চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনারা কি চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ধৈর্য সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে তা হয়তো আপনার জন্য জানা খুবই জরুরী। কারণ প্রত্যেকটা মানুষ চুলের যত্ন নেয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় খুজেন। তবে সেই উপায় আজকে আমি এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণ সঠিকভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
বন্ধুরা এ আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন কিভাবে করতে হয় এ বিষয়েও সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তা দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ করা হইল।
ভূমিকা
অ্যালোভেরা চুলের যত্নে প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান, যেমন ভিটামিন এ, সি, ই এবং ফোলিক অ্যাসিড, যা চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক। অ্যালোভেরা জেল স্ক্যাল্পের শুষ্কতা এবং চুলের রুক্ষতা দূর করে, যা চুলের গোঁড়া শক্তিশালী করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল গুণাবলী স্ক্যাল্পের ইনফেকশন এবং খুশকি প্রতিরোধে কার্যকর। নিয়মিত ব্যবহারে এটি চুলকে করে তোলে উজ্জ্বল, মসৃণ এবং সুস্থ। চুলের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অ্যালোভেরা তাই প্রাকৃতিক ও কার্যকরী একটি উপাদান।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরা প্যাক
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল চুলের যত্নে অ্যালোভেরার প্যাক। অনেকেই রয়েছে যারা চুলের যত্নের জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে এলোভেরা ব্যবহার করে কিভাবে চুলের যত্ন নেওয়া যায় তা আজকে এই আর্টিকেলে জানিয়ে দেব। তাই আশা করি আপনারা সকলেই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
- সাধারণত এলোভেরা জেল যেমন ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ঠিক তেমনি চুলের যত্ন অনেক বেশি সাহায্য করে। যেমন চুল পড়া কমানো, চুলের খুশকি দূর করা, চুলের রুক্ষতা দূর করা ইত্যাদি। এছাড়াও চুলের যত্ন নেয়ার জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহারের আরও সাতটি উপায় রয়েছে যা নিম্নে আলোচনা করা হলো
- চুলের যত্নের জন্য প্রথমত এলোভেরা জেল এর সঙ্গে সামান্য মধু এবং এক চা চামচ টক দই মিশ্রন করে চুলের আগা থেকে গোঁড়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ লাগান এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানি দিয়ে চুলগুলো ধুয়ে ফেলুন। আশা করি আপনার চুল হয়ে উঠবে অনেক মসৃণ ও ঝলমলে।
- এছাড়াও আপনারা চুলের যত্ন নেয়ার জন্য এলোভেরা জেল মাথার তালুতে মেসেজ করতে পারেন। এভাবেই দুই ঘন্টা রেখে দিয়ে পরবর্তীতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললে আশা করি অনেক উপকার পাবেন। মূলত নিয়মিত এলোভেরা জেল ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে।
- ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এবং ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস একসঙ্গে মিশ্রন করে সম্পূর্ণ চুলের গোড়ায় ২০ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন এতে করে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে।
- এছাড়াও আপনারা চাইলে এলোভেরার জেল স্প্রে করে ব্যবহার করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে প্রথমত যেটা করতে হবে অ্যালোভেরার একটি পাতা থেকে সম্পূর্ণ জেল সংগ্রহ করে ব্লেন্ড তৈরি করে একটি স্প্রে বোতলে পানির সঙ্গে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর বাইরে বের হওয়ার আগে এটি চুলের আগাতে স্প্রে করুন। আশা করি চুল অনেক ঝলমলেও সুন্দর হবে।
- এছাড়াও আপনারা চাইলে এলোভেরার জেল এবং শ্যাম্পু একসঙ্গে মিশ্রণ করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার চুল হয়ে উঠবে অনেক ঝলমলে।
- আধা কাপ এলোভেরা জেল এবং ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল একসঙ্গে মিশ্রণ করুন এরপর একটু হালকা আঁচে গরম করে নিন। এরপর সে মিশ্রণ করা ব্যাক টুকু ঠান্ডা হলে তুলা দিয়ে মাথার তালু ও চুলে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- যদি আপনার চুল অনেক পরিষ্কার ও ঝলমলে করতে চান তাহলে শ্যাম্পুর বদলে এলোভেরার হেয়ার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস নারকেল তেল ও নারকেলের দুধের সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল একসঙ্গে মিশ্রণ করে চুলের ব্যবহার করলে চুল অনেক সতেজ থাকবে। আশা করি চুলের যত্নে এলোভেরার প্যাক কিভাবে ব্যবহার করবেন তার সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
ছেলেদের চুলের যত্নে অ্যালোভেরা
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা চুলের যত্ন নেয়ার সময় পান না। তার কারণ হলো বিভিন্ন কাজকর্ম এবং বাইরের ধুলাবালির কারণে অনেকেই চুলের যত্ন নিতে পারেন না। তাই আজকে আমি ছেলেদের চুলের যত্নে এলোভেরা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করবো। আশা করি আপনারা সকলেই এ বিষয়টি অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ চুলের যত্নের জন্য খুবই উপকারী এই অ্যালোভেরা রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা কারোটিন রয়েছে যা চুলের পুষ্টি জোগাতে এবং চুল ঘন ও ঝলমলে করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
