লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে গুগলে সার্চ করে এই পর্যন্ত এসেছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। কারণ সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে আপনারা খুব সহজেই লাউ খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে এবং অপকারিতা রয়েছে তা জেনে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে সঠিক তথ্য জেনে নিন।
যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে, লাউ এর পুষ্টি উপাদান, লাউ খেলে কি ওজন কমে, লাউ এর রসের উপকারিতা সহ আরো নানা বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
ভূমিকা
আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা লাউ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। কেউ কেউ আবার খেতে পছন্দ করেন না। তবে এই লাউয়ে কতগুলো পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। কিংবা লাউ খাওয়ার উপকারিতা কি কি রয়েছে সেটা অনেকেই জানেন না। আজকে আমি এই আর্টিকেলে লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা কি কি রয়েছে তা সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যারা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইলো।
লাউ খেলে কি ঠান্ডা লাগে
লাউ আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় সবজি, যা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। এর পুষ্টিগুণ এবং প্রাকৃতিক ঠান্ডা প্রভাবের কারণে এটি শরীরকে শীতল রাখে এবং গরমের দিনে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, লাউ খেলে কি আসলেই ঠান্ডা লাগে?
লাউয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি হালকা, কম ক্যালোরিযুক্ত এবং সহজে হজমযোগ্য সবজি হওয়ায় লিভার এবং হজমতন্ত্রের জন্যও উপকারী।
লাউয়ে থাকা ভিটামিন সি, ফাইবার এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন ম্যাগনেশিয়াম ও পটাসিয়াম শরীরকে সতেজ রাখে এবং দ্রুত শক্তি জোগায়। এ কারণেই লাউ গরমে শীতল অনুভূতি আনার পাশাপাশি হজমের সমস্যা, ইউরিনারি ট্র্যাক্টের সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
তবে ঠান্ডা প্রভাব থাকার কারণে কিছু মানুষের শরীরে এটি একটু শীতল প্রভাব ফেলে, বিশেষত যাদের ঠান্ডাজনিত সংবেদনশীলতা বেশি। শরীরের প্রকৃতি অনুযায়ী কিছু মানুষ লাউ খাওয়ার পর ঠান্ডা অনুভব করতে পারেন। এজন্য ঠান্ডাজনিত সমস্যা এড়াতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লাউ রান্না করে খাওয়া ভালো।
লাউ খাওয়ার ফলে শরীরে প্রাকৃতিক শীতলতার অনুভূতি সৃষ্টি হতে পারে, যা বিশেষত গরমের দিনে আরামদায়ক। তবে যাদের ঠান্ডা সহ্যক্ষমতা কম, তারা পরিমিত পরিমাণে এবং সঠিকভাবে রান্না করে খেতে পারেন, যাতে লাউয়ের পুষ্টিগুণের পূর্ণ ব্যবহার সম্ভব হয়।
লাউ এর পুষ্টি উপাদান
বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় সবজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লাউ। অনেকেই লাউ খেতে পছন্দ করেন আবার অনেকেই রয়েছেন এটি খেতে পারেন না। তবে এটি কতটা উপকারী হয়তো আপনারা ধারণা করতেও পারবেন না।
আজকে আমি লাউ এর পুষ্টিগুণ উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনার হয়তো এর পুষ্টিগুণ জানলে আজকে থেকেই খাওয়া শুরু করতে পারেন। তাই আসুন আর দেরি না করে লাউ এর পুষ্টি উপাদান জেনে নিন।
প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে রয়েছে ০.৬ গ্রাম ফ্ল্যাট, ২.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.২ গ্রাম প্রোটিন, ১০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৮৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ০.২ মিলিগ্রাম নিকোটিক এসিড।
এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, খনিজ লবণ ও আয়রন সহ আরো নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। এই উপাদানগুলো শরীরের প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য কার্যকারী। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
অনেকেই লাউ খেতে পছন্দ করেন না। তার কারণ হলো অনেকে ভাবেন লাউ খেলে শরীরে ঠান্ডা লেগে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ হতে পারে। বন্ধুরা লাউ খেলে কোন ক্ষতি হয় না। অর্থাৎ আপনি যদি পরিমাণ মতো লাউ খেতে পারেন তাহলে আশা করি অনেক বেশি উপকার পাবেন। এখন হয়তো আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কি কি উপকারিতা হয়? তাই আসুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
- লাউয়ের ৯৬ শতাংশ পানি থাকে। যার কারণে নিয়মিত আপনারা যদি লাউ খেতে পারেন তাহলে শরীর হাইড্রেট থাকবে।
- এছাড়াও প্রতিদিন নিয়মিত লাউ খেতে পারলে আপনার কিডনির কার্যক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
