ডিপ্রেশনের ৮টি মারাত্মক লক্ষণ
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা প্রত্যেকটা সময় ডিপ্রেশনে কাটায়। কিন্তু ডিপ্রেশন হলে কি কি মারাত্মক লক্ষণ দেখা দিতে পারে আপনি কি জানেন? হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই আপনাদের কথা মাথায় রেখে আজকে আমি এই আর্টিকেলে ডিপ্রেশনের ৮টি মারাত্মক লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেগুলো জানলে আপনি বুঝতে পারবেন ডিপ্রেশন কতটা ভয়াবহ। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ এখানে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা ডিপ্রেশন থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। যেমন ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম কি বলে যদি জানেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
ভূমিকা
ডিপ্রেশন খুবই মারাত্মক একটি সমস্যা। পৃথিবীতে প্রায়ই অধিকাংশ মানুষ ডিপ্রেশনে ভুবেন। কোনো না কোনো চিন্তা ভাবনার কারণে অনেক মানুষ ডিপ্রেশনে যায়। কারো ফ্যামিলিগত চিন্তা, কারো টাকা পয়সা নিয়ে চিন্তা, সামনে ভবিষ্যৎ কিভাবে আগাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা, আবার কারো প্রিয় মানুষকে নিয়ে চিন্তা, এই চিন্তা করতে করতে একসময় এতটা ডিপ্রেশনে মানুষ চলে যায় তখন তারা মৃত্যু পথ বেছে নেন। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ডিপ্রেশন কত মারাত্মক একটি লক্ষণ। এই আর্টিকেলে ডিপ্রেশনের ৮টি মারাত্মক লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেগুলো জানার পর আপনারা কখনোই ডিপ্রেশনে যাবেন না। এছাড়াও এখানে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম কি বলে তাও জানতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আসুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ডিপ্রেশন কি ভাল হয়
আমরা কমবেশি সকলেই জানি দুঃখ অপরাধবোধ নিজেকে মূল্যহীন লাগা ক্লান্তি দুর্বল ঘুম ও খুদাই বিরক্ত ইত্যাদি ডিপ্রেশন হিসেবে চিহ্নিত। তবে এই ডিপ্রেশন কি ভালো হয় এই ধরনের প্রশ্ন যারা করেছেন তাদের জন্য কামি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে বুঝতে পারবেন ডিপ্রেশন আসলে ভালো হয় নাকি হয় না। তাই আসুন কিভাবে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায় অথবা ডিপ্রেশন থেকে কিভাবে ভালো থাকা যায় জেনে নেই।
- ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা ও থেরাপি এবং পাশাপাশি নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। যদি আপনার নিজের চেষ্টা না থাকে তাহলে আপনি ডিপ্রেশন থেকে কখনোই মুক্তি পাবেন না বলতে গেলে চলে। নিজের প্রতিদিনের কাজকর্ম জীবন যাপন খাওয়া-দাওয়া চিন্তাভাবনা ইত্যাদি পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজেই ডিপ্রেশন থেকে বের হতে পারবেন। এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।
- এই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে প্রতিদিন জীবনকে একটি রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিদিন এর কাজকর্ম নিয়মের মধ্যে বেধে ফেলতে হবে। তাহলে আপনি ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। তবে এমন কোন কাজ করবেন না যেগুলো আপনার নিয়মের বাইরে।
- এছাড়াও ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রতিদিন অল্প কিছু সময় হলেও ব্যায়াম করতে হবে। এতে করে আপনার শরীর এবং মন উভয়ই সুস্থ থাকে। ব্যায়াম করা মানে এই না আপনাকে প্রচুর পরিমাণে দৌড়াতে হবে। আপনি প্রতিদিন সকালে অল্প কিছু সময় হাটাহাটি করবেন তাও আপনার মস্তিষ্ক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করবে। ফলে আপনি ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
