা তথা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে ভাইরাসটি সহজেই সক্রিয় হতে পারে। শারীরিক অসুস্থতা, কেমোথেরাপি, এইচআইভি সংক্রমণ বা দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে এটি বেশি ঘটে।
- মানসিক চাপ ও উদ্বেগজনিত সমস্যা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগ শরীরের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে, যা ভাইরাসকে সক্রিয় করতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বা ঘুম কম হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যা ভাইরাস সক্রিয় হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
- হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মাসিক চক্র, গর্ভাবস্থা বা হরমোনাল ওষুধের কারণে হরমোনের ওঠানামা ভাইরাস সক্রিয় হওয়ার কারণ হতে পারে।
- শরীরের ক্লান্তি ও আঘাতজনিত সমস্যা বা অতিরিক্ত কাজের চাপ, শারীরিক ক্লান্তি, বা ঠোঁটের ত্বকে আঘাতের কারণে ভাইরাস সক্রিয় হতে পারে।
- সূর্যালোকের অতিরিক্ত সংস্পর্শে রং প্রভাবে অথবা অতিরিক্ত সূর্যের আলো মুখের ত্বক ও ঠোঁটে প্রভাব ফেলে, যা ভাইরাসকে সক্রিয় করতে পারে।
- ঠান্ডা বা জ্বরের সমস্যার ফলে শরীরে অন্য রোগের উপস্থিতি, যেমন ঠান্ডা, সর্দি বা জ্বরের কারণে ভাইরাস সক্রিয় হতে পারে।
যদি বারবার জ্বর ঠোসা হয় এবং প্রতিবার তীব্র হয়, তাহলে ডাক্তারের থেকে ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ জানুন। তাতে জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ যেমন অ্যাসাইক্লোভির বা ভ্যালাসাইক্লোভির দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
জ্বর ঠোসা কি
জ্বর ঠোসা যা কোল্ড সোর নামেও পরিচিত, একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা মুখের চারপাশে ফোস্কার মতো ছোট ছোট ক্ষত তৈরি করে। এটি সাধারণত হের্পিস সিম্প্লেক্স ভাইরাস (HSV-1) দ্বারা সৃষ্ট হয় এবং মাঝে মাঝে HSV-2 ভাইরাসও এর জন্য দায়ী হতে পারে। জ্বর ঠোসা সাধারণত ঠোঁটের কোণে, ঠোঁটের উপরিভাগে, নাকের চারপাশে বা মুখগহ্বরে দেখা যায়।
জ্বর ঠোসা কি করে হয় বলতে গেলে প্রথমে ত্বকে জ্বালাপোড়া, চুলকানি বা হালকা ব্যথা দিয়ে শুরু হয় এবং এরপর ফোস্কা তৈরি হয়। এগুলি সাধারণত একসঙ্গে জড়ো হয়ে একটি ক্ষুদ্র ক্ষত সৃষ্টি করে। কয়েকদিন পর ফোস্কাগুলি ফেটে গিয়ে সেখান থেকে তরল বের হয় এবং তা শুকিয়ে পড়তে শুরু করে।
জ্বর ঠোসা সংক্রমণ সাধারণত সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে ঘটে। যেমন চুম্বন, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগাভাগি করা বা মুখের সংস্পর্শে আসা।
এটি খুবই ছোঁয়াচে এবং ভাইরাসটি শরীরে একবার প্রবেশ করলে এটি থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায় না। জ্বর ঠোসা সাধারণত হঠাৎ করে ঘটে এবং কিছু নির্দিষ্ট কারণ যেমন মানসিক চাপ, হরমোনের পরিবর্তন, জ্বর, ঠাণ্ডা, বা সূর্যের অতিরিক্ত আলো এটি পুনরায় সক্রিয় করতে পারে।
এটি তেমন বিপজ্জনক না হলেও এর কারণে ব্যথা এবং অস্বস্তির সৃষ্টি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় থেকে সঠিক পরিচর্যা ও প্রতিকার নিলে জ্বর ঠোসা দ্রুত সেরে ওঠে।
জ্বর ঠোসা কোথায় হয়
জ্বর ঠোসা সাধারণত মুখের চারপাশে, বিশেষ করে ঠোঁট, নাকের পাশে বা মুখগহ্বরের ভেতরে হয়। এটি এক ধরনের ভাইরাস সংক্রমণের ফলে হয়। ঠোঁটের কোণে, চিবুক, বা গালের আশপাশেও দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এটি নাকের ভিতর বা চোখের আশপাশে হতে পারে কিন্তু তা তুলনামূলকভাবে কম।
শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও এটি সাধারণত মুখের এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। জ্বর ঠোসা সংক্রমণ স্থানগুলোতে জ্বালা, চুলকানি এবং ফোসকা সৃষ্টি করে, যা পরে ক্ষত হিসেবে রূপান্তরিত হয়। সঠিক যত্ন এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এটি দ্রুত নিরাময় করা সম্ভব।
