নাকের ভিতর ঘা হলে করনীয়

নাকের ভিতর ঘা হলে করনীয় কি এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? যদি আপনারা এ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেল একদম শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে আশা করি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন। তাই আর দেরি না করে আসুন আপনার মূল্যবান সময়টুকু এই আর্টিকেলে দিয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিন।
নাকের-ভিতর-ঘা-হলে-করনীয়
এই আর্টিকেলে নাকের ভেতর শুকিয়ে গেলে করণীয় কি এ বিষয়গুলোও আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আপনাদের নাক নিয়ে খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন সেহেতু এই আর্টিকেল আপনার উপকারে ১০০% আসবে বলে আশা করা যায়। তাই আসন বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

ভূমিকা

নাকের ভেতরে ঘা হলে খুবই অস্বস্তিকর একটা সময় যায়। এছাড়াও অনেক ব্যথা হয়ে থাকে যার কারণে ঠিকমতো নাকে হাত দেওয়া যায় না। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করেন। কিন্তুএই আর্টিকেলে কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেল আপনারা পড়লে সমস্ত বিষয়গুলো জানতে পারবেন। তাহলে চলুন নাকের ভিতর ঘা হলে করনীয় এবং নাকের ভিতর শুকিয়ে গেলে করণীয় তা বিস্তারিত জেনে নিন।

নাকের মরা চামড়া দূর করার উপায়

আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা নাকের মরা চামড়া দূর করতে চাই কিন্তু সঠিক উপায় না জানার কারণে অনেকেই এই নাকের মরা চামড়া দূর করতে পারেন না। যেহেতু আপনারা কি কি উপায় রয়েছে জানেন না সেহেতু চিন্তাগুলো কারণ নেই। 

আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। আজকে আমি এই আরডিকেলে কিছু পদক্ষেপ উল্লেখ করব যেগুলো অনুসরণ করতে পারলে আশা করি নাকের মরা চামড়া দূর করা সম্ভব হবে। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

মৃদু এক্সফোলিয়েশনঃ যদি আপনি নাকের মরা চামড়া দূর করতে চান তাহলে একটি হালকা এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব (Exfoliating scrub) বা বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (Beta hydroxy acid) কিংবা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (alpha hydroxy acid) এর মতো উপাদান ধারণকারী রাসায়নিক এক্সফোলিয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো আপনার ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার এক্সফোলিয়েট করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

ময়েশ্চারাইজ করুনঃ এছাড়াও আপনারা চাইলে নাকের মরা চামড়া দূর করার জন্য প্রথমে নাক পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং এক্সফোলিয়েট করতে হবে এরপর ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার করতে হবে। এগুলো করার পর আপনার ত্বকের মরা চামড়া দূর করা সম্ভব হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুনঃ যদি আপনার নাকের মরা চামড়া দূর করতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো উপায় হল পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। যদি আপনি সারাদিনের মধ্যে পর্যাপ্ত পানি পান করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার ত্বক ভেতর থেকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করবে। ফলে আপনার মরা চামড়া গুলো খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।

কঠোর পণ্যগুলি এড়িয়ে চলুনঃ যে সাবান গুলোতে অত্যাধিক পরিমাণে এসিড রয়েছে সেগুলো সাবান ত্বকে ব্যবহার না করাই উচিত। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে যেগুলো ত্বকে ব্যবহার করলে ক্ষতি হয় সেগুলো ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন এবং প্রাকৃতিক তেল বিভিন্ন রকমের রয়েছে যেগুলো আপনার ত্বকের শুষ্ক তা আরো খারাপ করতে পারে তাই কিছু প্রাকৃতিক তেল ত্বকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

সুর্যের রশ্মি থেকে দূরে থাকুনঃ যদি আপনার নাকের মরা চামড়া দূর করতে চান তাহলে সব সময় রোদে কিংবা যেকোনো জায়গায় যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করে যেতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে রক্ষা থাকে ফলে মরা চামড়া নাকে তৈরি হয় না।

যদি আপনার এই সমস্যাটি ওপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করেও ভালো না হয় তাহলে এই সমস্যাটি নিয়ে অবহেলা না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