- এগুলো ছাড়াও আপনাকে প্রতিদিন স্বাস্থ্যসম্মত সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে যেগুলো খাবারে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। এছাড়াও যে সকল খাবারে যেসব খাবারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে সেগুলো খাবার গ্রহণ করতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় সে সকল খাবার খাওয়ার ফলে আপনার ডিপ্রেশন আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে।
- ডিপ্রেশন দূর করার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। কারণ একটা মানুষের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রথমে আপনাকে ঘুমের সমস্যার সমাধান নিয়ে আসতে হবে এবং প্রতিদিনের জীবনযাপনের কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। তাহলে আপনার ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
ডিপ্রেশন হলে কি কি সমস্যা হয়
ডিপ্রেশন বা হতাশা একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবন এবং শারীরিক সুস্থতার উপর গভীর প্রভাব ফেলে। এটি শুধুমাত্র মানসিক অসুস্থতার কারণ নয়, বরং শারীরিক সমস্যারও জন্ম দেয়। ডিপ্রেশন হলে স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে এর প্রভাব অব্যাহত থাকলে তা আরও জটিল রূপ নিতে পারে।
ডিপ্রেশন হলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারেঃ
মনোযোগের ঘাটতিঃ যদি আপনি ডিপ্রেশনে পড়ে যান তাহলে আপনার চিন্তাভাবনা এতটাই পরিবর্তন হবে আপনার কাজের দক্ষতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হারিয়ে যাবে।
ঘুমের ব্যাঘাতঃ ডিপ্রেশন থাকলে অনিদ্রা বা অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা হতে পারে, যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে আরও দুর্বল করে তোলে।
শারীরিক অসুস্থতাঃ যদি আপনার ডিপ্রেশন থাকে তাহলে বেশি ব্যথা ওজনের সমস্যা মাথা ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতাশা ইত্যাদি সাধারণ সমস্যা আপনার শরীরের দেখা দিতে পারে।
আত্মবিশ্বাসের অভাবঃ ডিপ্রেশনে চলে গেলে একজন মানুষের আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা কমিয়ে দেয়, যা ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সামাজিক বিচ্ছিন্নতাঃ ডিপ্রেশন আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে সমাজ থেকে আলাদা করে ফেলতে পারে, যা একাকীত্ব ও মানসিক যন্ত্রণা বাড়ায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন ডিপ্রেশন হলে কি কি সমস্যা হয়। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ডিপ্রেশনের ৮টি মারাত্মক লক্ষণ সম্পর্কে।
ডিপ্রেশনের ৮টি মারাত্মক লক্ষণ
ডিপ্রেশন শব্দটি বর্তমান সময়ে পরিচিত থাকা প্রত্যেকটা মানুষের খুবই স্বাভাবিক। তরুণ প্রজন্মের বহু প্রচলিত একটি শব্দ হচ্ছে ডিপ্রেশন। কাল প্রত্যেকটা মানুষ কোন না কোন কারণে ডিপ্রেশনে চায়। উদাহরণস্বরূপ যদি কারো ফ্যামিলি নিয়ে চিন্তা হয় তাহলে তারা ডিপ্রেশনে চলে যায় আবার কেউ কেউ এসে যারা বয়ফ্রেন্ড কিংবা গার্লফ্রেন্ডের প্যারায় ডিপ্রেশনে চলে যায়।
কিন্তু ডিপ্রেশন মানে কি শুধুই মন খারাপ? নাকি এর পেছনে আরো অন্য কোন কারণ রয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষ জটিল স্তরে গিয়ে ডিপ্রেশনের শিকার হন। তবে আজকের আমি ডিপ্রেশনের ৮টি মারাত্মক লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো আপনার জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
ভালো মান খারাপ--কোনটাই না থাকাঃ সাদা কালোর মধ্যে আজকে মন অনেকটাই আটকে গিয়েছে। তার কারণ হলো বর্তমান পরিস্থিতি এবং কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা। আজকাল অনেক মানুষ ফ্যামিলি নিয়ে কিংবা অন্যান্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতে ডিপ্রেশনে চলে যায়। অনেক ডিপ্রেশন মানুষ রয়েছে তাদেরকে যদি বলা হয় আপনি কেমন আছেন?
