গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে করণীয়
গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে করণীয় সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, গলায় কাঁটা নামানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন গলায় মাছের কাটা বিঁধলে সমস্যার সমাধানে সহজ ও কার্যকর উপায় সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।বাঙালির খাবার তালিকায় বিভিন্ন রকমের মাছ তো থাকে। প্রিয় খাবার মাছের স্বাদ নিতে গিয়ে অনেক সময় তা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। তাই আজকের পোস্টে গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয় সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
বাংলা একটা বাঙ্গালীদের একটি প্রবাদ রয়েছে মাছের ভাতে বাঙালি। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আমাদের মাছ না হলে চলে না। মাছ খাওয়ার সময় অনেক সময় অসাবধানতায় গলায় কাঁটা বিধে যায়, যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। গলা আমাদের শরীরের অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি অংশ। এখানকার ছোটখাটো কোনো সমস্যা অনেক সময় বড় জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এই সমস্যার সহজ সমাধানের জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আজকের পোস্টে আমরা যা কিছু জানবো তা হল- গলায় কাঁটা বিধলে কি হয়, গলায় কাঁটা নামানোর ঘরোয়া উপায়, গলায় কাঁটা কতদিন থাকে, গলায় কাঁটা নামানোর দোয়া, গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয়, গলায় কাঁটা নামানোর ঔষধ এ সকল বিষয়ের তথ্য সম্পর্কে।
গলায় কাঁটা বিধলে কি হয়
গলায় মাছের কাঁটা বিধলে তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কিছু অস্বস্তিকর ও বিরক্তিকর লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যার মাধ্যমে গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হবে। মাছের কাঁটা আটকে যাওয়ার লক্ষণগুলো হলো।
- তীব্র ব্যথাঃ গলার ভেতরে কাঁটা আটকে গেলে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এতে গলায় জ্বালাপোড়া বা চুলকানোর অনুভূতিও হতে পারে।
- খাবার গিলতে অসুবিধাঃ কাঁটার কারণে গলা সংকুচিত হয়, ফলে খাবার বা পানি গিলতে কষ্ট হয়।
- রক্তপাতঃ কখনো কাঁটা গলার নরম টিস্যুতে আঘাত করলে রক্তপাতের সম্ভাবনা থাকে।
- শ্বাসকষ্টঃ বড় বা গভীরভাবে আটকে থাকা কাঁটা শ্বাসনালির ওপর চাপ সৃষ্টি করলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
গলায় কাঁটা দীর্ঘসময় আটকে থাকলে তা ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে। ইনফেকশন বাড়লে গলার টিস্যুতে ফোলা, পুঁজ জমা, বা ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। মারাত্মক ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
গলায় কাঁটা নামানোর ঘরোয়া উপায়
গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা যেতে পারে। নিচে এমন কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় উল্লেখ করা হলো।
- গরম পানি বা লবণ পানিঃ হালকা গরম পানি পান করা বা লবণ মেশানো গরম পানিতে কুলকুচি করলে কাঁটা নরম হয়ে নিচে নেমে যেতে পারে। এটি গলার পেশিকে শিথিল করে কাঁটাকে সরাতে সাহায্য করে।
- কলা খাওয়াঃ এক টুকরো পাকা কলা চিবানোর পর সম্পূর্ণ গিলে ফেলুন। কলার নরম ও পিচ্ছিল গঠন কাঁটাকে ঠেলে খাদ্যনালী দিয়ে নিচে নামাতে পারে।
- ভাতের দলাঃ এক গুচ্ছ ভাত চিবানো ছাড়াই গিলে ফেলুন। এটি গলায় আটকে থাকা কাঁটাকে টেনে খাদ্যনালীতে নামিয়ে দেয়।
- তেলঃ সরিষার তেল বা অলিভ অয়েল খানিকটা গলায় লাগিয়ে বা পান করে দেখুন। তেলের পিচ্ছিল গুণ কাঁটাকে সহজে সরাতে সাহায্য করে।
- ভিনেগারঃ সামান্য ভিনেগার পান করুন। ভিনেগারের অ্যাসিডিক গুণ কাঁটাকে নরম করতে পারে, যা নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
- লেবু পানিঃ হালকা গরম পানিতে এক টুকরো লেবু চিপে পান করুন। লেবুর অ্যাসিডিক ক্ষমতা কাঁটাকে নরম করে দ্রুত সরিয়ে দিতে সাহায্য করে।
- লবণ পানিঃ উষ্ণ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে পান করুন। এটি কাঁটা নরম করে এবং গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয় হিসেবে গলায় আটকে থাকা কাঁটাকে নামিয়ে আনতে কার্যকর।
- প্রচুর পানি পান করাঃ যদি কোনো উপাদান হাতের কাছে না থাকে, তাহলে প্রচুর পানি পান করার চেষ্টা করুন। হালকা গরম পানি আরও ভালো কাজ করতে পারে।
- কাশি দেওয়াঃ জোরে কাশলে গলার পেছনে আটকে থাকা কাঁটা কাশির চাপের ফলে নড়তে পারে। এটি কাঁটাকে বের করে আনার জন্য কার্যকর হতে পারে।
- চিকিৎসকের পরামর্শঃ উপরের পদ্ধতিগুলোতে সমাধান না পেলে দ্রুত নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের কাছে যান। আধুনিক চিকিৎসা উপকরণ দিয়ে কাঁটা সরানো সম্ভব।