নাকের শুষ্কতা দূর করার উপায়

অনেকেই রয়েছে যারা নাকের শুষ্কতার সমস্যা নিয়ে ভুগছেন। বিশেষ করে শীতের সময় এর সমস্যাটি অনেক বেশি দেখা যায়। তবে এ সমস্যা অনেক বেশি হওয়ার একমাত্র কারণ সেটি হলো অতিরিক্ত কসমেটিক্স ব্যবহার করা এবং সাবান ব্যবহার করার কারণে হয়ে থাকে। তবে আপনারা যদি নাকের শুষ্কতা দূর করার উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

কারণ নাকে শুষ্কতার সমস্যা দূর করতে আজকে কিছু উপায় নিয়ে এই আর্টিকেলে হাজির হয়েছি। তাই আশা করি এই উপায়গুলো সঠিক ভাবে অবলম্বন করলে অনেক উপকার পাবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।

পেট্রোলিয়াম জেলিঃ খসখসে ও শুষ্ক নাকের সমস্যা কমাতে আপনারা চাইলে পেট্রোলিয়াম জেলি ঘরোয়া উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুবই উপকারী একটি তেল যা আপনার আক্রান্ত স্থানে সামান্য লাগালে এবং ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। এটি ব্যবহারের নিয়ম হল সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন ঠিক তার ৩০ মিনিট আগে। পেট্রোলিয়াম জেলি ভালোভাবে ব্যবহার করলে আপনার নাকের খসখসে ও শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করবে।

নারকেল তেলঃ নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ফেটি অ্যাসিড যদি আপনারা এটি মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ত্বক হয়ে উঠবে অনেক নরম এবং নাকের লালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করবে। এটি ব্যবহারের নিয়ম হল প্রথমে আপনাকে সামান্য পরিমাণে নারকেল তেল নিতে হবে এরপর নাকের যে স্থানে সমস্যা সেখানে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। অল্প কিছুদিন এভাবে মেসেজ করলে আশা করি ভাল উপকার পাবেন।

কাঠবাদামের তেলঃ আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না কাঠবাদাম তেল চুলের জন্য কতটা উপকারী। তাই যারা জানেন না তারা অবশ্যই এ অংশটুকু থেকে জেনে নিন। সামান্য পরিমাণে কাঠবাদাম তেল নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ভালোভাবে ম্যাসাজ করলে চুল ও ত্বক অনেক ভালো থাকে। 

শুধু তাই নয়, যদি আপনারা দ্রুত ফলাফল পেতে চান তাহলে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এক চামচ কাঠ বাদাম এবং এক চামচ এলোভেরা একসঙ্গে মিশন করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি অনেক বেশি উপকার পাবেন।

নাকের ভিতর ঘা হলে করনীয়

আপনার কি নাকের ভিতর ঘা হলে অনেক জ্বালা যন্ত্রণা কিংবা চুলকায়? এছাড়াও আপনার কি নাকে স্পর্শ করলে তীব্র ব্যাথা অনুভব হয়? যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। কারণ আজকে নাকের ভেতর ঘা হলে করণীয় কি এ বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

মূলত ঠান্ডা কিংবা কোন কিছু আক্রান্ত হলে নাকের ভিতরে ঘা সমস্যাটি তৈরি হয়। এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক দুর্বল হলে কিংবা পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিলে অথবা নাকে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের ইনফেকশন দেখা দিলে নাকের ভেতরে শুকিয়ে গিয়ে ঘা হতে পারে। তবে এই ঘা দূর করার জন্য কি কি পদক্ষেপ অনুসরণ করা প্রয়োজন চলুন জেনে নিন।

ভিটামিন সিঃ যদি আপনাদের নাকের ভেতরে ঘা হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। যেমন কমলা টমেটো লেবু আনারস স্ট্রবেরি ইত্যাদি। এ ধরনেরখাবার খাওয়ার ফলে আপনার নাকের ভেতরে ঘা খুব সহজেই দূর করা সম্ভব হবে।

আদাঃ আমরা সকলেই আদা চিনে থাকি এটি সর্দি কাশির জন্য ব্যবহার করা হলেও যদি আপনি এই আদা থেঁতলে করে পেস্ট এর মত তৈরি করে নিয়ে নাকের ভেতরে ঘায়ের উপর লাগিয়ে রাখতে পারেন তাহলে নাকের ক্ষত নিরাময়ে অনেক বেশি সাহায্য করতে পারে আদা।

