ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত

ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, ওমানের ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৪ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন বাংলাদেশ ও ওমানের আর্থিক তারতম্যের সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
ওমানের-টাকার-মান-বাংলাদেশে-কত
ওমান এ গিয়ে কর্ম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান অনেকেই। যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেখানে অর্থ উপার্জন করাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য তাই এর মান সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। তাই আজকের পোস্টে ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

ভিনদেশে কর্মসংস্থানের সন্ধান করার মূল উদ্দেশ্যই হলো উন্নত মানের অর্থ উপার্জন করা। উপার্জিত এই অর্থগুলো নির্দেশে অর্থের তুলনায় বেশি মান বহন করলে তা প্রবাসী কর্মীর প্রবাস গমনের উদ্দেশ্যকে সংজ্ঞায়িত করবে। সেজন্যই আজকের পোষ্টে আমরা ওমান কোথায় অবস্থিত, ওমান কাজের ভিসা ২০২৪, ওমানের ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৪, ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৪, ওমানের টাকার মান ২০২৪, ওমানে কোন কাজের বেতন কত, ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত এবং ওমান যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সমূহ জানব।

ওমান কোথায় অবস্থিত

আরব অঞ্চল গুলোর একটি ক্ষুদ্র ভূতাত্ত্বিক দ্বীপের নাম ওমান। আরবের সমুদ্র বন্দর এলাকার দক্ষিণপূর্ব কর্ণ ঘেঁষে ওমান এর অবস্থান চিহ্নিত করা যায়। মূলত আরব অঞ্চল এর ক্ষুদ্রদীপ গুলো সমন্বিত অঞ্চল সমূহ ও পারস্য এর খাড়ি বা উদধি বরাবর দক্ষিণ পূর্ব কর্ণে ওমান দেশটির উপস্থিতি পাওয়া যায়।


এই দেশটি আসলে প্রান্তর অর্থাৎ মরু সমৃদ্ধ একটি দেশ। এই দেশের সাগর কিনারা বড়ই অদ্ভুত। এগুলো মরুর বালুর সাহায্যে নিজের আকৃতি নিয়ে গড়ে ওঠে। ওমান দেশটিতে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার রয়েছে এবং তারই সাথে এটি আরব মহাদেশের একটি অন্তর্ভুক্ত দেশ।

এ কারণে ওমান দেশটিকে আরেকভাবে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবেও বলা হয়। তবে এ রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে ইবাদী মুসলিম কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটা একটি ছোট মেরু দিয়ে সত্বেও প্রতিবছর মধ্যপ্রাচ্যের এই অঞ্চলটিতে কাজে সন্ধানে বহিরাগত দেশ থেকে অনেক মানুষের আনা-গোনা হয়ে থাকে।

ওমান কাজের ভিসা ২০২৪

ওমান দেশটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র মেরু এর দ্বীপ। ওমান দেশটি ছোট হলেও এখানে কাজের উদ্যোগ এবং বহিরাগত মুদ্রা এর গুরুত্বের কারণে বাইরের দেশ থেকে ওমানে কর্মীরা যেতে আগ্রহী হয়ে থাকে। ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত তার পরিপেক্ষিতে জনবল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশকে লাভবান করার সাথে পরিবারকে আর্থিক সচ্ছলতা প্রদান করার উদ্দেশ্যে এক বড় সংখ্যক ব্যক্তি বর্গ ওমান কিংবা ওমানের মত বিভিন্ন রকম বাইরের দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের খোঁজে থাকে। নিজ দেশে কাজ করার জন্য ব্যক্তি বা কর্মীর ভিসা এর প্রয়োজন পড়ে না।


তবে অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে আরেকটি দেশ এ অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করলে তাকে লিজার মাধ্যমে যাতায়াত এবং কর্মসন্ধানের নিয়ম বা শর্তাবলী সম্পন্ন করতে হয়। বর্তমানে ওমান সরকার কাজের জন্য চলতি বছরে নতুন কিছু কর্ম উদ্যোগ কিংবা কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে।

করোনা এর দুর্যোগ এর সময় থেকে শুরু করে ওমান অনেকগুলো দেশের জন্য তাদের ভিসা প্রদান করার কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। এর পরবর্তী সময় থেকে ক্রমে ক্রমে প্রায় অনেকবার বাংলাদেশের জন্য ওমানের ভিসা বন্ধ করা হয়। তবে চলতি বছরে ওমান সরকার কর্তৃক ভিসা সংক্রান্ত কিছু সুখবর জানা গিয়েছে।