এই পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করার আগে এবং পরে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং নিজেকে অতিরিক্ত চাপ দেয়া যাবে না। তবে এই পদ্ধতিগুলো কাজ না করলে এবং পরিস্থিতি গুরুতর হলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
গলায় কাঁটা কতদিন থাকে
গলায় কাঁটা আটকে যাওয়া একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা, যা দ্রুত সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জটিলতায় রূপ নিতে পারে। গলায় কাঁটা কতদিন থাকবে তা নির্ভর করে কাঁটার আকার, অবস্থান এবং গলার অভ্যন্তরের অবস্থার ওপর।
ছোট বা সরু কাঁটাঃ ছোট বা সরু কাঁটা গলায় আটকে গেলে সাধারণত এটি সহজ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে নেমে যায়। গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করা, কলার টুকরো গিলে ফেলা বা ভাতের দল গিলে নেওয়া কার্যকর হতে পারে। এসব উপায় প্রয়োগ করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঁটা ১-২ দিনের মধ্যে নেমে যায়।
বড় বা গভীর কাঁটাঃ যদি কাঁটা বড় হয় বা গলার টিস্যুতে গভীরভাবে আটকে যায়, তবে এটি বেশি সময় ধরে থাকতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে কাঁটা নিজে থেকে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কাঁটা দীর্ঘস্থায়ী হলে গলায় ব্যথা, প্রদাহ বা ফোলা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা না নিলেঃ যদি গলায় আটকে থাকা কাঁটাকে অবহেলা করা হয় বা চিকিৎসা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে এটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে কাঁটা থাকলে ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। গলার নরম টিস্যুতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে ফোড়া বা ঘায়ের সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে গলা থেকে পুঁজ বের হওয়া বা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গলায় কাঁটা আটকে গেলে প্রথমে ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। তবে, যদি কাঁটা নেমে না যায় বা তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসক এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে সহজেই কাঁটা বের করতে পারেন এবং গলার ভেতরের ক্ষত পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারেন। সঠিক পদক্ষেপ নিলে গলায় কাঁটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না এবং জটিলতাও এড়ানো যায়। অতএব, গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয় বিষয়কে অবহেলা না করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করাই উত্তম।
গলায় কাঁটা নামানোর দোয়া
গলায় কাঁটা আটকে গেলে শারীরিক অস্বস্তির পাশাপাশি মানসিক উদ্বেগও দেখা দেয়। এ অবস্থায় ইসলামি শিক্ষা অনুযায়ী আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে দোয়া করা এবং প্রাকৃতিক বা চিকিৎসাগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত কার্যকর। দোয়া পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করলে হৃদয়ের প্রশান্তি আসে এবং সমস্যা সমাধানের পথ সুগম হয়। গলায় কাঁটা নামানোর জন্য নিচের দোয়াগুলো আমল করা যেতে পারে।
উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মা লায়িন লা-হুম্মা কুলুবান লা ইলাহা ইল্লা হুয়া।” এই দোয়া পড়ার সময় আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন এবং দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন যে, ইনশাআল্লাহ কাঁটা নেমে যাবে।
পবিত্র কোরআনের আয়াতঃ গলায় কাঁটা বিধলে পবিত্র কোরআনের সূরা ওয়াকিয়ার একটি আয়াত পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
উচ্চারণঃ “ফালাওলা ইযা-বালাগাতিল হুলকুম।”
অর্থঃ “অতঃপর যখন প্রাণ কণ্ঠাগত হয়।” (সূরা আল-ওয়াকিয়াহ, আয়াতঃ ৮৩)। এই আয়াতটি বারবার পড়তে থাকুন এবং আল্লাহর রহমতের জন্য দোয়া করুন। দোয়া পড়ার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন এবং ঢোক গিলতে থাকুন। হাতের আঙুল দিয়ে গলার বাইরের অংশে আলতোভাবে মালিশ করুন। যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
গলায় কাঁটা আটকে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, তবে ইসলামি আমলের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি লাভ এবং শারীরিক অস্বস্তি দূর করা সম্ভব। তাই সমস্যা দেখা দিলে দোয়া পড়া এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সমাধান খুঁজুন। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন, তিনি আপনার সমস্যার সমাধান করবেন।ইনশাআল্লাহ।
গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয়
গলায় মাছের কাঁটা বিধলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব। নিচে করণীয় বিষয়গুলো বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
- শান্ত থাকুনঃ গলায় কাঁটা আটকে গেলে প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরে কাজ করুন। দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের ফলে গলার পেশি শক্ত হতে পারে, যা সমস্যাকে আরও জটিল করতে পারে।