আরো পড়ুন
এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা থাকায় চুলের স্ক্যাম্পের যেকোনো সংরক্ষণ প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি সহায়তা করে এলোভেরা। শুধু তাই নয়, যদি আপনি চুলের যত্নে নিয়মিত এলোভেরা ব্যবহার করেন তাহলে আপনি নিজেই অ্যালোভেরার উপকারিতা প্রমাণ সহকারে বুঝতে পারবেন।
প্রাচীনকাল থেকেই চুল এবং ত্বক দুটোর জন্যই প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় আসছে। এলোভেরা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ও অনেক বেশি কার্যকরী তাই আপনারা চাইলে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনাল হিসেবে চুলে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন।
চুলে এলোভেরা ব্যবহার করার নিয়মঃ চুলে এলোভেরা ব্যবহার করার আগে আপনাকে অবশ্যই শ্যাম্পু করে নিতে হবে এরপর ভেজা চুলে ও মাথায় স্ক্যাম্পে মাখিয়ে নিতে হবে অ্যালোভেরা ও নারিকেল তেল মেশানো প্যাকটি। এছাড়াও আরো ভালোভাবে মেসেজ করতে মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত সম্পূর্ণ চলে ভালোভাবে ১৫ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন।
এরপর চুল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ভেজা চুল শুকনো নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে বাতাসে শুকিয়ে নিন। ফলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আগের চেয়ে আপনার চুলের স্বাস্থ্য উজ্জল কতটুকু হয়েছে। আশা করি ছেলেদের চুলের যত্নে অ্যালোভেরা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সম্পূর্ণ বিষয়গুলো পড়ে জানতে পেরেছেন।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরা এক প্রকারের ঔষধি উদ্ভিদ যা প্রাকৃতিক চুলের যত্নে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা চুলকে মজবুত, উজ্জ্বল, এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। চুলের বিভিন্ন সমস্যার জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা কতটুকু রয়েছে।
তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ আলোচনা করার চেষ্টা করব এবং নিম্নে কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করব যা দেখে আপনারা বুঝতে পারবেন চুলের যত্নে এলোভেরার কি কি উপকারিতা রয়েছে। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেঃ অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা এনজাইম এবং ভিটামিন চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা চুলের দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে চুলের ঘনত্বও বাড়ে।
চুলের রুক্ষতা দূর করে এবং মসৃণতা আনেঃ অ্যালোভেরা ব্যবহারে চুলের রুক্ষতা এবং শুষ্কতা কমে। এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক হিউমেকট্যান্ট উপাদান চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং চুলকে মসৃণ করে তোলে। ফলে চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
খুশকি প্রতিরোধ করেঃ অ্যালোভেরা খুশকি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান স্ক্যাল্পের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহারে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে এবং খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চুল পড়া রোধ করেঃ চুল পড়া বা চুল ক্ষয় রোধে অ্যালোভেরা সহায়ক। এর মধ্যে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড চুলের মূলকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়ার সমস্যা কমায়। এছাড়া, এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলের গঠন মজবুত করে তোলে।
স্ক্যাল্পের পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করেঃ অ্যালোভেরা স্ক্যাল্পের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে, যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। পিএইচ ভারসাম্য রক্ষায় অ্যালোভেরা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং স্ক্যাল্পের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করেঃ অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার, যা চুলকে নরম এবং মসৃণ করে তোলে। চুল ধোয়ার পর অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিলে চুলের জট খুলে যায় এবং এটি কন্ডিশনারের মতো কাজ করে।
চুলে অ্যালোভেরা ব্যবহারের পদ্ধতি
- অ্যালোভেরা ও নারকেল তেলঃ ১-২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে।
- অ্যালোভেরা ও মধুর প্যাকঃ ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। মধু চুলকে মসৃণ করে তোলে এবং অ্যালোভেরা চুলের পুষ্টি বাড়ায়।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার নিয়মিত ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ?
