এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়?
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়? এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান? যদি আপনারা এ বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেল A to Z পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা খুব সহজেই অলিভ অয়েল কিভাবে চুলের ব্যবহার করা যায় তা সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
অনেকেই রয়েছে যারা চুলের যত্নের জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন। তবে তৈলাক্ত ত্বকে অলিভ অয়েলের ব্যবহার এবং কোন অলিভ অয়েল চুলের জন্য ভালো আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না। তাই এই আর্টিকেলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ রইল।
ভূমিকা
চুলের যত্নে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাজারে সব ধরনের প্রোডাক্ট চুলের যত্নের জন্য একদমই উপযুক্ত নন। তাই বাজারের সব জিনিস ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকা প্রয়োজন। চুল ভালো করার জন্য আপনার অলিভ অয়েল অনেক বেশি উপকার দিয়ে থাকে। তাই এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়? বা চুলে ব্যবহার করলে কি উপকার পাওয়া যায় এবং তৈলাক্ত ত্বকে অলিভ অয়েলের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যারা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই আর্টিকেলটি একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ত্বকে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা
অলিভ অয়েল তেল বা জলপাইয়ের তেল ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। সাধারণত তাকে নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা দূর করতে এবং মুখে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনারা যারা ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে উপকার পেতে চান তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কারণ এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে ত্বকে অলিভ ওয়েল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি আপনাদের জন্য এই বিষয়টি অনেক উপকৃত হতে চলেছে।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে অ্যালোভেরা প্যাক
বয়সের চাপ দূর করতেঃ সময়ের সাথে সাথে মুখ ও শরীরে বয়সের ছাপ পড়া স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। তবে তার সঙ্গে যুক্ত হয় পরিবেশ দূষণ মানসিক চাপ এবং অন্যান্য কারণও। আর এই ধরনের সমস্যায় অলিভ অয়েল অনেক বেশি কার্যকর।
কারণ এই অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেলে রয়েছে পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বয়স্ক হওয়ার জন্য দায়ী ফ্রি রেডিকেল তৈরি হতে দেয় না ফলে দীর্ঘদিন ত্বক অনেক ভালো থাকে এবং সূর্যের আলো থেকেও ত্বক সুরক্ষা রাখতেও সাহায্য করে।
ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতেঃ যদি আমাদের ত্বকে পানির পরিমাণ কমে যায় তখন ত্বক রুক্ষ হতে শুরু করে তাই নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে এই ঘাটটির আশঙ্কা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। অলিভ অয়েল তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ই এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি ও কে থাকে।
ফলে ত্বকের সবচেয়ে সমবেদনশীল অংশকেও সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই আপনারা চাইলে এটি সরাসরি মশ্চারাইজার হিসেবে কিংবা ক্রিমের সঙ্গে মিশ্রণ করে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
ত্বক পরিষ্কার রাখতেঃ প্রতিনিয়ত ত্বককে পরিষ্কার রাখতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। তবে অলিভ অয়েল সেই নিয়মিত কাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। মুখ থেকে মেকআপ কিংবা সানস্ক্রিন ক্রিম তোলার ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল তেলটি অনেক বেশি কার্যকরী।
মেকআপ তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের বাজারের সামগ্রী পাওয়া গেলেও এগুলো মুখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তবে অলিভ অয়েল সরাসরি মুখে ব্যবহার করলে তবে কোনরকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই এটি আপনি ত্বক পরিষ্কার রাখতে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু ঠিক করতেঃ যদি আপনার কনুই কিংবা হাটু সিলেট চামড়া উঠে যায় বা কোন আঘাতে অনেক বেশি ক্ষত হয়ে যায় তাহলে অলিভ অয়েল তেল মালিশ করুন। এটা আপনার অনেক বেশি উপকারে আসবে। শুধু তাই নয় মুখে ব্রণ দূর করতেও বিশেষভাবে ভূমিকা। তাই আপনারা চাইলে এই অলিভ অয়েল ত্বকের উপকারের জন্য নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে পারেন।