প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ করুনঃ যদি আপনার নাকে ঘা হয় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি ঘরোয়া উপায়ে এটির সমাধান করতে পারেন। এই নাকের ঘা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার পাশাপাশি আদা ও দার চিনি দিয়ে চা পান করলে উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়াও গরম স্যুপ খেলে আপনার শরীরে ভিটামিন মিনারেল প্রোটিনের মত পুষ্টি উপাদান পাবে। ফলে আপনার দ্রুত নাকের ঘা নিরাময়ে সাহায্য করবে।

স্যালাইনঃ হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে একটু লবণ মিশ্রণ করে স্যালাইন তৈরি করুন এবং এই পানিতে নাকের ভেতরের অংশ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন এভাবে করলে আপনার প্রদাহ কমিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জীবাণুও ধ্বংস করতেও সাহায্য করবে। আশা করি নাকের ভিতর ঘা হলে করনীয় কি তা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

নাকের ভিতর শুকিয়ে গেলে করণীয়

শরীরের যে কোন স্থান বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে সব স্থানের মধ্যে অনেক বেশি আক্রান্ত হয় নাক। নাকের ভেতরে পাতলা ত্বক স্থুল জীবনকে শরীরে ভেতরে প্রবেশে বাধা প্রদান করে ফলে যদি ত্বক শুষ্ক থাকে তাহলে এই কাজটি করা সম্ভব হয় না। অনেক মানুষেরই নাকের ছিদ্রের ভিতরে ত্বক শুষ্ক হয়ে বিভিন্ন চুলকানি রক্তপাত আবার অস্বস্তিকর ব্যথা তৈরি হয়। 

এছাড়াও শীতের শুষ্ক বাতাসে আবার কিছু কিছু ওষুধ সেবন করার ফলে অনেক মানুষের নাকের শুষ্কতা বেড়ে যায় তবে এই অবস্থায় আপনারা কিভাবে নাকের ভেতর শুকিয়ে গেলে করণীয় কি করবেন তা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। তাই আসুন আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিম্নের দেয়া হয়েছে জেনে নিন।

গরম ভাব নেওয়াঃ যদি আপনার নাকের ভেতর শুকিয়ে যায় তাহলে গরম ভাব দিতে পারেন। আর সেজন্য আপনারা প্রথমে তিন কাপ পানি ফুটিয়ে নিবেন এরপর আপনার মুখ সেই গরম করা পানির সামনে নিয়ে যাবেন এরপর আস্তে নিঃশ্বাস নেওয়া শুরু করবেন। এভাবে মিনিমাম পাঁচ থেকে ১০ মিনিট করবেন। চাইলে আপনার মাথার ওপরে একটি মোটা তোয়ালে দিয়ে রাখতে পারেন, এতে করে আপনার গরম ভাব সরাসরি মুখে ওনাকে লাগবে। তবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করার পাশাপাশি সতর্ক থাকবেন যাতে করে আপনার ত্বক পুড়ে না যায়। 

আমন্ড অয়েল ও অ্যালোভেরাঃ যদি আপনার নাকের শুষ্কতা অনেক বেশি হয় এবং রক্ত আসে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব এটি ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আর এই সমস্যাগুলো এড়াতে আমন্ড অয়েল ও অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকারী। প্রথমে আপনাকে গরম পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে নিতে হবে।

এরপর আধা চামচ তেল এবং এক চামচের চার ভাগ অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে নাকের ছিদ্রের ভেতরে লাগিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ এভাবে লাগিয়ে রাখলে নাকে ত্বক আদ্র রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ক্ষত নিরাময় করতে সহায়তা করবে।

পেট্রোলিয়াম জেলিঃ নাকের শুষ্কতা এড়াতে পেট্রোলিয়াম জেলি হাতের আঙ্গুলে লাগিয়ে নাকের ভেতরে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার ত্বকের আদ্রতা ফিরে আসতে সাহায্য করবে এবং অল্প পরিমাণে পেট্রোলিয়াম জেলি আপনার পাকস্থলীর জন্য হতে পারে নিরাপদ।

