হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন

হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, হাটুর ব্যথা সারানোর খাবার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন হাটুর ব্যাথা সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।

হাটুর-ব্যাথা-সারানোর-ঘরোয়া-উপায়-সম্পর্কে-জানুন

হাঁটুর ব্যথা একটি সাধারন সমস্যা যা সাধারণত বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়। তবে বর্তমানে এই ব্যথাটি কমবেশি সকলেরই হয়ে থাকে। তাই আজকের পোস্টে হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

মানবদেহের ওজন বহনকারী গুরুত্বপূর্ণ অস্থি সন্ধি গুলোর মধ্যে হাটু হচ্ছে অন্যতম। হাঁটুর ব্যথা প্রধানত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়। তবে এখনকার সময়ে সব বয়সের মানুষেরই এই রোগ হচ্ছে। তাই আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো, হাঁটুর ব্যথা কেন হয়, হাটুর ব্যথা সারানোর খাবার, হাঁটুর ব্যথা সমস্যা নির্ণয় পদ্ধতি, হাঁটু ব্যথার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়, হাটুর ব্যাথা সারানোর ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।

হাঁটুর ব্যথা কেন হয়

হাঁটুর ব্যথা এমন একটি সমস্যা যা বর্তমান সময়ে প্রায় সকলেরই দেখা দিচ্ছে। মূলত এটি বৃদ্ধ বয়সে শুরু হয় তবে বর্তমানে এটি বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন বয়সের মানুষের হয়ে থাকে। হাটু এবং হাঁটুর জয়েন্ট আমাদের শরীরের ওজন সহ্য করতে এবং হাঁটাকের সক্ষম করতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।


যেমন অতীতের আঘাত, মচকে যাওয়া, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি। এই ব্যথা তীব্র হলে এটি দৈনন্দিন কাজ করতে অনেক বেশি অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আছে যা সাধারনত প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া যায় সেগুলি প্রয়োগ করা যেতে পারে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আগে ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা যেতে পারে।

অস্টিওআর্থ্রাইটিসঃ আর্থাইটিস হচ্ছে হাঁটুর এক ধরনের বাতের রোগ। এই আর্থ্রাইটিস মূলত দু'রকম হয়ে থাকে। সবচাইতে বেশি অস্টিও আর্থ্রাইটিসকে হাঁটুর সন্ধিতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। হাঁটুর জয়েন্ট এ কার্টিল এর নামে একটি নরম ও মসৃণ আবরণ থাকে।

যখন এই করটিলেজ ক্ষয় হয়ে অমসৃণ হয়ে যায় তখন চলাফেরায় ব্যথা অনুভব হয় এবং হাঁটুর জয়েন্ট ফুলে যায়। স্থুলকায় মানুষদের ক্ষেত্রেও হাঁটুর ওপর চাপ বেড়ে গেলে অস্থিও আর্থ্রাইটিস হতে পারে। অন্যভাবে বলা যায় যে, এটি একটি ডিজেনারিটিভ জয়েন্ট রোগ, যেখানে হাঁটুর তরুণস্থি ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়, ফলে ব্যথা এবং নমনীয়তার কমতি ঘটায়।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসঃ এটি একটি অটোইমিউন রোগ যা হাঁটুর জয়েন্টে প্রদাহ সৃষ্টি করে ফলে ব্যথা, ফোলা ভাব এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা ঘটে থাকে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস মূলত কৈশোর ও যৌবন কালে হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি থাকে। তাই হাঁটুর কোন সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদিও বা এক্ষেত্রে অনেকেই হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে থাকেন।