মুখের সজীবতায়ঃ আমাদের ত্বকের অন্যতম উপাদান হলো কোলাজেন। আর এই কোলাজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে অলিভ অয়েল। শুধু তাই নয় বেঁচে থাকা অলীক এসিড তবে নতুন কোষ জন্মাতেও অনেক বেশি সাহায্য করে ফলে মুখ করে তোলে অনেক বেশি নরম এবং মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়
চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর মধ্যে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল একটি বহুল ব্যবহৃত এবং কার্যকর উপাদান। এটি ত্বক ও চুলের যত্নে বেশ কার্যকরী। বিশেষত, চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এই তেলটি অনেক বেশি সাহায্য করে। অনেকেই জানতে চান, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়? হ্যাঁ, এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কার্যকর।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হল খাঁটি ও প্রাকৃতিক তেল, যা ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। চুলের জন্য এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে, যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, খুশকি দূর করে এবং শুষ্কতা কমায়। নিয়মিত এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে চুল হয়ে ওঠে অনেক কোমল ও মসৃণ। এছাড়াও এটি একটি ব্যবহারের ফলে-
আরো পড়ুনঃ ছেলেদের চুলের যত্নে অ্যালোভেরা
চুলের গোড়া মজবুত করেঃ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, যা চুলের গোড়া শক্তিশালী করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এটি চুলের ফলিকলগুলোতে পুষ্টি জোগায় এবং চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।
খুশকি দূর করতে সাহায্য করেঃ অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি খুশকি দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়া পরিষ্কার থাকে এবং খুশকির সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।
শুষ্কতা দূর করে এবং ময়েশ্চার যোগাযঃ চুল যদি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়, তবে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল দারুণ কাজ করে। এটি চুলে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে।
চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করেঃ এই তেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করতে সাহায্য করে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে।
উজ্জ্বলতা বাড়ায়ঃ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে। শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলে এটি একটি লেয়ার তৈরি করে, যা চুলকে ঝলমলে দেখায়।
ডগা ফাটার সমস্যা সমাধানে সাহায্য করেঃ ডগা ফাটা চুলের একটি সাধারণ সমস্যা। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চুলের প্রান্তগুলোকে পুষ্টি জোগায় এবং ডগা ফাটার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
তাপ থেকে সুরক্ষা দেয়ঃ চুলে অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং বা রোদে দীর্ঘক্ষণ থাকার কারণে ক্ষতি হয়। এই তেল চুলের জন্য প্রাকৃতিক প্রোটেক্টিভ লেয়ার হিসেবে কাজ করে, যা চুলকে তাপজনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহারের জন্য কয়েকটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। আপনি এটি সরাসরি চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে পারেন বা অন্যান্য উপাদানের সাথে মিশিয়ে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। আশা করি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায় এবং কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা সম্পূর্ণ সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
তৈলাক্ত ত্বকে অলিভ অয়েলের ব্যবহার
তৈলাক্ত ত্বক মানেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। সারাদিন নাকের দুপাশে কিংবা কপালে ভাব থেকেই যায়। তার ওপর আবার তাকে ব্রণ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। যদি ত্বক তৈলাক্ত হয় তাহলে আলাদাভাবে তেল মাখার প্রয়োজন হয় না তবে অনেক সময় তেল ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বলেছেন যদি তকে বেশি উপকার পেতে চান তাহলে অবশ্যই অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তেল যা টেইলাক্ত ভাব দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
তৈলাক্ত ত্বকে অলিভ অয়েলের ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে নিচের দিক অনুসরণ করতে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে জেনে নিন।
অলিভ অয়েল ও মধুঃ প্রথমত আপনাকে তোকে তেলাক্ত দূর করার জন্য একটি পাত্রে এক চামচ অলিভ অয়েল ও মধু একসঙ্গে মিশ্রণ করতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ করা প্যাকটুকু ১০ সেকেন্ড গরম করে নিতে হবে।
এরপর ব্রাশ কিংবা হাত ব্যবহার করে পুরো মুখ হয়ে ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে মিনিমাম দশ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর নরম তোলে দিয়ে আলতো করে মুখ মুছে নিতে হবে।
