ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়
ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় স্কলারশিপ পাওয়ার বিষয় সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
স্কলারশিপ পাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ অনেকের মধ্যে দেখা যায়। তবে এ ব্যাপারে ঠিকভাবে বেশিরভাগ মানুষ জানেনা। তাই আজকের পোস্টে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে এক বড় সংখ্যক শিক্ষার্থী বিদেশে স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করে থাকে। তবে এর মধ্যে অনেকের আবেদন করা প্রস্তাবই নাকোচ করে দেয়া হয়। এর সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকাই এর মূল কারণ। তাই আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো স্কলারশিপ মানে কি, বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা, স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন, কোন ক্লাস থেকে স্কলারশিপ পাওয়া যায়, ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় এবং কোন দেশে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সমূহ।
স্কলারশিপ মানে কি
আভিধানিক অর্থে স্কলারশিপ এর মানে হলো বৃত্তি। আরেক ভাবে একে শিক্ষাবৃত্তি ও বলা হয়। মূলত পড়ালেখার কাজে নিয়োজিত বাচ্চাদের আগ্রহ বাড়ানোর সাথে মনোবল বৃদ্ধি করার মাধ্যমে উৎসাহিত প্রদান করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে আর্থিকভাবে একটি অনুদান দেয়া হয়। এই অনুদান তাদের জন্য একটি পুরস্কার স্বরূপ হয়।
অর্থাৎ তাদের মেধা এবং অধ্যাবসায় এর মান প্রমাণ করার ফলাফল হিসেবে তাদেরকে কলারশিপ বা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। সাধারণ ভাবে একজন শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ প্রদান করার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য কিংবা শর্ত দিয়ে রাখা হয়। সেগুলো পরিপ্রেক্ষিতে একজন শিক্ষার্থী তার অধ্যবসায় পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক পুরস্কার লাভ করে থাকে।
আরো পড়ুন ইতালি স্টূুডেন্ট ভিসা
প্রতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় চার সহস্র ছয় শত কোটি মার্কিন ডলার বৃত্তির জন্য নির্ধারিত একটি অর্থের পরিমাণ। এর মধ্য থেকে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে স্কলারশিপ অর্জন করা শিক্ষার্থী তার মেধা এবং যোগ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১৭,৫০০ সহস্র পাউন্ড অর্থের সম্মানী বা পুরস্কার পেয়ে থাকেন। স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য অনেক রকমের কোর্স বিদ্যমান রয়েছে। এই অর্থ আবার কোর্সগুলোর সাপেক্ষে কম কিংবা বেশি হতে পারে।
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
স্কলারশিপ কিংবা শিক্ষাবৃত্তি ছাত্র জীবনে পাওয়া এক ধরনের অর্থবহ এবং সার্বিক উপ্ব্যে সাহায্য প্রদানের উদ্দেশ্যে দেয়া পুরস্কার সূচক। বর্তমান সময়ে লেখাপড়া গুরুত্ব অনেক বেশি রয়েছে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার লাভের উদ্দেশ্যে বিদেশে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করার প্রবণতা প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে দেখা যাচ্ছে।
বিদেশের উন্নত শিক্ষার মান এদেশে শিক্ষার্থীদের কে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বিষয়গুলোর উপরে আকর্ষিত করে তুলছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষার খরচ বহন করতে সক্ষম হতে পারছে না। নিজের দেশের গণ্ডিতে থেকে একজন শিক্ষার্থী কিংবা সেই শিক্ষার্থীর পরিবার তার লেখাপড়াকে দূর পর্যন্ত অগ্রসর করাতে হিমশিম খায়।
সে ক্ষেত্রে বাইরের দেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার ব্যাপারটি অনেকটা সমস্যার কিংবা জটিলতার কারণ হয়ে পড়ে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া স্থগিত করার সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। এর জন্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দেশে সরকার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন দেশের স্কলারশিপ এর আয়োজন করা হয়েছে।
ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের মেধাকে বিশালতা প্রদান করতে তাদের মেধার সাহায্যে এই শিক্ষা বৃত্তি অর্জন করে থাকে। তবে স্কলারশিপ এর মাধ্যমটিতে সকল শিক্ষার্থী এটি লাভ করে থাকে না। স্কলার্শিপ কিংবা উপবৃত্তি যেটাই বলি না কেন, এটি পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত প্রদান করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ বিদেশে উচ্চ মানের পড়ালেখা করার জন্য বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা এর একটি মাধ্যম প্রদান করা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ কেবলমাত্র যোগ্য এবং মেধাবী শিক্ষার্থীরাই এই শিক্ষা বৃত্তি অর্জন করে থাকে। যার ফলে তারা অর্থের দিক থেকে সহায়তা পেয়ে বিদেশে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। স্কলারশিপ প্রপ্তির মাধ্যমে বাইরের দেশে লেখাপড়ার করতে যাওয়ার এই মাধ্যমটি সময় সাপেক্ষ। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য লেখাপড়ার জোড়ালো প্রস্তুতি প্রক্রিয়ার সঙ্গে বৃত্তি সংক্রান্ত এবং বিদেশে যাত্রা সংক্রান্ত ডকুমেন্ট তৈরির দরকার রয়েছে।
বিষেশ করে ফুলব্রাইট শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার জন্য আমাদের দেশের গ্রাজুয়েশন পর্যায়ে ফার্স্ট ক্লাসের সাথে পাস করে বের হতে হয়। এরই মাঝে এখানে আবার আরেকটি শর্ত রয়েছে। স্নাতক পড়া শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র এর কোন বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী হতে পারবে না। এখান থেকে অবশ্যই বাংলাদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হতে অধ্যায়নরত প্রমাণ সমূহ থাকতে হবে।
শিক্ষার্থীকে নিম্নতর হলেও দু বৎসর এর ওয়ার এক্সপেরিয়েন্স রাখতে হয়। সাথেই বিদেশে যাওয়ার জন্য কথোপকথনের জন্য দরকার হয় উচ্চতার দক্ষতা। এর জন্য অন্যতম মাধ্যম হিসেবে আইইএলটিএস কে বেছে নেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইইএলটিএস পরীক্ষা উন্নত হয়ে কম হলেও এই পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর স্কেল ৭ থাকতে হয়। তাছাড়া কথোপকথন এবং যোগাযোগের জন্য উপযুক্ত অন্য একটি পরীক্ষার নাম হলো টোফল।
এটির প্রক্রিয়া কিছুটা ভিন্ন হওয়া এর মান কম হলেও ৮০ পর্যন্ত পৌঁছাতে হয়। বিদেশে স্কলারশিপ এতে আগ্রহী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে সুস্থ হতে হয়। বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা গুলোর মধ্যে এই কয়েকটি যোগ্য তাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এ সকল যোগ্যতা সম্পন্নরূপে দাঁড়াতে পারলে সাথে সাথেই বিদেশি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে নেওয়া উচিত।
স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন
বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যেই বিদেশে গিয়ে উচ্চ মানের লেখাপড়া করার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর এই স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও এই স্বপ্ন কে সত্যি করতে পারে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী। এর মূখ্য কারণ হলো অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের অর্থ সংকট থাকা। বাহিরের দেশ গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থার খরচ চালিয়ে যাওয়া কিছুটা ব্যয়বহুল।
এই খরচ সাধারণ পরিবারে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা বহন করতে পারে না। ফলে মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষাবৃত্তি বা স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। প্রতিবছর মেধাবী সকল শিক্ষার্থী তাদের বাছাই করা নানান রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এ স্কলারশিপ পাওয়ার আশায় থাকে।
এর জন্য প্রথমে বিদেশের স্কলারশিপ এর যোগ্যতা স্বরূপ নিজেকে ঠিক তেমন ভাবেই প্রস্তুত করে নিযতে হয়। এরপর স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে হয়। বর্তমান সময় সবচেয়ে প্রচলিত স্কলারশিপ গুলোর ভিত্তিতে ছয়টি কে সারিভুক্ত সংবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে নোটিশ করে দেয়া হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়ায় এই আবেদনে এসে থেমে যায় না। এটি অর্জন করার জন্য নানা রকম পরীক্ষা এবং প্রস্তুতি গুলোকে পাড়ি দিতে হয়।
বিভিন্ন দেশে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের শিক্ষাবৃত্তি এর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবৃত্তি সবচেয়ে অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে আবার কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় তা জানলে অন্যান্য স্কলারশিপ এর প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি সহজ মনে হবে। স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু ক্যাটাগরি গুলো নিম্ন দেয়া হলো।
