রূপচর্চায় অলিভ অয়েল - শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল

রূপচর্চায় অলিভ অয়েল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না। আর সেজন্যই হয়তো এই আর্টিকেলে জানার জন্য এসেছেন। প্রিয় বন্ধুরা চিন্তার কোন কারণ নেই আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি এ বিষয়টি সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে এ বিষয়টি সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
রূপচর্চায়-অলিভ-অয়েল-শীতে-ত্বকের-যত্নে-অলিভ-অয়েল
এছাড়াও শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল কিভাবে ব্যবহার করা যায় এবং এর উপকারিতা কি কি রয়েছে তা সঠিকভাবে এই আর্টিকেলে জানিয়ে দিয়েছি। আশা করি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেল পড়লে ত্বকের যত্নে কিভাবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হয় তা জেনে যাবেন।

ভূমিকা

ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য মূলত অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেন। কেউ কেউ বাজারের বিভিন্ন পণ্য কিনে নিয়ে এসে ত্বকে ব্যবহার করেন কেউ আবার প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেন। তবে আপনি কি জানেন যে বাজারের সম্পূর্ণ ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়? অনেকেই জানেন না। ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভালো হলো অলিভ অয়েল। আজকে আমি রূপচর্চায় অলিভ অয়েল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং এর উপকারিতা কি কি রয়েছে তা সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনারা চাইলে এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। আশা করি অনেক উপকৃত হবেন।

শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল

আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল শীতের তাদের জন্য অলিভ অয়েল কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং এর উপকারিতা কি কি রয়েছে। তাই আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

অলিভ অয়েল হল ত্বকের জন্য অত্যন্ত দারুন উপকারি একটি উপকরণ। শীত আসলেই অলিভ অয়েলের চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যায়। তার কারণ হলো এর মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ভেতরের স্তরের প্রয়োজনীয় খনিজের যোগান দিতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে অনেক উজ্জ্বল এমনকি সুন্দর ও কমল রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে অলিভ অয়েল। 

আপনারা চাইলে প্রথমে গোসলের পানিতেও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন যাতে করে আপনার ত্বক নরম হওয়ার পাশাপাশি সারা দিনের ঘাম হওয়া কমাতেও সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়পাঁচ চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল মিশ্রন করে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখলে ঠোঁটের নরম ভাব ধরে রাখতে অনেক বেশি কাজ করে। 

অনেকেরই সেটার সময় ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা যায় তবে এই সমস্যা এড়াতে এক চামচ অলিভ অয়েল এবং কয়েক ফোটা লেবুর রস ও আধা চামচ চিনি মিশ্রণ করে ঠোঁটে লাগিয়ে চিনিনা গলা পর্যন্ত মেসেজ করলে ঠোঁট ফাটা রোধ হবে। মূলত এই প্যাকটি দিনে একবার ব্যবহার করলেই হবে। অনেক মানুষেরই দাড়ি কামানোর পর এবং ভ্রু তোলার পর ত্বক অনেক জ্বালা করে কিংবা মুখে রেষ্ট বের হয়।

কিন্তু এই সমস্যাগুলো দূর করতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং মুখের রেস বের হওয়া থেকে খুব সহজেই আটকাবে। শুধু যে ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল ভালো তা নয় পাশাপাশি শীতে চুলেরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কিছু কিছু সময় চুল রুক্ষ হয়ে যায়। 

তাই আপনারা বাজার চলিত কন্ডিশনার ব্যবহার করা বাদ দিয়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার চুলের যত্নের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মূলত এটি ব্যবহারের নিয়ম হলোআধা কাপ অলিভ অয়েল হালকাগরম করে নিয়ে তার সাথে চায়ের লিকার মিশ্রণ করে তুলে লাগিয়ে নিলেই কন্ডিশনার এর মত উপকার পাবেন। মূলত এটি আপনার চুলকে করে তুলবে অনেক মসৃণ। প্রিয় বন্ধুরা তাহলে বুঝতেই পেরেছেন ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল কতটা উপকারী।

ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম

অনেকেই জানতে চান ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমি এ বিষয়টি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। শীতের সময় অনেকেই ত্বক নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে পড়েন। তারা মনে করেন কি ব্যবহার করলে ত্বক অনেকটা নরম ও মসৃণ থাকবে। 

এই নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে পড়েন। অনেকে আবার রয়েছে শীতের ত্বকের যত্নে নানা ধরনের বাজার থেকে ক্রিম কিনে নিয়ে এসে মুখে ব্যবহার করেন আসলে ত্বকের জন্য সব ক্রিম ভালো নয়। বাজার থেকে কিনে নেওয়া ভুল ক্রিমের জন্য আপনার ত্বকে আরো বেশি ক্ষতি হতে পারে। 

তাই অবশ্যই জেনে বুঝে ভাল উন্নত মানের ক্রিম কেনাটাই উচিত। তবে এইগুলো বাদ দিয়ে আপনি চাইলে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে চলুন কিভাবে অলিভ অয়েল ত্বকে ব্যবহার করা যায় এর নিয়ম জেনে নিন।