এর উত্তর ভালো না খারাপ হয়তো নিজেরাই খুঁজে পাইনা। কেউ কেউ জিজ্ঞেস করে কেমন আছেন তখন সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে গিয়ে অনেকেই ভাবনায় পড়ে যান। তাই এ ধরনের প্রশ্ন খানিকটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য জোর করে বলে আমি তো সবসময় ভালই থাকি।
অল্প কিছুতেই রেগে যাওয়াঃ অনেক ডিপ্রেশনের মানুষ রয়েছে যারা কারো অল্প অল্প হাসি কিংবা আনন্দ প্রকাশের যেন নিজেকে বিরক্ত মনে করে। কেউ ভালো কথা বললেও তার কাছে ভালো মনে হয় না। একটু পর পর কোন কারণ ছাড়াই রেগে যায়। সুখ দুঃখের অনুভূতিকে চাপা দিয়ে তাদের সকল আবেগের বিকল্প করে নিয়েছে এই রাগ।
যদি কাউকে আঘাত দেওয়া হয় তাহলে তার এই ডিপ্রেশনে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে। তখন তারা নিজেই বুঝতে পারে না কি এই রোগের উৎস। উত্তর- ডিপ্রেশন।
অনুভূতিগুলো বেশিরভাগ লুকিয়ে রাখাঃ প্রিয়জনের সাথে কিংবা কারো সাথে এমনকি কখনো কখনো নিজের সাথেও অনেক ধরনের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাই না। সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলেই ভালো না লাগার কারণ খুঁজে পাই। তাই কখনো কখনো কারো সাথে ভাগ করে নিলে আরো বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে ভেবে কেউ তাদের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করে না। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় সমস্যা চলে যায় না।
চেপে রাখার কারণে আরো অনেক বড় হয়। কোন সময় মন খারাপ কিংবা কষ্টের অনুভূতি কারো কাছে প্রকাশ করে না কারন তারা ভয় পায় বের হয়ে গেলে এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পর্যন্ত যেতে পারে। যা সামলাতে পারবে না। মূলত এই অনুভূতিগুলো দমিয়ে রাখা হয় এই ভয়ের কারণে। কিন্তু একদিন না একদিন এগুলো সব বিস্ফোরণ হবে তখন ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষটা অনুভূতির সকল দরজা গুলো বন্ধ বন্ধ করে নিজে একা একা কান্না করবে।
ইচ্ছে করেই প্রচন্ড ব্যস্ত জীবন বেছে নেওয়াঃ ভেতরে থাকা অনুভূতিগুলো কোনভাবে যেন প্রকাশ না পাই এগুলো এড়াতে অনেকেই ইচ্ছে করে প্রচন্ড ব্যস্ত জীবন বেঁচে নেই। কিন্তু তারা জানে না পরবর্তীতে তাদের সমস্যা আরো দ্বিগুণ বাড়তে পারে। অতিরিক্ত কাজের চাপ পড়াশোনার চাকরি সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে নিজেকে ডুবিয়ে দেয় এক ধরনের স্বেচ্ছা ক্লান্তিতে। একটু অবসর রাখে না নিজের শরীরকে। দমবন্ধ একটি জীবন তবুও নিঃশ্বাস নিতে চায় না অনেকেই। মূলত এ ধরনের সমস্যাকে অনেকেই ডিপ্রেশন বলে থাকে।
নিজের পছন্দের কাজগুলা আর না করাঃ নিজের পছন্দের কাজ যেমন ছবি তোলা ছবি আঁকা লেখালেখি নাচ করা গান গাওয়া ইত্যাদি আস্তে আস্তে কমিয়ে দেওয়া এবং একসময় আর না করা ডিপ্রেশন এর একটি মুহূর্ত লক্ষণ। এই কাজগুলো করলে একটা মানুষের মন সবসময় ভালো থাকে এবং পথ চলার শক্তি যোগায় কিন্তু ডিপ্রেশন এমন একটি খারাপ জিনিস যেখানে মানুষ নিজেকে থামিয়ে দেয় এবং নিজের মধ্যে থাকা সবকিছু ভুলতে শুরু করে। আশেপাশের যত মানুষ রয়েছে সেগুলো অভাব দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে কিন্তু তবুও কেমন যেন ছন্দপতন ঘটে যায়।
অন্তর্মুখী ও এককেন্দ্রিক হয়ে পড়াঃ ধীরে ধীরে নির্দেশনে ভগা মানুষ জীবনের অন্য একটি জায়গায় চলে যায়। সবটুকু জুড়ে শুধু সে ডিপ্রেশনের মধ্যে থাকে। ভালোলাগা মন্দ লাগা কোন অনুভূতি কিছুই তার কাছে কোন দাম নেই। ডিপ্রেশনের রোগীরা এই সময় নিজের ব্যাপারটা বুঝতে পারে না ফলে নিজেকে দোষী ভাবে। আবার কোনো কারণে অনেক বেশি আঘাত ফেলে মানুষ চলে যায় এবং পুরোপুরি একা হয়ে পড়ে। তখন একাকীত্ব যত গ্রাস করে ডিপ্রেশন আরো বেশি বাড়তে শুরু করে।
