সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে জানুন
সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর প্রসঙ্গ সম্পর্কে সকল কিছু তথ্য নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের এই পোস্টে। তৎসহ আপনাদের জন্য আরও থাকছে, সাতক্ষীরা কোন নদীর তীরে অবস্থিত সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত ব্যাপার সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
সাতক্ষীরা জেলায় রয়েছে মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক স্থান যা ভ্রমনকারীদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। তাই আজকের পোস্টে সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
খুলনা বিভাগ সম্পৃক্ত সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশ এবং ভারতের একটি মোড় নিয়ে অবস্থান রাখছে। সাতক্ষীরা নামক এই উপকূলীয় শহরটি ঢাকা হতে একটি মোটামুটি দূরত্ব নিয়ে অবস্থান করছে। আজকে পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো সাতক্ষীরা জেলা, সাতক্ষীরা জেলার ইতিহাস, সাতক্ষীরা কোন নদীর তীরে অবস্থিত, সাতক্ষীরা কিসের জন্য বিখ্যাত, সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত খাবার এবং সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্ত।
সাতক্ষীরা জেলা
খুলনা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা হচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা। যা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত বরাবর অবস্থিত হওয়ার কারণে এটি একটি বিশেষ ভূগোলের অধিকারী। আড়ংপাংগাছিয়া নদীর তীরে অবস্থিত সাতক্ষীরা জেলা নিজের প্রকৃতি ও মনোরম দৃশ্যের জন্য পরিচিত।
এই জেলার আয়তন প্রায় ৩,৮১২ বর্গ কিলোমিটার (১,৪৭৪ বর্গমাইল ) যা এই অঞ্চলকে একটি বিস্তৃত অঞ্চলে রূপান্তরিত করে। এর উত্তরে যশোর জেলা, দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে খুলনা জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাগুলোর সীমান্ত রয়েছে। এই জেলাটি ম্যানগ্রোভ বন এবং নদী অঞ্চলের জন্য পরিচিত, যা স্থানীয় পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করেছে।
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ব্যতীত যদি জনসংখ্যার বিষয়ে বলা হয় তাহলে বলতে হবে, সাতক্ষীরা জেলার জনসংখ্যা প্রায় ২.০৮ মিলিয়ন (২০১৩) জাস্ট স্থানীয় অর্থনীতি ও সমাজের বহুমাত্রিকতা প্রতিফলিত করে। জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মুসলিম হলেও এখানে একটি ছোট হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও রয়েছে। এই বৈচিত্র্যময় ধর্মীয় সমাজের মত জেলা রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই অঞ্চলে মূলত ধান পাট এবং বিভিন্ন শাক সবজি চাষ করা হয়। অর্থাৎ সাতক্ষীরা জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। স্থানীয় মৎস্য ৪০০ এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাছাড়াও এই সব কিছুর সাথে, এই জেলাতে উন্নয়নের জন্য কৃষি এবং মৎস্য চাষ একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
এই জেলা মূলত প্রকৃতি ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য মেলবন্ধন যা স্থানীয় এবং পর্যটকদের জন্য এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা প্রদানের সক্ষমতা রাখে। এখানকার সংস্কৃতি স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার একটি বিশেষ দিক। এখানে নানা ধর্মীয় উৎসব সামাজিক অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড স্থানীয় মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয় সৃষ্টি করে। স্থানীয় খাবার পোশাক এবং শিল্পকলাও এই জেলাকে এক বিশেষ পরিচিতি প্রদান করে থাকে।
সাতক্ষীরা জেলার ইতিহাস
পুরাতন সময় থেকে সাতক্ষীরা জেলাকে বাগড়ী, বুড়ন, ব্যাঘ্রতট, ইত্যাদি ধরনে সম্বোধন করে পরিচয় দেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার হাই নাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বহু রকম অভিমত মুখোমুখি হয়েছিল।সর্ব শুরুতে নদীয়ার প্রশাসক কৃষ্ণচন্দ্র এর এক সেবক কোন একটি পন্থা অবলম্বন করে বুড়ন পরগনা এর খরিদারি করে। এরপরে অঞ্চলে নিজস্ব একটি বাড়ি নির্মাণ করেন।
পরবর্তীতে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রচলিত নামগুলির সাথে প্রত্যেয় যোগ করে সর্বশেষ নামকরণ হিসেবে সাতক্ষীরা নামটি বাছাই করে শেষ সিদ্ধান্তে বহাল রাখা হয়। বহুবার বহু রকম ব্যক্তি বা শাসক সাতক্ষীরা জেলার আধিপত্য গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি পরপর দুটি বছরের ব্যবধানে ১৩৩৮ এবং ১৩৩৯ সালের দিকে প্রথমে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ এবং পরবর্তীতে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এই অঞ্চলের স্বতন্ত্রতার এলান দিয়েছিলেন।
