সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

আপনি কি সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেল একদম মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ সিদ্ধ ডিম খেলে কি কি শরীরে উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কি কি ক্ষতির দিক রয়েছে তা সঠিকভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন।
সিদ্ধ-ডিম-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-জেনে-নিন
এছাড়াও এই আর্টিকেলে অর্ধেক সিদ্ধ ডিমের উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনারা এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে আশা করি এই বিষয়গুলো সহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তাই আর দেরি না করে আসুন জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকা

সম্মানিত ভিজিটর আপনারা সকলেই জানেন ডিম শরীরের জন্য কতটা উপকারী। কিন্তু কি কি উপকার হয় কিংবা সিদ্ধ ডিম খেলে শরীরে কতটুকু উপকার হয় তা অনেকেই জানেন না। তাই তাদের উদ্দেশ্যেই আজকের এই আর্টিকেল। আজকে আমি এই আর্টিকেলে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং অর্ধেক সিদ্ধ ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারেন। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো।

সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা

আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল সকালে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একটা কিংবা দুইটা ডিম খেলে শরীরে এত পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তা বলে বোঝানো যাবে না। বিশেষ করে দেহের বিভিন্ন কিছু পরিবর্তন শুরু হয় ছোট বড় সব রোগ দূর হয়। সেইসঙ্গে আরো উপকারিতা মিলে সকালে সিদ্ধ ডিম খেলে। তাহলে চলুন কি কি উপকারিতা সেগুলো জেনে নিন।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত ঘটায়ঃ ডিমে রয়েছে লুয়েটিন এবং জিয়াক্সেনথিন নামে দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে পাশাপাশি চোখে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে মুক্তি মিলে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ যদি আপনারা সকালে ঘুম থেকে উঠে সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। বিশেষ করে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে ডিম। এক কথায় বললে যদি আপনারা প্রতিদিন ডিম খেতে পারেন তাহলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত অনেক উপকারিতা। এরকম উপকারিতা অন্য কোন খাবারে পাওয়া যাবে কিনা মনে হয় না।

চুল পড়া দূর করেঃ প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সেদ্ধ ডিম খেলে দারুন উপকার পাবেন। ডিমের হয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই যা চুলের গোড়ার পুষ্টি ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে এবং চুল পড়ার হার কমাতে সহায়তা করে।

অ্যামাইনো এসিডের ঘাটতি দূর করেঃ শরীরের স্বচ্ছলতা বজায় রাখতে আপনি প্রতিদিন ডিম খেতে পারেন। কারণ ডিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের সুস্থতা নিয়ে আসতে অনেক বেশি সাহায্য করে। বিশেষ করে এমাইনো এসিডের ঘাটতি পূরণ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে ডিম।

ওজন কমায়ঃ প্রতিদিন সকালে সিদ্ধ ডিম খেলে আপনার ওজন বাড়ে না বরং কমে। তার কারণ হলো যদি আপনি সকাল সকাল ডিম খেতে পারেন এতে করে আপনার পেট ভরা থাকে ফলে ক্ষুধা পায় না। এতে করে কোন ভাজা কিংবা চিপস এগুলো খাওয়ার তেমন কোন প্রয়োজন হয় না। ঠিক এ কারণেই স্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ডিমে উপস্থিত সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে সেই সাথে আপনার শরীরের থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ যাতে ঠিকমতো হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। এর ফলে আপনার সংক্রমণ এবং থাইরয়েড রোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কমে যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন সকালে ঘুম থেকে উঠে সিদ্ধ ডিম খাওয়াটা কতটা উপকারী।

স্ট্রেসের প্রকোপ কমেঃ ডিমে রয়েছে প্রায় নয় ধরনের অ্যামাইনো এসিড যা মস্তিষ্কের সেরাটোনিন নামক বিশেষ এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ফলে হরমোনটি স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমিয়ে নিমেষেই মন ভালো রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করতে করে।

খারাপ কোলেস্টেরল দূর করেঃ অনেক মানুষ রয়েছে যারা মনে করেন অতিরিক্ত ডিম খেলে নাকি কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এটা একদমই ভুল কথা। কারণ একাধিক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে ডিমে উপস্থিত ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল আসলে ভালো কোলেস্টেরলের পর্যায়ে পরে ফলে এই ডিম খাওয়ার ফলে কোনরকম ক্ষতির আশঙ্কা দেখা যায় না বরং উপকার হয়। 

তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি করে সেদ্ধ ডিম খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। এতে করে খারাপ কোলেস্ট্রলে মাত্রা কমবে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি হবে।

প্রতিদিন ২টা করে ডিম খেলে কি হয়

প্রতিদিন দুইটা করে ডিম খেলে কতটুকু উপকার হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে যিনি খাচ্ছেন তার স্বাস্থ্যের ওপর। কিন্তু যদি আপনারা প্রতিদিন দুইটা করে সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন তাহলে আশা করি শরীরের ১০ রকম পুষ্টির ঘাটে পূরণ হতে পারে। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন প্রতিদিন দুইটা করে ডিম খেলে কি হয় তাই কি কি শরীরের দশটি পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

যদি আপনারা প্রত্যেকদিন নিয়ম করে দুইটা করে সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন তাহলে আপনার প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন বি-২, ফলেট, স্যালেনিয়াম, কোলাইন, জিংক, আয়রন সহ আরো নানা ধরনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে হবে বলে এমনটাই ধারণা দিয়েছেন অনেক স্বাস্থ্য গবেষকরা। 

তাই আপনারা চাইলে প্রতিদিন একটি ডিম না খেয়ে দুইটি করে খেতে পারেন। আশা করি ভালো উপকার পাবেন। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সেদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে ডিমের কোন জুড়ি নেই। সাধারণত ডিম খাওয়ার সব ধরনের অপার মধ্যে সবচেয়ে পুষ্টিকর উপায় হল সিদ্ধ করে ডিম খাওয়া। কারণ যদি আপনি সিদ্ধ করে ডিম খেতে পারেন তাহলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। 

শুধু তাই নয় যারা দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকেন, তারা চাইলেই সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। এটা আপনার ওজন কমাতেও অনেক বেশি সাহায্য করবে। চিকিৎসকরা বলেছেন ডিম পোচ কিংবা অমলেট এর তুলনায় সিদ্ধ ডিমই কিন্তু অনেক বেশি উপকারী। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে দুই সপ্তাহের মধ্যে ১১ কেজি ওজন কমাতে পারে সিদ্ধ ডিম। 

শুধু তাই নয় হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে এবং চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে সিদ্ধ ডিম। তাই আপনারা চাইলে সিদ্ধ ডিম প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। পাশাপাশি ব্লাড সুগারকে কার্যকর উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতেও অনেক বেশি সাহায্য করে সেদ্ধ ডিম। সিদ্ধ ডিমের কুসুম খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

এটি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। সিদ্ধ ডিম যে কোন বয়সের মানুষ খেতে পারবে কোন সমস্যা নেই বরং উপকার অনেক বেশি। সিদ্ধ ডিম থাকে ৭৮ গ্রাম ক্যালোরি, ১৭৭ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৬২ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৫ গ্রাম ফ্যাট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ২ গ্রাম সম্পৃত্ত ফ্যাট, ১ গ্রাম সুগার এবং এক গ্রাম কার্বোহাইড্রেট।

সিদ্ধ ডিম খাওয়ার অপকারিতা

সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি সিদ্ধ ডিম খাওয়ার অপকারিতাও রয়েছে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আসুন আর দেরি না করে নিচে আলোচনা করা হয়েছে জেনে নিন।

এলার্জিঃ সিদ্ধ ডিম খাওয়ার ফলে কিছু কিছু মানুষের এলার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই এলার্জির প্রতিক্রিয়া টা বেশি দেখা দিতে পারে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাটঃ ডিমে যদি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি না থাকে তাহলে সেগুলো যেভাবে তৈরি করা হয় তাতে অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট যোগ করা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ টেলি ডিম ভাজলে খাবারের স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেড়ে যায়। ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

হজমের সমস্যাঃ কিছু কিছু মানুষ হয়েছে যারা ডিম খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয় গ্যাস বা ফলো ভাব সৃষ্টি করতে পারে। তাই যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আশা করি সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

অর্ধেক সিদ্ধ ডিমের উপকারিতা

কমবেশি প্রত্যেকটা মানুষ ডিম খেতে পছন্দ করেন। তবে একেকজনের ডিম খাওয়ার পদ্ধতি এক এক রকম। অনেক মানুষ রয়েছে যারা কাঁচা ডিমও খেয়ে থাকেন। তবে আজকে আমি আপনাদের জানিয়ে দেব অর্ধেক সিদ্ধ ডিমের উপকারিতার পাশাপাশি কোন পদ্ধতিতে ডিম খাওয়া উপকারী এবং কোনটিতে ক্ষতিকর। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

