কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপে
আপনারা যারা কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলে এসেছেন আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। কারণ এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়লে আপনারা খুব সহজেই শরীর কাঁপে কোন ভিটামিনের অভাবে এবং কি কি উপায় অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক উপকৃত হবে।
শুধু তাই নয় আপনারা যারা এই আর্টিকেল একদম শেষ পর্যন্ত পড়বেন তারা খুব সহজেই শরীর হাত পা কাপা কমানোর উপায় সম্পর্কেও জেনে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে এই আর্টিকেল একদম মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ভূমিকা
আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যাদের হাত-পা কিংবা শরীর কাঁপে। সাধারণত এটি প্রত্যেকটা মানুষেরই হয়ে থাকে তবে এটা নিয়ে কখনো চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে যখন বৃদ্ধকাল হয়ে যায় তখন অনেক মানুষেরই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তবে যদি আপনার দীর্ঘদিন শরীর কাঁপা বা হাত-পা কাঁপে তাহলে অবশ্যই কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে। আজকে আমি এই আর্টিকেলে কোন ভিটামিনের অভাবে শরীরের কাপে এবং শরীর হাত পা কাপা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল ধৈর্য সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন পাঠক আর দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
হাত কাঁপা রোগের ব্যায়াম
যদি আপনাদের হাত কাঁপে তাহলে সেটি মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে ব্যাপারটা কিন্তু এরকম নয়। হয়তো আপনার সাধারণ কোন সমস্যা থাকতে পারে যেমনঃ ঘুমের অভাব, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ ইত্যাদি।
শুধু তাই নয় হাত কাঁপার পাশাপাশি বুক ধরফর করা ওজন কমে যাওয়া পেট খারাপ থাকার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এ সময় আপনাদের চিকিৎসকের পরীক্ষা নেওয়া উচিত। তবে হাত কাঁপা রোগের কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা করলে আশা করি খুব সহজেই হাত কাঁপা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সাধারণত আপনাদের যাদের হাত কাঁপা রোগ রয়েছে সেটি থেকে নিজেকে বের করে আনতে নিয়মিত তিনটি ব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হলো রাবার বল ব্যায়াম, হাতের ডাম্বেল ব্যায়াম ও আঙুলের ট্যাপ ব্যায়াম।
রাবার বল ব্যায়ামঃ এই ব্যায়াম করার নিয়ম হল প্রথমত আপনাকে যতটা সম্ভব শক্তভাবে রাবার বল চেপে ধরে রাখতে হবে। এতে করে আপনার হাতের কাঁপুনি খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে আরো বলেছেন যদি এই বল বেশিক্ষণ চেপে ধরে রাখা যায় তাহলে স্নান সংকুচিত হয় আর ফলে হাত কাপড় রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারে রোগীরা।
ডাম্বেল ব্যায়ামঃ আপনারা চাইলে হাত কাঁপা রোগ থেকে মুক্তি পেতে হাতের ডাম্বেল ব্যায়াম করতে পারেন। এটা আপনার হাতের স্নায়ু ক্লান্তি এবং চাপ দূর করার পাশাপাশি কম্পন দূর করতেও অনেক বেশি সাহায্য করবে। তাই যদি আপনাদের হাত কাঁপা সমস্যা থাকে তাহলে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন।
আঙুলের ট্যাপ ব্যায়ামঃ এছাড়াও আপনারা হাতের কাঁপুনি দূর করার জন্য আঙ্গুলের ট্যাব ব্যায়াম করতে পারেন। এটি হল আঙ্গুল এবং হাতের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যদি আপনারা প্রতিদিন এই ব্যায়ামটি করার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন তাহলে আশা করি হাত কাবার সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন। আশা করি হাত কাঁপা রোগের ব্যায়াম করবেন কিভাবে সে বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
শরীর কাঁপা দূর করার ঔষধ
শরীর কাঁপা বা হাত-পা কাঁপা একটি সাধারণ সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি সাধারণত মানসিক চাপ, ক্লান্তি, পুষ্টির ঘাটতি, অথবা স্নায়ুর সমস্যার কারণে দেখা দেয়। কখনো কখনো এটি সাময়িক হলেও, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে যখন মানুষ যে কোন কিছু খাবার গ্রহণ করে তখন বোঝা যায় আসলে হাত কতটুকু কাপে।
