কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে জেনে নিন
প্রিয় ভিজিটর কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে এই সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণটি সম্পূর্ণ পড়লে আশা করি আপনি গর্ভে থাকা বাচ্চা কি খেলে ভালো থাকবে এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন।
শুধু তাই নয় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে আপনারা গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত, সহ আরও অন্যান্য বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে এ সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নিন।
ভূমিকা
গর্ভাবস্থায় শিশুর স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি এবং সঠিক ওজন বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ গর্ভের শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি গ্রহণ করেন, যেমন প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, তবে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে। গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যেমন ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, শাকসবজি, এবং ফলমূল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই খাবারগুলো শিশুর হাড় ও মাংসপেশির গঠনে সাহায্য করে এবং তার স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়ক। এছাড়া, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করাও গর্ভের শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব, তাই এই সময়ে একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন কত হওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় মা ও সন্তানের সুস্থতার জন্য মায়ের ওজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ একজন মা যদি গর্ভাবস্থায় সঠিক ওজন নিয়ে বাচ্চা প্রসব করতে পারে তাহলে সেই বাচ্চা গুলো অনেক স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর হয়। সাধারণত যে সকল মায়েরা রয়েছে তাদের সঠিক ওজন বৃদ্ধির মাধ্যমে গর্ভের শিশু পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় এবং গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন জটিলতা কমে যায়।
তাই আপনাকে অবশ্যই গর্ভকালীন সময়ে সঠিক ওজন রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত একজন সুস্থ মহিলার গর্ভাবস্থায় ১১ থেকে ১৫ কেজি ওজন বাড়া উচিত। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে মায়ের শরীরের ওজন এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর। গর্ভাবস্থার পূর্বের যদি মায়ের শরীর সুস্থ ও ওজন ঠিক থাকে তাহলে এই ওজনটাই একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য উপযুক্ত।
তবে স্বাভাবিকভাবে গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধির নির্ধারিত গাইডলাইন রয়েছে। আপনি চাইলে সেই গাইডলাইন অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আদর্শ BMI হলো ১৮.৫ থেকে ২৪.৯। আর যে সকল মানুষের BMI ১৯ এর কম হয় সে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ওজন ১৭ কেজি পর্যন্ত বাড়লেও তেমন কোনো সমস্যা হয় না। এটিকে স্বাভাবিক হিসেবেই ধরা হয়।
আর যে সকল মানুষের BMI ২৫ এর বেশি তাদের ওজন ৭ কেজি বেড়ে গেলেই যথেষ্ট মনে করা হয়। তবে যে সকল গর্ভবতী মায়েরা রয়েছে তাদের নয় মাসকে তিন ভাগে ভাগ করে ওজন বৃদ্ধির আদর্শ মাত্রা নির্ণয় করা উচিত। এখন হয়তো অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে সেটা করা যায়। চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনারা চাইলে এখান থেকেও জেনে নিতে পারেন। যেমন-
- ১ম ত্রৈমাসিকের সময় একজন গর্ভবতী মায়ের ০ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৫ কেজি।
- ২য় ত্রৈমাসিকের সময় একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতি সপ্তাহে ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি।
- ৩য় ত্রৈমাসিকের সময় একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতি সপ্তাহে ১৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি।
উপরে উল্লেখিত এই মাত্রা গুলি একজন গর্ভবতী মায়ের আদর্শ মাত্রা হিসেবে ধরা যায়। তবে গর্ভাবস্থায় যদি কোন মায়ের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায় তাহলে গর্ভকালীন সময়ে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, প্রিম্যাচিউর প্রসবের ঝুঁকি, একলাম্পসিয়া ইত্যাদি রোগের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও বাচ্চা প্রসবের সময় কিংবা প্রসব পরবর্তী সময়ে আরো নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও কাঙ্ক্ষিত মাত্রার চেয়ে যদি গর্ভবতী মায়ের ওজন বেড়ে যায় তাহলে গর্বের শিশুর ওজন এবং আকারে ছোট হতে পারে। এছাড়াও শিশুর আরো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার গরম করা প্রয়োজন এবং প্রতি মাসে একবার করে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
কারণ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলে আপনার সমস্যাগুলো সঠিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সঠিক দিক নির্দেশনা দিবেন। আশা করি গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন কত হওয়া উচিত এই বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় ৫ মাসে বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত
গর্ভাবস্থার ৫ মাসে একটি শিশুর জন্য একটি নির্দিষ্ট ওজন দেওয়া কঠিন। কারণ গর্ভকালীন সময়ে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্যগত খাবার এবং ওজনের ওপর। গর্ভাবস্থার পাঁচ মাস বা ২০ সপ্তাহে একটি শিশুর গঠন বেশ উন্নত হতে শুরু করে, এবং এই সময়ে তার ওজন ও দৈর্ঘ্য দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