হাফ বয়েল, না ফুল বয়েল ডিম? -- অনেকেই মনে করেন যে হাফ বয়েল ডিমে খুবই পুষ্টি। কিন্তু এটি আসলেই একদম সঠিক নয়। অর্ধেক সিদ্ধ ডিমে সালমোনিলা নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা শরীরে প্রবেশ করলে বমি ডায়রিয়া সহ আরো বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই কখনোই হাফ বয়েল ডিম খাবেন না অর্থাৎ অর্ধেক সিদ্ধ ডিম খাবেন না।

কাঁচা ডিমে শক্তি বেশি? -- অনেকেই মনে করেন কাঁচা ডিম খেলে অনেক পুষ্টি ও শক্তি পাওয়া যায়। তবে যারা মনে করেন তারা সম্পূর্ণ ভুল মনে করে থাকেন। কারণ কাঁচা ডিমে থাকে এভিডি নামক একটি প্রোটিন আর এই প্রোটিন শরীরের বায়োটিন কে কাজ করতে বাধা দেয় ফলে চুল ও ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা আরো অনেক বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভবকাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন এতে করে আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই উপকার হবে।

ডিমের কুসুম খাওয়া নিয়ে সমস্যা? -- অনেক মানুষ রয়েছে যারা ডিমের কুসুম ফ্যাট নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে থাকেন। থাকলেও কোন সমস্যা নেই বরং আপনার শরীরের চাহিদা পূর্ণ করতে ফ্যাট প্রয়োজন পড়বে। তবে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি থাকলে ডিমের কুসুম না খাওয়াটাই ভালো।

ভাজা ডিম খেলে কি হয়? -- আপনারা চাইলে সবচেয়ে ভালো ডিম ভাজা ও পোজ করে খাওয়া। কিন্তু এর থেকেও অনেক বেশি ভালো ডিম সম্পূর্ণভাবে সেদ্ধ করে খাওয়া। তবে যদি আপনারা ভেজে খেতে চান তাহলে যতটুক কম তেলে ভাসতে পারবেন ততটাই ভালো। এমনকি আপনি এই পদ্ধতি অনুসরণ করে পোচ বানিয়ে খেতে পারবেন।

সিদ্ধ ডিম খেলে কি গ্যাস হয়

সিদ্ধ ডিম আমাদের খাদ্যতালিকার অন্যতম পুষ্টিকর উপাদান। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, এবং মিনারেলে ভরপুর রয়েছে যা শরীরের পেশি গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং শক্তি সরবরাহে সাহায্য করে। তবে অনেকের মধ্যে একটি সাধারণ প্রশ্ন দেখা দেয় সেটি হলো সিদ্ধ ডিম খেলে কি গ্যাস হয়?

ডিম খাওয়ার পর গ্যাস বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কিছু মানুষের মধ্যে দেখা যেতে পারে। এর প্রধান কারণ হতে পারে ডিমের প্রোটিন হজম করতে অসুবিধা, খাদ্যাভ্যাসে ফাইবারের অভাব, অথবা খাবার খাওয়ার সঙ্গে পানির কম গ্রহণ। ডিমের সাদা অংশে থাকা কিছু প্রোটিন হজম করতে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত যাদের হজম প্রক্রিয়া দুর্বল বা খাদ্যে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের মধ্যে এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

তবে, ডিম খাওয়া এবং গ্যাসের সম্পর্ক প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরের উপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ মানুষের জন্য ডিম হজমে সহজ এবং এটি গ্যাস সৃষ্টি করে না। এমনকি, সঠিক পরিমাণে সিদ্ধ ডিম খেলে এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতেও সাহায্য করে।

লেখকের মন্তব্যঃ সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এই আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন। আপনারা যারা এই আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়েছেন তারা অবশ্যই আত্মীয়-স্বজনের কিংবা বন্ধু বান্ধবের মাঝে আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। পাশাপাশি এই আর্টিকেলে আপনার মতামত জানিয়ে নিয়মিত ভিজিট করার চেষ্টা করবেন। যদি আপনাদের এরকম আরো আর্টিকেল প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url