- কমনওয়েলথ স্কলারশিপ
- আজারবাইজান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ
- হাম্মাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটি বৃত্তি
- ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট উন্নয়ন ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি
- সাঙ্কচুয়ান ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ
এসকল প্রকারের স্কলারশিপ গুলোকে বিশ্বসেরা স্কলারশিপ এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো তো আবেদন করার জন্য আবেদনের পূর্বে শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপের শর্ত অনুযায়ী নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়। এর জন্য সকল প্রকার ডিগ্রিতে উচ্চতর স্থানে পাশ হওয়ার সাথে দরকার পড়ে আইইএলটিএস বা টোফল এর মতো স্পোকেন ইংলিশ এ স্বীকৃতি।
আবেদন পরবর্তী পরীক্ষার জন্য সকল রকম প্রস্তুতি নিয়ে নিজেকে শারীরিকভাবে তর-তাজা রাখতে হবে। সাথেই দু বছরের ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স যোগান দিয়ে যখন মনে হবে যে শিক্ষার্থী এবার স্কলার্শিপ এ আবেদন করার যোগ্য তখন তাকে নিকটস্থ আবেদন কেন্দ্র হতে স্কলারশিপের জন্য আবেদন ফরম গুলো পূরণ করতে হবে।
এজন্য নির্দিষ্ট দেশটিতে প্রবেশের সকল কাগজপত্র বা নথি গুলোকে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে প্রস্তুত করে নিতে হবে। আবেদন ফরমে সকল সঠিক প্রকার তথ্য প্রদান করে ফরমটি জমা দিতে হবে। স্কলারশিপের আবেদন করার জন্য প্রতিবার আবেদন ফরম এর সাথে স্কলারশিপের খরচ ব্যাংকিং প্রসেস এর মাধ্যমে জমা দিতে হয়। স্কলারশিপ এর ফরম গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে প্রণীত আবেদন ফরমটি গ্রহণ করে নেয়া যায়। শিক্ষার্থীর যোগ্যতা এবং ভাগ্য দুটি এক সঙ্গে সহায় হলে আবেদনকারী শিক্ষার্থী অবশ্যই স্কলারশিপ পেয়ে থাকে।
কোন ক্লাস থেকে স্কলারশিপ পাওয়া যায়
স্কলারশিপ কোন ক্লাস থেকে পাওয়া যায় তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা প্রাপ্ত হলে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় তা জানাটা আরো সহজ হয়ে ওঠে। স্কলারশিপ বা শিক্ষাবৃত্তি সাধারণত মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক এর পরবর্তী পদক্ষেপ থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিদেশী শিক্ষাবৃত্তি এর আলোচনা এবং প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে কিংবা বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হতে ডিগ্রী অর্জনের পর বিদেশি স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করা সম্ভব। অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর বিদেশি স্কলারশিপ পাওয়া যায়। তবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরেও বিদেশের স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা সম্ভব।
এর জন্য কেবল মাত্র মেধাবী এবং উচ্চতর ফলাফল প্রাপ্তি সম্পন্ন শিক্ষার্থীদেরকে বাছাই করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিকভাবে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে ফলাফলের বিজ্ঞপ্তি এসেছে। তাই সেখানে মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি এবং ভর্তির আবেদনের আয়োজন শুরুর দিকে চলছে।
তবে কিছু কিছু শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতা এবং মেধা থাকা সত্ত্বেও এখানে আবেদন করতে পারেন না। এটি কেবল পশ্চিমবঙ্গেই নয় সারা বিশ্বে এরকম সমস্যা দেখা দেয়। যেহেতু উচ্চ মানের শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে গন্তব্য স্থল হিসেবে বাইরে দেশগুলোকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাই সেগুলোর শর্ত অনুযায়ী নিজেকে জোগো করে তোলার দায়িত্বটাও নিজের কাঁধেই এসে পড়ে।
প্রথম ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের পর একজন শিক্ষার্থীর স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে। বিশেষ করে ইউরোপ এর সাথে উত্তর আমেরিকার একটি সুপরিচিত দেশ যুক্তরাষ্ট্র হতে উচ্চ শিক্ষার প্রবল আগ্রহ থাকলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরবর্তী থেকে এর কার্যক্রম শুরু করে দিতে হবে। নিম্নে এ প্রক্রিয়া গুলি সম্পর্কে কিছু কথা বলা হলো।