একজন গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহে গর্ভস্থ শিশুর ওজন সাধারণত ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬-২৬ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এ পর্যায়ে শিশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গঠন শেষ হয়ে আসে, এবং সে পেশি ও হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করে।
এই সময়ে শিশুর যথাযথ ওজন এবং গঠন নিশ্চিত করতে মায়ের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার মায়ের জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি শিশুর শারীরিক বিকাশে সাহায্য করে।
এই সময়ে শিশু হালকা নড়াচড়াও করতে শুরু করে, যা গর্ভাবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ। এছাড়াও প্রতি মাসে আলট্রাসাউন্ড এবং অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুর ওজন ও গঠন পর্যবেক্ষণ করানো উচিত।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভে থাকা বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি হওয়া নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে থাকেন। এ সময় মায়ের পেটের আকার ও বাড়তে থাকে। গড়পড়টা হিসাব করলে প্রত্যেকটা শিশুর ওজন ৩.৫ কেজি এবং উচ্চতায় ৫১.২ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে প্রতি সপ্তাহে বাচ্চার ওজন অল্প অল্প পারতে থাকে।
আমাদের নিচের চার্টে গর্ভধারণের প্রথম মাস থেকে শেষ পর্যন্ত গর্ভের বাচ্চার ওজন ও উচ্চতার একটি গড়পড়তা ধারনা দেয়া হয়েছে। তবে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন প্রত্যেকটা শিশুই কিন্তু আলাদা। তাই প্রতিটা শিশুই কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন হারে বেড়ে ওঠে। তবে গর্ভে থাকা শিশুর বৃদ্ধি অনেকটা নির্ভর করে বাবা-মায়ের জেনেটিক্স এর ওপর।
এছাড়াও মায়ের বয়স, মায়ের গর্ভধারণের সংখ্যা, শিশুর DNA, পুষ্টি ইত্যাদি ওপর নির্ভর করে। তাই যদি আপনি কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রিপোর্টে দেখেন যে আপনার গর্ভে থাকা শিশুর ওজন ও উচ্চতা কম বেশি হয় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। সময় মত আস্তে আস্তে আপনার সন্তানও স্বাভাবিক উচ্চতা ও ওজন লাভ করবে।
তবে আজকে আমি আপনাদের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত এই সম্পর্কে একটি চার্ট তৈরি করে নিচে দিয়েছি। আপনারা চাইলে সেই চার্ট দেখে গর্ভ থাকা শিশুর ওজন ধারণা করতে পারেন। তবে, আপনার যদি কোনো কারণে মনে কোন আশঙ্কা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে আমাদের বাংলাদেশে প্রায় অনেক বাচ্চারা অপুষ্টিতে ভোগেন। এতে করে শিশুর উচ্চতা শারীরিক গঠন ও সঠিক ওজনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় প্রত্যেকটা গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। এতে করে বাচ্চার ওজন বাড়তে সাহায্য করে।
সাধারণত একজন সুস্থ গর্ভবতী মায়ের ওজন ১০ থেকে ১২ কেজি বাড়লেই যথেষ্ট। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে অনেক গর্ভবতী মায়েদের ওজন তেমন একটা বৃদ্ধি হয় না। এ সময় প্রত্যেকটা গর্ভবতী মায়ের বমি ও বমি প্রবণতা হয়ে থাকে। যখন ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে তখন ওজন বৃদ্ধি হতে শুরু করে।
সাধারণত জন্মের সময় যদি কোন শিশুর ওজন কম হয় তাহলে সেই শিশুর অপুষ্টিতে ভোগেন এবং পাশাপাশি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে শিশুর বারবার অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তাই আজকে আমি আপনাদের কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিয়ে দেব। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
ফলমূল ও সবজিঃ সাধারণত ফলমূল ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি রয়েছে যা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই গর্ভকালীন সময়ে ফলমূল ও সবজি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত।
প্রোটিনঃ একজন গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। এতে করে শিশুর বেশি ও টিস্যু গঠনে অনেক বেশি সাহায্য করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে সয়াবিন, বাদাম, মুরগি, মাছ, ডিম ইত্যাদি। এছাড়াও নরম নরম খিচুড়ি, কিসমিস, খেজুর এগুলো গর্ভাবস্থায় খেলে অনেক প্রোটিন পাওয়া যায়।
পানিঃ গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। এতে করে গর্ভে থাকা শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং পাশাপাশি শরীরে পুষ্টি শোষণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। তাই আপনারা চাইলে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে পারেন।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডঃ এটা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা গর্ভে থাকা বাচ্চার মস্তিষ্ক bkash এ অত্যন্ত কার্যকারী। বিশেষ করে যে সকল মাছে তেল রয়েছে সে সকল মাছগুলো গর্ভাবস্থায় খেলে এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো পাওয়া যায়। তাই আপনারা চাইলে গর্ভকালীন সময়ে তেল জাতীয় মাছগুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারঃ গর্ভাবস্থায় দুধ ও দুধ খাবার যদি গ্রহণ করতে পারে তাহলে শিশুর হাড় গঠনে অনেক বেশি সাহায্য করে। যেমন পনির, দই, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ইত্যাদি। এগুলো খাওয়ার ফলে গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক গঠন, উচ্চতা, ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে এরকম খাবার হল কচু শাক, কলিজা, ডিমের কুসুম, ছোট মাছ ইত্যাদি।
আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডঃ অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছে যাদের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। ফলে শিশুর শারীরিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয় এবং ওজনের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য খেতে পারেন পরিমাণ মতো কলিজা পালং শাক ডাল। যা আপনার গর্ভে থাকা শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাহলে আশা করি কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে এই বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত
আপনাদের মধ্যে এমন অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছে যারা জানতে চাই গর্ভাবস্থায় ৮ মাসের বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত। পাঠক আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমি এ বিষয়টি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে আলোচনা করেছি। গর্ভাবস্থায় একটি বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা একজন গর্ভবতী মায়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এখন অনেকে বলতে পারেন কিভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন? দেখুন আপনি প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো গ্রহণ করছেন কিনা কিংবা সঠিকভাবে বিশ্রাম ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবার গ্রহণ করছেন কিনা এই বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে। যদি আপনার গর্ভকালীন আগে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে আশা করি এ সময় আপনার গর্ভে থাকা সন্তানের ওজনও সঠিক থাকবে।
গর্ভাবস্থায় গর্বে থাকা শিশুর ওজন ঠিক না থাকলে শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত করতে পারে। তাই গর্ভকালীন সময়ে গর্বে থাকা শিশুর ৮ মাসের ওজন প্রায় ১০০০ গ্রামের বেশি থাকতে হবে। যদি আপনার গর্ভে থাকা শিশুর ওজন এক হাজার গ্রামের বেশি হয় কিংবা এর আশেপাশে হয় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনার বাচ্চাটি সঠিক ওজন রয়েছে। তাহলে পাঠক আশা করি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ বাবা মায়ের একটি সাধারণ চিন্তা হলো তার সন্তান লম্বা হবে কিনা? অনেক গর্ভবতী মায়েরা আশায় থাকেন তার গর্ভে থাকা সন্তান লম্বা-চওড়াআর স্বাস্থ্যবান হোক। এর জন্য গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য প্রতিনিয়তই চেষ্টা কোন কমতি নেই অনেক গর্ভবতী মায়েদের।
খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম চালিয়ে যায় কিন্তু অনেকেই তেমন একটা ফল পান না। তাহলে চলুন গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা লম্বা হওয়ার জন্য আপনাকেও সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি গর্ভকালীন সময়ে সচেতন হন তাহলে আশা করি এ সমস্যা থেকে আপনি খুব সহজেই রেহাই পেটে পারেন।
তবে একটি কথা অবশ্যই আগে বলে রাখি পেটে থাকা সন্তানের লম্বা হওয়াএটা সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালার উপর নির্ভর করে। তবে কিছু প্রচলিত কথাই বিভিন্ন খাবার খাওয়ার ফলে গর্ভে থাকা শিশু লম্বা হয়ে থাকে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক।
প্রোটিনযুক্ত খাবারঃ প্রোটিন গর্ভস্থ শিশুর কোষের বৃদ্ধি এবং মাংসপেশির বিকাশে সাহায্য করে। ডিম, মুরগির মাংস, মাছ, দুধ, এবং বাদাম প্রোটিনের চমৎকার উৎস। প্রোটিনজাতীয় খাবার শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক।
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডিঃ ক্যালসিয়াম শিশুর হাড়ের গঠন এবং দৈর্ঘ্য বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুধ, দই, চিজ, এবং বিভিন্ন শাকসবজি ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়ামের শোষণকে বাড়ায় এবং হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সূর্যালোক, দুধ, এবং ডিমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ফলমূল এবং সবজিঃ ফল এবং সবজি গর্ভাবস্থায় ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সরবরাহ করে। বিশেষ করে পেঁপে, আপেল, কমলা, এবং গাজর শিশুর সুস্থ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
ফোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারঃ ফোলিক অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর বিকাশে সহায়ক। শাক, ব্রকলি, এবং বীজ জাতীয় খাবারে ফোলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডঃ ওমেগা-৩ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক এবং শারীরিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক মাছ, বিশেষ করে স্যামন, ওমেগা-৩ এর চমৎকার উৎস।
গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খেলে শিশুর সুস্থ বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক উচ্চতা নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
লেখকের শেষ কথা | কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে
প্রিয় পাঠক আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আপনারা কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে এবং গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। তাই আপনার যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে একটু উপকৃত মনে হয়।
তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোন মতামত জানানো থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে রাখুন। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url