তেঁতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সকল তথ্য জানুন

তেঁতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত সকল বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, তেঁতুল বিচির উপকারিতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন তেঁতুল বিচি গুড়া খাওয়া সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
তেঁতুল-বিচির-পাউডার-খাওয়ার-নিয়ম-সম্পর্কে-সকল-তথ্য-জানুন
তেঁতুল চিনে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। কারণ পুরনো সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তেঁতুলের ব্যবহার প্রায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খাবারে আমরা করে থাকি। কিন্তু তেঁতুলের বিচির পরিচিতি এবং ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। তাই আজকের পোস্টে তেঁতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

তেঁতুলের বিচি সাধারণত সরাসরি ভাবে মানুষের মধ্যে এত বেশি পরিচিত নয়, তবে এর পুষ্টিকর গুনাগুন এবং ব্যবহার সত্যিই উল্লেখযোগ্য। তেঁতুলের বিচি বিভিন্ন ধরনের রান্নায়, খাদ্য প্রস্তুতিতে এবং স্বাস্থ্যকর একটি উপাদান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো, তেঁতুলের বিচির পুষ্টিগুণ, তেতুল বিচির উপকারিতা, তেঁতুল বীজ চূর্ণ করার নিয়ম, তেঁতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম, তেঁতুলের বিচির অপকারিতা, তেতুল বীজ চূর্ণ দাম এর বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত সব ধরনের তথ্য সমূহ।

তেঁতুলের বিচির পুষ্টিগুণ

তেতুল বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল যার শুধু নিজস্ব স্বাদের জন্য নয়, তার বহুবিধ ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যগণের জন্য বেশ পরিচিত। তেতুলের বিচি যাকে তেঁতুলের অন্যতম অংশ হিসেবে ধরা হয় সেটিও যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে, যা আমরা অনেকেই জানিনা।


তেঁতুলের বিচি সাধারণত পুষ্টির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় এবং খাদ্য প্রস্তুতিতে বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত হয়। তেতুলের বিচি থেকে স্বাস্থ্যকর উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বাংলাদেশের প্রয়োজন মেটাতে এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদার কথা বিবেচনা করে ভারত থেকে তেঁতুলের বিচি আমদানির এই উদ্যোগটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এটি স্থানীয় কৃষকদের এবং ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। তেঁতুলের বিচি আমদানির ফলেই জানা যাচ্ছে এর বাজারের চাহিদা সম্পর্কে। তাছাড়া দেশীয় উৎপাদনের সাথে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় উৎপাদন ফুরিয়ে যাচ্ছে বা চাহিদা মেটাতে পারছে না বিধায় অন্য দেশ থেকে আমদানির দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে।

তেঁতুল বিচির উপকারিতা

তেঁতুল বীজের ব্যবহার এবং ভিন্ন ভিন্ন উপকারিতা প্রমাণ করে তেঁতুলের বিচি বা বীজ একটি বহুমুখী উপাদান। এটি বিভিন্ন ধরণের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর রয়েছে নানান রকমের উপকারিতা। নিম্নে তেঁতুল বিচির উপকারিতা সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।

চিকিৎসায় ব্যবহারঃ তেঁতুলের বীজ ইউনানী আয়ুর্বেদ হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি ঔষধি গুণাবলীর কারণে বিশেষভাবে মূল্যবান একটি উপাদান।

পাকস্থলী এবং গলব্লাডারের স্বাস্থ্যঃ তেঁতুলের বীজ পাকস্থলীর গোলযোগ লিভার এবং গলব্লাডারের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। গর্ভকালীন বমি ভাব ও মাথা ঘোরা সমস্যায়ও এটি সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও তেঁতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম মেনে সেবন করলে এর উপকারিতা ভালোভাবে পাওয়া যায়।


পাটকল ও কাপড়ের মিলে রং করার জন্যঃ তেঁতুলের বীজের রং টেকসই করার গুণের জন্য এটি ড্রাইভিং ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি সুতার রং কে টেকসই করার জন্য বুবু কাল থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে।

শুষ্ক চোখের চিকিৎসাঃ শুষ্ক চোখের জন্য তৈরি করা ড্রপে তেঁতুলের বিল ব্যবহার হয় যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

ফ্যাটি অ্যাসিডঃ তেঁতুলের বীজে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স সেটি এসিডের উপস্থিতি মস্তিষ্কের উন্নতির জন্য সহায়ক। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

মশার কয়েলঃ তেঁতুলের বিষ কে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে মশার কয়েল তৈরি করা হয় যা মশা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।

আঠা তৈরিঃ গরম পানিতে তেঁতুলের বীজ ফুটিয়ে এক ধরনের আঠা তৈরি করা হয়, যা ছবি আঁকার মত শিল্পকর্মে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

তেঁতুল বীজ চূর্ণ করার নিয়ম

তেঁতুল এর বীজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি। তেঁতুল এর বিচি বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করার যোগ্য। তার মধ্যে তেঁতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম সবথেকে সহজ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তেঁতুল এর বীজ কে করে ব্যবহার করতে দেখা যায়। তেঁতুল এর বীজ চূর্ণ করার পদ্ধতিটি খুবই সহজ রকমের একটি প্রক্রিয়া।