  • যখন আপনি রাতে ঘুমাতে যাবেন তার কিছুক্ষণ আগে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার পর সামান্য অলিভ অয়েল মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিবেন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে কোমল ও মসৃণ।
  • এছাড়াও আপনি চাইলে গোসল করার পর ভিজে ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার ত্বক সহজেই তেল চুষে নিবে এবং অনেকটাই পুষ্টি পাবে।
  • ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে আপনি চাইলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এটি বেশ দারুণ কার্যকারী। উন্নত মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করার ১৫ মিনিট আগে অলিভ অয়েল সামান্য হালকা গরম করে নিয়ে মাথার ত্বকে ও চুলে হালকা ভাবে মেসেজ করে নিলেই পাওয়া যাবে অনেকটাই। মূলত চুল হয়ে উঠবে অনেক ঝলমলে এবং পাশাপাশি দূর হবে।

তৈলাক্ত ত্বকে অলিভ অয়েলের ব্যবহার

তৈলাক্ত ত্বক মানেই হাজারটা সমস্যা। সারাদিন নাকের দুই পাশে কপালে গালে তেলতেলে ভাব থেকেই যায়। তার ওপর আবার ব্রণ বের হওয়া ফুসকুড়ির সমস্যা তো আছেই। টক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে আলাদা করে তেল মাখার কোন দরকারই হয় না। এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকে খুব তাড়াতাড়ি। 

তাই চিকিৎসকরা বলেন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকারী হল অলিভ অয়েল তেল। তার কারণ হলো অলিভ অয়েল তেলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের ভেতরের প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানের যোগান দিতে অনেক বেশি সাহায্য করে। 

শুধু তাই নয় ত্বকের জেলা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে এবং তাদের আদ্রতা ধরে রাখতে ও ত্বক টান টান রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে অলিভ অয়েল। তবে তৈলাক্ত তাকে অলিভ অয়েলের ব্যবহার সঠিকভাবে না করতে পারলে কখনোই সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না। 

তাই আপনাদের উদ্দেশ্যেই আজকে আমি অলিভ অয়েল তেলের ফেসপ্যাক কিভাবে বানাবেন এবং ব্যবহার করবেন তা জানিয়ে দেবো। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

অলিভ অয়েল তেল ও মধুঃ প্রথমত আপনাকে একটি পাত্রে এক চামচ অলিভ অয়েল তেল এবং এক চামচ মধু মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর সেই প্যাক টুকু ১০ সেকেন্ডের জন্য হালকা গরম করে নিতে হবে। এরপর মধু ভালোভাবে মিশে গেলে সেই মিশ্রণটি ব্রাশ দিয়ে কিংবা হাত দিয়ে সম্পূর্ণ মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। সর্বনিম্ন ১০ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। এরপর নরম তোলে দিয়ে আলতো করে আপনার মুখ ভালোভাবে মুছে নিবেন।

আমন্ড-অলিভ তেলের ফেস প্যাকঃ আমন্ডে থাকে ভিটামিন ই, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। অলিভ অয়েল তেল এবং আমন্ডের ফেসপ্যাক তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী। এই ফেসপ্যাক টি তৈরি করার নিয়ম হলো প্রথমে দুই চামচ অলিভ অয়েল তেল এবং এক চামচ আমাদের পাউডার একসঙ্গে মিশে নিতে হবে। 

এরপর সে মিশ্রণ করা ব্যাক টুকুর সাথে এক চামচ ব্রাউন সুগার মেশাতে হবে। সমস্ত উপকরণ ভালোভাবে মিশ্রণ করা হয়ে গেলে এরপর আপনার মুখে লাগাতে হবে। এটি মূলত প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসাবে কাজ করবে। পাঁচ থেকে দশ মিনিট এই প্যাকটুকু মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিবেন। এইভাবে সপ্তাহে দুইবার ফেস প্যাকটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের দাগ বা চোখ খুব সহজেই উঠে যাবে।

অলিভ তেল-লেবুর রসঃ অলিভ অয়েল তেল এবং লেবুর রস ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে অলিভ অয়েল তেল এবং হাফ চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর সারা মুখে ভালোভাবে পাঁচ থেকে সাত মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। 

এভাবে সপ্তাহে দুইবার ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারলে আপনার ফুসকুড়ির সমস্যা দূর হয়ে যাবে পাশাপাশি তকে ব্রণের সমস্যাও দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও ত্বকেরকালচে দাগ ও উঠে যাবে এবং রোদে পোড়া ত্বকের জেল্লা ফিরে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।

রূপচর্চায় অলিভ অয়েল

অলিভ অয়েল, যা প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, রূপচর্চার জন্য একটি অসাধারণ উপকরণ। এটি ত্বক এবং চুলের যত্নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ গুণাগুণ আপনার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। 