- পানি পান করুনঃ সাধারণ পানি বা হালকা গরম পানি ধীরে ধীরে পান করার চেষ্টা করুন। এটি কাঁটাকে নরম করে গলিয়ে দিতে বা খাদ্যনালীতে ঠেলে দিতে পারে।
- ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করুনঃ এক টুকরো পাকা কলা চিবিয়ে গিলে ফেলুন। একগুচ্ছ ভাতের দলা চিবানো ছাড়াই গিলে ফেলুন। এটি কাঁটাকে খাদ্যনালীতে ঠেলে দিতে কার্যকর। তেল বা ভিনেগার পান করে পিচ্ছিল বা কাঁটাকে নরম করে সরিয়ে দিতে সাহায্য করুন।
- নিজে তুলতে যাবেন নাঃ কাঁটাকে নিজে আঙুল বা তীক্ষ্ণ কোনো যন্ত্র দিয়ে বের করার চেষ্টা করবেন না। এতে কাঁটা আরও গভীরে ঢুকে যেতে পারে বা গলার নরম টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- কাশি দিনঃ জোরে কাশলে কখনো কখনো কাঁটা শ্বাসনালির চাপের ফলে বের হয়ে আসতে পারে। তবে এটি করার সময় সতর্ক থাকুন।
- চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোনঃ যদি গলায় কাঁটা নামানোর ঘরোয়া উপায় বা পদ্ধতিগুলো কাজ না করে, গলায় ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বা রক্তপাত শুরু হয়, তাহলে অবিলম্বে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আধুনিক চিকিৎসা উপকরণ ব্যবহার করে কাঁটা সরানো সম্ভব। গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয় সম্পর্কে জানা থাকলে এটি একটি সামান্য সমস্যা হিসেবেই থেকে যেতে পারে। গলায় কাঁটা বিঁধলে দুশ্চিন্তা না করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এটি একটি সাধারণ সমস্যা হিসেবেই থেকে যাবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াই মূল চাবিকাঠি।
গলায় কাঁটা নামানোর ঔষধ
গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে প্রাথমিক ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমাধান না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এ ধরনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহৃত হয় যা গলার ব্যথা, ফোলা, বা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। নিচে প্রাসঙ্গিক কিছু ওষুধের নাম ও তাদের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
এনালজেসিকঃ এনালজেসিক জাতীয় ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন গলার ব্যথা উপশমে কার্যকর। কাঁটার কারণে গলার টিস্যুতে যে ব্যথা বা অস্বস্তি তৈরি হয়, তা দ্রুত কমাতে এগুলো সাহায্য করে।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরিঃ যদি কাঁটা আটকে থাকার ফলে গলা ফোলা বা প্রদাহ দেখা দেয়, তাহলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ যেমন ডাইক্লোফেনাক বা অন্য কোনো নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ (NSAID) ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিকঃ যদি গলায় সংক্রমণের ঝুঁকি দেখা দেয়, চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন। এ ধরনের ওষুধ ইনফেকশন প্রতিরোধ করে এবং গলার ক্ষত দ্রুত ভালো হতে সাহায্য করে।
লোজেঞ্জ বা স্প্রেঃ গলার অস্বস্তি বা খসখসে অনুভূতি কমাতে মেন্থল বা অ্যান্টিসেপটিক উপাদানযুক্ত লোজেঞ্জ ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া গলার ভেতরের অংশকে শীতল করতে বা ব্যথা কমাতে অ্যান্টিসেপটিক স্প্রে ব্যবহার কার্যকর হতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ Silicea 6X বা Throat Aid মাছের কাঁটা গলায় আটকে গেলে দ্রুত কার্যকর। এটি কাঁটাকে নরম করে, সহজে মুক্ত হতে সাহায্য করে। প্রতিবার ৪টি পিল ট্যাবলেট বা নির্ধারিত ডোজ নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাড়িতে প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে এটি সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি।
সবশেষে, গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হিসেবে এই বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এসব ওষুধের ব্যবহার অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে। গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয় বিষয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ সমস্যা দ্রুত সমাধানে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে গলায় কাঁটা নামানোর ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে চেষ্টা করতে পারেন। তবে এই পদ্ধতিগুলো কার্যকর না হলে বা অবস্থা গুরুতর মনে হলে, গলায় আটকে থাকা কাঁটা যদি ওষুধ ব্যবহার সত্ত্বেও না নামে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সরাসরি কাঁটা অপসারণ করাতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে গলায় মাছের কাঁটা বিধলে করণীয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে গলায় মাছের কাটা বিঁধলে তার থেকে পরিত্রাণের উপায় এবং ওষুধ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url