বিশেষ করে নানা রকমের নিয়মিত শারীরিক সমস্যা বা রোগ গুলোকে আমাদের স্বাস্থ্যের পথ থেকে দূরে রাখতে তেঁতুলের বীজ এর চূর্ণ করা পাউডারটি অনেক ভাবে কাজে লাগে। তেতুল এর বীজ এর গুড়া সেবনের ফলে মানবদেহের ক্লান্তি বা অবসাদ ভাব এবং দুর্বলতা থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব। তেঁতুলের বীজ খাওয়ার পরে সংযুক্তভাবে বীর্যারোহণ এর সমস্যা দূর হয় এবং যৌন ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে।

তাছাড়াও তেঁতুলের বিষ খাওয়ার ফলে এ জাতীয় অন্যান্য সমস্যা দূর হওয়ার সাথে গর্ভধারণের ফলপ্রসূ ভাবে উৎপাদন বাড়ে। তাই দৈনন্দিন জীবনকে জটিলতা থেকে মুক্ত রাখতে এবং সহজ করে তুলতে তেতুল্য করে ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা রাখা ভালো। এর জন্য প্রথমে কিভাবে তেতুলের বীজ চূর্ণ করতে হয় তার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। নিম্নে তেতুল এর বীজ গুড়া খাওয়ার জন্য এই বীজের চুনা করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলা হলো।

  • তেঁতুলের বীজকে চূর্ণ করার জন্য তেতুল থেকে এর বীজকে ছাড়িয়ে নিতে হবে।
  • গুলোকে ছাড়িয়ে নেয়ার পর ভালোমতো পরিষ্কার করে আলাদা একটি পাত্রে শুকানোর জন্য রাখতে হবে।
  • তেতুলগুলো শুকিয়ে গেলে শীল পাটার মাধ্যমে বীজগুলোকে বেটে কিংবা গ্রাইন্ডার মেশিন এর সাহায্য বীজগুলোকে গুড়া করে নিতে হবে। এতে বুঝাই যায় তেঁতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম কতটা সহজ।
  • তেতুলের বীজগুলো ভালোমতো গুড়ো হয়ে গেলে এদিকে একটি কন্টেইনার বাক্সের মধ্যে ভোরে সংরক্ষণ করে রেখে দিতে হবে।
  • পরবর্তীতে যখন তেতুলের বীজ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা পড়বে তখন সেই কন্টেইনার থেকে তেতুলের বীজের গুড়াগুলো বের করে সরাসরি পানিতে ঘুলিয়ে খাওয়া সম্ভব।

তেঁতুলের বিচির অপকারিতা

তেঁতুল এবং তেঁতুলের বিচি, উভয় প্রসঙ্গই আকর্ষণীয় এক প্রকারের প্রসঙ্গ। সাধারণত যে কোন বিষয়ে বিশেষ করে খাদ্য উপাদানের ব্যাপারে লোকজনের উপকারিতা সম্পর্কে বেশি ধারণা রাখে। তবে তেঁতুলের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি কিছুটা তদ্বিপরীত। অর্থাৎ তেঁতুল এর কিংবা তেতুল বিচির উপকারিতা গুলোর তুলনায় অপকারিতা নিয়ে লোকজনের মধ্যে ভীতি বেশি দেখা যায়।

তবে এ ব্যাপারটি উপেক্ষা করার মত কোন বিষয় নয়। যেহেতু প্রত্যেকটা জিনিসের উপকারিতা এবং অপকারিতা উঠা বিশিষ্ট গুণাবলী থাকে। তাই তেতুলের ক্ষেত্রেও এর ভালো এবং খারাপ দিক উভয় রয়েছে। তেতুল এর বীজ এর উপকারিতার দিক থেকে সরে এসে তেতুল এর বীজ এর অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে ছোট করে তুলে ধরা হলো।

  • তেঁতুলের অপকারিতার মধ্যে অন্যতম হলো এলার্জি বা চুলকানি জাতীয় সমস্যা। তেতুল এর সেবন যখন পরিমাণের চেয়ে অধিক হয়ে যায় তখন এর জন্য শরীরে নানা রকম এলার্জি এর উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে। তবে তেতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করলে এই অপকারিতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
  • তেতুল একটি এসিড জাতীয় উপাদান সমৃদ্ধ হাওয়ায় তেঁতুলের সেবনে পরিমাণের আধিক্য থাকলে এতে শরীরে এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। ফলে নানা রকম ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে পারে।
  • পরিমাণের চেয়ে বেশি তেতুল খাওয়ার ফলে এটি পিত্ত কোষে শিলা কিংবা পাথরের উপস্থিতি ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে।
  • তাছাড়াও তেঁতুল অনিয়মের সেগুন করার ফলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা বা উপদ্রব দেখা দিতে পারে।
  • বিশেষ করে কোন আহার সেবন না করেই খালি পেটে তেঁতুল সেবনের ফলে শারীরিকভাবে জটিলতার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
  • অতিরিক্ত তেতুল খেলে দাঁত এর বিচ্যুতি বা ক্ষয় এর সমস্যা হতে পারে। যেহেতু তেতুল একটি এসিড জাতীয় উপাদানে সমৃদ্ধ ফল তাই এটি ঘন ঘন দাঁতের সংস্পর্শে এলে এর ক্ষতি হতে পারে।

তেঁতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম

এই আলোচনার মধ্যে ইতোমধ্যে আমরা তেঁতুলের বীজ পাউডার করে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। তবে এটি কিভাবে খেতে হয় সেই বিষয়ে সম্পর্কে অনেকেই নানা রকম বিভ্রান্তিতে থাকে। যখন আমাদের শরীরে দুর্বলতা ধেয়ে আসে এবং একই সাথে অরুচি হে প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন তৎক্ষণাৎ ভাবে আমাদের মাথায় টক জাতীয় কোন খাবারের নাম আসে।

এর মধ্যে লেবু, তেঁতুল এবং টক জাতীয় যেকোনো আচারে আমাদেরকে এই অরুচি থেকে দূরে টেনে নিয়ে আসে। এমনকি আয়ুর্বেদিক তত্ত্ব অনুযায়ী বলা হয়ে থাকে যে, কাঁচা তেঁতুল এবং পাকা তেতুল উভয়ই আমাদের স্বাস্থ্যকে নিজের গুনাগুন গুলো নানা উপায়ে প্রদান করে থাকে।

তেঁতুলের সেবনে এবং নানা উপায় ব্যবহার করার মাধ্যমে এটি আমাদেরকে অনেকগুলো রোগ-ব্যধি এবং ছোট বড় নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। এগুলোর উপকারিতা গুলো ভোগ করার জন্য তেঁতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সংক্ষেপ আকারে কিছু কথা নিম্নে বলা হলো।

  • তেঁতুলের বিচি এর পাউডার খাওয়ার জন্য প্রথমেই এক পরিমাণ পানি নিতে হবে। এই পানিতে এক চা চামচ পরিমাণ তেঁতুল এর বীজ এর গুড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
  • পানিতে মেশানো এই তেঁতুলের গুঁড়ো সহ মিশ্রণটি খাওয়ার পূর্বে এক রাত ভিজতে দিতে হবে।
  • পরের দিন সকালে এটি পানিতে ভালোভাবে মিশে যাবে। তখন এটি ছেকে নিতে হবে। অর্থাৎ তেতুলের বীজ এর গুড়োর যা পানির নিচে জমবে তা আলাদাভাবে ছেকে ফেলে দিয়ে কেবল পানিটি রাখতে হবে।
  • এক রাত পানিতে থাকার পর সকালে এই তেঁতুলের বীজ মেশানো পানি অর্থাৎ তেঁতুলের বীজের নির্যাস সম্পন্ন পানি সেবন কঅরে নেয়ার যোগ্য হয়ে যায়।
  • খেয়াল রাখতে হবে প্রতিদিন যেন তেঁতুল এর বিচির গুড়ো ৩ গ্রাম হতে ৭ গ্রামের অধিক না হয়।
  • তাছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তেতুল এর বীজের গুড়ো অন্যত্র উপায় সেপন করা যাবে।

তেঁতুল বীজ চূর্ণ দাম

তেঁতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম জানা থাকলে এটি খাওয়ার আগ্রহ এবং প্রবণতা দুটিই বৃদ্ধি পায়। তেঁতুল এর বীজ এর গুড়া বাড়িতে তৈরি করে নেয়া একটি বেশ সহজতর প্রকৃতির প্রক্রিয়া। তবে বর্তমানে আমাদের সময় সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে যে কোন ছোটখাটো জিনিসে বাজার থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব।

একইভাবে বর্তমানে বাজারে তেঁতুলের বীজ অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। অনলাইনে কোন স্টোরে কিংবা সরাসরি সুপার সবগুলো থেকে প্রক্রিয়া কাজ করা তেতুলের বীজ কিংবা এর গুড়া সংগ্রহ করা হয়। এক্ষেত্রে তেঁতুল বীজের গুড়ো গুলো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম দামে পাওয়া যায়। তবে তেতুল এর বীজ গুড়োর দাম মূলত নির্ধারিত করা হয় এর পরিমাণের ভিত্তিতেই।

অর্থাৎ পরিমাণ কম বেশি হওয়ার সাথে তেঁতুলের বিচির পাউডারের দাম এর তারতম দেখা যায়। তাছাড়াও প্রস্তুতকারী ব্যক্তি এবং দোকান ভেদে এই বীজের গুড়োর দাম কম বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ১০০ গ্রাম তেঁতুলের বীজের গুঁড়োর দাম প্রায় ৯০ টাকা হয়ে থাকে। তবে সাধারণ ক্ষেত্রে বাজারে এটিকে ১৩০ টাকা দর পর্যন্ত বিক্রি করা হয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে তেতুল বিচির পাউডার খাওয়ার নিয়ম তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে তেঁতুল বীজ গুড়া করে খাওয়া সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url