অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী

অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, কম্পাইলার কাকে বলে এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন অনুবাদক প্রোগ্রামের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।

অনুবাদক-প্রোগ্রাম-হিসেবে-কম্পাইলার-বেশি-উপযোগী

সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং এর কাজ আলোচনা করতে গেলে অনুবাদক প্রোগ্রাম সম্পর্কে আমাদের ধারণার প্রয়োজন পড়ে। তাই আজকের পোস্টে অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

অনুবাদক প্রোগ্রাম হলো এমন একটি সফটওয়্যার যা উচ্চস্তরের ভাষাকে মেশিন ভাষায় রূপান্তর করে। কম্পাইলার এবং ইন্টারপ্রেটার এই দুই ধরনের অনুবাদক প্রোগ্রাম রয়েছে। প্রোগ্রামিং ভাষার কোডকে কার্যকর মেশিন ভাষায় রূপান্তর করা হলো অনুবাদক প্রোগ্রামের কাজ। প্রোগ্রামিং সঠিকভাবে কাজ করার জন্য এটি অপরিহার্য।আজকে আমরা, অনুবাদক প্রোগ্রাম কি, অনুবাদক প্রোগ্রাম কত প্রকার, কম্পাইলার কাকে বলে, অনুবাদক প্রোগ্রাম এর কাজ কি, অনুবাদক প্রোগ্রাম কেন প্রয়োজন, অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী, অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার এর অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

অনুবাদক প্রোগ্রাম কি

অনুবাদক প্রোগ্রাম হলো এমন একটি সফটওয়্যার যা উচ্চ-স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষাকে কম্পিউটারের নিম্ন-স্তরের মেশিন ভাষায় রূপান্তর করে। একটি প্রোগ্রাম যখন লেখা হয়, তখন এটি প্রায়শই মানুষের বোধগম্য ভাষায় থাকে। কম্পিউটার এটি সরাসরি বুঝতে পারে না। তাই এটি কম্পিউটারের জন্য পাঠযোগ্য ভাষায় রূপান্তরিত করতে অনুবাদক প্রোগ্রামের প্রয়োজন হয়।

অনুবাদক প্রোগ্রাম প্রধানত দুটি প্রকারের হয়: ইন্টারপ্রেটার এবং কম্পাইলার। ইন্টারপ্রেটার লাইন-বাই-লাইন কোড অনুবাদ করে, যেখানে কম্পাইলার পুরো কোড একবারে অনুবাদ করে। কম্পাইলার কাকে বলে? এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যা সোর্স কোড থেকে এক্সিকিউটেবল কোড তৈরি করে।উচ্চ-স্তরের ভাষা যেমন পিথন, জাভা বা সি-এর জন্য এই অনুবাদক প্রোগ্রাম অপরিহার্য।

এটি না থাকলে প্রোগ্রামিং করা যেমন অসম্ভব, তেমনি কম্পিউটারের সাথে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। অনুবাদক প্রোগ্রামের অন্যতম কাজ হলো প্রোগ্রামিংয়ের সময় ত্রুটি সনাক্ত করা এবং তা সংশোধন করার জন্য ডেভেলপারকে সহায়তা করা। অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী, কারণ এটি একইসাথে দ্রুত এবং নির্ভুল ফলাফল প্রদান করতে পারে।

অনুবাদক প্রোগ্রাম কত প্রকার

অনুবাদক প্রোগ্রাম প্রধানত দুই প্রকারের হয়ে থাকেঃ ইন্টারপ্রেটার এবং কম্পাইলার। এই দুই ধরনের প্রোগ্রামের কাজ প্রোগ্রামিং ভাষাকে মেশিন ভাষায় রূপান্তর করা হলেও তাদের প্রয়োজনীয়তা এবং কার্যপ্রণালীতে পার্থক্য রয়েছে।

ইন্টারপ্রেটারঃ ইন্টারপ্রেটার লাইন ধরে সোর্স কোড পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গেই এক্সিকিউট করে। এটি এক একটি লাইন সম্পন্ন করে পরবর্তী লাইনে যায়।কোডে কোনো ত্রুটি থাকলে এটি তৎক্ষণাৎ থেমে যায় এবং ত্রুটির তথ্য প্রদান করে। ইন্টারপ্রেটারের মাধ্যমে প্রোগ্রাম চালাতে সময় বেশি লাগে, কারণ এটি কোড প্রতিবার চালানোর সময় নতুন করে অনুবাদ করে। উদাহরণস্বরূপ, পিথনের মতো ভাষাগুলি সাধারণত ইন্টারপ্রেটার ব্যবহার করে।

