ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ এর সম্পর্কে সকল তথ্য জানুন

ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ এর সম্পর্কে সকল বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৪ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন ওমানে যাওয়ার জন্য ভিসা সম্পর্কে বিশদ ভাবে সকল তথ্য পেতে পারেন।
ওমান-ভিসা-কবে-খুলবে-২০২৪-এর-সম্পর্কে-সকল-তথ্য-জানুন
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে এক বড় সংখ্যক জনশক্তি প্রবেশ করে। তবে দীর্ঘ কিছু মাস ধরে ওমানের ভিসা স্থগিত থাকার কারণে এ নিয়ে অনেকে চিন্তিত। তাই আজকের পোস্টে ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের ওমান ভিসার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

আরব এর নীতি প্রদান দেশ ওমানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে এক বড় সংখ্যক জনবলের আগ্রহ দেখা যায়। সহস্র তরুণ-প্রবীণের মনে এর স্বপ্ন থাকে। তাই আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো ওমান শহর, ওমান ভিসা আবেদন, ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৪, ওমানের ভিসা বের হতে কত দিন লাগে, ওমানের ভিসা কত টাকা, ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ এবং ওমানের ভিজিট ভিসা ৩ মাসের মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সমূহ।

ওমান শহর

আরব মহাদেশের ক্ষুদ্র দ্বীপ এর দক্ষিণ পূর্ব পার্শ্ববর্তী মাথা ঘেঁষে এলাকা নিয়ে ওমান নিজের অবস্থান রেখেছে।ওমান এর সামগ্রিক আয়তন প্রায় ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩১৬.৬০৮ বর্গ কিলোমিটার। ওমান এর কেন্দ্রবিন্দু অর্থাৎ রাজধানী এর নাম মাস্কাট। ওমানের ভৌগোলিক স্থানাংক উত্তর এবং পূর্ব দুটি পক্ষ হতেই এই শহরের উপস্থিতি অনুমান করা যায়।

ওমান মূলত প্রান্তর বা মরু ময় অঞ্চল। ওমানে বালু দিয়ে গড়ে ওঠা সাগর কিনারার দেখা পাওয়া যায়। এই বালুর সাগর কিনারা বেশ উঁচু পর্বত শ্রেনীর নিকটে অবস্থিত। বলা হয়ে থাকে বালু দিয়ে গড়া এই সাগর কিনারা দর্শনের দিক থেকে সুন্দর এবং শুভ্র রকমের। ওমান দেশটির সার্বিক ভাবে গ্রহীত ধর্মের নাম ইবাদি ইসলাম।


ওমান দেশটির মোট জনসংখ্যার গড় হিসেবে শতকরায় প্রায় ৮৫ ভাগ ইসলাম ধর্মাবলম্বী রয়েছে। ওমানের মোট জনসংখ্যার হত শত ভাগের প্রায় ৪৫ বা কিছু অধিক সংখ্যক জনগণ সুন্নি ইসলাম এর অনুসারী। আর প্রায় ৪৫ শতাংশ ইবাদি মুসলিম রয়েছে।

বাকি ৫ ভাগ এ অন্যান্য সমগ্র ধর্ম ও শিয়া অনুসারীরা অন্তর্ভুক্ত। সর্বশেষ প্রাপ্য তালিকা অনুযায়ী ওমানে উপস্থিত সমগ্র বাসিন্দাদের মোট তালিকা প্রায় ৪৯ লক্ষ ৭ হাজার ৩৩৪ জন। তবে ওমানের আয়তনের দিক থেকে এটি সমগ্র বিশ্বের ঘনবসতি ময় অঞ্চল গুলোর তালিকার মধ্যে ১২৪ তালিকাতে রয়েছে।

ওমান ভিসা আবেদন

ওমান আরবের দেশগুলোর মধ্যে একটি ছোট মরু দ্বীপ। তবে তবুও বাংলাদেশ থেকে ওমানে গিয়ে কাজ করার চাহিদা কোন অংশে কম নেই। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। আর ওমান ভিসা আবেদন করতে হলে প্রথমে ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে তা সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য নিয়ে নিতে হবে।

প্রথমত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ফলে ব্যক্তি নিজের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা দেয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্যের অবস্থার দিক থেকে সহযোগিতা প্রদান করতে পারে। তাছাড়া ওমান আরবের একটি প্রদেশ যা পুরোপুরি একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

