পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত

পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, চুলের জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন চুল গজাতে পেঁয়াজের রস দেওয়ার নিয়ম, উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
পেঁয়াজের-রস-মাথায়-কতক্ষন-রাখা-উচিত
চুলের যত্নে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার অনেক গুণাগুণ রয়েছে। তাই আজকের পোস্টে পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। 

ভূমিকা

চুলের পরিচর্যায়  অনেক ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়, কিন্তু অনেক সময় তা পার্শপ্রতিক্রিয়ার কারণে ক্ষতি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভেষজ উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন নিলে চুল পড়া বন্ধ হয়, নতুন চুল গজায়, এমনকি চর্ম রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। আমাদের আজকের পোস্টে আমরা যা কিছু জানবো তা হল- পেঁয়াজের রস কি চুল গজায়, চুলের জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতা, চুলে পেঁয়াজের রস দিলে কি হয়, চুলে পেঁয়াজের রস দেওয়ার নিয়ম, পেঁয়াজের রস সংরক্ষণের উপায়, পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত, চুলের জন্য পেঁয়াজের অপকারিতা এ সকল বিষয়ের তথ্য সম্পর্কে।

পেঁয়াজের রস কি চুল গজায়

চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই জিজ্ঞেস করে যে কি কি ব্যবহার করা উচিত। বয়সের কারণে, মেয়েদের গর্ভকালীন সমস্যায়, বিভিন্ন রোগের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অনেক সময় চুল পড়ে যায়। নতুন চুল গজানোর জন্য প্রাকৃতিকভাবে অনেক উপায় রয়েছে। পেঁয়াজের রস এক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে, সেই সাথে চুল পড়াও বন্ধ করে। জেদী খুশকি থেকে মুক্তির সব থেকে সহজ উপায় হলো পেঁয়াজের রস লাগানো।

এটি চুল পাকার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। মূলত পেঁয়াজের রসে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুলের গোড়ায় হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। যার ফলে নতুন ভাবে চুল গজাতে সহায়তা করে। এছাড়া পেঁয়াজের সালফার খনিজের পরিমাণ বেশি রয়েছে। যা নতুন চুল গজাতে বিশেষ ভাবে কাজ করে। আবার পেঁয়াজের রস চুলের অভ্যন্তরস্থ প্রোটিন, কেরাটিন উৎপাদনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

পেঁয়াজে বিদ্যমান ভিটামিনগুলো যেমন এ, সি, ই এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এজন্য জ্বরের রোগীর কপালে পাতলা করে কাটা পেঁয়াজ দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে তাপমাত্রা কমে যাবে। আর মাথা ঠান্ডা থাকলে নতুন চুল সঠিকভাবে গজায়।ফলে চুল ঘন হয়, চুল পড়া কমায়, খুশকি নির্মূল করে। এজন্য পেঁয়াজের রস দিলে নতুন চুল গজায়।

চুলের জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতা

চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস অনেক উপকারী। নগণ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকা সত্ত্বেও এর উপকারিতার পরিমাণ ব্যাপক। নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহারে চুল পড়া কমে, চুল ঘন হয়, খুশকি কমে, চুলের ফলিকলের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী। পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত তা চুলের স্বাস্থ্যের ধরনের ওপর নির্ভর করে। আজকে পেঁয়াজের রস চুলে লাগালে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়, তা সম্পর্কে আলোচনা করব।
  • চুলের বৃদ্ধিতে এবং নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রস, যা এক ধরনের প্রোটিন, অনেক উপকারী। এতে সালফার থাকে এবং কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিয়মিত পেঁয়াজের রসের ব্যবহারে চুলের ফলিকল উদ্দীপিত হয়ে চুলকে দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • মাথার চুলের খুশকি থাকলে চুলে এবং মাথার স্কেল এর জন্য তা ক্ষতিকর। পেঁয়াজের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকার কারণে তা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। ফলে মাথার ত্বক থেকে খুশকি দূরীভূত হয়।
  • এছাড়া পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি-৬ এবং ফলিক অ্যাসিড আছে। যেগুলো আপনার শরীরে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের ঘাটতি পূরণ করে। যার ফলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং সেই সাথে চুলও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়।
  • পেঁয়াজের রসে বিদ্যমান সালফার চুলের ভাঙ্গা কমাতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে চুলকে মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনে এবং অক্সিজেন সরবরাহের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে পেঁয়াজের রসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • চুলের উজ্জ্বলতা এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
  • চুলের সমস্যা নারী পুরুষ উভয়েরই রয়েছে। চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস অনেকভাবে উপকার করে। চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস ব্যবহারে চুলের অকালপক্কতা দূর হয়।

