গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনার বিষয়বস্তু। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে আর কি কি খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায়-চিড়া-খাওয়া-যাবে-কি-সে-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের শরীরে এবং মনে অনেক পরিবর্তন ঘটে থাকে, যার ফলে খাদ্য গ্রহণ ও পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রম ও পরিবর্তিত হয়ে যায়। এ সকল পরিবর্তনের মাঝেও নতুন মায়েদের খাবারের বিষয়টি আরো জোরালো ভাবে খেয়াল রাখতে হয়। তাই আজকের পোস্টে গর্ভাবস্থায় কি খাওয়া উচিত ও কি খাওয়া উচিত নয় সেই সম্পর্কে এবং গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

শরীরকে সুস্থ রাখতে জীবনের প্রায় সব চক্রেই বা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর খাবার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গর্ভকালীন সময়ের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে জরুরী হয়ে ওঠে। আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না, গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না, কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়, গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত, গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয় সে বিষয় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্ত।

গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না

একজন নারীর জন্য গর্ভধারণের সময়টা অনেক বেশি প্রয়োজনীয় একটি সময়। সাধারণত এই সময় সবকিছুতেই একটু বেশি পরিমাণে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এই সাবধানতা শুধুমাত্র চলাফেরার জন্য নয়। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় খেলে মায়েদের জন্য এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ক্যাফিন জাতীয় খাদ্য পরিহার করতে হবে, যেমন - চা এবং কফি।

সাথেই রয়েছে কিছু এমন ফল এবং সবজি যা র্গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। এই অবস্থায় সামুদ্রিক মাছ খাওয়া থেকেও গর্ভবতী মাকে দূরে রাখতে হবে। কারণ সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পারদ যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে বা বিকৃতি ঘটাতে পারে। তাছাড়া আধা সিদ্ধ করা কোন খাবারই এমতাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে অর্ধ সিদ্ধ করা ডিম, মাংস এবং মাছ।


এক কথায় বলতে গেলে প্রানিজ প্রোটিন জাতীয় খাদ্য কোনভাবেই অর্ধ সিদ্ধ খাওয়া যাবেনা। এতে করে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এই প্রাণিজ প্রোটিন কে সম্পূর্ণরূপে ভালোভাবে রান্না করে তারপর খেতে হবে। নিম্নে গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা এবং গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না তার সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি না এই বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, তবে কি কি ফল খাওয়া যাবেনা এ বিষয়ে জানার আগ্রহ অনেকেরই কম। এমন কিছু ফল রয়েছে যা সাধারণত অনেক বেশি পুষ্টিকর কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে গর্ভস্থ শিশু এবং মায়েদের জন্য এটি বিষাক্ত খাবারে পরিণত হয়। নিম্নে এ সকল ফলের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো।

পেঁপেঃ গর্ভপাতের জন্য দায়ী অন্যতম একটি ফল হচ্ছে আধা কাঁচা পেঁপে। এতে প্রচুর পরিমাণে লেটেক্স থাকায় এটি খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই এ সময় শুধুমাত্র আধা কাঁচা বা কাঁচা পেঁপে নয় বরং পাকা পেঁপেও না খাওয়াই উত্তম।

আঙ্গুরঃ গর্ভ অবস্থায় শেষের তিন মাস আঙ্গুর না খাওয়াই গর্ভবতী মায়েদের জন্য শ্রেয়। আঙুরে রয়েছে রেসভেরাট্রল নামক যৌগ যা গর্ভবতীর হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। তাছাড়া আঙুর খেলে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয় যা গর্ভস্থ শিশু এবং মায়ের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই গর্ভকালীন সময়ে আঙুর খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।

আনারসঃ জ্বর সর্দি কাশিতে আনারস একটি উত্তম ফল। তবে টক মিষ্টি এই ফলটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য বয়ে আনতে পারে নানা রকম সমস্যা। আনারস খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়েদের জরায়ুর পথ কোমল হয়ে যায় যার কারণে প্রারম্ভিকভাবে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। মূলত আনারসে থাকা ব্রোমেলাইন নামক উপাদানের জন্যই এই সমস্যাগুলোর সৃষ্টি হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে ডায়রিয়ারও হয়ে থাকে।

তাছাড়া যেকোনো ফল মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া হতে পারে কোন না কোন ঝুঁকির কারণ। তাই যে কোন খাবার মাত্রা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। এতে হিতের বিপরীত হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদের জানতে হবে গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না সেই সম্পর্কে। সবজি হচ্ছে মূলত পুষ্টি এবং ভিটামিনের অফুরন্ত ভান্ডার। আমাদের দেহের ভারসাম্য রক্ষায় এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার জন্য সব ধরনের সবজি খাওয়া উচিত।