আমাদের দেশের পটভূমির একদম দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় বন সুন্দরবন এর অবস্থান রয়েছে যা এক ধরনের গরান গাছ এর সমৃদ্ধে ভরপুর। সাতক্ষীরাতে যেতে হলে সড়কপথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন এর রূপ পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। সৌন্দর্য এবং ইতিহাসের কারণে সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর চর্চা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
মানচিত্র গত থেকে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান হলো ভারতের সীমান্ত বরাবর ও বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকাতে। সাতক্ষীরা জেলাতে মানুষ জন এর বসবাস একটি সুস্থ পর্যায়ে গঠন হওয়ার পূর্বে এটি কোনো বসতি পূর্ণ এলাকা হিসেবে ছিল না। পুর্বে এই সাতক্ষীরা জেলাটি একটি সুবৃহৎ বিল এর ন্যায় ছিলো। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে এই বিল ঢেকে দিয়ে এখানে মানুষজনের বসবাস শুরু হয়।
১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে যশোর জেলার আওতায় সর্বমোট সাতটি জমায়েত নিয়ে সাতক্ষীরা এর এলাকা বা বিভাগীয় জেলা হিসেবে প্রবর্তিত হয়েছে। এর পরবর্তীতে প্রায় ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে সাতক্ষীরা সংলগ্ন ভারতের এলাকাতে সাতক্ষীরা নামক এই বিভাগীয় জেলার যাবতীয় কার্যকলাপ সম্পাদনা করার আরম্ভ ঘটে। এলাকাটির নাম ছিল আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পশ্চিম অঞ্চলের ২৪ পরগনা এলাকা।
কিছু সময় পর ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দের দিকে যখন খুলনা জেলাটি সম্পূর্ণরূপে নিজের সংস্থাপনা বুঝে পায় তখন এই বিভাগীয় জেলার কার্যকলাপ হস্তান্তরের কাজের প্রথম প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয়। তৎকালীন বছরে সাতক্ষীরা অঞ্চলকে খুলনা জেলার আওতাভুক্ত পটভূমি হিসেবে পথ মর্যাদা দেয়া হয়। পরবর্তীতে ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দ এর সময়ে পরিচালনা সংক্রান্ত অঘনিভবন এর কারণে সাতক্ষীরা কি আওতাধীন জেলা থেকে নিজস্বতা প্রদান করে সাতক্ষীরা কে অগ্রসর করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা জেলার সম্বোধন করা শব্দগুলোর ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় এই অঞ্চলের প্রাচীনতম ডাক শব্দ হলো সাতঘরিয়া। সাতক্ষীরা জেলা এই নিজস্বতা অর্জন করার কারণে বর্তমানে আমাদের দেশে বাকি ৬৪ টি জেলার ন্যায় সাতক্ষীরাও সম গুরুত্ব, সম্মান এবং অধিকার লাভ করবে।
সাতক্ষীরা এর অন্তর্ভুক্ত উপজেলা গুলোর সাংখ্যিক বর্ণনা হলো সাতটি এবং সাতক্ষীরা জেলার মোট আটটি থানা বা জমায়েত এর কার্যকলাপ চালু রয়েছে। তাছাড়াও সাতক্ষীরাতে আরোও আছে আটাত্তরটি ইউনিয়ন এবং মোট তিনটি পৌরসভা। তাছাড়াও সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ সাতক্ষীরা জেলার ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু ব্যক্ত করে।
সাতক্ষীরা কোন নদীর তীরে অবস্থিত
আমাদের দেশের সবগুলো জেলার অবস্থান এবং বৈশিষ্ট্য উভয়ই বৈচিত্র্যময়। তারই সাথে আমাদের সাতক্ষীরা জেলার অবস্থানও একইভাবে বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ রয়েছে। তথাকথিত বাক্যে এমন বলা হয়ে থাকে যে সাতক্ষীরা জেলার নিজস্ব নদী প্রতিনিয়ত এর পাশ থেকে প্রতিবাহিত হয়ে চলেছে। আমাদের দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম পাস ধীরে এক হ্রদের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এর নাম গলঘেসিয়া। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই নদীকে গুতিয়াখালী নদী হিসেবে চেনা হয়। এই নদীটি সাতক্ষীরা জেলার নিজস্বতার পরিচয়ক৷ গলঘেসিয়া হ্রদটির আয়তনের বিশ্লেষণে এটি লম্বায় প্রায় ২২ কি.মি. এবং চওড়াতে গড় হিসেবে প্রায় ২২ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার এই নদীটি পেঁচাল আকৃতি ধারন করে রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলার এই হ্রদটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে। পরবর্তীতে এটিকে বাংলার দক্ষিণ পশ্চিম পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সংলগ্ন হ্রদ হিসেবে ধারাবাহিকতায় এটিকে ২৬ নম্বর এর স্থানে চিহ্নিত করা হয়েছে। গলঘেসিয়া হ্রদ এই অঞ্চলের আশাশুনি, শ্যামগঞ্জ এবং কালিগঞ্জ উপজেলায় বুকের উপর থেকে বয়ে যায়।
সাতক্ষীরা জেলার এই নদীটির পার্শ্ববর্তী এলাকাতে এখানকার ঐতিহ্যের পরিচয় সমূহের নানা রকম পদ্ধতিতে প্রচলন দেখা যায়। তাই সাতক্ষীরা কোন নদীর তীরে অবস্থিত প্রসঙ্গে প্রথমেই গলঘেসিয়া হ্রদের নাম তুলে ধরা হয়। তাছাড়াও গলঘেসিয়াকে আবার গুতিয়াখালিও বলা হয়।
সাতক্ষীরার বিখ্যাত মিষ্টি