শীঘ্রই আমাদের দেশের নাগরিকত্ব বহনকারী ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে ওমানের ভিসার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হতে যাচ্ছে। তবে এবার এক ধাপে সব ধরনের ভিসা এর কার্যক্রম শুরু হবে না। অর্থাৎ ওমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া ভ্রমণকারীদের উদ্দেশ্যে সব ধরনের ভিসার অনুমতি প্রদান করবে না। যতদূর পর্যন্ত জানা গিয়েছে, এইবার ওমান সরকার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাংলাদেশের জন্য বারো ধরন এর ভিস এর অনুমোদন দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ওমান সরকার ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জন্য যে ১২ রকমের ভিসার অনুমোদন দেয়ার সম্ভাবনা রেখেছেন সেগুলোর মধ্যে সরাসরি ওমান কাজের ভিসা এর নাম নেই। ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত এর ব্যাপারে জানায় বেশিরভাগ আগ্রহী কর্মী ওমানে কাজের ভিসা পেতে চান। তবে কিছু কিছু নির্দিষ্ট কাজের জন্য ওমান বাংলাদেশ নাগরিকদেরকে সে সকল উদ্দেশ্যে ভিসা প্রদান করবে বলে জানা গিয়েছে। সেগুলো নিম্নে দেয়া হলো।
  • ডাক্তার ভিসা
  • প্রকৌশলী বা কারিগরি ভিসা
  • নার্স ভিসা
  • শিক্ষক বা টিউটর ভিসা
  • হিসাব রক্ষক বা ফাইনান্স ভিসা
  • বিনিয়োগকারী বা ইনভেস্টর ভিসা।

ওমানের ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৪

আন্তর্জাতিক বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার গুরুত্ব প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে সামনের দিকে অগ্রসর করে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখে। ওমান দেশের মুদ্রাও বাংলাদেশ এর টাকাকে অনেক গুণে বিকশিত করে। ওমান এর অর্থ বা টাকাকে বলা হয় ওমানি রিয়াল। যেহেতু ওমানি রিয়াল বাংলাদেশের মুদ্রার ৩০০ গুণ মর্ম রাখে তাই এটি বাড়ন্ত সংখ্যার সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

তবে প্রতিবছর অর্থায়নের বিষয় এর উপর নির্ভর করে আপনার প্রতিটি দেশের মুদ্রার মান কম-বেশি হতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে একটি অররথায়নের সঙ্গে পরবর্তী অর্থবছরের একটি দেশের মুদ্রার মান এর মধ্যে মেল পাওয়া যায় না। তাই ওমানের ১০০ টাকা বাংলাদেশে কত টাকা ২০২৪ সালের অর্থায়নের হিসেবে পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী হিসেবের সাথে কিছুটা ভিন্নতা রেখে প্রমাণিত হতে পারে।

যেহেতু ওমানের টাকা ওমানি রিয়াল বা ও এম আর হিসেবে পরিচিত তাই হিসাবটি ক্ষেত্রে উচ্চারণ এই শব্দত্রয় এত প্রথম আক্ষরিক চিহ্নটি আসবে। অর্থাৎ ওমানের ১ টাকাকে সরাসরি বলা যেতে পারে এক ও এম আর। একইভাবে বললে ওমানের ১০০ টাকাকে বলতে হবে ১০০ ওএমআর। ওমানের ১০০ ওএমআর বাংলাদেশী অর্থের হিসেবে প্রায় ৩১ হাজার ৪৩ টাকার সমতুল্য। অর্থাৎ ওমানি ১০০ রিয়াল বাংলাদেশী ৩১ হাজার টাকার সমান।

ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৪

ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত তা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকে। এই প্রশ্নের ঘনত্ব থাকার কারণ হলো প্রতিবছরের অর্থনৈতিক ভাবে বৈদেশিক মুদ্রার মানের তারতম্যের কারণে। সাধারণত ওমান দেশটিতে প্রতিবছর প্রতিবেশী কিংবা দূরবর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক সংখ্যক জনশক্তি প্রবেশ করে থাকে। তবে চলতি সময়ের নিরিক্ষণে কিছু ব্যতিক্রমী অবস্থাও সামনে এসেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ওমান দেশটি নিজ ভূখণ্ড থেকে জনশক্তি অর্ণব খন্ড প্রবেশ করাতে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। এতে ওমান সহ পার্শ্ববর্তী সকল দেশগুলোর অর্থনৈতিক এবং সম্প্রীতি এর উন্নতি দেখা যাবে। ওমান নানান দেশের নাগরিকদের মধ্য হতে নিজ দেশের কর্মসংস্থানের জন্য কর্মী দের নিয়োগ দিয়ে থাকে।