আঘাত জনিত কারণঃ আঘাত জনিত কারণে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে বিশেষ করে দুর্ঘটনা বা খেলাধুলায় আঘাত প্রাপ্ত হলে। এ সময় যখন হাঁটুর হাড়ে আঘাত লাগে, তখন হাঁটুর ব্যথার সমস্যা শুরু হয়। হাঁটুর সামনে থাকা হাড়কে পেটেলা বলা হয়। পেট্রোলার আশপাশের টেনডন বা শিরায় আঘাত, ফ্যাকচার অথবা কালশিরা দেখা দিলে হাঁটুর ব্যথা, প্রদাহ ও ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে হাঁটুতে ব্যাথার কারনে হাড় ভেঙেও যেতে পারে, যা চিরস্থায়ী ব্যাথার কারণ হতে পারে। এছাড়া কখনো হাঁটুর ইনফেকশনও ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে।


পেশা জনিত কারণঃ অনেক ক্ষেত্রে পেশাজনিত কারণও হাঁটুর ব্যথার জন্য দায়ী হয়ে থাকে। যে সকল ব্যক্তিদের পেশা বিশেষভাবে দাঁড়িয়ে থাকার সাথে সম্পর্কিত, যেমন কাপড় বিক্রেতা, শিক্ষক, স্বাস্থ্যকর্মী, তারা হাঁটুর ব্যথা হওয়ার মত সমস্যার ঝুঁকিতে থাকেন। দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে হাঁটুতে চাপ পড়ে যে কারণে এই ব্যথা ও অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে।

আঘাত বা ট্রমাঃ হাঁটুর ব্যথা মূলত হাঁটুর স্ট্রেন মচকে যাওয়া ফ্যাকচার বা স্থান চুক্তি থেকে দেখা দেয়, যা তাৎক্ষণিক ব্যথা এবং অস্বস্তির সৃষ্টি করে।

টেনডোনাইটিসঃ হাঁটার চলার জন্য পায়ের ব্যবহার অতিরিক্ত করলে বা পুনরাবৃত্তি চাপের কারণে হাটুর চারপাশে থাকা টেনডনের প্রদাহ হয় যা ব্যথা এবং ফোলাভাব সৃষ্টি করে। এর থেকে বাঁচার জন্য হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে যেন কিছুটা হলেও আরাম পাওয়া যায়

বয়স জনিত কারণঃ বয়সজনিত কারণে হাঁটুর ব্যথা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছরের পরে হাড়ের ক্ষয় প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা হাঁটুর ব্যাথার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে থাকে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হাড়ের স্থিতিশীলতা ও শক্তি কমে যায়, যার ফলে হাঁটুর জয়েন্টের চাপ পড়ে এবং ব্যথার সমস্যা সৃষ্টি করে।

অতিরিক্ত ওজনঃ অতিরিক্ত ওজন হাওয়া হাটুর ব্যথা সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। আমাদের শরীরের ওজন হাটু ও পায়ের অস্থি সন্ধির উপর চাপ ফেলে। যেহেতু হাঁটুর জয়েন্ট আমাদের শরীরের বেশিরভাগ ওজন বহন করে তাই অতিরিক্ত ওজন থাকার ফলে হাঁটুর উপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে, দাঁত ব্যথার ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে থাকে।

তাছাড়া অতিরিক্ত ওজনের কারণে হাঁটুতে অস্থি সন্ধির ক্ষতি প্রদাহ ও আর্থ্রাইটিস এর ঝুঁকি বাড়তে পারে। এটি স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিভিন্নভাবে বাধা দেয় এবং দৈনন্দিন কাজেও অসুবিধা করতে পারে। সেজন্য স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন ও পর্যাপ্ত পানি পান করা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং হাঁটুর স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে পারে।