চুলে পেঁয়াজের রস দিলে কি হয়

চুলের যত্নে ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা সবচেয়ে উত্তম পন্থা। চুলের জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা থাকলে আমরা বুঝতে পারবো পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত ও এটি মাথায় দিলে কি হয়। চুল পড়া বন্ধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে পেঁয়াজের রস। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে বিভিন্ন চর্মরোগের সৃষ্টি হয়। যার ফলে চুলের গোড়ায় আক্রান্ত হয়ে চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে।

চুলে পেঁয়াজের রস দিলে এতে বিদ্যমান অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমিয়ে আগের অবস্থায় নিয়ে আসতে সাহায্য করে। ফলে নতুন চুল গজায়। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মাথায় টাক পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে। পেঁয়াজের রসে যেসব ভিটামিন এ, সি, ই রয়েছে সেগুলো চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ধীরে ধীরে চুল সিল্কি করে। অনেকের কেমিক্যাল দ্রব্যাদি এবং ওষুধে এলার্জি ও অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

তবে পেঁয়াজের রসের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এর সাথে অ্যালোভেরা, মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা চুলের জন্য অনেক উপকারী। যুগ যুগ ধরে আমাদের গুরুজনেরাও চুলের যত্নে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে এই পেঁয়াজের রস নিজেরা ব্যবহার করতেন এবং আমাদেরকেও ব্যবহারের জন্য উপদেশ দিতেন। এজন্য পেঁয়াজের রস ত্বকের যত্নে অত্যন্ত উপকারী উপাদান।

চুলে পেঁয়াজের রস দেওয়ার নিয়ম

প্রতিটি প্রক্রিয়া সঠিক নিয়মের মাধ্যমে পালন করলে তা যথাযথভাবে ফলাফল প্রদান করে। যেহেতু চুল শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই এর সঠিক পরিচর্যার জন্য আমাদের কার্যকর কিছু নিয়মাবলী  মেনে চলতে হবে। তা না হলে চুল নিয়ে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। চুলে পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে জানলে অবশ্যই সকলে চুলে পেঁয়াজের রস নিয়মিত ব্যবহার করবেন। তাছাড়া পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত তা পেঁয়াজের রস দেওয়ার পদ্ধতি অনুযায়ী একটি ধারণা পাওয়া যাবে।
  • চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে হলে প্রথমে পেঁয়াজে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য  এঁকে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। একটি পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে এটিকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে কেটে পেঁয়াজ কুচি করে নিতে হবে। এরপর ব্লেন্ডারে দিয়ে অথবা পিষে পেঁয়াজের রস বের করতে হবে। এখন পেঁয়াজের রস ছেঁকে এবং পাতলা করে নিতে হবে। এই রসটি আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলায় গোড়ায় ভালোভাবে লাগাতে পারেন।
  • শুধু পেঁয়াজের রস না দিয়ে এটির সঙ্গে অন্য কিছুর মিশ্রণ তৈরি করে লাগালে সেটি আরো ভালো ফলাফল দিবে। চুলের রুক্ষভাব কমাতে একটি পাত্রে তিন টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস ও দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি  করা যায়।
  • এরপর একটি তুলার বল বা অ্যাপ্লিকেটর ব্রাশ দিয়ে পেঁয়াজের রস বা এর মিশ্রণ মাথার স্ক্যাল্পে এবং চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে। আবার খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে। এখন যে মিশ্রণটি লাগানো হবে সেই মিশ্রণটিকে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে  পারেন।
  • তবে হাতে সময় বেশি থাকলে ৩০ মিনিট বা এক ঘন্টা পর্যন্ত লাগিয়ে রাখতে পারেন। যখন চুল শুকিয়ে যাবে, তখন আলতো মেসেজ করতে করতে ধুয়ে ফেলতে হবে। তখন একটি শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুল  ধোয়ার সময় খেয়াল করে দেখবেন যেন পেঁয়াজের গন্ধ না আসে।
  • যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা মাথার ত্বকের খানিকটা জায়গায় লাগিয়ে প্রথমে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হয়ে নেবেন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