কম্পাইলারঃ কম্পাইলার এমন একটি অনুবাদক প্রোগ্রাম, যা পুরো সোর্স কোড একবারে পড়ে এবং সেটিকে মেশিন কোডে রূপান্তর করে। কম্পাইলারের সাহায্যে এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরি করা হয়, যা বারবার চালানোর জন্য আলাদাভাবে অনুবাদ করার প্রয়োজন হয় না। এর ফলে প্রোগ্রামিংয়ের গতি বাড়ে এবং এক্সিকিউশন সময়ে কার্যক্ষমতা উন্নত হয়। ইন্টারপ্রেটার এবং কম্পাইলারের মধ্যে কার্যপ্রণালীর পার্থক্য থাকলেও, অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী। এর গতি এবং নির্ভুলতার কারণে এটি প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে অধিক ব্যবহৃত হয়।

কম্পাইলার কাকে বলে

কম্পাইলার হলো এমন একটি অনুবাদক প্রোগ্রাম যা উচ্চ-স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা সোর্স কোডকে একবারে মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত করে। এটি এমন একটি সফটওয়্যার, যা পুরো প্রোগ্রাম পরীক্ষা করে ত্রুটি শনাক্ত করে এবং সেগুলি সংশোধনের পর মেশিন কোডে রূপান্তর করে। মেশিন কোড হলো বাইনারি ফরম্যাট, যা কম্পিউটার সরাসরি বুঝতে পারে এবং কার্যকর করতে পারে।

কম্পাইলারের সাহায্যে তৈরি কোড এক্সিকিউটেবল ফাইল আকারে সংরক্ষিত হয়, যা পুনরায় চালানোর সময় অনুবাদের প্রয়োজন হয় না। কম্পাইলার অনুবাদক প্রোগ্রাম সোর্স কোডকে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে মেশিন কোডে রূপান্তর করে। এর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি কোড পরীক্ষার সময় ভুলগুলি চিহ্নিত করে এবং সংশোধনের জন্য ডেভেলপারকে নির্দেশনা দেয়।

উদাহরণস্বরূপ, সি, সি++, এবং জাভার মতো ভাষাগুলি কম্পাইলারের মাধ্যমে এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরি করতে পারে। কম্পাইলার সাধারণত দুটি ধাপে কাজ করে। প্রথম ধাপে সোর্স কোড ইন্টারমিডিয়েট ল্যাঙ্গুয়েজ বা মধ্যবর্তী কোডে রূপান্তরিত হয়। এরপর সেই মধ্যবর্তী কোড মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত হয়।

এই প্রক্রিয়াটি প্রোগ্রামিংকে আরও সহজ এবং দ্রুততর করে তোলে।অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী। কারণ এটি একবার অনুবাদ করা কোডকে পুনরায় ব্যবহার করার সুযোগ দেয়, যা সময় এবং প্রচেষ্টার সাশ্রয় করে। এটি প্রোগ্রাম এক্সিকিউট করার সময় উচ্চ কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করে।তবে কম্পাইলারের কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।

এটি কোড অনুবাদ করার আগে পুরো প্রোগ্রাম পড়ে, ফলে বড় কোড ফাইলের ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগে। তাছাড়া, ত্রুটি চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এটি পুরো প্রোগ্রামের অনুবাদ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ত্রুটির আউটপুট দেখায় না। তবুও, প্রোগ্রামিং জগতে কম্পাইলারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুবাদক প্রোগ্রাম এর কাজ কি

অনুবাদক প্রোগ্রাম হলো একটি সফটওয়্যার যা প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা কোডকে মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত করে, যাতে কম্পিউটার তা কার্যকরভাবে বুঝতে এবং চালাতে পারে। প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন সি, সি++, জাভা ইত্যাদি মানুষের জন্য সহজবোধ্য, কিন্তু কম্পিউটার এই ভাষাগুলি সরাসরি বুঝতে পারে না।অনুবাদক প্রোগ্রাম প্রোগ্রামার এবং কম্পিউটারের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যা কোডের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। সাধারণত, অনুবাদক প্রোগ্রাম তিনটি প্রধান কাজ করেঃ কোড অনুবাদ, ত্রুটি সনাক্তকরণ, এবং এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরি।

কোড অনুবাদঃ অনুবাদক প্রোগ্রামের প্রথম এবং প্রধান কাজ হলো উচ্চ-স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষার কোডকে কম্পিউটারের ভাষায়, অর্থাৎ মেশিন কোডে রূপান্তর করা। প্রোগ্রামার যখন একটি প্রোগ্রাম লেখেন, এটি মানুষের বোধগম্য, কিন্তু কম্পিউটার বুঝতে পারে না। এই কোডটিকে মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত করার জন্য অনুবাদক প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, কম্পাইলার কাকে বলে? এটি এমন একটি অনুবাদক প্রোগ্রাম, যা পুরো সোর্স কোড একবারে মেশিন কোডে রূপান্তর করে এবং এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরি করে যা কম্পিউটার পরে ব্যবহার করতে পারে।