- লাউয়ের মধ্যে থাকা ভিটামিন মিনারেল ও উচ্চমাত্রার পানি আপনাদের ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।
- লাওে থাকা ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম আমার আপনার শরীরের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। শুধু তাই নয় পাশাপাশি দাঁত ও হার মজবুত রাখতেও সহায়তা করে।
- লাউয়ে উচ্চমাত্রায় আসবো লো ক্যালোরি মিলে। ফলে যে সকল ব্যক্তিরা ওজন কমানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা লাউ খেতে পারেন। কারণ লাউয়ের মধ্যে থাকা লোক ক্যালোরি এবং উচ্চমাত্রায় আঁশ থাকার কারণে কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
- আপনাদের যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা পেট ফাঁপা অর্শ এগুলো হয়ে থাকে তারা নিয়মিত লাউ খেতে পারে না। কারণ লাউ খেলে আপনার এ সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও লাউএ থাকা ফাইবার ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি সাহায্য করে পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও অনেক বেশি সহায়তা করে।
- কিছু গবেষণা দাবি করেছে, প্রতিদিন পরিমাণ মতো লাউ খেলে রাতে ঘুমের সমস্যা দূর হয়।
লাউয়ের অপকারিতা
লাউ একটি পুষ্টিকর সবজি, তবে অতিরিক্ত খেলে বা নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক অবস্থায় এটি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। লাউয়ে ফাইবার এবং জলীয় উপাদান বেশি থাকায় এটি হজমের জন্য বেশ উপকারী, তবে অতিরিক্ত লাউ খেলে কিছু মানুষের পেটে অস্বস্তি এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
লাউতে থাকা কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রক্তচাপ কমাতে সহায়ক, তবে যাঁরা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত লাউ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। এছাড়া, অনেক ক্ষেত্রে তিক্ত লাউ বিষাক্ত হতে পারে এবং এটি খেলে বমি ও পেটে ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।
শুধু তাই নয় কোন কোন ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই লাউ খাওয়ার আগে এর স্বাদ পরীক্ষা করা জরুরি। সঠিক পরিমাণে এবং সাবধানতার সাথে লাউ খেলে অপকারিতা এড়ানো যায়, এবং এর পুষ্টিগুণ ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।
গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা
সাধারণত গর্ভাবস্থায়ী লাউ খাওয়া নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন। গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়া কতটা উপকারী সেটা অনেকেই জানেন না। এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি আপনারা এ বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
সাধারণত গর্ভাবস্থায় লাউ খেলে গর্ভে থাকার সন্ধানের মস্তিষ্কের কার্যক্ষতা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। কারণ লাউ এ প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। যেহেতু গর্ভবতী মায়েরা ডিহাইডেশনে ভোগে থাকে তাই লাউ খেলে এই পানির চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় অনেক মায়েরা ডায়রিয়াজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেন।
ওই সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানির ঘাটতি দেখা যায়। যদি আপনি লাউ খেতে পারেন তাহলে আশা করি ডায়রিয়া জনিত পানি শূন্যতা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। এছাড়াও অনেক গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক সমস্যার কারণে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেন। যেহেতু লাউয়ের রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান সেহেতু এটি খেলে গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক সমস্যা দূর হবে।
গর্ভকালীন সময়ে অনেক মায়েরা প্রস্রাবের ইনফেকশনে ভুগে থাকেন। তবে এই সমস্যা দূর করতে খেতে পারেন লাউ। কারণ লাউ খেলে প্রস্রাবের সংক্রমণ জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয় পাশাপাশি কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় অনেক মায়েরা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগেন।
এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করার জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। খাদ্য তালিকায় লাউ রাখা প্রয়োজন। কারণ অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি লাউ খাওয়াটাও একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য উচিত। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন মায়েদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