এছাড়াও গ্লাস কিংবা কাপ ধরতে গেলে বোঝা যায় আসলে হাত কতটুকু কাঁপুনি শুরু হয়। দীর্ঘমেয়াদী এবং নিয়মিত শরীর কাঁপা হলে তা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পূর্বাভাস হতে পারে, যেমন: পার্কিনসন্স ডিজিজ, হাইপারথাইরয়েডিজম, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি এবং স্ট্রোকের কারণেও হয়।
আপনাদের যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো একান্ত জরুরী। কারণ ঘুম না হলে একটা মানুষের মস্তিষ্কের কাজের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফলে অনেক ধরনের চাপ অনুভব করে।
একেবারে শরীরে কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং পাশাপাশি হাত কাঁপা বা বা শরীর কাঁপা সমস্যা তৈরি হয়। তবে এই সমস্যা পুরোপুরি কখনোই ঠিক হয় না তবে কিছু তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এর উপসর্গ কমিয়ে রাখা যায়।
যেমনঃ ওষুধ হিসেবে আপনারা চাইলে প্রোপ্রোনোলোল ও প্রিমিডোন ওষুধটি সেবন করতে পারেন। এছাড়াও পাশাপাশি হাত কাঁপা কমাতে অ্যান্টি সিজার ওষুধ, বোটোক্স ও দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ খেতে পারেন। এতে করে আপনার কাফনের তীব্রতা আশা করি অনেকটা কমে যেতে সাহায্য করবে।
শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ
শরীর কাঁপা বা শরীরে অনিয়ন্ত্রিত কম্পন অনেক সময় শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। এটি এক ধরনের উপসর্গ, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষত হাত, পা, মাথা বা সম্পূর্ণ শরীরে অনুভূত হয়। সাধারণত, ঠান্ডা, মানসিক চাপ, ক্লান্তি, বা উদ্বেগের কারণে শরীর কাঁপতে পারে। তবে এই শরিক আপা যদি অনেকদিন পর্যন্ত হয় তাহলে আপনার হতে পারে নায়ও সমস্যা কিংবা থাইরয়েডের সমস্যার কারণে।
এছাড়াও শরিক আবার আরো বিভিন্ন কারণগুলোর মাধ্যমে হয়ে থাকে যেমন কম রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া, এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এছাড়া, অতিরিক্ত চা বা কফি সেবন, মাদকাসক্তি, এবং অ্যালকোহলের অভাবে ডিটক্সিফিকেশন চলাকালীন শরীরে কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।
কিছু সময়ের জন্য শরীর কাঁপা খুবই স্বাভাবিক, তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী বা নিয়মিত হলে, এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। শরীর কাঁপার পেছনের সঠিক কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এ সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে
আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা জানতে চান কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে? বন্ধুরা শরীরের যদি ভিটামিন ১২ এর অভাব হয় তাহলে শরীর কাঁপা থেকে শুরু করে ভুলে যাওয়া প্রবণতা দুশ্চিন্তা মাথা ঘোরা দুর্বলতা বিষন্নতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয় শরীরে রক্তশূন্যতারও দেখা দিতে পারে।
এতে করে রোগী অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অল্প পরিশ্রমে হাপে উঠে এবং বুক ধরফর করে। শুধু তাই নয় ভিটামিন বার এর অভাবে পাকস্থলীর সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায় এতে করে আপনার হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। এছাড়াও যদি আপনার দীর্ঘদিন ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতে থাকে তাহলে আপনার স্নায়বিক সমস্যা হতে পারে এতে করে আপনার হাঁটা চলা এবং শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেক বেশি সমস্যা হয়ে পড়ে।
শুধু তাই নয় সারাদিন ক্লান্ত লাগা এবং দুর্বল ভাব ভিটামিন ১২ এর অভাবে হয়ে থাকে তাই আপনারা সবসময় ভিটামিন ১২ এর অভাব দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করবেন। এতে করে আপনার খুব সহজেই এগুলো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। তাহলে আশা করি আপনারা কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে এই সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
