হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা
হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, হিল রেইজ ব্যায়াম এর বর্ণনা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।ব্যায়াম হল শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য বজায় রাখা, এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা উন্নত করার জন্য বিশেষ ধরনের শারীরিক কার্যক্রম বা কসরত। এর দ্বারা আমরা বিভিন্ন ধরনের উপকারও পেয়ে থাকি যা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই আজকের পোস্টে হিল রেইজ ব্যায়াম সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
ব্যায়াম সাধারণত নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা হিসেবে করা হয় এবং এর মাধ্যমে শক্তি বৃদ্ধি, স্থিতিস্থাপকতা, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, এবং মানসিক চাপ কমানো যায়। ব্যায়ামের বিভিন্ন ধরন যেমন, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, যোগব্যায়াম, জিম, ওয়েট ট্রেনিং ইত্যাদি রয়েছে। আমাদের আজকের পোস্টে আমরা যা কিছু জানবো তা হল- ব্যায়াম করার সঠিক সময়, হিল রেইজ ব্যায়াম এর বর্ণনা, হিল রেইজ ব্যায়াম এর নিয়ম, সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত, হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা, হিল রেইজ ব্যায়াম এর অপকারি এ সকল বিষয়ের তথ্য সম্পর্কে।
ব্যায়াম করার সঠিক সময়
ব্যায়াম করার সঠিক সময় নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য, জীবনযাত্রা, এবং শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী। তবে, কিছু সাধারণ দিক রয়েছে অর্থাৎ ব্যায়াম করার জন্য সঠিক কিছু সময় রয়েছে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
সকালবেলাঃ সকালে ব্যায়াম করলে আপনার মেটাবলিজম বাড়ে, এবং সারা দিনের জন্য শক্তি পাওয়া যায়। এটা মানসিকভাবে প্রফুল্ল এবং তাজা রাখে। সকালে ব্যায়াম করলে দিনের মধ্যে খাবার এবং ঘুমের ধরনও ভালো থাকে।
দুপুর বা বিকেলঃ দুপুর বা বিকেলে শরীরের তাপমাত্রা এবং পেশী গরম থাকে, যার ফলে ব্যায়াম করা সহজ এবং ফলপ্রসূ হতে পারে। এই সময় শরীরের শক্তি ও শক্তির স্তর তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
রাতেঃ রাতে ব্যায়াম করার ফলে অনেকের জন্য ঘুম ভালো হতে পারে, তবে কিছু মানুষ রাতে খুব অ্যাকটিভ থাকলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। রাতে ব্যায়াম করলে কিছুটা চাপ কমে এবং মন শান্ত হতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যে সময় আপনি নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করতে পারেন, সেটি নির্বাচন করা। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করতে পারলে সেটা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
হিল রেইজ ব্যায়াম এর বর্ণনা
হিল রেইজ (Heel Raise) একটি জনপ্রিয় ব্যায়াম, যা পায়ের পাতা এবং কার্ভের শক্তি বাড়ানোর জন্য কার্যকর। এটি প্রধানত উঠিয়ে রাখা, এগুলো পেশী এবং অ্যাকাইলিস টেন্ডনের নিচে ঝুলে থাকা পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে। হিল রেইজ মূলত পায়ের পাতা এবং পায়ের আঙ্গুলের পেশীকে লক্ষ্য করে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
হিল রেইজ ব্যায়ামটি খুব সহজ ভাবেই করা যায় অর্থাৎ এটি করার জন্য প্রয়োজনে চেয়ার বা দেয়ালের সাহায্য নেয়া যায়। ব্যায়ামটি করার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা হচ্ছে আপনার সম্পূর্ণ শরীরের ওজন বা ভার আপনার পায়ের আঙুলের উপর দিয়ে কিছুক্ষণ থাকতে হবে। এই ব্যায়ামটির বিস্তারিত বর্ণনা আপনাদের সুবিধার্থে এই পোষ্টের ভেতরের অংশে দেয়া থাকবে।
