অতিরিক্ত কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়
অতিরিক্ত কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেল ধৈর্য সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়লে আপনারা অতিরিক্ত কাশি কমাতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে তা সঠিকভাবে জেনে যাবে। তাই আর দেরি না করে আসুন জেনে নিন।
মূলত আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে সর্দি কাশি জ্বর এগুলো অনেক বেশি হয়ে থাকে। এই ঠান্ডা আবহাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা কমে যাওয়ার কারণে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়। তবে এইসব সমস্যার সমাধান এই আর্টিকেল এর মধ্যে রয়েছে। আপনারা চাইলে এর সমস্যার সমাধান এই আর্টিকেল থেকে নিতে পারেন।
ভূমিকা
অতিরিক্ত কাশি যেন অনেকটাই মারাত্মক একটি সমস্যা। এই সমস্যা হওয়ার কারণে কোন কাজ কিংবা রাতে ঘুমাতেও গেলেও ব্যাঘাত ঘটে যায়। তবে এই ধরনের সমস্যা এরাতে আজকে আমি এই আর্টিকেলে অতিরিক্ত কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। আশা করি আপনাদের এই বিষয়টি অনেক উপকৃত হতে চলেছে। শুধু তাই নয় পাশাপাশি শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করতে চলেছি। তাই আসুন আর দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য সঠিকভাবে জেনে নিন।
অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে
অনেকের মনে প্রশ্ন আসে অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে? বন্ধুরা যদি আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে কাশি হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করে কফ সিরাপ খেতে পারেন। এটি মূলত আপনার কাশির উপর নির্ভর করে এই সিরাপ গুলো ডাক্তার দিয়ে থাকেন।
পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি বা জুস পান করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত তরল সেবন করলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়, ফলে কাশি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনারা চাইলে হালকা প্রসঙ্গে গরম পানি খেতে পারেন। এতে করে আপনার গলা অনেক আরাম দিবে। মূলত অতিরিক্ত কাশি দূর করার জন্য মধু অনেক বেশি কার্যকর।
তাই আপনারা চাইলে মধু খেতে পারেন কিংবা গরম চা অথবা আদা চা খেতে পারেন। এগুলো করার পাশাপাশি আপনারা হালকা কুসুম গরম পানি এবং লবণ মিশ্রণ করে কুলি করুন এতে করে অনেকটা কাশি উপশম পাওয়া যাবে। আশা করি অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে তা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত
সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত এই নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন আমাদের মধ্যে রয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এই সর্দি কাশি এমনভাবে ঘিরে ধরেছে আমাদের শরীরে তা বলা বাহুল্য। মূলত এই সর্দি কাশি দূর করার জন্য কি কি ওষুধ খাওয়া উচিত তা আজকে আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। কিছু ওষুধ রয়েছে যা সর্দি কাশি উপশমে অনেকটা আরাম মিলবে। যেমন-
প্যারাসিটামলঃ শরীরের জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে বলেন ডাক্তারেরা। তবে প্যারাসিটামল সেবন করার পাশাপাশি অন্য কোন ব্যথার ওষুধ বা কফ সিরাপ অথবা সর্দি কাশির হারবাল ঔষধ সেবনের দিকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
কারণ এসবের অনেকগুলো প্যারাসিটামল থাকে ফলে নিরাপদ মাত্রা হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল সেবন করলে তা উপকারের চেয়ে ক্ষতির দিকে যেতে পারে তাই অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।
নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ড্রপঃ এগুলোকে বলা হয় ন্যাসাল ডিকনজেসট্যান্ট। এই ধরনের ড্রপ নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া উপশম করতে ব্যবহার করা হয়। তবে খেয়াল রাখবেন একটানা এক সপ্তাহ বেশি ব্যবহার করা যাবে না। তাতে নাক বন্ধ হয়ে সমস্যা আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদি আপনার এক সপ্তাহের মধ্যে এই ড্রপগুলো ব্যবহার করে উপশম না পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। যে সকল শিশুর বয়স ছয় বছরের কম তারা এই ড্রপগুলো ব্যবহার করবেন না। আর যাদের ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু রয়েছে।
কফ সিরাপঃ যদি আপনার অতিরিক্ত কাশি ও সর্দি হয়ে থাকে তাহলে কফ সিরাপ খেতে পারেন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।
অ্যান্টিহিস্টামিনঃ নাক দিয়ে পানি পড়া এবং অনেক বেশি হাসি কমানোর জন্য ডাক্তারেরা এন্টিহিস্টামিন ওষুধ সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এগুলো আবার কারো কারো কাছে এলার্জির ওষুধ হিসেবেও পরিচিত রয়েছে।
অতিরিক্ত কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়
আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল অতিরিক্ত কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। তবে এই বিষয়টি জানার আগে কাজ কেন হয় এ বিষয়টি জানা জরুরী। কাশি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে অনেক সময় দেখা যায় ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে কিংবা যক্ষা নিউমোনিয়া ইত্যাদির কারণে কাশি হয়ে থাকে।
তবে যদি আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে কাশি হয় বা দীর্ঘদিন ধরে কাশি হয়ে থাকে তাহলে বুকে ব্যাথা সহ আপনার শ্বাসকষ্ট জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পারে। তাই কখনোই কাশিকে অবহেলা না করে দ্রুত এর প্রতিকার করার চেষ্টা করুন। এই কারণগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে কাশি হয়ে থাকে।
যেমন সাইনাসের সমস্যা থেকে নাকের প্রধান কারণে কাশি হতে পারে। আবার অতিরিক্ত ধূমপানের কারণেও খুসখুসে কাশি হতে পারে তাই যে সকল ব্যক্তিরা ধূমপান করেন তারা ধূমপান এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। আসুন তাহলে এবার জেনে নেয়া যাক কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে কাশি দূর করবেন।
আদাঃ যদি আপনার অতিরিক্ত কাশি হয় তাহলে আদা টুকরো টুকরো করে কেটে এর সঙ্গে লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর পর খেতে থাকুন। আশা করি এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার কাশি খুব সহজেই দূর করা সম্ভব। এছাড়াও আপনি চাইলে আদা এবং চা করে খেলেও কাশি দূর করতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
মধুঃ এছাড়াও আপনার কাশি দূর করার জন্য মধু খেতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে এডগ্লাস কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ মধু এবং অর্ধেক লেবুর রস এবং সামান্য আদার রস মিশ্রণ করে প্রতিদিন এক থেকে দুইবার খেলে আপনার কফ ও গলা ব্যাথা সেরে যাবে। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিদিন করে খেলে কাশি থেকে উপশম পাওয়া যাবে।
এক চামচ মধু মিশ্রণ করে দিনে তিনবার খেলেও এই কাশি থেকে অনেকটা আরাম পাওয়া যাবে। পাশাপাশি হালকা কুসুম গরম পানিতে এক চামচ গোল মরিচের গুঁড়া এবং এক চামচ মধু মিশ্রণ দিনের মধ্যে দুইবার খেলে কাশি সেরে যাবে।
বাসক পাতাঃ এত তাড়াহুড়ো করতেছিলেনযদি আপনার অতিরিক্ত পরিমাণে কাশি হয় তাহলে বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি থেকে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে আপনার কাশি অনেকটা কমে যাবে। প্রতিদিন যদি আপনি সকাল সন্ধ্যা এই পানি দুই থেকে তিন দিন খেতে পারেন তাহলে আশা করা যায় অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এটি মূলত তেতো তাই তেতো ভাব কমাতে রসের সাথে সামান্য পরিমাণে চিনি মিশ্রণ করে খেতে পারেন আশা করি অনেক উপকার পাবেন।
দুধের সাথে হলুদের মিশ্রণঃ অতিরিক্ত কাশি কমানোর ঘরোয়া আরও একটি উপায় হল দুধ এবং হলুদ মিশ্রণ করে খাওয়া। এটি খেলে আপনার কাশি খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। হলুদ আমাদের সর্দি কাশি দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনারা চাইলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গার্গল করাঃ ছোট থেকেই আমরা দেখে আসছি অতিরিক্ত কাশি হলে হালকা কুসুম গরম পানি এবং লবণ মিশ্রণ করে গার্গল করা হয়ে থাকে। মূলত এই পদ্ধতিটা অত্যন্ত কার্যকারী বলেই এখন পর্যন্ত এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন। অতিরিক্ত পরিমাণে কাশি হলে হালকা কুসুম গরম পানি এবং এক চিমটি লবণ মিশ্রণ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট গার্গল করলে অনেক বেশি কাশি থেকে উপকার পাওয়া যায়।
তুলসী পাতাঃ অতিরিক্ত কাশি কমাতে তুলসী পাতা রস হতে পারে আপনার অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। তুলসী পাতার রস কয়েক ফোটা এবং মধু মিশ্রণ করে দুই থেকে তিনবার খেলে আপনার কাশি দূর হয়ে যাবে।
লবঙ্গঃ আমরা অনেকেই লবঙ্গ রান্নার কাজে ব্যবহার করি কিন্তু আমরা কয়জন জানি লবঙ্গ কাশি দূর করে? হ্যাঁ মুখের মধ্যে লবঙ্গ রেখে মাঝেমধ্যে একটু চাপ দিয়ে রস বের করে গিলে খেলে অনেক আরাম পাওয়া যায় পাশাপাশি জীবাণু দূর করতেও সাহায্য করে।
শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ
যদি আপনার দীর্ঘস্থায়ী এই স্বপ্ন কাশি হয় তাহলে এটি সাধারণত সিগারেটের ধোঁয়া, এলার্জি পরিবেশগত বিরক্তি কর হাঁপানি সহ আর নানা ধরনের কারণে শুষ্ক কাশে হয়ে থাকে। মূলত বিভিন্ন ধরনের কাশি রয়েছে যা আপনার গলার ভাইরাল সংক্রমণের কারণ হতে পারে। আজকে আমি শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ এই বিষয়টি সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা সকলেই এ বিষয়টি সঠিকভাবে জেনে নিবেন।