জনশক্তি মাধ্যম কে প্রস্ফুটিত করার লক্ষ্যে প্রমাণ নিজ দেশের কারিগরসহ বহিরাগত সকল কারিগরদের কে নানান শাখাতে সমানভাবে সুযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করে। কিছু সময় পর্যন্ত ওমান এ বাংলাদেশের ভিসার কার্যক্রমের স্থগিত থাকলেও বর্তমানে ওমান বাংলাদেশ থেকে আমাদের দেশের দক্ষ শ্রমিক এবং কর্মীদের জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে।

সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, শীঘ্রই ওমান বাংলাদেশের কর্মীদের সাথে কর্মসংস্থান গুলোর অগ্রগতির জন্য এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত তা আমরা সামনে জানব। এর আগে ওমানে যাওয়ার বয়স সীমা সম্পর্কে আলোচনায় ফিরে আসা যাক। কূটনৈতিক এবং পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কাজে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশে নাগরিক ওমানে প্রবেশ করছে।

তবে এর জন্য একটি বয়স সীমা রয়েছে। যেহেতু ওমান আমাদের দেশের রেখাভুক্ত নয় তাই এটিতে পাড়ি দিতে কিছু নিয়মাবলী মেনে চলার প্রয়োজন হয়। ওমান এর মতো দেশগুলোতে দরকার একটি গণপ্রজাতন্ত্রী পাসপোর্ট এর। ওমান যাওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ১৮ বছর বয়সকে নির্ধারণ করা হয়েছে। কোন টুরিস্ট ভিসা বা ভ্রমণ ভিসার জন্য যেকোনো বাংলাদেশী ব্যক্তির ক্ষেত্রে সর্বনিম্নভাবে ১৮ বছর বয়স নির্ধারণ করা হয়।

তবে ওমানে কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ওমানে প্রবেশ করা হলে সেখানে ন্যূনতম ২০ বছর বয়স হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কেননা এই ভিসাতে অনেক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কর্মী কে প্রাধান্য দেয়া হয়। এ কারণেই অনন্ত ২০ হতে ২১ বছর বয়সী বাংলাদেশী নাগরিক ওমানে কাজের জন্য নেয়া ভিসার মাধ্যমিক প্রবেশ করতে পারবে না। তাই ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী ওমান যেতে ১৮ বছর বয়স লাগে।

ওমানে কোন কাজের বেতন কত

বাংলাদেশী যে সকল নাগরিক ওমান দেশটিতে কাজের ভিসায় কর্মব্যবস্থা মাধ্যমে নিয়োজিত রয়েছে, তারা সকলেই আমাদের দেশের রেমিটেন্সের মান বৃদ্ধিতে বড় একটি ভূমিকা রাখছেন। আমাদের দেশ থেকে প্রায় আট হতে নয় লাখ এর মতো কর্মী ওমানের ওয়ার্কপ্লেসে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এই বিরাট অংকের সংখ্যা থেকে নানান ব্যক্তি বা কর্মী নানাক ধরনের কাজে লিপ্ত আছে।

এ কাজ গুলোর প্রায় সবই ওমান সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কাজের মাধ্যম। এই দেশটিতে অন্যান্য দেশের মতো বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত তার পরিষ্কার ধারণা নিয়ে ওমানের কাজগুলোর বেতন সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝা যাবে। নিম্নে ওমানে কোন কাজের বেতন কত তার সম্পর্কে সংক্ষেপে বলা হলো।

বৈদ্যুতিক কর্ম ক্ষেত্রেঃ ইলেক্ট্রিক্যাল কর্ম ক্ষেত্রে এই দেশে একটি ভালো মানের অর্থ প্রদান করা হয়। কাজের চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ কর্মী হিসেবে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে প্রায় তিন শত রিয়াল বা ৯৩,১৩০.২০ টাকার মতো বাংলাদেশি টাকা প্রদান করা হয়।

নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রেঃ নির্মাণ কিংবা রাজমিস্ত্রি এর কাজে নিয়োগ কর্মী প্রাত্যহিক আয় হিসেবে প্রায় ১০ হতে ১২ ওমানি রিয়াল উপার্জন করতে পারেন। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩,১০০ হতে ৩,৭০০ টাকার সমতুল্য।