কারণ প্রতিটি সবজিতেই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পুষ্টি বা ভিটামিন। তবে গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রতিটি খাবার বুঝে শুনে তারপর খাওয়া উচিত। কিছু কিছু এমন সবজি রয়েছে যা গর্ভবতী মায়েদের খাওয়া উচিত নয়। নিম্নে সেই সকল সবজির নাম উল্লেখ করা হলো যা গর্ভবতীদের খাওয়া যাবেনা।


করলাঃ গর্ভাবস্থায় করোলা খাওয়া নিয়ে নানা রকম উদ্বেগ রয়েছে। করলায় উপস্থিত গ্লাইকোলাইজড, সেপোনিন ও মারোডিসিন নামক পদার্থ গুলো গর্ভাবস্থায় শরীরের কিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে থাকে যা গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।

অঙ্কুরিত বীজ খাদ্যশস্য ও সিমঃ রান্না না করা অঙ্কুরিত বীজ, খাদ্যশস্য ও শিম গর্ভাবস্থায় কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে, যা একজন গর্ভবতী নারীর জন্য নিরাপদ নয়। কাঁচা অঙ্কুরিত বীজ এবং শিমে কখনো কখনো সালমোনেলা বা ই কোলির মত ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা খাদ্যবাহিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

কাঁচা মুলাঃ গর্ভাবস্থায় কাঁচা সবজি বিশেষ করে কাঁচামোলা ও রেডি টু ইটস সালাত খাওয়া থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।কারণ এই খাবারগুলি লিস্টেরিয়া, সালমোনেলা এবং ই কলিসহ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া গুলি গর্ভবতী মায়ের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে এবং গর্ভজাত সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সজিনাঃ সজিনা খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর একটি সবজি হলেও, গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া নিয়ে কিছু সর্তকতা রয়েছে। সজিনা থাকা আলফার সিটস্টেরল নামক পদার্থ কিছু পরিস্থিতিতে গর্ভপাত ঘটানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। 

এলোভেরাঃ গর্ভকালীন সময়ে এলোভেরা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এর মধ্যে থাকা কিছু উপাদান গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। যদিও অ্যালোভেরার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে পরিচিত, কিন্তু এটি গর্ব অবস্থায় মোটেও নিরাপদ নয়।

বেগুনঃ বেগুন অনেকের জন্য একটি পুষ্টিকর সবজি, তবে কিছু মানুষের জন্য এটি এলার্জি বা অসুবিধার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যারা বেগুনের প্রতি সংবেদনশীল বা অ্যালার্জি গ্রস্থ তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেগুনে থাকা ফাইটোহরমোনস গর্ভাবস্থায় কিছু প্রভাব ফেলতে পারে, তবে সাধারণভাবে বলা হয় যে বেগুন খাওয়া পুরোপুরি ক্ষতিকর নয়।

কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে

গর্ভকালীন সময়ে একজন নারীকে গর্ভধারণের প্রথম মাস থেকে প্রসবকালীন সময় পর্যন্ত অনেক রকমের মানসিক এবং শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দিনগুলি পার করতে হয়। এই কঠিন সময়টিতে একজন নারীর প্রয়োজন হয় অনেক বেশি যত্নের এবং সঠিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের।

আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিশু অপুষ্টিতে ভোগে মূলত নারীদের গর্ভাবস্থায় সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ত্রুটির কারণে। এর ফলে গর্ভস্থ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সকল সমস্যার মধ্যে রয়েছে, শিশুর সঠিক ওজন না হওয়া, শারীরিক গঠনগত সমস্যা উচ্চতা বৃদ্ধি না পাওয়ার মত সমস্যা।


গর্ভকালীন সময়ে একজন মায়ের প্রথম মাস থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ নয় মাস পর্যন্ত সময় কালের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ৯ থেকে ১২ কেজি পর্যন্ত ওজন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তবে এর চাইতে যদি বেশি ওজন বৃদ্ধি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অনেকে মনে করেন গর্ভ অবস্থায় যত বেশি ওজন বাড়বে বাচ্চার ওজনও তত বেশি হবে, যা সম্পূর্ণরূপে একটি ভুল ধারণা।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন মায়ের ওজন দ্বিগুণ বা তিনগুণ হওয়া শর্তেও প্রসবের পর শিশুর ওজন একেবারেই কম থাকে। তাই মায়ের এবং বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু বাধা ধরা নিয়মতান্ত্রিকতা এবং খাদ্য রয়েছে যার গ্রহণের ফলে মায়ের এবং বাচ্চার ওজন ঠিক রাখা সম্ভব। গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার ওজন বাড়ে সে সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