ত্রুটি সনাক্তকরণঃ অনুবাদক প্রোগ্রাম ত্রুটি সনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোড লেখার সময় ত্রুটির জন্য যেমন সিনট্যাকটিক বা লজিক্যাল ভুল হতে পারে, অনুবাদক সেই ত্রুটিগুলি শনাক্ত করে এবং সংশোধনের জন্য প্রোগ্রামারকে বার্তা দেয়। কম্পাইলার এবং ইন্টারপ্রেটার উভয়ই ত্রুটি সনাক্ত করতে সক্ষম হলেও, কম্পাইলার ত্রুটি শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর, কারণ এটি কোডের সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ করে, এবং পুরো প্রোগ্রামটি পরীক্ষা করে।

এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরিঃ অনুবাদক প্রোগ্রামের একটি বিশেষ কাজ হলো এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরি করা। একবার কোড অনুবাদ হয়ে গেলে, কম্পাইলার বা অনুবাদক সেই কোডের একটি এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরি করে। এই ফাইলটি পরবর্তী সময়ে কোনো ধরনের পুনরায় অনুবাদ ছাড়াই সরাসরি চালানো যায়, যা সময় সাশ্রয়ী এবং কোডকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।

ফলে, একবার কোডটি তৈরি হলে সেটি একাধিকবার ব্যবহার করা যেতে পারে।অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী কারণ এটি এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরি করে। এই ফাইল একবার তৈরি হলে, সেটি পুনরায় অনুবাদের প্রয়োজন হয় না। এটি সময় সাশ্রয় করে এবং কোড পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।

এই কাজগুলির মাধ্যমে অনুবাদক প্রোগ্রাম প্রোগ্রামার এবং কম্পিউটারের মধ্যে দক্ষ যোগাযোগ স্থাপন করে। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ছাড়া কোড কার্যকর করা সম্ভব নয়।যার মাধ্যমে অনুবাদক প্রোগ্রাম প্রোগ্রামিং এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠে। এর সাহায্যে প্রোগ্রামাররা কোড লিখে তা কম্পিউটারে কার্যকরভাবে চালাতে পারেন, এবং ত্রুটি দূর করার পাশাপাশি কোডের পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।

অনুবাদক প্রোগ্রাম কেন প্রয়োজন

অনুবাদক প্রোগ্রাম প্রয়োজনীয়, কারণ এটি আমাদের উচ্চ স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষাকে কম্পিউটার বুঝতে সক্ষম মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত করে। কম্পিউটার শুধুমাত্র বাইনারি কোড বা মেশিন ভাষা বুঝতে পারে, কিন্তু মানুষের জন্য মেশিন ভাষায় কোড লেখা অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। তাই, মানুষের জন্য সহজবোধ্য উচ্চ স্তরের ভাষা, যেমন সি, সি++, জাভা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ভাষাগুলোকে কম্পিউটার চালাতে পারে না, তাই অনুবাদক প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে এই কোডগুলোকে মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত করা হয়।

প্রথমত, অনুবাদক প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোডের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হয়। মানুষ যখন একটি প্রোগ্রাম লিখে, এটি কখনোই সরাসরি কম্পিউটারে চলতে পারে না। অনুবাদক কোডের প্রতিটি অংশকে চেক করে ত্রুটিগুলি খুঁজে বের করে, যেমন সিনট্যাক্স বা সেমান্টিক ত্রুটি। এতে প্রোগ্রামটি কম্পিউটারে চালানোর আগে ত্রুটি সনাক্ত করে সংশোধন করা যায়, ফলে কোডটি আরো নির্ভুলভাবে কাজ করে।

দ্বিতীয়ত, প্রোগ্রামিং ভাষার মধ্যে পার্থক্য থাকার কারণে অনুবাদক প্রয়োজন। এক প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা কোড অন্য ভাষায় ব্যবহারের উপযোগী হয় না। তাই, যখন একটি প্রোগ্রাম অন্য পরিবেশে ব্যবহার করতে হয়, তখন অনুবাদক কোডের সামঞ্জস্যতা এবং মেশিনের সাথে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।

তৃতীয়ত, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের গতি বাড়াতে এবং কোড পুনর্ব্যবহারযোগ্য করতে অনুবাদক প্রয়োজন। কোড একবার কম্পাইল বা অনুবাদ হয়ে গেলে, সেটি বিভিন্ন সময়ে পুনরায় ব্যবহার করা যায়, যা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের সময় কমায়।