পাশাপাশি যারা গর্ভাবস্থায় হার্টের রোগে হবেন তাদের জন্যও অনেক উপকারী দিবে লাউ। শুধু তাই নয় জন্ডিস ও কিডনির সমস্যাও দূর করতে অত্যন্ত উপকারী এই লাউ। গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে লাউ খেলে কিছুটা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আমার জানা মতে গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়া অত্যন্ত উপকারী।
এই সময় প্রত্যেকটা গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির প্রয়োজন হয়। আর সেই পুষ্টি শরীরে দিতে সাহায্য করে লাউ। তাই গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকায় অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি লাউ রাখাও প্রয়োজন। তাহলে প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সম্পূর্ণ বিষয়গুলো পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা কত গুণ রয়েছে।
লাউ এর রসের উপকারিতা
অন্যান্য জনপ্রিয় সবজি পাশাপাশি লাউ খুবই জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর একটি সবজি। অনেকেই এই খাবারটিকে খাদ্য তালিকায় রাখেন না। কিন্তু এর যে উপকারিতা রয়েছে সেটা জানলে আপনারা চমকে যাবেন। রোজ সকালে খালি পেটে লাউয়ের রস খেলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে শুধু তাই নয় ত্বকের সমস্যাও দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। শুধু তাই নয় লাউ এর রসের উপকারিতা অনেক রয়েছে চলুন জেনে নিন।
ত্বক টান টান রাখেঃ অল্প বয়সে অনেকেরই ত্বক নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখে বয়সের ছাপ পড়ে। তাই যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা লাউয়ের রস খেতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বক টান টান রাখতে সাহায্য করবে।
ব্রণ কমায়ঃ যদি আপনার রক্ত পরিষ্কার থাকে তাহলে আপনার মুখে কোন ধরনের ব্রণের সমস্যা হয় না কিন্তুযাদের ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও ব্রণের সমস্যা রয়েছে তারা লাউয়ের রস খেতে পারেন। এটি খুবই উপকারী।
বলিরেখা কমায়ঃ লায়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি ও জিংক যা ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। যদি আপনারা খুব দ্রুত ত্বকে বলে রাখা দেখাতে না চান তাহলে প্রতিদিন লাভের রস পান করতে পারেন। আশা করি ভীষণ উপকার পাবেন।
জেল্লা ফেরায়ঃ লাউ এ রয়েছে ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা রকম খনিজ যা পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। শুধু তাই নয় শরীরে ভেতর থেকে ভালো রাখতেও এবং ত্বকে স্বাভাবিক জেলা ফিরে নিয়ে আসতেও অনেক বেশি সাহায্য করে লাউ। তাই আশা করি আপনারা নিয়মিত লাভের রস পান করবেন।
লাউ খেলে কি ওজন কমে
লাউ বা বোতল লাউ একটি পুষ্টিকর সবজি, যা কম ক্যালোরি এবং উচ্চ পুষ্টিগুণের জন্য পরিচিত। ওজন কমাতে আগ্রহী অনেকেই লাউ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন, কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। লাউয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফাইবার, যা পেট ভরিয়ে রাখে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, যা ওজন কমানোর একটি কার্যকর উপায়।
লাউয়ের পুষ্টিগুণ ও ওজন কমাতে সহায়ক উপাদানঃ
লাউয়ে রয়েছে খুব কম পরিমাণ ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট। এর ফলে এটি ওজন কমানোর খাদ্য তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। লাউয়ের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে এবং ক্যালরি পোড়ানোর প্রক্রিয়া দ্রুত করে। এছাড়া, এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
ওজন কমাতে লাউ কীভাবে খাবেন?
লাউ বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। লাউয়ের স্যুপ, ভর্তা, সালাদ এবং জুস ওজন কমানোর জন্য উপকারী। বিশেষ করে লাউয়ের জুস অনেকেই সকালের নাস্তায় খেয়ে থাকেন, কারণ এটি পরিপাকক্রিয়াকে উন্নত করে এবং পেটকে দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণ রাখে।
সঠিক পরিমাণ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারঃ
ওজন কমাতে লাউ খাওয়া অবশ্যই উপকারী, তবে এটি একমাত্র উপাদান নয়। সঠিক পরিমাণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এটি সঠিক ফলাফল দেবে। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি পান, এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে লাউ অন্তর্ভুক্ত করলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হবে।
লেখকের মন্তব্যঃ লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে লাউ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় লাউ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন তারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আর এই আর্টিকেলটি আপনারা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url