হিল রেইজ ব্যায়াম হোক বা অন্য যে কোন ব্যায়াম মূলত এ সকল কিছুই আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। বিশেষ করে হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের সকলের জন্যই অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এই ব্যায়াম দ্বারা পায়ের পেশী শক্তিশালী করা থেকে শুরু করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি ভারসাম্য উন্নয়ন এবং আঘাত প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মত উপকার পর্যন্ত আমরা পেয়ে থাকি।
হিল রেইজ ব্যায়াম করার নিয়ম
যখন আপনার পায়ের গোড়ালি উপরে তোলেন, তখন শ্বাস ছাড়ুন, এবং নিচে নামানোর সময় শ্বাস নিন। এমনভাবে করুন যেন শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে। পায়ের গোড়ালি উপরে তোলার সময় শরীর যেন ভারসাম্য হারিয়ে না ফেলে, এ দিকে খেয়াল রাখুন। এটি ধীরে ধীরে করুন এবং চুপচাপ, টান টান করে করার চেষ্টা করুন। অযথা তাড়াহুড়ো করবেন না। হিল রেইজ ব্যায়াম করার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি সঠিকভাবে ব্যায়ামটি করতে পারেন এবং আঘাত এড়াতে পারেন। এখানে হিল রেইজ ব্যায়াম করার নিয়ম দেওয়া হল।
- পা দুটি একে অপরের পাশে সোজা করে দাঁড়ান। আপনার পা সমানভাবে মাটি স্পর্শ করবে এবং শরীর সোজা থাকবে। হাত গুলো কোমরে রাখুন বা সোজা করে সামনে রাখুন।
- ধীরে ধীরে পায়ের গোড়ালি (heel) উপরে উঠান যতটা সম্ভব। কেবল পায়ের পাতা (toes) মাটির সঙ্গে থাকবে, এবং আপনার শরীরের পুরো ওজন পায়ের আঙুলের ওপর থাকবে।
- পা উপরে উঠানোর পর কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থির থাকুন। এটি আপনার calves (পশ্চাৎ পেশী) এবং পায়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
- এখন ধীরে ধীরে আপনার গোড়ালি মাটির দিকে নামাতে শুরু করুন, এবং পায়ের পাতা প্রাকৃতিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
- আপনি এক পা ব্যবহার করে ব্যায়ামটি করতে পারেন (এক পা তুলে রাখুন এবং অন্য পা দিয়ে ব্যায়াম করুন), যা আরো কঠিন হতে পারে।
- ওজন যোগ করে (যেমন, হাতের হালকা ডাম্বেল) ব্যায়ামটিকে আরো চ্যালেঞ্জিং করা যেতে পারে।
- এই প্রক্রিয়াটি ১০-১৫ বার করুন, এবং এক সেটে ৩টি পুনরাবৃত্তি করুন।
এটি একটি সহজ, কিন্তু কার্যকরী ব্যায়াম যা পায়ের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার প্রতিকারেও সহায়ক হতে পারে।
সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত
হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা জানার পূর্বে আসুন জেনে নেই সকালে ব্যায়াম করার পূর্বে আমাদের কি কি খাওয়া উচিৎ তার সম্পর্কে। সকালে ব্যায়াম করার আগে সঠিক খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শরীরকে পর্যাপ্ত শক্তি দেয় এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়। তবে খাবারের পরিমাণ এবং ধরন আপনার ব্যায়ামের ধরণ এবং সময়ের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য খাবার খাওয়া ভালো। সকালে ব্যায়াম করার আগে কি খাওয়া উচিত তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- ফলের মধ্যে কলা দ্রুত শক্তি যোগায় এবং প্রাকৃতিক শর্করা ও পটাসিয়ামের ভালো উৎস।
- দীর্ঘস্থায়ী শক্তি যোগাতে ওটস বা দুধসহ সেরিয়াল অনেক বেশী কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই এটা ব্যায়াম করার আগে খেতে পারেন।
- গ্লাসভর্তি দুধ বা দই হচ্ছে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের মিশ্রণ তাই এটাও ব্যায়ামের পূর্বে খাওয়া যেতে পারে।
- শুকনো ফল এবং বাদাম অল্প পরিমাণে খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়।
- কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের ভালো উৎস পাওয়া যাবে টোস্ট বা ব্রেডের সাথে পিনাট বাটার খেলে।