অ্যালোভেরা চুলের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার এবং রুক্ষতা দূর করতে সহায়ক। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের রুক্ষতা, খুশকি, এবং চুল পড়ার সমস্যা কমে। এটি প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানে ভরপুর যা চুলকে ভিতর থেকে মজবুত করে এবং স্ক্যাল্পের জন্যও সুরক্ষা প্রদান করে। অ্যালোভেরার নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে চুল হয়ে ওঠে সুস্থ, উজ্জ্বল, এবং মসৃণ।
এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন
অ্যালোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি অনেকেই জানেন না। আজকে আমি এই আর্টিকেলে আপনাদের এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। অ্যালোভেরার জেল ও লেবু চুলে ব্যবহার করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। মূলত প্রাচীনকাল থেকেই এলোভেরা জেল প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে।
এক চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং দুই চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশ্রন করে আপনার চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার চুল অনেক ঝলমলে ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয় এলোভেরা ও লেবুর রস চুলে ব্যবহার করলে চুল হয়ে ওঠে অনেক মজবুত।
পাশাপাশি চুল বৃদ্ধি ও চুলের পুষ্টি জোগাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। শুধু তাই নয় লেবুর রস চুলের জন্য দারুন উপকারি যেহেতু লেবুর রসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে সেহেতু চুলের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে এতে করে আপনার চুলের দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
লেবুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য যা চুলের ফলিকল কে উন্মুক্ত করতেও সহায়তা করে এতে করে চুল পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। চুলের খুশকি দূর করতেও অনেক বেশি সাহায্য করে লেবুর রস। তাহলে আশা করি আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন কিভাবে করতে হয়।
রাতে চুলে এলোভেরা ব্যবহার
যদি আপনারা রাতে চলে এলোভেরা ব্যবহার করতে চান তাহলে করতে পারবেন তবে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা হয়তো অনেকেই জানেন না তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে রাতে চুলে এলোভেরা ব্যবহার করার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের স্বাস্থ্য জন্য অনেক বেশি উপকারী যদি আপনারা রাতে এলোভেরা জেল ব্যবহার করেন তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
- কালো দাগ হালকা করে। জেল ত্বকের কালো দাগ দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে এছাড়াও সামগ্রিকভাবে টোন উন্নত করতেও অনেক বেশি সহায়তা করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
- মশ্চারাইজিং। অ্যালোভেরা জেল এর ভেতরে যে পানি রয়েছে এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ রয়েছে তা শুষ্ক ত্বকের হাইড্রেট এবং প্রশ্নটি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আপনারা চাইলে এলোভেরা রাতে ব্যবহার করতে পারেন।
- অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি। এলোভেরা জেল এ অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের ব্রণ বা অন্যান্য লালভাব ফোলা ভাব এবং জ্বালা কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
- অ্যান্টি ইজিং। অ্যালোভেরা জেলের রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন যা ত্বকের বলি চেহারা প্রতিরোধ করতে এবং কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আপনারা চাইলে রাতে এলোভেরা জেল ব্যবহার করে এই সমস্যাগুলো সমাধান পেতে পারে।
তৈলাক্ত ত্বকে এলোভেরার ব্যবহার
- আপনারা যদি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে চান তাহলে প্রথমত আপনাকে যেটা করতে হবে এক টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এবং এক টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশ্রণ করতে হবে তোকে লাগিয়ে রেখে এক ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন আশা করি আপনার তবে তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে।
- এছাড়াও দুই টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এবং এক্সিমটি হলুদের গুঁড়া একসঙ্গে মিশ্রণ করে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন এরপর সেটি ১৫ মিনিট তবে লাগিয়ে রেখে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের তেল রক্ত ভাব দূর করা সহজ হবে।
- এছাড়াও আপনারা চাইলে তো ভাব দূর করার জন্য দুই টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এবং দুই টেবিল চামচ গোলাপ জল একসঙ্গে মিশ্রণ করে বিশ মিনিট তোকে লাগিয়ে রাখুন এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আশা করি এই পদ্ধতিও অবলম্বন করলে আপনি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে পারবেন।
- এছাড়াও আপনারা চাইলে এলোভেরা জেল এবং দুই টেবিল চামচ শসার রস একসঙ্গে মিশ্রন করে তবে মেসেজ করলে এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ত্বক পরিষ্কার করলে তাকে তেলাপো ভাব খুব সহজেই দূর করা সম্ভব হয়।
- দুই টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এবং ২ টেবিল চামচ গুঁড়া এবং এক চা চামচ চিনি একসঙ্গে মিশ্রণ করে ত্বকে ঘষে ঘষে ১৫ মিনিট লাগিয়ে অপেক্ষা করে তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও তাকে তেলাক্ত ভাব দূর করা সম্ভব। তাহলে পাঠক আশা করি তৈলাক্ত ত্বকের এলোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্যঃ চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা
প্রিয় ভিজিটর আশা করি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা এবং এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। আপনি যদি এ বিষয়গুলো জেনে একটু উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন এবং এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url