অলিভ অয়েল ও লেবুর রসঃ প্রথমত আপনাকে হাফ চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর পরিষ্কার ত্বকে ৫ থেকে ৭ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
এভাবে সপ্তাহে দুইবার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারলে আশা করি আপনার ত্বকের কালচে দাগ সব এবং ব্রণের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। এমনকি রোদে পোড়া ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতেও সাহায্য করবে।
কোন অলিভ অয়েল চুলের জন্য ভালো
চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়। এটি চুলের পুষ্টি জোগায়, মসৃণতা বৃদ্ধি করে এবং স্কাল্পের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু বাজারে অনেক ধরনের অলিভ অয়েল থাকায়, সঠিকটি বেছে নেওয়া অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তাই, এই আর্টিকেলে আমরা জানব কোন অলিভ অয়েল চুলের জন্য ভালো।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল (Extra Virgin Olive Oil) চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো। কারণ এটি ঠাণ্ডা প্রেস পদ্ধতিতে তৈরি হয়, যা তেলের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ রাখে। এটি ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা চুলকে গভীর থেকে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। যদি আপনি আরও ভালো ফল পেতে চান তাহলে, এমন অলিভ অয়েল বেছে নিন যা ১০০% বিশুদ্ধ এবং কোন কেমিক্যাল বা অ্যাডিটিভ মুক্ত।
তবে আশা করা যায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেলটি আপনার চুলের জন্য অনেক বেশি ভালো। এটি স্কাল্পের রুক্ষতা কমায়, খুশকি দূর করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। তবে আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে সেরা ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
মাঝেমধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা চুলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে চান কিন্তু কিভাবে ব্যবহার করবে তার সঠিক নিয়ম জানেন না। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে চলে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ বিষয়টুকু পড়লে সঠিকভাবে ব্যবহারের নিয়ম জেনে যাবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নিন।
চুলে তেল দেওয়াঃ অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল হালকা কুসুম গরম করে নিতে হবে। তারপর আপনার চুল কয়েক ভাগে ভাগ করে মাথার ত্বকে আলতোভাবে তেল মালিশ করতে হবে। এভাবে করলে আপনার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। সারারাত মাথায় ক্যাপ পেচিয়ে এভাবে রেখে দিন এবং সকালে উঠে শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে ফেলুন। আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।
ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্টঃ এটা আপনার চুল গভীর থেকে কণ্ঠশিল করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই প্রথমে আপনাকে কুসুম গরম তেল ব্যবহার করতে হবে ১০ থেকে ২০ মিনিট এরপর অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করার পরিবর্তে কন্ডিশনার কিংবা পাতলা কোন তেলের সাথে এইটেল মিশ্রণ করে সহজেই মাথায় ব্যবহার করতে পারবেন। এতে ডিপ কন্ডিশনারের কাজ করে।
আগা ফাটার সমাধানঃ যদি আপনার চুলে আগা ফাটা কমাতে চান তাহলে কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল নিয়ে ঘষে গরম করে নিন এরপর আলতোভাবে চুলের আগায় ব্যবহার করুন আশা করি আপনার চুলের আগাটা খুব সহজেই কমে যাবে।
রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
যদি আপনারা রাতে অলিভ অয়েল সঠিকভাবে ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল এর অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম অনেকেই জানেন না যার কারণে সঠিকভাবে ব্যবহার না করার কারণে ভালো ফলাফল পায় না।
পাঠক রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে প্রথমত ঘুমানোর আগে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করতে হবে এরপর সামান্য অলিভ অয়েল বা জলবায় তেল মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিতে হবে। এতে করে আপনার ত্বক কোমল ও মসৃণ হয়ে পড়বে। আশা করি আপনি সঠিকভাবে এই বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্যঃ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়
প্রিয় পাঠক আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল কি চুলে ব্যবহার করা যায়? এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা যারা এ বিষয়টি পড়ে উপকৃত হয়েছেন তারা অবশ্যই নিজের মন্তব্য মাধ্যমে কমেন্ট করে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি আপনার বন্ধুদের মাঝে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এরকম আরো আর্টিকেল পেতে অবশ্যই নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url