অন্যদিকে বাংলাদেশ নিজেও একটি ইসলামিক রাষ্ট্র। কেননা বাংলাদেশের অধিক সংখ্যক নাগরিক ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এ কারণেই এদেশ থেকে এ দেশের নাগরিকদের ওমানে গিয়ে বসবাসীর উদ্দেশ্য থাকা কিংবা অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ এ বিষয়ে অনেকের মাঝে দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে ওমানে যেতে হলে সর্বপ্রথম দেশের বহির্ভূত কোন এলাকাতে যাওয়ার জন্য একটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন। পরবর্তীতে সেই পাসপোর্ট কে সঙ্গায়ীত করার জন্য তারই সাথে যে দেশে যেতে ইচ্ছুক সে দেশের ভিসা সংগ্রহ করার প্রয়োজন রয়েছে। যেকোনো দেশে প্রবেশের জন্য ভিসার দরকার পরে। উল্লেখিত দেশের ভিসা সংগ্রহ করার জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।


সাথে অনুসরণ করতে হয় কিছু শর্তাবলী। ওমানের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে আপনার কোন ক্যাটাগরির ভিসা এর জন্য এপ্লাই করছেন। বর্তমান সময়ে ওমানে কেবল মস্ত্রপ নির্দিষ্ট কিছু ধরনের ভিসা অনুমোদন করা হচ্ছে। তাই এটি সর্বপ্রথম পর্যবেক্ষণ করে নিতে হবে।

পরবর্তীতে আগ্রহী ব্যক্তি অনলাইনে কিংবা সরাসরি ভিসা অফিসে গিয়ে ওমানের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন কিছু দরকারি নথি কিংবা দরকারি কাগজপত্রের। ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি নমুনা সাপেক্ষ সংক্ষিপ্ত তালিকা নিম্নে ধরা হলো।

  • ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র
  • পাসপোর্ট এর প্রমাণ
  • পুরনো পাসপোর্ট হলে সেটি পুনরায় চালু করার নমুনা
  • কর্মজীবী কিংবা পেশাদারী ব্যক্তি অথবা শিক্ষার্থীর অফিসিয়াল আইডি কার্ড
  • ব্যক্তির ব্যাংক স্টেটমেন্টের একটি কপি
  • জন্ম নিবন্ধন এর কপি ইত্যাদি

ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ তা নিয়ে এখনো নিশ্চিন্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবশ্যই আলোচনা করা যায়। অনলাইনে কিংবা সরাসরি ওমানের ভিসা এর জন্য আবেদন করার কিছু নিয়মাবলী রয়েছে।

ওমানের কিছু প্রচলিত রিযাগুলোর মধ্যে পর্যটন ভিসা, ওয়ার্ক পারমিটের ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা কিংবা স্টাডি ভিসা, সরকারি ভিসা, পারিবারিক ভিসা বা সঙ্গী ভিসা কিংবা বিজনেস কিটে নেয়া ভিসা বেশি প্রচলিত। নিম্নে ভিসা পাওয়ার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নিয়মাবলী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

  • কোন দেশের ভিতরে যেন আবেদন করার প্রথম শর্ত হলো পাসপোর্ট তৈরি করা। তাই শুরুতেই ব্যক্তির একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • ভিসার আবেদন করার জন্য ভিসা ক্যাটাগরি হতে নিজের প্রয়োজনীয়তা এবং উদ্দেশ্যে সাপেক্ষে একটি ভিসা ক্যাটাগরি বাছাই করে নিতে হবে।
  • ভিসার ধরন উল্লেখ করে আপনার ভিসার আবেদন পত্রটি সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য প্রদান করার সাথে পূরণ করতে হবে।
  • ভিসা অফিসে প্রয়োজনীয় সকল নথিপত্র কিংবা কাগজপত্র এর কপি আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কেন আবেদনকারী সকল তথ্য যথাযথ হয়। এ সকল পত্রের সাথে আবেদনকারীর একটি স্থায়ী যোগাযোগ এর সূত্র সহ সকল তথ্য উপস্থাপন করতে হয়।
  • ওমানের ভিসা আবেদনের যাবতীয় খরচ বাবদ বা ফি সমূহ অনলাইনে কিংবা ভিসা অফিসে প্রদান করতে হবে।
  • খরচ বাবদ প্রদান করার একটি নমুনা পত্র কিংবা প্রমাণ পত্র পরবর্তী ধাপে প্রয়োজন এর জন্য নিজের সাথে রাখতে হবে।
  • ব্যক্তির আবেদন করা ভিসা যাচাই বাছাই হবার পর অনুমোদনের প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়। এর মাঝে কিংবা পরবর্তী সময়ের মধ্যে ব্যক্তিকে তার সুস্থতার একটি মেডিকেল টেস্ট প্রদান করতে হয়।
  • ভিসার যাবতীয় খরচ প্রদান করার জন্য অনলাইন মাধ্যমে আবেদনকারী ব্যক্তি ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যম অনুসরণ করতে পারে।
  • সব রকমের পর্যবেক্ষণে সফলভাবে পাস হবার পর ওমানে যাওয়ার জন্য ব্যক্তির আবেদন করা ভিসা ব্যক্তির নিকট প্রদান করা হয়।

ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৪

দেশের বাইরের দেশটি ওমান হোক কিংবা অন্য কোনো দেশ, শেখ মুদ্রা উপার্জনের আগ্রহ এবং চাহিদার সামনে প্রায় সকল দেশগুলোতে যাওয়ার আগ্রহী সমানভাবে প্রদর্শন করা হয়। একইভাবে ওমানে যাওয়ার জন্য আমাদের বাংলাদেশের অনেকগুলো নাগরিক আগ্রহ পোষণ করে থাকেন। তবে ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ সালের তারিখ জানা নিয়েও এক জনবল বিচলিত হয়ে আছে।

তাছাড়া এখনো অনেকেই ওমানে প্রবেশ করার শর্তাবলী সম্পর্কে অবগত নয়। ওমানে যেতে কোন কোন ধরনের ভিসাকে প্রাধান্য দেয়া হয় কিংবা কত টাকা খরচ হয়, ওমান যেতে কি কি লাগে বা ওমান যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৪ এর হিসেবে এ সকল তথ্য অনেকেই ঠিকঠাক ভাবে জানেনা।

ওমান যাওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হিসেবে যদি একজন ব্যক্তি আগ্রহ প্রদর্শন করে থাকে, তাহলে সর্বপ্রথম তাকে নিজ দেশের নাগরিকত্বের প্রাপ্তি নিতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের একজন ব্যক্তিকে ওমানে যাওয়ার জন্য প্রথমে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ধারণ করতে হবে।

আর যেহেতু নাগরিকত্ব একটি সরকারি ব্যাপার, তাই বাংলাদেশ থেকে ১৮ বছরের পূর্বে দেশে নাগরিকতা প্রদান করা হয় না। একজন ব্যক্তির বয়স যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন তাকে বাংলাদেশ নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং সাথেই সেই ব্যক্তি তার জন্ম নিবন্ধন পত্র পেরিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করার অনুমতি পেয়ে যায়।

বিভিন্ন রকম ব্যক্তি বিভিন্ন কারণ এবং উদ্দেশ্যে ওমানে যাওয়ার খেয়াল এবং ইচ্ছা প্রদর্শন করতে পারেন।যেমন, শিক্ষার উদ্দেশ্যে কিংবা কাদের উদ্দেশ্যে ইত্যাদি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা কিংবা স্টাডি ভিসা নিয়ে ব্যক্তিবর্গ দেশের বাইরে গিয়ে শিক্ষা লাভ করতে চান। এক্ষেত্রে একদম শিক্ষার্থীর বয়স ন্যূনতম আঠারো বছর হওয়া প্রয়োজন।

তাছাড়াও ওয়ার্ক পারমিট হোক কিংবা পারিবারিক বা সরকারি কারণ ওমানে যাওয়ার জন্য সব ক্ষেত্রেই সর্বনিম্ন আঠারো বছর হলে যথেষ্ট মনে করা হয়। এর ঊর্ধ্ব যেকোনো বয়সের ব্যক্তি সকল নিয়ম মেনে ওমানে প্রবেশ করার ক্ষমতা রাখেন।

ওমানের ভিসা বের হতে কত দিন লাগে

আবেদন করার সময় যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হয় তা যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আবেদনের ধরন অনুযায়ী ওমানের ভিসা পেতে এক থেকে চার সপ্তাহের মত সময় লাগতে পারে। যদিও বা ভিসার প্রকারের ওপর নির্ভর করে এই সময়সীমা পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শ্রম ভিসা বা দীর্ঘমেয়াদী ভিসার ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগতে পারে।

তবে ভিসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে হলে অবশ্যই নিকটস্থ ভিসা সেন্টার এর সাথে যোগাযোগ করা সবচাইতে বেশি ভালো। তবে বর্তমানে ভিসা বের হতে কত দিন সময় লাগবে এর চেয়ে বেশি ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ এর সেই তারিখ জানা বেশি জরুরি।

ওমানের ভিসা কত টাকা

ওমান সার্বভৌমত্ব প্রাপ্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এটি আরবের অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যে নিজের উপস্থিতির চিহ্ন বজায় রেখেছে। সরকারি দৃষ্টিতে ওমানকে বলা হয়ে থাকে ওমান সালতানাত। প্রতিটি অর্থবছরে নানা রকম কারণে আমাদের দেশ থেকে এক বড় সংখ্যক ব্যক্তি গণ ওমানে যেতে চান।