পেঁয়াজের রস সংরক্ষণের উপায়

পেঁয়াজের রসের উপকারিতা, পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে এখন আমাদের এ পেঁয়াজের রস সংরক্ষণ এবং এর অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। চুলের যত্নে-পরিচর্যায় পেঁয়াজের রস একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সঠিকভাবে এটি সংরক্ষণ করতে পারলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা সম্ভব।
  • পেঁয়াজকে ঠান্ডা এবং শুষ্ক জায়গায় রাখতে পারলে দীর্ঘদিন এটির গুনাগুন বজায় থাকে। কেমিক্যাল ব্যবহার করা ছাড়া পেঁয়াজের রসের মিশ্রণ ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা যাবে।
  • বায়ুরোধী পাত্র বা কাঁচের বোতল, পুনরুদ্ধার সম্ভব এমন প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখতে হবে। কোন গরম জায়গা যেমন আগুনের আশেপাশে বা সরাসরি সূর্যের আলো পরে এমন কোন স্থানে এই পেঁয়াজের রস বা তার মিশ্রণ রাখলে তার গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। এসব স্থান থেকে এদিকে সরিয়ে রাখতে হবে।
  • অনেকদিন পর্যন্ত একে ব্যবহার করতে গেলে, প্রিজারভ করে রাখতে হলে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। পেঁয়াজের রস ফ্রিজে রাখলে কয়েকদিন এ গুনাগুন বজায় থাকে এবং গন্ধ থেকে মুক্ত থাকে। বেশি দিন এই পেঁয়াজের রসের মিশ্রণ না রাখাই ভালো। অল্প পরিমাণে পেঁয়াজের রস বা এর মিশ্রণ সংরক্ষণ করে ধীরে ধীরে ব্যবহার করা উচিত।

পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত

এতক্ষণে আমরা জেনেছি চুলের জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতা কতখানি এবং পেঁয়াজের রস দেওয়ার নিয়ম। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক এটা কতক্ষণ সময় পর্যন্ত পেঁয়াজের রস বা এর মিশ্রণ মাথায় রাখতে হবে।
  • চুলের যত্নে অধিকাংশ মেয়েরা ঘরোয়া উপায়ে পেঁয়াজের রস মাথায় লাগায়। তবে কতক্ষণ এই রস মাথায় লাগিয়ে রাখতে হবে, তার এমন কোনো ধরা বাধা নিয়ম নেই। সুযোগ অনুযায়ী যেকোনো সময়ে চুলে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে রাখলে ফলাফল মিলবে।
  • পেঁয়াজের রস বা এর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ ব্যবহার করলে অধিকতর ফল পাওয়া যায়। মাথার স্ক্যাল্প এবং চুলের গোড়ায় মিশ্রণটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে একটি ভালো ফল পাবেন।
  • তবে আপনার সময় ও প্রয়োজন অনুযায়ী ১০ থেকে ৩০ মিনিট, উর্ধ্বে ১ ঘণ্টা রেখেও দিতে পারেন। চুল শুকিয়ে গেলে আলতো মেসেজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে মাথায় লাগানো যেতে পারে।
  • যারা খুব শুষ্ক চুলের সমস্যায় ভোগেন, তারা পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেল, অ্যালোভেরা বা মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন। ত্বকে জ্বালাপোড়া বা কোনো অ্যালার্জি দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। এখান থেকে আমরা মাথায় কতক্ষন পেঁয়াজের রস  রাখা উচিত তার সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছি।

চুলের জন্য পেঁয়াজের অপকারিতা

পেঁয়াজের রস চুলের যত্নে একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক উপাদান হলেও এটি অতিরিক্ত বা অনিয়মিত ব্যবহারে বেশ কিছু ক্ষতি করতে পারে। পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা এর অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে।
  • দীর্ঘক্ষণ মাথায় পেঁয়াজের রস রাখলে তা শরীরের তাপমাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে ঠান্ডা লাগা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়ার মতো সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।  
  • পেঁয়াজের রসে থাকা অক্সালিক এসিড চুলের গোড়ায় জমলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই এসিড বেশি পরিমাণে জমলে তা চুলের বৃদ্ধির পরিবর্তে চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাছাড়া, পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা শুষে নেয়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যেতে পারে। শুষ্ক ত্বকে চুলকানি ও চুলের গোড়ায় অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে।  
  • অস্বাস্থ্যকর বা পচা পেঁয়াজ থেকে তৈরি রস ব্যবহারে ত্বকে ফাঙ্গাসের আক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ যেমন খুশকি, ত্বকের প্রদাহ বা অন্যান্য সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাছাড়া, পেঁয়াজের রস ব্যবহারের সময় যদি এর সঙ্গে অন্য কোনো ক্ষতিকর উপাদান মিশে যায়, তাহলে তা ত্বকে অ্যালার্জি বা লালচেভাব তৈরি করতে পারে।  
  • সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত ১৫-৩০ মিনিটের বেশি সময় পেঁয়াজের রস মাথায় রাখা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে চুল ও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, যা এড়ানোর জন্য সঠিক নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে চুলের জন্য পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে চুল গজাতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার, মাথায় লাগানোর নিয়ম, উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url