বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা এর প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন ড্রাগন ফল সেবন করা সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন। 
বাচ্চাদের-ড্রাগন-ফল-খাওয়ার-উপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে ড্রাগন ফল এর বিপুল সংখ্যক চাহিদা রয়েছে। তবে বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্যে ড্রাগন ফলের ভূমিকা অনেকেই জানেন না। তাই আজকের পোস্টে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা এর বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

ড্রাগন ফল প্রায় অনেকেই চিনেন। ড্রাগন ফল বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় এক প্রকারের ফল। বিগত কিছু বছরে এই ফলের চাহিদা এত বেড়েছে যে এই ফলের চাষ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ড্রাগন ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানব, ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ, ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক, ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়, ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম, বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয় এ সকল প্রকাশ প্রশ্ন সহ ড্রাগন ফল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ

বাংলাদেশের অতি পরিচিত একটি ফল ড্রাগন ফল। বর্তমান সময়ে প্রায় সারা বছরই এই ফল পাওয়া যায়। এটি যেহেতু একটি বিদেশি ফল তাই একটা সময়ে এই ফলটি বাহিরের দেশ থেকে আমদানি করা হতো। তবে সময়ের সাথে সাথে বর্তমানে আমাদের দেশেও এর চাষ করা শুরু হয়েছে। তাই এখন সারা বছর বাংলাদেশে ড্রাগন ফলটি পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ড্রাগন ফলটি মূলত তিন প্রজাতির হয়ে থাকে। যথাঃ

  • লাল ড্রাগন ফল
  • কোস্টারিকা ড্রাগন ফল
  • হলুদ রঙের ড্রাগন ফল

পুষ্টিগুণের দিক থেকে বিবেচনা করলে ড্রাগন ফলে রয়েছে অনেক পুষ্টি। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অন্ততপক্ষে একটি ড্রাগন ফল অবশ্যই রাখা উচিত। এবার আসুন জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফলে থাকা পুষ্টি সম্পর্কে। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে যে পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • শর্করা - ৯-১০ গ্রাম
  • আঁশ - ০.৩৩-০.৯০ গ্রাম
  • পানি - ৮০-৯০ গ্রাম
  • খাদ্য শক্তি - ৩৫-৫০ কিলো ক্যালরি
  • প্রোটিন - ০.১৫-০.৫ গ্রাম
  • ফসফরাস - ১৬-৩৫ গ্রাম
  • আয়রন - ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম
  • ক্যারোটিন - vitamin A থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন সামান্য
  • ক্যালসিয়াম - ৬-১০ মিলিগ্রাম
  • চর্বি - ০.১০-০.৬ গ্রাম
  • ভিটামিন বি- ৩-০.২-০.৪ মিলিগ্রাম

ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক

আমরা জানি যে বিশ্বে উপস্থিতি প্রত্যেকটি জিনিসেরই দুটি পাশ হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি জিনিসের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। এই একই মতবাদটি সুপরিচিত ফল ড্রাগন ফলের সাথেও মিশে যায়। নানান রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ড্রাগন ফল এর কিছু নেতিবাচক দেখে মুখোমুখি হওয়া সম্ভব। সাধারণত সরাসরি ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা একটু কম ক্ষেত্রে ধরা পড়ে।

সংবেদনশীল শরীর ও স্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তিদের ব্যতীত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব তেমন একটা দেখা যায় না। সাধারণত ড্রাগন ফলের পরিমাণ এর আধিক্যের কারণে এর ক্ষতিকারক দিক গুলোর দেখা পাওয়া যায়। অর্থাৎ, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ড্রাগন ফল সেবন করে ফেললে মানব শরীরে এর ক্ষতিকারক দিক কিংবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিগত সময় গুলোর মধ্যে ড্রাগন ফল তুলনামূলক অনেক বেশি পরিচিতি লাভ করেছে।


এর ফলে ড্রাগন ফলের চাষাবাদ অনেক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথমে এটিকে বিদেশি ফল জানা হলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশে এর উৎপাদন হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। তবে জনো বলে চাহিদা মেটানোর জন্য কিছু কিছু উৎপাদন ক্ষেত্রে বিকল্প পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করা হচ্ছে। এর পুরোপুরি প্রমাণ না পাওয়া গেলেও ড্রাগন ফল চাষে টনিক এর ব্যবহার সম্পর্কে অনেক বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে।

সাধারণত ড্রাগন ফলে টনিক এর ব্যবহারের ফলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণ হবে। ড্রাগন ফল নিজস্বভাবে যতই পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা সম্পন্ন হোক না কেন, নেতিবাচক পদ্ধতিতে উৎপাদনের ফলে এই সকল ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানারকম ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ড্রাগন ফলের ক্ষতিকারক দিক বলতে এটি খাওয়ার ফলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোকে বোঝানো হয়। নিম্নে ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা ব্যক্ত করা হলো।
  • ড্রাগন ফল পরিমাণের তুলনায় বেশি করে খাওয়ার ফলে শরীরে এলার্জি কিংবা চুলকানি জাতীয় সমস্যার দেখা দিতে পারে। যেহেতু ড্রাগন ফল নিজে অনেক পুষ্টি গুণ এর অধিকারী আর অতিরিক্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান শরীরে বিড়ম্বনা কিংবা ইরিটেশন এর উদ্ভব ঘটায়। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল সেবনের ফলে শরীরে এলার্জি সম্বন্ধীয় সমস্যার উদ্ভব ঘটে।
  • ড্রাগন ফল পরিমাণের চেয়ে বেশি সেবন করার ফলে মাঝে মাঝে ডায়রিয়া এর মত সমস্যা হতে পারে।
  • তাছাড়াও ড্রাগন ফলের এই অস্বাভাবিক সেবন চর্চার ফলে রক্তচাপের অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা ঘটতে পারে।
  • তাছাড়াও সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে শারীরিকভাবে কিংবা ত্বকের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
  • বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেকাংশে থাকলেও ড্রাগন ফলের সেবনের পরিমাণের আধিক্য হলে বমি হয় কিংবা বমি বমি ভাব হয়।
  • যাদের হজমের জটিলতা সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ড্রাগন ফল অনুপযুক্ত হতে পারে। কেননা এই ফলের অপরিমিত সেবনের কারণে তাদের বদহজম কিংবা অস্বস্তির সমস্যা হতে পারে।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়