হোটেল কিংবা রেস্তোরার ক্ষেত্রেঃ এখানে বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষে বেতনের ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন ওমানে একজন শেফ এর বেতন প্রতি মাসের ভিত্তিতে প্রায় দু'শ হতে দু'শ পঞ্চাশ রিয়াল হতে পারে। আবার পরিষ্কার কর্মী বা সেবক হিসেবে নিয়োজিত হলে প্রতি মাসে প্রায় এক শত হতে দেড়শো ওমানি টাকা উপার্জন করতে পারে।

তাছাড়া সুপার শপ কিংবা বাগানের মত কাজগুলোতেও একই ধাঁচের বেতন পাওয়া যায়।

ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত

ওমানের টাকার রেট বাংলাদেশ এর ব্যক্তি বর্গের নিকট এক চাঞ্চল্যকর খবর। ওমান সহ আরবের অন্যান্য দেশ গুলোতে প্রতিবছর বাংলাদেশি নাগরিকদের কর্ম উদ্যোগ সহ নানা রকম কারণে যাওয়ার এক প্রবল বেগ দেখা যায়। কেননা আরবের প্রায় সবগুলো দেশেরই টাকার মান বাংলাদেশের রেমিট্যান্স এর জন্য ইতিবাচক প্রমাণিত হয়।

ওমানের টাকার উচ্চতার মানের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সহস্র প্রবাসী ওমানে প্রবেশ করে থাকে। এই প্রবাসীদের বেশিরভাগই কোন না কোন উপায় ও মানে অর্ধ উপার্জনের ব্যবস্থায় নিযুক্ত থাকে। ওমানের টাকা কে বা অর্থকে রিয়াল বা ওমানি রিয়াল বলা হয়ে থাকে।

সাধারণত ওমানের এক টাকা বা এক রিয়াল বাংলাদেশে এসে তিন শতাধিক এর বেশি মর্ম পেয়ে থাকে। অর্থাৎ ওমানের এক রিয়াল বাংলাদেশী টাকার পরিমাণে প্রায় ৩১২.২১ বাংলাদেশী টাকার সমতুল্য। হঠাৎ বাংলাদেশ এর টাকা সামনে ওমানের রিয়াল প্রায় তিন শতাধিক এরও বেশি টাকার অর্থ বহন করে।

ওমান যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের নাগরিকেরা নানান কারণে ওমানে যান। তবে এ সকল কারণের ভিত্তিতে ওমানে যাওয়ার খরচের মধ্যে তারতম্য দেখা যায়। অর্থাৎ ওমান যেতে কত টাকা লাগে তা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে ওমানে যাওয়ার জন্য ভিসার ক্যাটাগরি এর উপর। আবার ভিসা কোথা থেকে ইস্যু করানো হচ্ছে তার উপরেও এর খরচের ধারণা নির্ভর করছে।

সরকারি মাধ্যমে এবং দালালের মাধ্যমে ভিসা করানোর মধ্যে খরচ কমবেশি হয়ে থাকে। তবে ওমানে যাওয়ার জন্য যে টাকা খরচ হয় তা ওমানে কোন ব্যবস্থা সন্ধান করে খুব দ্রুত গতিতে উপার্জন করা সম্ভব। এর হিসেব বুঝতে ওমানের ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৪ এর বৈদেশিক মুদ্রার মানবন্টন দেখলেই বুঝা যাবে। ওমানে যেতে কত টাকা লাগে তা নিয়ে নিম্নে বিষয়গুলোকে বিভক্ত করে বলা হলো।
  • পড়াশোনার জন্য ওমানে যেতে হলে এই ক্যাটাগরির ভিসার উপরে ভ্রমণকারী ব্যক্তির ওমান যেতে খরচ হতে পারে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা হতে এক লাখ টাকা পর্যন্ত।
  • কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে ওমানে যেতে হলে প্রায় তিন লাখ টাকা হতে পাঁচ লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে।
  • আবার ভ্রমণ ভিসাতে কিংবা দর্শন ভিসার আবেদন করলে বাংলাদেশ থেকে ওমানে যেতে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা হতে আশি হাজার টাকার প্রয়োজন।
  • তাছাড়া ওমানে ফ্রি ভিসা এর মাধ্যমে প্রবেশ করতে হলে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা হতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার দরকার হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ওমানের টাকার মান বাংলাদেশে কত তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে ওমানের অর্থের মান সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url