- সুস্থ থাকার জন্য আমাদের শরীরকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। তাই ব্যায়ামের ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন।
খাওয়ার সময়ঃ ব্যায়ামের ৩০-৪০ মিনিট আগে হালকা খাবার খাওয়া উচিৎ। যদি খুব সকালেই ব্যায়াম করেন এবং অনেক সময় না থাকে, তাহলে শুধু একটি কলা বা কিছু শুকনো ফল খাওয়াই যথেষ্ট।
বিঃদ্রঃ ভারী বা তেল-চর্বি যুক্ত খাবার এবং ক্যাফেইন বেশি থাকা পানীয় (যদি পেটে সমস্যা হয়) সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে এড়ানো উচিৎ।
অতএব, আপনার শারীরিক পরিস্থিতি এবং সময় অনুযায়ী উপযুক্ত সময়ে হিল রেইজ ব্যায়াম করা উচিত। আপনার শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া করে, তা দেখে খাবারের পরিকল্পনা করুন।
হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা
পূর্বের আলোচনায় আমরা হিল রেইজ ব্যায়াম এর বর্ণনা এর মধ্যে হিল রেইজ ব্যায়াম সম্পর্কে আংশিক অনেক তথ্যই জেনেছি, এবার জানব এর উপকাকিতা সমূহ। হিল রেইজ ব্যায়াম করার উপকারীতা অনেক রয়েছে। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা শরীরের বিভিন্ন অংশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধার কথা বলা হল। হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও এই ৫ টি উপকারীতা ছাড়াও আরো অনেক উপকারীতা আছে। প্রথমত আমরা যে মূল উপকারীতাগুলো সম্পর্কে জানবো তা নিম্নরূপ।
পায়ের পেশী শক্তিশালী করাঃ হিল রেইজ ব্যায়াম প্রধানত পায়ের পেছনের পেশী (calves) শক্তিশালী করে। এটি পায়ের গোড়ালি, পাতা এবং পায়ের আঙুলের পেশীগুলিকে উন্নত করে, যার ফলে দৈনন্দিন কাজকর্মে চলাফেরা এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ভারসাম্য এবং স্থিতিস্থাপকতা উন্নয়নঃ এই ব্যায়ামটি শরীরের ভারসাম্য এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সহায়ক। পায়ের পেশী শক্তিশালী হলে হাঁটার সময় ভারসাম্য বজায় রাখতে সহজ হয় এবং আঘাতের ঝুঁকি কমে।
পায়ের গোড়ালি এবং অ্যাঙ্কেল মোবিলিটি বৃদ্ধিঃ হিল রেইজ গোড়ালি এবং অ্যাঙ্কেল জোড়ার নমনীয়তা উন্নত করে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন বা দৌড়ান, তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
দেহের ফ্লেক্সিবিলিটি বৃদ্ধিঃ হিল রেইজ ব্যায়াম করার ফলে পায়ের পেশী এবং লিগামেন্টগুলি আরও নমনীয় হয়ে ওঠে, যা শরীরের মোট ফ্লেক্সিবিলিটি বৃদ্ধি করে। এর ফলে অন্যান্য ব্যায়াম বা শারীরিক কার্যক্রমে উপকারিতা বাড়ে।
শক্তি এবং সহনশীলতা বাড়ানোঃ নিয়মিত হিল রেইজ ব্যায়াম করলে পায়ের পেশীতে সহনশীলতা এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়, যা ভারী কাজ যেমন দৌড়ানো, লাফানো বা পাহাড়ে ওঠা সহজ করে তোলে।
অন্যান্য উপকারীতা
হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা প্রধান এবং এগুলি ছাড়াও অন্যান্য সুবিধা আছে। হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারীতা ছাড়াও বাকিগুলো হলো।
চলাফেরার উন্নতিঃ এটি হাঁটার সময় পায়ের পেশীগুলি শক্তিশালী করার ফলে চলাফেরার গতিও বাড়ায় এবং হাঁটার সময় আঘাতের ঝুঁকি কমায়।
কোমর ও হাঁটুতে কম চাপঃ শক্তিশালী পায়ের পেশী কোমর এবং হাঁটুতে অতিরিক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন বা হাঁটাহাঁটি করেন তাদের জন্য এটি উপকারী।
মেটাবলিজম ও ক্যালোরি পোড়ানোঃ হিল রেইজ ব্যায়াম একটি শারীরিক কসরত, যা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক হতে পারে।
সহজে করা যায়ঃ এটি একটি সহজ ব্যায়াম যা আপনি ঘরে, অফিসে বা বাইরে যে কোন জায়গায় করতে পারবেন। এতে কোনো বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না।
