বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে সকল তথ্য জানুন
বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনার প্রেক্ষাপট। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন বাগেরহাট জেলার পরিচিতি সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
বাগেরহাট জেলায় ভ্রমণ করতে গেলে দর্শনার্থীরা ভ্রমণযোগ্য অনেক রকম জায়গা সম্পর্কে জানতে চান। তাই আজকের পোস্টে বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
বাংলার সবচেয়ে বড় সমুদ্রের কিনারা নিয়ে থাকা বাগেরহাট জেলায় দেখার মতো অনেকগুলো জায়গা রয়েছে। সকল স্থানের ভিত্তিতে আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো বাগেরহাট জেলা, বাগেরহাট নামকরণের ইতিহাস, বাগেরহাট জেলার ইতিহাস, বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার, বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত, বাগেরহাট জেলার জনসংখ্যা কত, বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং বাগেরহাট জেলার পৌরসভা কয়টি সম্পর্কিত বিস্তারিত সকল তথ্যসমূহ সম্পর্কে।
বাগেরহাট জেলা
আমাদের দেশের সর্ব বৃহৎ সমুদ্র এর দেশীয় মানচিত্র অনুসারে আমাদের ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের পার্শ্ববর্তী তরফে উপস্থিত অঞ্চলটির নাম বাগেরহাট। এই জেলা মূলত খুলনা এর অধীনস্থ একটি অঞ্চল। বাগেরহাট জেলার অবস্থানগত দিক থেকে এই অঞ্চলের পূর্ব দিক ঘিরে রয়েছে পিরোজপুর এবং বড়গুনার অঞ্চল সমূহ।
বাগেরহাট জেলার পশ্চিম দিক ঘিরে রয়েছে খুলনা। আবার এই জেলার উত্তর পাশ থেকে রয়েছে গোপালগঞ্জ এবং নড়াইল এর অঞ্চল আর দক্ষিণ দিক থেকে অবস্থান নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উপসাগর। বাগেরহাট জেলাতে থাকা ক্ষুদ্র অঞ্চল গুলোর গণনার ভিত্তিতে এই জেলাকে আমাদের দেশের প্রথম শ্রেণীর জেলা সমূহের তালিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাগেরহাট নামকরণের ইতিহাস
খুলনা বিভাগের অধীনস্থ থাকা এই জেলাটির নামকরণ কার দ্বারা হয়েছিল কিংবা কিভাবে প্রক্রিয়াটি ঘটেছিল সে বিষয় সম্পর্কে বর্তমান সময়ে এসেও নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা অনেক খুঁটিনাটি বের করে নিখুঁত তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন।
তবে বিশেষজ্ঞদের এই সন্ধান প্রক্রিয়ায় সাফল্য নিয়ে আসা সত্বেও এই জেলার নাম কার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং কত তারিখে তা ঘটেছিল সে সম্পর্কে সঠিকভাবে এখনো বলা যাচ্ছে না। এ কারণেই ধারণা করা হয় বাগেরহাট জেলার নামকরণের ইতিহাস হয়তো কিছুটা জটিল কিংবা প্যাঁচ খেয়ে থাকা একটি তথ্য।
কিছু ব্যক্তিবর্গের মস্তিষ্কে এবং পারিপার্শ্বিক মহলের মাধ্যমে আসা ধারণা অনুযায়ী বাগেরহাট জেলার নামকরণের ইতিহাসের পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলোর উপর নির্ভরশীল। এর মর্ম বুঝাতে হলে ব্যাপারটিকে বিশ্লেষণ করে বলতে হবে। এই জেলার পার্শ্ববর্তী এলাকার নাম সুন্দরবন। তাছাড়া বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলোকেও বিবেচনা করা হয়।
সুন্দরবন মূলতঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং দেশের আভ্যন্তরীণ ও বিশ্ব তালিকায় উভয় ভাবেই ঐতিহাসিক একটি বন। সুন্দরবনের ঐতিহ্য হলো এর উদ্ভিদের সমাহার, পুকুর এবং বাঘের সমাহার। এ বোনের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় পশুর এক বড় পরিমাণে সন্ধান পাওয়া যেত।