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি উপরের উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে আপনার নাকের শুষ্কতা দূর করা সম্ভব হবে। নাকের ভিতর শুকিয়ে গেলে করণীয় কি কি তা আশা করি জানতে পেরেছেন।

নাকের ফোলা ভাব কমানোর উপায়

নাকের ফোলা ভাব একটি অস্বস্তিকর সমস্যা যা অনেক মানুষেরই হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যেমন ঠান্ডা লাগা কোন কিছুর আঘাত সাইনাস ইনফেকশন দীর্ঘক্ষণ ধুলাবালিতে থাকা এলার্জি ইত্যাদি কারণে নাকের ফোলা ভাব সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া ফলোভাবে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট কিংবা ব্যথাও থাকতে পারে যা দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে। তবে ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ঠান্ডা পানির সেঁকঃ যদি আপনাদের নাকের ফোলা ভাব হয় তাহলে এটি কমাতে ঠান্ডা পানির সেঁক বেশ উপকারী হতে পারে। একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নাকের ওপর রাখুন। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে।

লবণ পানির গার্গল বা ন্যাসাল স্প্রেঃ লবণ পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলে ভেতরের জীবাণু ধ্বংস হয় এবং শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সহজ হয়। এটি নাকের ভেতরের ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করে।

বাষ্প গ্রহণঃ উষ্ণ পানির বাষ্প নিলে নাকের ভেতরের জমে থাকা মিউকাস বের হয়ে আসে এবং প্রদাহ কমে। এটি নাক পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত পানি পানঃ এছাড়াও আপনারা নাকের ফোলাভাব দূর করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে পারেন। তাহলে আপনার হাইড্রেশন বজায় থাকবে এবং শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে ফলে আপনার ফোলা ভাব দ্রুত কমে যাবে

অ্যালার্জি প্রতিরোধে সচেতনতাঃ ধুলা, ধোঁয়া বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে অ্যালার্জি প্রতিরোধক ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন।

যদি আপনার নাকের ফোলা ভাব অনেকদিন পর্যন্ত থাকে বা বাড়তে থাকে তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে আশা করা যায় উপরে যে পদক্ষেপগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো মেনে চলে আপনার নাকের ফোলা ভাব কমানোর পাশাপাশি সুস্থতা নিশ্চিত করতেও সাহায্য করবে।

যদি নাকের ফোলা ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বাড়তে থাকে, তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে উপরের এই সহজ ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললে নাকের ফোলা ভাব কমানোর পাশাপাশি সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

নাকের ভিতর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ

নাকের ভিতর শুকিয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক কারণেই হতে পারে। এটি সাধারণত অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘস্থায়ী হলে অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। নাকের শুকিয়ে যাওয়া সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া, বেশি সময় এয়ার কন্ডিশনারে থাকা, অথবা পানিশূন্যতার কারণে হয়।

তাছাড়া, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কারণেও নাকের ভিতর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। ঠান্ডাজনিত সমস্যা, সাইনাস ইনফেকশন বা অ্যালার্জির ফলেও নাক শুষ্ক হতে পারে। শুষ্কতা তীব্র হলে নাকের ভিতর ফেটে যাওয়া বা রক্তপাতও হতে পারে। নাকের শুষ্কতা কমানোর জন্য কিছু সহজ সমাধান রয়েছে।

প্রথমত, পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, নাকের ময়েশ্চার বজায় রাখতে স্যালাইন স্প্রে ব্যবহার কার্যকর। শুষ্ক আবহাওয়ায় প্রাকৃতিক তেল যেমন নারকেল বা বাদামের তেলও সাহায্য করতে পারে। যদি নাকের শুষ্কতা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং অস্বস্তি বাড়ে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, এটি কিছু গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

লেখকের মন্তব্যঃ নাকের ভিতর ঘা হলে করনীয়

নাকের ভিতর ঘা হলে করনীয় এবং নাকের ভিতর শুকিয়ে গেলে করণীয় কি আশা করি তা এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে জানতে পেরেছেন। আপনারা যারা এ বিষয়গুলো পড়ে উপকৃত হয়েছেন তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল আপনার আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করবেন। পাশাপাশি আপনাদের মতামত জানানোর জন্য আর্টিকেলে কমেন্ট করে জানিয়ে যাবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url