প্রোটিনঃ মাছ, মুরগির, ডিম, সয়াবিন, মটরশুঁটি, বাদাম, কিসমিস, বাদাম ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভের সন্তানের ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
দুগ্ধ যাত খাবারঃ দুধ, দই, পনির, মাখন এ সকল দুগ্ধজাত খাদ্য গর্ভস্থ সন্তানের জন্য অনেক বেশি পুষ্টি যোগায়।

গোটা শস্যঃ লাল চাল, ওটমিল, সয়াবিন ইত্যাদি হচ্ছে গোটা শস্য যা গর্ভস্থ শিশুর ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।

আয়রন ও ফলিক এসিডঃ পাঁচমিশালী ডাল এবং পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফলিক এসিড যা শিশুর শারীরিক বিকাশে বাধা প্রাপ্ত হওয়া রোধ করতে সহায়তা করে। সাথে মায়ের রক্তশূন্যতা রোধেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শাকসবজি ফলমূলঃ বিভিন্ন ধরনের সবুজ এবং তাজা শাক সবজি এবং ফলের ক্ষেত্রে কলা, আপেল, পাকা পেয়ারা এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আরো ফলমূল গর্ভাবস্থায় গ্রহণ করলে শিশুর ওজন বৃদ্ধি পেতে সহায়তা হয়।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডঃ চিয়াবীজ এবং আখরোটে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা গর্ভস্থ শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাছাড়া মিষ্টি পানির তৈলাক্ত মাছেও এই পুষ্টি বিদ্যমান রয়েছে তাই খাবারের তালিকায় তৈলাক্ত মাছ রাখা উচিত।

এ সকল খাবারের সাথে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন একজন গর্ভবতী মা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি একজন গর্ভবতীকে পান করানো উচিত।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়

একটি বাচ্চার লম্বা হওয়া এবং গঠন মূলত বাবা মায়ের জিনের উপরে নির্ভর করে। তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিশু গর্ভে থাকা অবস্থায় সঠিক পুষ্টিকর এবং সঠিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে বাচ্চার গঠনের মূল ক্রিয়া সম্পাদন করা যায়। একজন গর্ভবতী মা যে সকল খাবার গ্রহণ করলে গর্ভস্থ শিশু লম্বা হয় রা হল- কলা, বাদাম, মসুরের ডাল, ডাবের পানি, মটরশুঁটি, সবুজ শাক, পালং শাক সহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল।

গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি

চিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা দেহের রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। কালের বিবর্তনের পরও এখনকার সময়েও এমন অনেক জায়গা রয়েছে এবং এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা পূর্বের ঐতিহ্য বহনকারী খাদ্য হিসেবে সকালের নাস্তায় দই চিড়া খেয়ে থাকেন। যদিও বা বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সকালের নাস্তায় দই চিড়া আর খাওয়া হয় না।

কারণ এখনকার সময়ে খাবার হিসেবে প্রচলিত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড, যেমন - পিজ্জা বার্গার স্যান্ডউইচ, নানা ধরনের সসেজ এবং আরো নানা ধরনের ইংরেজি নাস্তা। এ সকল বিদেশি নাস্তা শরীরের জন্য মোটেও পুষ্টিকর নয়। অপরদিকে আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার চিড়াতে রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণ। চিড়া এমন একটি খাবার যা অতি তীব্র ক্ষুধা নিবারণের ক্ষেত্রেও রান্নার ঝামেলা ছাড়া এবং অল্প সময়ে খাওয়া যায়।

তবে সুন্দর এই খাবারটির জন্য অনেকের মনে প্রশ্ন আসে যে, গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি না। চিকিৎসকদের মতে, গর্ভাবস্থায় নারীদের অবশ্যই চিড়া খাওয়া উচিত। এ সময় চিড়া খেলে সম্ভাব্য মায়েদের অর্থাৎ গর্ভবতী নারীদের রক্তশূন্যতার উচ্চ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে চিড়া। তাই গর্ভবতী নারীদের অবশ্যই নিজের এবং নিজের গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে প্রায় প্রতিদিনই চিড়া খাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়

এমন অবস্থায় কোন এক বেলাও যদি খাবার কম খাওয়া হয় তাহলে গর্ভস্থ শিশু এবং মা দুইজনকেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর ফলে মায়ের শরীরের শক্তি কমে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তাছাড়া আয়রন, হিমোগ্লোবিন সহ আরো নানা রকমের পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। তাছাড়া অনেক সময় ধরে না খেয়ে থাকার কারণে এসিডিটির সমস্যা হয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে এর সাথেই গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে কি না এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার সুস্বাস্থের জন্য করনীয় বিষয়বস্তু সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url