অনেকে তাদের ইচ্ছা এবং উদ্দেশ্যকে প্রাধান্য দিয়ে ওমানের যাওয়ার উদ্দেশ্যকে সফল করে থাকেন এবং অনেকে তথ্যের অভাবে এই সফরের সফলতা অর্জন করতে পারেন না। আমাদের দেশ হতে ওমানে যাওয়ার জন্য কাজের উদ্দেশ্যে প্রাপ্ত ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা বেশ জনপ্রিয় এবং প্রচলিত রকমের ভিসা এর মধ্যে পড়ে।

তবে ওমানের ভ্রমণ এ ব্যাপারটি তেমন একটি প্রচলিত না হওয়ার কারণে এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। তাছাড়া ওমানের ভিসা বাংলাদেশের জন্য সব সময় চালু করা না থাকার কারণে এর জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বাবদ সম্পর্কে ভ্রমণকারী কিংবা আগ্রহ ব্যক্তিরা দ্বিধা এবং বিভ্রান্তিতে ভুগতে থাকেন।

সাধারণত ওমানে যাওয়ার খরচ পুরোপুরি নির্ভর করে ভ্রমণকারী ব্যক্তি ওমানে যাওয়ার উদ্দেশ্যের উপর। অর্থাৎ, ভ্রমণকারী কোন ধরনের ভিসা এর জন্য আবেদন করেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসার টাকা নির্ধারণ করা হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে, ওমানে যাওয়ার জন্য পারিবারিক ভিসা, ভ্রমণ ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে যত খরচ হয় তার তুলনাতে কাজের উদ্দেশ্যে নেয়া ভিসার খরচ একটু বেশিই।

বাংলাদেশ হতে ওমানে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিটের ভিসার আবেদন এবং প্রাপ্তির স্বাভাবিক খরচ প্রায় ৩ লাখ হতে ৪ লাখ বাংলাদেশী টাকা এর প্রয়োজন হতে পারে। তবে এই খরচটি এজেন্সি কিংবা ফান্ড অফিসের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভিসার খরচ।

তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে ওমানে যাওয়ার জন্য টুরিস্ট ভিসার পদ্ধতি অবলম্বন করলে খরচ অনেকটা কমিয়ে এসে প্রায় ৫০ হাজার হতে ৭০ হাজার বাংলাদেশী টাকার কাছাকাছি পড়তে পারে। আবার অন্যদিকে স্টুডেন্ট ভিসাতে আবেদন করলে ওমানে যাওয়ার জন্য খরচ অনেকটা কমিয়ে আসতে পারে।

এর কারণ হলো অন্যান্য দেশের মতো ওমান সরকার স্টুডেন্ট ভিসার ওপর কিছু রকমের সুযোগ-সুবিধা এবং ছাড় দিয়ে থাকে। এতে খরচ আরো কমে এসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা কিংবা ৫০ হাজার টাকা হয়ে যায়।

ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪

বর্তমানে আমাদের দেশের নাগরিকদের ওমানের প্রবেশ করার ভিসা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছুকাল আগে ওমান রাষ্ট্র সরকার আমাদের দেশে নাগরিকদের ওমানে প্রবেশ করার জন্য সকল প্রকার ভিসা এর আবেদন এবং ভিসা প্রদান করার প্রক্রিয়া সমূহ বাতিল করেছিল। তবে বর্তমানে এটি নতুন করে আবার চালু করার কথা জানিয়েছে সেই দেশের সরকার।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে নির্ধারিত করা কিছু প্রকার ভিসা এর আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। এই কয়েকটি ধরনের মধ্যে প্রায় দশটি নির্ধারণ করা ভিসা এর ধরন প্রকাশ করা হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে বাংলাদেশের জন্য ওমানের সকল রকম ভিসা প্রদান করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে জানান গত বছরের সমাপ্তিতে আমাদের দেশ হতে ওমান সরকারের নিকট সমঝোতা তো চলে আসার জন্য আবেদন প্রেরণ করা হয়েছিল। তবে এর পরবর্তীতেও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ ওমানের ভিসা চালু হওয়া সম্পর্কে নির্দিষ্ট ভাবে কোন তথ্য জানাতে পারেননি।

তবে বর্তমানে আশা করা যায় দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে প্রবাসীদের জন্য সুযোগ-সুবিধার পথ প্রসারিত করা সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ শীঘ্রই ওমানের ভিসা পুনরায় খুলে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ সালের আগামী দুটি মাসের মধ্যে তা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছেনা।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ওমান ভিসা কবে খুলবে ২০২৪ তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে ওমানে যাওয়ার ভিসা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url