শরীর হাত পা কাপা কমানোর উপায়
যদি আপনার শরীর বা হাত-পা কাঁপা শুরু হয় তবে আপনাকে ঘাবড়ানো যাবে না। কারণ এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেকের জীবনকালে অনুভব করেন। এটি মূলত স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার কারণে ঘটে এবং সাধারন বৃদ্ধ বয়সে অনেক বেশি দেখা যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকের মানসিক চাপ, উদ্বেগ, স্নায়বিক রোগ, অথবা পুষ্টির অভাবেও কম বয়সে হাত পা কাঁপার সমস্যা হতে পারে।
এছাড়াও শারীরিক দুর্বলতা বিশেষ করে মস্তিষ্কে ডোপামিনের অভাব হলে হাত-পা কাঁপা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও নেশা জাতীয় কোন কিছু গ্রহণ করলে এ সমস্যাটি সৃষ্টি হতে পারে তবে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করে। আজকে আমি শরীর হাত-পা কাপা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা যারা এই সমস্যার মধ্যে দিন পার করছেন তারা অবশ্যই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
যদি আপনারা হাত পা কাঁপা কমাতে চান তাহলে প্রথমত আপনাকে সঠিক পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শুধু তাই নয় হাত-পা কাঁপা দূর করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এতে করে আপনার শরীরের নায়ক কার্যক্রম উন্নত করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
এছাড়াও কাঁপুনি কমাতেও সাহায্য করবে পাশাপাশি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণেও অনেক বেশি সাহায্য করবে তাই দৈনন্দিন ভালোভাবে ঘুমাতে হবে এবং নিয়মিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। আশা করি এগুলো করলে আপনি খুব সহজেই কমাতে পারবেন। এর পাশাপাশি, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে যা স্নায়ুর কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
পেশাগত চিকিৎসা বা থেরাপির মাধ্যমে ওষুধ ছাড়াই অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। তবে, যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ এটি কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
হাত পা কাপার কারণ কি
যদি আপনার অকারনে হাত-পা কাঁপে তাহলে সেটাকে বলা হয় ট্রেমর। এটি যেমন বিরক্ত কর ঠিক তেমনি বিভিন্ন খাবার কিংবা লেখালেখি করাটাও কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তবে হাত কাপার অন্যতম চারটি কারণ রয়েছে সেটি হল ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অ্যাসেনসিয়াল ট্রেমর, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা এবং পারকিনসন’স রোগ।
তবে শ্বাসকষ্টের জন্য ব্যবহৃত কোন ওষুধ সেবন করলে আপনার পাও কাঁপতে পারে। তবে এক্ষেত্রে রোগীর অন্য কোন উপসর্গ থাকতে পারে যেমন গরম লাগা বা ঘাম হওয়া ওজন কমে যাওয়া ডায়রিয়া বুক ধরফর ইত্যাদি। অ্যাসেনসিয়াল ট্রেমার একটি বংশগত রোগ যেখানে হাত-পা কাপার সঙ্গে রোগীর মাথাও কাঁপে।
এই রোগের কারণে বিভিন্ন চলাফেরাই অনেক বেশি সমস্যা হয়। শুধু তাই নয় শারীরিক দুর্বল মানসিক চাপ এবং অন্যান্য চিন্তার কারণে ও হাত-পা কাঁপতে পারে। তাই আপনারা যারা হাত পা কাপার কারণ কি জানতে চেয়েছেন আশা করি সঠিকভাবে আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।
লেখক এর মন্তব্য | কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে
সর্বশেষে আপনাদের একটি কথা বলতে চাই উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো পড়ে আশা করি সকলেই কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে এবং শরীর হাত পা কাপা কমানোর উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। তবে পাঠক এগুলো সমাধানের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে ও ঘুমাতে হবে। তবে যদি আপনার দীর্ঘদিন এ রোগের সমস্যা হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url