সামাজিক ক্রিয়া কলাপঃ বিদেশে ভর্তির আবেদনের নানা রকম ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে সামাজিক দক্ষতা এবং সকলের মাঝে নিজে মেধা বিকাশ এবং নেতৃত্ব প্রদান করার ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকা হয়। এর জন্য বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক কিংবা সামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে নিজেকে নিযুক্ত করার অবস্থান নেওয়া যেতে পারে।
ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় তা জানতে এগুলোর দিকে ধ্যান দেয়া জরুরী। তাছাড়া শিক্ষাগত সংগঠন যেমন অলিম্পিয়াড পদার্থবিজ্ঞানের নানা রকম প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে লিপ্ত হওয়া ভালো। তাছাড়া কাটিং এর মত স্বেচ্ছাসেবক এর নানা রকম কর্ম গুলো শিক্ষার্থীকে কনফিডেন্ট হতে সাহায্য করবে।
সুপারিশনামাঃ প্রচলিত ক্ষেত্রে ভর্তির আবেদনের সময় শিক্ষার্থীকে অন্যান্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কোন গুণী ব্যক্তিত্বের রিকমেন্ডেশন পত্র প্রদান করতে হয়। যে ব্যক্তি আবেদনকারী শিক্ষার্থীর জন্য এই রিকমেন্ডেশন প্রদান করবেন তিনি পত্রে শিক্ষার্থীর মেধা, জ্ঞান, দক্ষতা এবং যোগ্যতা এর ব্যাপারে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীর একটি প্রশংসা কিংবা প্রমাণ পত্র তৈরি করে দেবেন।
ভাষা কিংবা যোগাযোগ দক্ষতার সূচক পত্রঃ আবেদনকারী শিক্ষার্থীর যোগাযোগ এবং ভাষার দক্ষতার প্রমাণ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ভাষা এর চর্চা শেখায় এমন কোন সংস্থা থেকে কোর্স সম্পন্ন করে একটি ভালো মানের ফলাফল নিয়ে আসতে হবে। এই ভালো মানের ফলাফল কি হবে শিক্ষার্থীর প্রমাণপত্র।
তাছাড়া গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর অর্থাৎ স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী কিংবা এইচডি অর্জন করার পর বিদেশি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা সম্ভব। তবে সময় সঞ্চয় করার জন্য এই প্রক্রিয়া পদ্ধতি আরো কিছু বছর আগে থেকেই আরম্ভ করে দেয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় সম্পন্ন করার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে স্কলারশিপ পেতে হলে নিম্নোক্ত কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
- শিক্ষার্থীর গবেষণা নিবন্ধ উন্মোচন
- যেকোনো রকম ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স
- বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিংবা হ্যাঁ ফ্যাকাল্টির সাহায্য
- রিকমেন্ডেশন পত্র বা সুপারিশ নামা
- গবেষণা পরিকল্পন
- জিআরই এবং জিম্যাট এর মান
- কথোপকথনের দক্ষতা
- আবেদনের খর
- আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় পত্র সংরক্ষণ ইত্যাদি
ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়
বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ফুল ফ্রি স্কলারশিপ পেয়ে থাকে। এই স্কলারশিপ এর অর্থ হলো লেখাপড়া সম্পূর্ণ খরচ তারা স্কলারশিপ অ্যাসোসিয়েশন হতে পেয়ে থাকবেন। এ সকল ফুল ফ্রী স্কলারশিপ এর ক্ষেত্রে প্রেষণা পত্র, সুপারিশপত্র এবং গবেষণা পরিকল্পনার প্রস্তাব করণ সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে।
একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তার মেধার মাধ্যমে কলারশিপ পাওয়ার রাস্তায় অর্ধেক পথ এগিয়ে যায়। বাকি অর্ধেক পথ পাড়ি দিতে তাকে প্রয়োজন হয় অন্যান্য যাবতীয় যোগ্যতার। তবে শিক্ষার্থীর মেধা এবং যোগ্যতার সাথেই এগুলো প্রমাণ স্বরূপ এই তিনটি চিঠি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর পক্ষ হতে প্রেরণ করা হলে সেই শিক্ষার্থীর ফুল ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
কোন দেশে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায়
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা অনেকগুলো দেশে কলারশিপ পেয়ে উচ্চমানের শিক্ষা গ্রহণ করার সম্ভাবনা রাখে। এর মধ্যে কিছু কিছু দেখলে শীর্ষ পর্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্কলারশিপ এর জন্য এই দেশগুলোকে শীর্ষ পর্যায়ে রাখার কারণ রয়েছে। এর মধ্যে স্কলার্শিপ প্রদানের ব্যবস্থা, মেধাগত যোগ্যতা এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা এই তিনটি বিষয়ের উপরে বেশি মনোযোগ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায় এমন কয়েকটি দেশের নাম নিম্নে দেয়া হল।
- কানাডা
- ইউনাইটেড কিংডম
- অস্ট্রেলিয়া
- ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা
- মালয়েশিয়া
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে স্কলারশিপ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url