জ্বর ঠোসা কি ছোঁয়াচে
জ্বর ঠোসা একটি ছোঁয়াচে রোগ, যা হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস (HSV)-এর কারণে হয়। এটি সাধারণত সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শ, চুম্বন, ওরাল সেক্স বা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসের মাধ্যমে ছড়ায়। ভাইরাসটি একবার শরীরে প্রবেশ করলে সারাজীবন থেকে যায় এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সক্রিয় হয়ে জ্বর ঠোসা সৃষ্টি করে।
জ্বর ঠোসার শুরুতে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি অনুভূত হয়। এরপর ছোট ফোস্কা দেখা দেয় এবং এটি ফেটে গিয়ে আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়। ফোস্কা ফেটে যাওয়া থেকে পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত এটি সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে। যেসব অবস্থায় সতর্কতা জরুরি হয়ে পড়ে তা নিম্নে জানানো হল।
- চোখের সংক্রমণ তথা জ্বর ঠোসার ভাইরাস চোখে গেলে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে, যা দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করার ঝুঁকি তৈরি করে।
- ওরাল সেক্সের মাধ্যমে জ্বর ঠোসা যৌনাঙ্গে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
- দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন নবজাতক, গর্ভবতী নারী বা যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন, তাদের জন্য এটি বিপজ্জনক।
- আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে চুম্বনের মাধ্যমে নবজাতকের প্রাণঘাতী সংক্রমণ হতে পারে।
- এই সমস্যায় প্রতিরোধের উপায় রয়েছে। জ্বর ঠোসায় হাত না লাগানো। আক্রান্ত অবস্থায় চুম্বন বা ওরাল সেক্স এড়ানো। ব্যবহৃত তোয়ালে, রেজার বা খাবার আলাদা রাখা। ভাইরাস সক্রিয় হওয়া ঠেকাতে মানসিক চাপ ও ক্লান্তি এড়ানো।
জ্বর ঠোসা হলে করণীয়
হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস (HSV) দ্বারা জ্বর ঠোসা হয়। মুখের চারপাশে ছোট ফোসকার আকারে দেখা যায়। এটি বেশ বেদনাদায়ক এবং অস্বস্তিকর হতে পারে। একবার হলে এটি নিয়মিত ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে। তাই জ্বর ঠোসা হলে সঠিক যত্ন ও ব্যবস্থা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- জ্বর ঠোসা হলে করণীয় হচ্ছে আক্রান্ত স্থানে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি ছোঁয়াচে হওয়ায় হাত দিয়ে ফোসকায় স্পর্শ করলে ভাইরাসটি অন্যত্র ছড়াতে পারে। আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার ও শুকনো রাখা জরুরি। এ সময় ঠোঁট বা মুখে ময়েশ্চারাইজার বা লিপ বাম ব্যবহার করা যেতে পারে।
- জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় থেকেই এই রোগের মুক্তি মিলবে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ না করাই ভালো। সংক্রমণ তীব্র হলে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন অ্যাসাইক্লোভির, ফ্যামসাইক্লোভির বা ভ্যালাসাইক্লোভির। এই ওষুধগুলো সংক্রমণের সময়কাল কমাতে সাহায্য করে।
- ব্যথা বা ফোলাভাব কমাতে বরফের টুকরো একটি পরিষ্কার কাপড়ে মুড়িয়ে ঠোসার ওপর কিছুক্ষণ চেপে রাখুন। এটা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। আক্রান্ত স্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি বা অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। তবে ফোসকা খুঁটবেন না বা খোলার চেষ্টা করবেন না। কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