সবশেষে, বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম এবং অপারেটিং সিস্টেমে কোড কার্যকর করার জন্য অনুবাদক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোডকে বিভিন্ন পরিবেশে কার্যকর করার উপায় প্রদান করে, যাতে একটি প্রোগ্রাম একাধিক সিস্টেমে নির্বিঘ্নে চলতে পারে। সুতরাং, অনুবাদক প্রোগ্রাম কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে একটি অপরিহার্য উপাদান, যা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।

অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী

অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী, কারণ এটি দ্রুত, নির্ভুল এবং কার্যকর কোড অনুবাদে সক্ষম। কম্পাইলার একবারে পুরো সোর্স কোড পড়ে সেটিকে মেশিন ভাষায় রূপান্তর করে একটি এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরি করে। এর ফলে, প্রোগ্রামটি চালানোর সময় অনুবাদ প্রক্রিয়া আর প্রয়োজন হয় না, যা এক্সিকিউশন সময়কে দ্রুততর করে।

কম্পাইলারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ত্রুটিমুক্ত কোড তৈরি করা। কম্পাইলার কোডের প্রতিটি ধাপে সঠিকতা যাচাই করে এবং ভুল হলে তা ডেভেলপারকে জানায়। এর ফলে প্রোগ্রামটি মেশিনে চালানোর আগেই সকল ত্রুটি সংশোধন করা সম্ভব হয়। এটি ডেভেলপারদের জন্য বড় সুবিধা, কারণ একবার কম্পাইল করার পর কোডটি পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং একই কোড বিভিন্ন পরিবেশে কার্যকর হয়।

সি, সি++, এবং জাভার মতো ভাষাগুলোর ক্ষেত্রে কম্পাইলার অপরিহার্য। এই ভাষাগুলোর কোড কম্পাইল করার মাধ্যমে তৈরি হওয়া এক্সিকিউটেবল ফাইল সরাসরি মেশিনে কার্যকর হয়। এর ফলে ব্যবহারকারী দ্রুত ফলাফল পায়। ইন্টারপ্রেটারের তুলনায় কম্পাইলার আরও বেশি উপযোগী, কারণ ইন্টারপ্রেটার কোডটি লাইন-বাই-লাইন অনুবাদ করে, যা ধীরগতির। কম্পাইলার কোডকে একবারে অনুবাদ করে সেভ করে রাখে, ফলে একবার অনুবাদের পর কোডটি বারবার চালানো দ্রুত এবং সময় সাশ্রয়ী হয়।

অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার এর অসুবিধা

কম্পাইলার অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী ও অত্যন্ত কার্যকর হলেও এর কিছু অসুবিধা রয়েছে। প্রথমত, কম্পাইলার কোড পুরোপুরি মেশিন ভাষায় রূপান্তর করতে একবারে কাজ করে, যা সময়সাপেক্ষ হতে পারে, বিশেষ করে বড় এবং জটিল কোডের ক্ষেত্রে। পুরো কোড একবারে অনুবাদ করতে গিয়ে যদি কোনো ত্রুটি থাকে, তবে কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করে দেয় এবং কোড চালানো সম্ভব হয় না যতক্ষণ না সমস্ত ত্রুটি সংশোধন করা হয়।

কম্পাইলার তাৎক্ষণিক আউটপুট সরবরাহ করতে পারে না, যা প্রাথমিক ডিবাগিং বা কোড পরীক্ষা করার জন্য অসুবিধাজনক হতে পারে। ইন্টারপ্রেটারের মতো কোড লাইন-বাই-লাইন চালানোর সুযোগ না থাকায়, ডেভেলপারদের জন্য ত্রুটি শনাক্তকরণ এবং সংশোধন অপেক্ষাকৃত জটিল হয়ে দাঁড়ায়। এটি বিশেষভাবে সমস্যা সৃষ্টি করে যখন দ্রুত আউটপুট বা নির্দিষ্ট অংশ পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়।

এছাড়া, কম্পাইলার একটি এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরি করে, যা নির্দিষ্ট একটি অপারেটিং সিস্টেম বা পরিবেশে কার্যকর হয়। এর ফলে কোডের বহুমুখিতা বা প্ল্যাটফর্মের সাথে সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। যদিও এই সীমাবদ্ধতাগুলো রয়েছে, তবুও প্রোগ্রামিং জগতে কম্পাইলারের গুরুত্ব অমূল্য। দ্রুত এক্সিকিউশন, ত্রুটিমুক্ত কোড এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্যতার জন্য কম্পাইলার অনেক ক্ষেত্রেই অপরিহার্য। সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে এর সীমাবদ্ধতাগুলো সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে অনুবাদক প্রোগ্রাম হিসেবে কম্পাইলার বেশি উপযোগী তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে অনুবাদক প্রোগ্রামিং এর প্রয়োজনীয়তা সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url