চিন্তাভাবনায় অস্পষ্টতাঃ সব সময় চিন্তাভাবনা চেপে রাখার কারণে মস্তিষ্কের অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে যায় তখন কোন কিছুই চাইলেও চিন্তা করতে পারেন না। যদি কোন বিষয়ের উপর ফোকাস নিয়ে আসার জন্য ভাবা হয় তাহলে অনেক কষ্টের ব্যাপার হয়ে পড়ে। কথায় যুক্তি কিংবা আবেগ দুটোরই প্রবল অভাব, অবিন্যস্ত কথোপকথন, কথা বলা কমে যাওয়া, কথা খুঁজে না পাওয়া ইত্যাদি ডিপ্রেশনের লক্ষণ। আশা করি ডিপ্রেশনের ৮টি মারাত্মক লক্ষণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম
ডিপ্রেশন একটি মানসিক অবস্থা যা ব্যক্তির জীবনে হতাশা, একাকিত্ব এবং অস্থিরতা নিয়ে আসে। এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য ইসলাম আমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস ভরসা একজন ব্যক্তিকে মানসিক প্রশান্তি পেতে সাহায্য করে। তাই আসুন ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম কি বলে জেনে নিন।
- কুরআন তিলাওয়াত
- ধৈর্য ধারণ করা
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া
- তাকদিরের ওপর ছেড়ে দেওয়া
- বিপদে আল্লাহকে ডাকা
- চিন্তায় পরিবর্তন আনা
- ইস্তেগফার করা
- দান ও সেবামূলক কাজ
- দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার দোয়া
যদি আপনি উপরে উল্লেখিত এই কাজগুলো ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক করতে পারেন তাহলে আশা করি আপনার ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। ( আল্লাহ ভরসা)
এন্টি ডিপ্রেশন ট্যাবলেট
এন্টি ডিপ্রেশন ট্যাবলেট এমন এক ধরনের ওষুধ যা মানসিক বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিন, ডোপামিন এর মতো নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত, চিকিৎসকের পরামর্শে গুলো আপনারা গ্রহণ করতে পারেন। এটি আপনার বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, মানসিক সমস্যার দূর করতে সাহায্য করবে।
তবে এন্টি ডিপ্রেশন ট্যাবলেট গ্রহণের আগে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। এটি মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, অথবা ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক ডোজ ও চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চললে এই ওষুধ মানসিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ব্যায়াম
আপনারা যদি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে কিছু ব্যাম রয়েছে সেগুলো করতে পারেন যেমন- দড়ি লাফানো, দৌড়ানো, নৃত্য ও যন্ত্রের সাহায্যে ব্যায়াম করা, সাইকেল চালানো, হাটা, ইয়োগা ইত্যাদি করতে পারেন। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে উচ্চ মাত্রায় এই ধরনের ব্যায়াম করলে আপনার ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার চান্স অনেকটাই বেশি থাকে। তাই আপনারা চাইলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ব্যায়াম এভাবেই করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য - ডিপ্রেশনের ৮টি মারাত্মক লক্ষণ
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে ডিপ্রেশনের ৮টি মারাত্মক লক্ষণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। ডিপ্রেশন খুবই ভয়াবহ একটি সমস্যা। এ সমস্যা এড়ানোর জন্য আজকে কিছু সমাধান নিয়েও আর্টিকেলে হাজির হয়েছি। মুক্ত এই আর্টিকেলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় ইসলাম সহ আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যা আপনার ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল করে অনেক উপকৃত হয়েছেন। যেহেতু উপকৃত হয়েছেন সেহেতু আপনার মতামত কমেন্ট করে জানিয়ে যাবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url