হাঁপানিঃ এটি এমন একটি সমস্যা যেখানে শ্বাসনালী ফুলে যাওয়া এবং শুরু হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। শুধু তাই নয় এই ধরনের হাঁপানি হল প্রধান লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী সুস্থ কাশি অন্তর্ভুক্ত। তাই আপনারা এ লক্ষণ বুঝতে পারলে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। এগুলো ছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন-
- গলার চুলকানি
- রাতে কাশি বেড়ে যাওয়া।
- দীর্ঘদিনের কাশি (৩ সপ্তাহের বেশি)।
- শ্বাসকষ্ট বা বুকে চাপ অনুভূত হওয়া।
চিকিৎসা ও পরামর্শঃ যদি আপনার শুকনো কাশি অল্পতেই সেরে না উঠে কিংবা এর সাথে জ্বর বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ যদি আপনার দীর্ঘস্থায়ী এ সমস্যা হয়ে যায় তাহলে আপনার ফুসফুসের গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দেখা দিতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা হওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
রাতে কাশি কমানোর উপায়
আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে জ্বর ঠান্ডায় অনেক মানুষই ভুগছেন। কয়েকদিনের মধ্যে সর্দি কাশি কমে গেলেও কাশি কিছুতেই কমে না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় অনেক বেশি কাশি হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের ব্যাঘাত ঘটে। অনেক সময় কাশির সিরাপ খেয়েও কোন রকম কাজ হয় না। এই কারণে কাশি কমাতে বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ভাষা পেতে পারেন কিছু ঘরোয়া সমাধানের ওপর।
গরম পানি ও লবণঃ হালকা কুসুম গরম পানি এবং এক চিমটি লবন মিশ্রণ করে কুলিকুচি করতে পারলে আপনার অনেকটাই কাশি কমে যাবে। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে স্যুপ এবং ভেষজ চা করেও খেতে পারেন। এতে করে আপনার গলার জালা অনেকটা কমাতে সাহায্য করবে এবং শুকনো কাশি কমাতেও সহায়তা করবে।
যষ্টিমধুঃ আপনার শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে এবং সর্দি কাশি কমাতে অত্যন্ত উপকারী এই যষ্টিমধু। এটি খাওয়ার ফলে আপনার সর্দি কাশি খুব নিমিষেই দূর হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি মধু আপনার গলা ব্যথা এবং গলা জ্বালা উপশম করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। পেতে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি মাইক্রোবিয়াল গুন ভাইরাসজনিত সংক্রমণ দূরে রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
পুদিনা পাতাঃ প্রাচীনকাল থেকেই পুদিনা পাতার বিভিন্ন ঔষুধি গুনাগুন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মূলত এটি গলার অস্বস্তিক কমায় এবং শুষ্ক কাশির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনারা চাইলে পুদিনা পাতা দিয়ে খেতে পারেন আশা করি অনেকটাই উপকার পাবেন।
কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না
কাশি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও এটি সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কাশি হলে কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা জরুরি, কারণ এগুলো কাশির তীব্রতা বাড়াতে পারে। নিচে কাশি হলে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলা উচিত তা উল্লেখ করা হলো।
ঠান্ডা ও বরফজাতীয় খাবারঃ কাশি হলে ঠান্ডা খাবার যেমন আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস, এবং ঠান্ডা পানি থেকে দূরে থাকা ভালো। এগুলো গলার সমস্যা বাড়াতে পারে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবারঃ তৈলাক্ত এবং ভাজাপোড়া খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এর ফলে কাশি আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
দুগ্ধজাত পণ্যঃ দুগ্ধজাত পণ্য যেমন দুধ, মাখন এবং চিজ শ্লেষ্মা বা কফের পরিমাণ বাড়াতে পারে। কাশি হলে এগুলো এড়িয়ে চলা ভালো।
অতিরিক্ত মসলা বা ঝালযুক্ত খাবারঃ ঝাল ও মসলাদার খাবার গলা ও শ্বাসনালীতে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই কাশি হলে কম মসলা ও হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয়ঃ অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার যেমন ক্যান্ডি, চকোলেট, এবং মিষ্টি পানীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করতে পারে এবং কাশির সমস্যা বাড়াতে পারে।
লেখকের মন্তব্যঃ অতিরিক্ত কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠক আশা করি অতিরিক্ত কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছে। কাশি হলে স্বাস্থ্যসম্মত ও হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। আদা চা, মধু-মিশ্রিত গরম পানি, এবং ভেষজ পানীয় এই সময়ে উপকারী। সঠিক খাদ্যাভ্যাস কাশির তীব্রতা কমিয়ে আপনাকে দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়তা করবে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url