শুষ্ক ত্বকে এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন তাহলে অনেক গুণ উপকার পাবেন। প্রতিদিন ত্বকে কিছু ফোঁটা অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়। এটি ত্বকের ডার্ক সেল দূর করতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা প্রতিরোধ সহায়তা করে। 

যাঁরা ব্রণ সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা অলিভ অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পেতে পারেন। শুধু ত্বকের যত্ন নাই এটি চুলের যত্নেও অনেক বেশি উপকার। অলিভ অয়েল চুলের পুষ্টি জোগায় এবং চুল পড়া রোধ করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং খুশকি দূর করে। সপ্তাহে ২-৩ বার অলিভ অয়েল দিয়ে চুল ম্যাসাজ করলে চুল ঝলমলে ও স্বাস্থ্যকর হয়। 

এছাড়াও অলিভ অয়েল ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে, নখের যত্নে এবং হাত-পায়ের ত্বক নরম রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এটি ১০০% প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত, তাই রূপচর্চার জন্য এটি সবার প্রথম পছন্দ হতে পারে। 

প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উপায়ে সৌন্দর্য ধরে রাখতে অলিভ অয়েলকে আপনার রূপচর্চার রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করুন। এর উপকারিতা উপভোগ করুন এবং আরও ত্বকের উজ্জ্বলতা দিয়ে আসুন। আশা করি রূপচর্চায় অলিভ অয়েল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম

পূর্বে আমরা জেনেছি রূপচর্চায় অলিভ অয়েল এর ব্যাবহার সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নিবো রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। তাই আপনারা যারা রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে চান কিন্তু সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তারা নিচে থেকে জেনে নিতে পারেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

ত্বক ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন উপায়ে আপনি রূপচর্চা করতে পারবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো রাতে মুখে কোন তেল মেখে ঘুমানো। এটি হতে পারে আমন্ড তেল নারকেল তেল কিনবা অলিভ অয়েল। মূলত এই তিনটি তেলের মধ্যে আপনি যেকোনো একটি তেল ব্যবহার করলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। 

তবে এই তেল গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকারী পাবেন অলিভ অয়েল তেলে। ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী এই তেলটি। রাতের রূপচর্চার অন্যতম অঙ্গ হিসেবে এই তেল ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। অনেক সময় দেখা যায় বাজার থেকে ভুল পণ্য ব্যবহার করার মুখে বলিরেখা পড়তে শুরু করে এবং বার্ধক্য চলে আসে। 

বাজারে এরকম হাজার হাজার পণ্য রয়েছে যা ত্বকের জন্য মোটেও কার্যকারী নন। এমন অবস্থায় প্রতিদিন আপনি চাইলে ভালো অলিভ অয়েল লাগিয়ে টক ভালো রাখতে পারেন। এ সময় ত্বকের বার্ধক্য দূর করতে অনেক বেশি কাজ করবে অলিভ অয়েল। এই তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার ত্বককে সতেজ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে বিশেষ করে যাদের মুখে বলিরেখা শুরু হয় তারা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন। অনেক বেশি উপকার পাবেন।

চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম

চুলের যত্নে অলিভ অয়েল একটি প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী উপাদান। এটি মূলত প্রাচীনকাল থেকেই পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতার জন্য পরিচিত হয়ে আসছে। চুল মসৃণ, উজ্জ্বল এবং শক্তিশালী করার পাশাপাশি এটি চুল পড়া এবং খুশকি প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। তবে, সঠিক নিয়মে এটি ব্যবহার করলে আপনি চুলের জন্য সর্বোত্তম ফলাফল পেতে পারেন।

গরম করে ব্যবহার করুনঃ অলিভ অয়েল হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার চুলের ফোলিকল উন্মুক্ত করতে সাহায্য করবে পাশাপাশি পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে।

ম্যাসাজ করুনঃ তেল চুলের গোড়ায় লাগানোর পর আলতো হাতে ৫-১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে করে আপনার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করবে। মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুনঃ অলিভ অয়েলের সঙ্গে ডিমের কুসুম, মধু, অথবা নারকেল তেল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। এটি চুলের গভীর পুষ্টি জোগায় এবং ড্রাই ও ড্যামেজড চুল মেরামত করতে সাহায্য করে।

অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারের ফলে আপনার চুলের শুষ্কতা দূর করে মসৃণতা আনে আসতে সাহায্য করবে এবং চুল পড়া কমিয়ে চুল ঘন করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় চুল থেকে খুশকি প্রতিরোধ করবে এবং চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

লেখকের মন্তব্যঃ রূপচর্চায় অলিভ অয়েল

রূপচর্চার জন্য অনেকেই অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন রূপচর্চায় অলিভ অয়েল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং এর উপকারিতা কি কি রয়েছে। তাই আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন তারা অবশ্যই মন্তব্য করে আপনার মতামত জানিয়ে দিন এবং আপনার বন্ধু বান্ধবের কাছে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url