সাতক্ষীরার নাম জানে না এমন ব্যক্তি হয়তো বাংলাদেশে নেই। সাতক্ষীরার বিখ্যাত মিষ্টি হচ্ছে দুধের ছানা দিয়ে তৈরি এক ধরনের সন্দেশ। একবার যদি কেউ সাতক্ষীরার সন্দেশ খেয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয়বার নাম শুনলেই খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যাবে। এটি এতটাই সুস্বাদু যে সারাদেশের মানুষের কাছে একটি পরিচিত মিষ্টান্ন হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে অনেক জায়গাতেই সাতক্ষীরার সন্দেশ বলে অন্য সন্দেশ বিক্রয় করা হয় যার স্বাদ আসল সন্দেশের মতো একেবারেই থাকেনা। যার কারণে সাতক্ষীরার বিখ্যাত সন্দেশের আসল স্বাদ সম্পর্কে অনেকেরই ভুল ধারণা হয়ে থাকে।
সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের একটি বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধময় অঞ্চল। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এর পূর্বে রয়েছে খুলনা জেলা, দক্ষিণে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। এই অঞ্চলটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক প্রায় ১৬ ফুট উঁচুতে রয়েছে। এটি খুলনা বিভাগের অধীনে রয়েছে যা সুন্দরবনের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে একটি বিশেষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্রের সমৃদ্ধস্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা তার চমৎকার নদী, প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের জন্য বিখ্যাত। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপার পরিমাণে পাওয়া যায়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম কেন্দ্রীয় আকর্ষণ। নিম্নে সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- সুন্দরবন
- রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন
- জাহাজ ঘাটা নৌ-দুর্গ
- ঈশ্বরীপুর হাম্মাম খানা
- মান্দার বাড়িয়া সমুদ্র সৈকত
- শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক
- বনবিবির ঐতিহাসিক বটগাছ
- তেতুলিয়া জামে মসজিদ
- টাউন শ্রীপুর জমিদার বাড়ি
- লিমপিড গার্ডেন
- যশোরেশ্বরী মন্দির
- হরিচরণ রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি
- দেবহাটা জমিদার বাড়ি
- মায়ের মন্দির বা পঞ্চ মন্দির
- জোড়া শিব মন্দির
- বুধহাটার দ্বাদশ শিবকালী মন্দির
- টেঙ্গা মসজিদ
- মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট
- ড্যামরাইল নবরত্ন মন্দির
- সোনা বাড়িয়া মঠবাড়ি মন্দির
- যীশুর গির্জা
- প্রবাস পুর শাহী মসজিদ
- নলতা রওজা শরীফ
- গুনা করোকাটি মাজার
- সুন্দরবন পিকনিক কর্নার
- কলারোয়ার বৌদ্ধ মঠ
- কপোতাক্ষ নদ
- ইছামতি নদী
- আকাশ নীলা ইকা ট্যুরিজম
সাতক্ষীরা জেলা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঐতিহাসিক স্থান ও সাংস্কৃতির বৈচিত্র্যে ভরা। এখানে ভ্রমণ করলে পর্যটকরা একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, তেমনি তাদের ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় জায়গা গুলোর একটি, যা প্রকৃতি প্রেমী এবং ইতিহাস প্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
সাতক্ষীরা কিসের জন্য বিখ্যাত
উপরের প্যারায় আমরা জানলাম সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে এবার আমরা জেনে নিব সাতক্ষীরা কিসের জন্য বিখ্যাত সেই সম্পর্কে। বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের মধ্যকার একটি প্রশাসনিক এলাকা হচ্ছে সাতক্ষীরা। ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে এটি বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। সাতক্ষীরা পার হলেই পাওয়া যাবে শুধুমাত্র অথৈ সাগর।
এটি পৃথিবীর স্থলভাগের শেষ সীমানা হওয়ার কারণে অথবা সামুদ্রিক সীমানার কারণে এই জেলা ঘূর্ণিঝড় বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে থাকে। সাতক্ষীরায় রয়েছে অনেক ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। তবে সাতক্ষীরা জেলা মূলত এখানকার চিংড়ির জন্য বিখ্যাত। প্রচুর পরিমাণে চিংড়ির হ্যাচারি সাতক্ষীরা জেলায় পাওয়া যায়। প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি এখানে প্রতিবছর চাষ করা হয়ে থাকে।
হ্যাচারির মালিকগণ এ সকল চাষকৃত চিংড়ি দেশের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেন। যার কারনে বলা যায় মূলত চিংড়ি উৎপাদনের জন্যই সাতক্ষীরা জেলা সবার কাছে বিখ্যাত। তাছাড়া অন্যতম আরো একটি কারণ হচ্ছে, সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করা কিছু বিশেষ ব্যক্তিত্ব যাদের কারণে গোটা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ পরিচিত বা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে সাতক্ষীরা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে সাতক্ষীরা জেলার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url