আঘাত কমানোর জন্য সহায়কঃ নিয়মিত হিল রেইজ করলে গোড়ালি এবং পায়ের পেশীগুলির শক্তি বৃদ্ধি পায়, যা বিভিন্ন ধরনের আঘাত যেমন অ্যাঙ্কেল বা গোড়ালির মচকানো (sprain) প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
হিল রেইজ ব্যায়াম এর অপকারিতা
সার্বিকভাবে, হিল রেইজ একটি ছোট, সহজ এবং কার্যকর ব্যায়াম, যা পায়ের পেশী এবং গোড়ালি শক্তিশালী করার পাশাপাশি পুরো শরীরের ভারসাম্য ও স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে সহায়ক। হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা অনস্বীকার্য আমাদের শরীরের জন্য। দৈনন্দিন ব্যায়াম এর অংশ হিসেবে এটি রাখা উচিত। হিল রেইজ ব্যায়াম সাধারণত নিরাপদ এবং কার্যকরী, তবে কিছু ক্ষেত্রে এর কিছু অসুবিধা বা ঝুঁকি থাকতে পারে। এখানে হিল রেইজ ব্যায়াম করার সম্ভাব্য কিছু অসুবিধা আলোচনা করা হল।
গোড়ালি বা পায়ের পেশীতে আঘাতঃ অতিরিক্ত ব্যায়াম বা ভুলভাবে করলে পায়ের গোড়ালি বা পেশী মচকানো বা যন্ত্রণা হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি সঠিক ভাবে ওয়ার্ম আপ না করেন বা অনেক বেশি সেট বা রিপিটিশন করেন। এক পা ব্যবহার করে ব্যায়াম করলে বা অতিরিক্ত ওজন যোগ করলে গোড়ালির উপর চাপ বেশি পড়তে পারে।
পায়ের গাঁটে বা হাঁটুরে চাপঃ যদি আপনার হাঁটুর সমস্যা বা গাঁটের ব্যথা থাকে, তাহলে হিল রেইজ করার সময় কিছুটা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে হাঁটুতে। নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত হিল রেইজ করা পায়ের গাঁট বা হাঁটুর সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অতিরিক্ত চাপ পায়ের আঙুলেঃ ভুলভাবে বা দ্রুত হিল রেইজ করলে পায়ের আঙুল এবং গোড়ালি খুব বেশি চাপের শিকার হতে পারে, যা আঘাত বা টেন্ডন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
হাঁটার গতি কম হতে পারেঃ কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষত যদি আপনি অতিরিক্ত হিল রেইজ ব্যায়াম করেন, আপনার হাঁটার গতি বা চলাফেরার ধরন প্রভাবিত হতে পারে। এটি পায়ের ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলাফেরা করা কঠিন হতে পারে।
অতিরিক্ত পেশী টানঃ অতিরিক্ত হিল রেইজ করলে পেশীতে টান (strain) বা ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে যদি সঠিকভাবে ব্যায়ামটি না করা হয়। শরীরের অনেক অংশে অতিরিক্ত চাপও হতে পারে, যার ফলে পেশী দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা বা ক্লান্তি অনুভব করতে পারে।
সঠিক ফর্মের অভাবঃ যদি আপনি হিল রেইজ ব্যায়ামটি ভুলভাবে করেন (যেমন, অতিরিক্ত উচ্চতায় গোড়ালি তোলা বা দ্রুত করতে থাকা), তাহলে এটি শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। শুরুর দিকে সঠিক ফর্ম জানা না থাকলে পেশী বা গোড়ালি জোরপূর্বক টান দিতে পারে, যা আহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
কিছু শারীরিক অবস্থায় সতর্কতাঃ যদি আপনার গোড়ালি সমস্যা, হাঁটু ব্যথা বা পায়ে ফোলাভাব থাকে, তাহলে হিল রেইজ ব্যায়াম এড়িয়ে চলা উচিত অথবা এটি খুব সাবধানে করা উচিত। ডায়াবেটিস বা রক্তচাপের সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদেরও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
হিল রেইজ করার সময় সঠিকভাবে ওয়ার্ম আপ করুন এবং ওভারট্রেনিং বা অতিরিক্ত চাপ থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনি কোনো শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে ব্যায়ামটি বন্ধ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলেই হিল রেইজ ব্যায়াম এর বর্ণনা এবং হিল রেইজ ব্যায়াম এর ৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে হিল রেইজ ব্যায়াম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url