আর যেহেতু এখানে বাঘের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল সেই ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হওয়ার কারণে এই জেলার নাম বাঘেরহাট হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে লোকমুখে এবং বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে এই বাঘেরহাট নামটি প্রক্রিয়াকরণ করে বাগেরহাট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
তবে মত ভেদে বাগেরহাটের নামকরণের ইতিহাসে আরেকটি মোড় পাওয়া গিয়েছে। পূর্বের সময় হজরত খান জাহান আলী দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছিল খলিফা-ই-আবাদ। খলিফা-ই-আবাদটির বাগানের এলাকা গুলো বেশ উন্নতি অর্জন করেছিল। আর যেহেতু বাগানের ওপর শব্দ বাগ তাই সে সময়ে এই শব্দটি এলাকার পরিচয় হিসেবে বেশ পরিচিত হয়ে উঠে।
বাগের এই উন্নতির কারণের এই ইতিহাসের ভিত্তিতে পরবর্তীতে এই অঞ্চলের নাম বাগেরহাট হিসেবে প্রবর্তন করা হয়। তবে এই ইতিহাসগুলোর উপরেও অন্য একটি ইতিহাস রয়েছে যারা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা এবং সে অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে বরণ হয়েছে। এই ইতিহাস টি হলো কিছুটা নদী ভিত্তিক।
কিছু ক্ষেত্রে আবার বলা হয়ে থাকে নামকরণের ইতিহাসের ক্ষেত্রে বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর সম্পর্ক গভীর ভাবে রয়েছে। এ অঞ্চলের শহুরে এলাকার নিকট থেকে বয়ে যাওয়া ভৈরব হ্রদের উত্তর পাশ হতে হাড়িখালি হতে যদি সময়ে নাগের বাজারে এসে থেমে যাওয়া স্থানে লম্বা এক বাঁকের উপস্থিতি রয়েছে।
প্রাচীন সময়ে এই বাঁকের পুরনো বাজারের অঞ্চলে হাট বাজারের মতো এক পদ্ধতির প্রচলন ছিল। নিকটবর্তী হওয়ার কারণে পরবর্তীতে এই প্রচলিত হাটের উপর ভিত্তি করে এই অঞ্চলটির নাম বাঁকেরহাট হিসেবে প্রবর্তিত করা হয়েছিল। সময়ের বিবর্তনে বাঁকেরহাট এর লেখনি এবং উচ্চারণ পরিবর্তন পেয়ে বাগেরহাট হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।
বাগেরহাট জেলার ইতিহাস
১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দ এর পূর্ব সময় পর্যন্ত প্রায় ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দ হতে বাগেরহাট জেলাটি দুটি জেলার অধীনস্থ একটি থানা ছিল। অর্থাৎ তৎকালীন সময়ে খুলনা জেলা ছিল যশোর জেলার একটি উপজেলা এবং সেই উপজেলা খুলনার অধীনস্থ থাকা থানার নাম ছিল বাগেরহাট। পরবর্তীতে ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে মোড়ল স্বত্বাধিকারী দুই ব্রিটিশ ব্যক্তি সেই অঞ্চলে স্বত্বাধিকারের উপর ভিত্তি করে এটি বন্দরের সন্নিবেশ ঘটায়।
তার কিছু সময় পরে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের দিকে মোড়েল এবং রহিমুল্লাহ এর পরিচয়ে সে অঞ্চলে এক বিবর্শ লড়াই ঘটে। সেই সময়ে সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর কিছু উৎপত্তি ঘটে বলে জানা যায়। সেই সময়ে বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন তৎকালীন যশোর জেলার উপজেলা খুলনার ডি. এম.।
তদন্তের ভিত্তিতে সকল ব্যাপার পরিষ্কার করার পর পরবর্তীতে বর্তমান বাগেরহাট জেলাকে তৎকালীন যশোর জেলার অভ্যন্তরীণ উপজেলা হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়। যা পরবর্তীতে দেশের মানচিত্রের সংস্কারের মাধ্যমে নিজস্ব একটি জেলার সমৃদ্ধতা লাভ করে। স্বাধীনতার পরবর্তী সংস্কার অনুযায়ী এখন এই জেলার উপজেলার সংখ্যা নয়টি, এখানকার ইউনিয়নের সংখ্যা পঁচাত্তরটি, এখানকার গ্রামের সংখ্যা একহাজার সাতচল্লিশটি ও এই অঞ্চলে পৌরসভা সংখ্যা মোট তিনটি।
বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার
বাংলার পটভূমিতে থাকা মানচিত্রের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ থেকে অবস্থিত অঞ্চল গুলোর জনপ্রিয় খাবার হিসেবে মসলাদার একটি খাবার খেয়ে বাছাই করে নেয়া হয়েছে। এই খাবারটির পরিচিতি গত নাম চুইঝাল। বিশেষ করে চুইঝাল রান্নার রেসিপি তে ব্যবহার করা মসলা এই এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পছন্দের একটি মসলা।
খুলনা বিভাগের সকল অঞ্চল সহ বাগেরহাট জেলা এবং দক্ষিণ এলাকা ভর্তি অঞ্চল গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুপরিচিত এবং পছন্দের তালিকায় থাকা একটি মসলা এটি। তবে এটি কেবল মসলা পর্যন্তই থেমে নেই। এই মসলার রন্ধন প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া খাবার এ সকল এলাকা গুলোর মধ্যে যে পর্যায়ে জনপ্রিয় একটি খাবার।
বিশেষ করে গরুর মাংসের চুইঝাল রান্না এসকল এলাকাতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে রয়ে আছে। কোন উৎসব - অনুষ্ঠান সহ যেকোনো রকম সময়ে যেকোনো আতিথেয়তা পালনে কিংবা অকারণেও এখানে মাংসের চুইঝাল খাওয়ার ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। তবে চুইঝাল ছাড়াও বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর জন্যও এই জেলা বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
তাছাড়াও প্রতিবছরের ঈদ উল আযহা উপলক্ষে বাগেরহাট জেলাতে চুইঝাল মসলা এবং মাংসের এই চৈ ঝাল রান্না উভয় খুব বড় পরিসরে একটি দাবির উপাদান হয়ে ওঠে। বাসাবাড়িসহ দোকানপাট কিংবা হোটেল গুলো সব জায়গাতেই এই উৎসবের মৌসুমে চুই খালে চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
এতে করে বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার গ্রহণের আশাতে দোকানপাটে গ্রাহকের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবে এই চুই ঝালের দাম প্রতি কেজিতে প্রায় চারশত রাখা হয়। তবে উৎসবের আমেজ থাকলে এর দাম অনেকাংশে বেড়ে যায় এবং প্রায় হাজারের কাছাকাছি চলে যায়।
এই খাবারটি বাগেরহাট জেলার অন্যতম পছন্দের তালিকা থাকার কারণ হলো নিজস্ব এলাকায় চাষাবাদ প্রক্রিয়া। বাগেরহাট জেলা সহ পার্শ্ববর্তী সকল অঞ্চল গুলোর মধ্যে মসলার গাছগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত এবং পছন্দের গাছগুলোর তালিকা তে সর্বপ্রথমে রয়েছে চুইঝাল এর নাম।
বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
রাষ্ট্রীয়ভাবে অথবা রিত্যানুসারে নির্ধারণ করা কোন জায়গাকে সাধারণত দর্শনীয় স্থান কিংবা ঐতিহাসিক স্থান আখ্যায়িত করা হয়। তবে দর্শনের স্থান স্থানের সংজ্ঞাটি আরোও বিশ্লেষিত আকারে উপস্থাপন করা হয়। দর্শনীয় স্থান বলতে মূলত ভ্রমণ করার উপযোগী কোন স্থানকে বোঝানো হয় যা হতে পারে ঐতিহাসিক স্থান সময় তালিকা ভুক্ত কিংবা ভ্রমণ বা দর্শনের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বাছাই করা কোন স্থান।
সাধারণভাবে রাজনৈতিক - কূটনৈতিক, যুদ্ধকালীন কিংবা যুদ্ধ বিষয়ক, কৃষ্টি বা সভ্যতা মূলক কিংবা সামাজিক - সাম্প্রদায়িক ঘটনা-বিবরণী সম্পন্ন কোন জায়গা কিংবা সেই জায়গার অংশ বিশেষকে ঐতিহ্যবাহী অথবা ঐতিহাসিক স্থান বলা হয়। যেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার নিজেকে কিছু দর্শনীয় স্থান এবং ঐতিহ্যবাহী জায়গা রয়েছে।