হাটুর ব্যথা সারানোর খাবার

হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য সর্ব প্রথমেই বাহিরের জাঙ্ক ফুড এড়াতে হবে এবং ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ঘরের খাবারের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত মশলাযুক্ত চর্বিযুক্ত এবং ভাজা খাবার না রাখাই ভালো। যে সকল খাবার খেলে হাঁটুর ব্যথায় উপকার মিলবে তা নিম্নে দেয়া হল।
  • খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
  • টুনা মাছ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে
  • ফ্লেক্স সিড এবং চিয়া সিডের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চিয়া সিড এবং ফ্লেক্স সীড রাখা আবশ্যক।
  • প্রতিদিন দুধ খেতে হবে এবং যদি দুধের সাথে বাদাম খাওয়া যায় তাহলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে হাটুর ব্যথা সারানোর খাবার এর তালিকা তৈরি করতে হবে যেন রোগী হাটুর ব্যথা থেকে ওষুধ ছাড়াই খাবারের মাধ্যমে স্বস্তি পায়। সাথে হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় গুলো সম্পর্কেও প্রত্যেকেরই অবগত থাকা বা জেনে রাখা দরকার।

হাটুর ব্যথার সমস্যা নির্ণয় পদ্ধতি

মানবদেহের ওজন বহন করার জন্য হাটু এবং হাঁটুর জয়েন্ট সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বা হাঁটুর ব্যথা বয়স্কদের সমস্যা হিসেবে দেখা হয় তবে সকল বয়সের মানুষেরই বর্তমান সময়ে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে। হাঁটুর ব্যথাকে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কারণ সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথার কারণ জানতে পারলে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ব্যথা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হাঁটুর অস্বস্তিকর ব্যথার কারণ নির্ধারণের জন্য ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করতে পারেন। এ সকল পরীক্ষার মধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

শারীরিক পরীক্ষাঃ হাঁটুর গতি, স্থায়িত্ব এবং বিভিন্ন অবস্থানের কোমলতা পরীক্ষা করা হয়। তাছাড়াও হাঁটুর চারপাশের ফোলা বা বিকৃতি আছে কিনা তা দেখার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার রোগীর হাটুকে সরাসরি পরীক্ষা করে থাকেন।

ল্যাব টেস্টঃ ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্রমণ বা বিভিন্ন ধরনের আর্থ্রাইটিস যেমন রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গ্রাউট চিহ্নিত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়।

ইমেজিং টেস্টঃ এক্স রে করে হাড়ের অবস্থান এবং ফাটল বা আঘাত আছে কিনা তা সনাক্ত করা হয়। তাছাড়া এমআরআই দ্বারা হাঁটুর অভ্যন্তরীণ অংশ যেমন তরুণাস্থি, লিগামেন্ট এবং টেন্ডনের বিস্তারিত ছবি প্রদান করতে পারা যায়, যা রোগীর আঘাত বা অসুস্থতার উপস্থিতি নির্দেশ করে। আরো রয়েছে সিটি স্ক্যান যা আরো উন্নত একটি ইমেজিং টেকনিক। এই টেকনিকটি জটিল আঘাত বা রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এই সকল পরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তার হাটুর সমস্যা চিহ্নিত করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন। তাছাড়া সাধারণ ভাবে হাঁটুর ব্যথার সমস্যা ব্যতীত যদি কোন বিশেষ লক্ষণ থেকে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

হাঁটু ব্যথার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা

আয়ুর্বেদ হল জীবনের বিজ্ঞান। এটি জীবন এবং চিকিৎসা সম্পর্কিত একটি প্রাচীন ভারতীয় ব্যবস্থা। এর মূল উদ্দেশ্য হলো রোগ নির্ণয় এবং রোগীর স্বাস্থ্য রক্ষা। এর উৎপত্তিস্থল ভারত হলেও বর্তমানে এটি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বা দেশে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বর্তমান সময়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হার্বাল চিকিৎসা এবং অল্টারনেটিভ ট্রিটমেন্ট নামেও পরিচিত। নিম্নে হাঁটু ব্যথার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।
  • উষ্ণ গরম পানিতে সন্দেহ লবণ মিশিয়ে হাঁটু ডুবিয়ে রাখা উচিত।
  • জলপাই তেল এবং সন্ধ্যা লবণ মিশিয়ে ব্যাথার স্থানে মালিশ করলে উপশম পাওয়া যায়।
  • এক গ্লাস দুধে আখরোট হলুদ এবং বাদাম গুঁড়া মিশিয়ে খেলে হাঁটুর ব্যথায় অনেক আরাম পাওয়া যাবে।
  • আকন্দ ফুলের পাতায় সরিষার তেল মেখে তা দিয়ে গরম সেঁক দিলে অনেক বেশি আরাম পাওয়া যায়।

হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়

হাঁটুর ব্যথা সম্বন্ধিত প্রায় অনেক কিছুই এ পর্যন্ত জানা হলো, এবার আসা যাক আমাদের মূল আলোচনায়। তাই নিম্নে ঘরোয়া উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
  • ব্যথার সানি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
  • হলুদ গুঁড়া এবং আদা দিয়ে এক গ্লাস পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে প্রতিদিন পান করুন।
  • এক গ্লাস পানিতে আধা কাপ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে রাতে পান করুন এটি দীর্ঘমেয়াদি হাঁটুর ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • সরিষার তেল থেলানোর রসুন গরম করে হাঁটুর ব্যাথায় মালিশ করুন।
  • আধার তেল হাঁটুর ব্যথার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
  • খালি পেটে একটু আদা চিবিয়ে খেলেও উপকার মেলে।
  • গোসলের পানিতে এক চামচ টিপসাম লবণ মিশিয়ে আধাঘন্টা হাটু ডুবিয়ে রাখুন এতে বেশ উপকার পাবেন।
  • ব্যথা ধরন অনুযায়ী ঠান্ডা বা গরম পানির সেঁক দিতে হবে।
  • সরিষার তেলে কর্পূর মিশিয়ে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়।
  • বরফের টুকরো তোয়ালেতে করে ব্যাথার স্থানে ধরে রাখলেও অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
  • রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সামান্য হলুদ মিশিয়ে পান করুন। এতে শরীরের ভেতর থেকে উপকার মিলবে।
  • কেরোসিন তেল, পান খাওয়ার চুন এবং হলুদ গরম করে ব্যথাযুক্ত স্থানে প্রলেপ দিয়ে ব্যান্ডেজ করুন।

হাটুর ব্যাথা সারানোর ব্যায়াম

মানব দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয় হচ্ছে ব্যায়াম। এটি ওজন বাড়ানো এবং কমানোর পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। একজন ব্যক্তিকে কিসের জন্য ব্যায়াম করা উচিত এবং কিভাবে করতে হবে তা অবশ্যই তার ট্রেইনার তাকে বুঝিয়ে দিবে। বাসায় করা যায় এমন কিছু ব্যায়াম আছে যা হাটুর ব্যথায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এমনি এমনি সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন ব্যায়াম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
  • পা লম্বা করে স্ট্রেচ করা।
  • চেয়ারে বসে যখন বা সাইকেলিং করা।
  • উপর হয়ে শুয়ে মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত হাতের তালুতে ভর দিয়ে ধনুকের মতো বাঁকানো। এভাবে পাঁচ থেকে দশবার করতে হবে।
  • পা দুটো সামনের দিকে ছড়িয়ে বসে হাঁটুর বিপরীত অংশ অবশ্যই মেঝেতে মিলিয়ে সামান্য ভাঁজ করতে হবে।
  • সোজা হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাজ করে কোমরের অংশ উপরে তুলতে হবে এবং আস্তে আস্তে নামাতে হবে পাঁচ থেকে দশ বার থেমে থেমে এভাবে করতে হবে।
  • সোজা দাড়িয়ে ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করতে হবে যাতে পায়ের পাতা হিপে লাগে। এবার হাত দিয়ে পায়ের পাতা ধরে রাখতে হবে। এরপর বাঁ পায়ে একইভাবে করতে হবে। এভাবেই পাঁচ থেকে ১০ বার এই ব্যায়াম করতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে হাটুর ব্যাথা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url