- এ সময় সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রচুর ফল, শাকসবজি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান ও বিশ্রাম নিশ্চিত করাও জরুরি। ঠান্ডা, গরম বা অতিরিক্ত সূর্যের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
- মানসিক চাপ কমানো গুরুত্বপূর্ণ। ধ্যান, যোগব্যায়াম বা হালকা শরীরচর্চার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যেতে পারে। যদি জ্বর ঠোসা ঘন ঘন হয় বা প্রতিবার তীব্র আকার ধারণ করে, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- সঠিক যত্ন ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে জ্বর ঠোসা দ্রুত সেরে ওঠে। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এছাড়া প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা নেওয়া থাকলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন যোগব্যায়াম বা মেডিটেশনের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমান।
- পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। এজন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
- সুরক্ষিত থাকতে সূর্যের তাপ থেকে ঠোঁট রক্ষা করতে সানস্ক্রিন বা লিপ বাম ব্যবহার করুন।
- সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। ভিটামিন এবং খনিজসমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। আক্রান্ত অবস্থায় চুম্বন বা নিজের ব্যবহৃত জিনিস অন্যের সঙ্গে ভাগ করবেন না।
জ্বর ঠোসা সারানোর মেডিসিন
যখন দেখবেন জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় থেকে এই সমস্যা কমছে না। তখন নিরাময়ের জন্য কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধগুলো ভাইরাসের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং ফোসকার আরাম দেয়। তবে ওষুধ ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
প্রথমত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ জ্বর ঠোসার চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকর। যেমন-
- অ্যাসাইক্লোভির (Acyclovir)ঃ এটি ভাইরাসের কার্যকলাপ ধীর করে এবং ঠোসা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
- ভ্যালাসাইক্লোভির (Valacyclovir)ঃ এটি অ্যাসাইক্লোভিরের একটি উন্নত সংস্করণ, যা আরও দ্রুত কাজ করে।
- ফ্যামসাইক্লোভির (Famciclovir)ঃ এটি সাধারণত গুরুতর সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়।
- এছাড়া ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে পেইন রিলিভার ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমনঃ
- আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) বা প্যারাসিটামল ব্যথা উপশমে কার্যকর।
- অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট প্রয়োগে সংক্রমণ কমে। যেমনঃ
- ডোকোসানল (Docosanol)ঃ এটি ঠোসার আকার ও ব্যথা কমায়।
- জিঙ্ক অক্সাইড ক্রিমঃ এটি দ্রুত শুকানোর সহায়ক।
সাধারণত জ্বর ঠোসা নিজে থেকেই কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়। ঘরোয়া ভাবে জ্বর ঠোসা সারানোর পদ্ধতি মেনে চললে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। তবে ঘন ঘন জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ বুঝে তার সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, সঠিক ওষুধ এবং যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যাকে সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব। সাধারণ সমস্যা হলেও এটি এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে জ্বর ঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে জ্বর ঠোসা কোথায় হয়, কারণ, প্রতিরোধের উপায়, জ্বর ঠোসা সারানোর মেডিসিন ও ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে সমাধানের উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url