ঠিক একইভাবে বাগেরহাট জেলাতেও অনেকগুলি দর্শণীয় স্থানের সন্ধান পাওয়া যায়। বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান গুলো হল এই জেলার পরিচয়। তবে বাগেরহাট জেলার বিখ্যাত খাবার গুলোও বাগেরহাটের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
বাগেরহাট জেলার অন্যতম কিছু দর্শনীয় স্থান গুলোর নাম যথাক্রমে ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাটের নয় গম্বুজ মসজিদ, হযরত খান জাহান আলী রঃ এর মাজার, বাগেরহাটের জাদুঘর, খাঞ্জেলী দিঘী, মংলা স্থান এবং অযোধ্যার মঠ সহ আরো অন্যান্য অনেক জায়গা সমূহ। নিম্নে বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ নিয়ে ছোট করে একটি আলোচনা উপস্থাপন করা হলো।
ষাট গম্বুজ মসজিদঃ বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী স্থান কিংবা দর্শনীয় স্থান যেটিই বলা হোক না কেন লিখনের সর্বপ্রথম পাতায় এই ষাট গম্বুজ মসজিদের কথা উল্লেখ করা থাকে। এটি আমাদের দেশের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। ঐতিহাসিক তথ্য লিপি অনুসারে বাংলার এই ষাট গম্বুজ মসজিদটির গঠন কাজ ১৫০০ শতকে আরম্ভ থেকে নিয়ে সমাপ্তি করা হয়েছিল। ১৯৮৩ সালে বাগেরহাটে সম্পূর্ণ শহরটি ইউনেস্কো দ্বারা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলোর মধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছে।
হযরত খান জাহান আলী রঃ মাজারঃ পরিচয় হিসেবে একে খান জাহান আলীর মাজার ই বলা হয়। খান জাহান আলী বাংলার এই অঞ্চলে ধর্ম চর্চার জন্য অবস্থান করেছিলেন। তথ্যসূত্রে জানা যায় বাঘেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ মসজিদ গঠনে খান জাহান আলীর অবদান ছিল। তার ধর্ম চর্চার প্রসঙ্গে ভক্তগন এই মাদারটি প্রতিষ্ঠা করেন।
খাঞ্জেলী দীঘিঃ এই দীঘি বাগেরহাট এর প্রাণবিন্দুর এলাকা হতে প্রায় তিন কি.মি. এর সড়ক পথের দূরত্বে রয়েছে। এই দিঘির নাম রাখার ব্যাপার নিয়ে বেশ কিছু তর্ক বিতর্ক হয়েছে। এক কালে একে ঠাকুর দিঘী বলা হতো। এই দিঘি প্রায় ২০০ বিঘা জমি নিয়ে অবস্থান রেখেছে। তাছাড়াও বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ আরও অনেক গুলো রয়েছে।
বাগেরহাট জেলার পৌরসভা কয়টি
পৌরসভা বলতে বোঝায় দেশে উপস্থিত থাকা অঞ্চলগুলো শহর এর এলাকা ভুক্ত একটি ক্ষুদ্র প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া পদ্ধতি থাকার কারণে এলাকা ভিত্তিক সমস্যা এবং উন্নয়নের কাজগুলো শহর কিংবা গ্রামের এক একটি শাখার মধ্যে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। ফলে উন্নয়ন এবং বাসি কর্ম সাধন করা সহজ হয়ে পড়েছে।
এখনকার সময়ে আমাদের দেশে রাজধানীসহ দেশের আরো কিছু অঞ্চল গুলো মিলিয়ে সর্বমোট বারটি সিটি কর্পোরেশন এবং সার্বিকভাবে মোট তিনশত একত্রিশ টি পৌরসভার তালিকা প্রকাশ পেয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পৌরসভা বগুড়ার অঞ্চলে রয়েছে। আর এই তালিকায় মাঝেরহাট জেলাতে স্থিতিশীল অবস্থায় সমগ্র পৌরসভা সংখ্যা তিনটি। অর্থাৎ এই জেলাতে মোট তিনটি পৌরসভা উপস্থিত রয়েছে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে বাগেরহাট জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে বাগেরহাট জেলার পরিচিতি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url