সাধারণত সব রকমের খাবার খাওয়ার জন্য একটি মানানসই সময় নির্ধারণ করা থাকে। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে দুপুরের খাবার, রাতের খাবার কিংবা মুখরোচক খাবার এগুলো সঙ্গেই ফলমূল জাতীয় খাবার খাওয়ারও উপযুক্ত সময় রয়েছে। তবে খাবার খাওয়ার সঠিক সময় নির্ধারণ এবং বোঝা সম্পর্কে এখনো অনেকেই অবগত নয়।

যেকোনো ফল খাওয়ার জন্য সময় নির্বাচনের কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক তাই বিশেষ করে তাদের ক্ষেত্রে সঠিক সময় ফল খেতে দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বেশিরভাগ ফলই উপাদানের দিক থেকে অ্যাসিটিক উপাদান সমৃদ্ধ। ফলমলে ভিটামিন সি এর উপস্থিতি থাকবে না এমন ঘটনা প্রায় বিরল।

আর আমরা প্রায় সকলেই জানি যে খালি পেটে অ্যাসিটিক উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সব সময় সুবিধার হয় না। এ কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন কোন ফল খালি পেটে সেবন না করার জন্য। যেহেতু প্রসঙ্গ চলছে ড্রাগন ফলের তাই এতে ফিরে আসা যাক। মূলত ড্রাগন ফল সহ অন্যান্য ফল খাওয়ার জন্য কিছু সঠিক সময় রয়েছে।

ফল খাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় হলে সকালে নাস্তার সাথে এবং রাতে। সকালে নাস্তার সাথে নিয়মিত করে ফল যুক্ত করলে সকালের রাস্তায় প্রোটিনের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। সকালে নাস্তার সাথে ফলকে সরাসরি কিংবা ফলের জুস বা স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যায়। এতে ফলের পুষ্টি উপাদান গুলোর উত্তম প্রতিদান পাওয়া সম্ভব।


তাছাড়াও রাতের খাবারের সঙ্গে কিংবা রাতের খাবারের পরে ড্রাগন ফল খাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে রাতের খাবার সম্পন্ন করার পরে ডেজার্ট আইটেম হিসেবে ফল খাওয়া যায়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই নিরাপদ এবং উপকারী প্রমাণ হয়। এছাড়াও রাতের ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি ঘুমের জটিলতা দূর করে। অর্থাৎ রাতে খাবারের পর ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে একটি সুন্দর ঘুম পাওয়া সম্ভব।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

ফলমূলের মধ্যে ড্রাগন ফল চিনেন না চলতি সময়ে এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বর্তমানে বাংলাদেশের মাটিতে নিজস্ব উপায়ে এবং বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন ফলের উৎপাদন স্বাস্থ্যকর পরিমাণে হচ্ছে। তবে আমাদের দেশের মাটিতে ড্রাগন ফলের উপস্থিতি সবার ধারণার মধ্যে থাকলেও এটি খাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে থাকেন।

নানান রকম মানুষ নানান রকম কারণে ড্রাগন ফল খেতে দ্বিধা বোধ করেন। ড্রাগন ফল ভিটামিন সি এর একটি অনন্য উপাদান হওয়ার কারণে ড্রাগন ফল এর সেবনে ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা এখনো প্রমাণ হয়নি। ভিটামিন সি ব্যতীত ড্রাগন ফলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন সহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদান।

ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারলে এটি খাওয়ার আগ্রহ আপনি আপনি বৃদ্ধি পাবে। ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য পৃথকভাবে কোন নিয়ম এর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমরা অনেকেই জানি বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। তবে তাদের কে সঠিক নিয়মে ড্রাগন ফল পরিবেশ করা সম্পর্কে বুঝতে পারিনা। তবে অন্যান্য ফল গুলোর মতই ড্রাগন ফল খাওয়ার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। নিম্নে এই নিয়ম বা পদ্ধতি সমূহ উল্লেখ করা হল।

  • ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য প্রথমেই এর আঁকাবাঁকা আকৃতি সহ মোটা পর্দার একটি খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
  • এরপরে আপনি ড্রাগন ফলটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে সরাসরি সেবন করতে পারেন।
  • সরাসরি চিবিয়ে খেতে না চাইলে আপনি ড্রাগন ফলকে জুস কিংবা স্মুদি এর মতো তৈরি করে খেতে পারেন।
  • ড্রাগন ফলকে ফুড সালাদের মধ্যে মিশিয়ে খাওয়া যেএতে পারে। এতে ফ্রুট সালাদের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
  • এছাড়াও আপনি ড্রাগন ফলকে কেটে যে কোন খাবারের সাথে সংযুক্ত করে নিতে পারেন।
  • তবে আপনি ড্রাগন ফলকে যেভাবেই খান না কেন খেয়াল রাখবেন যেন এটিকে তাপের মধ্যে প্রয়োগ করে সেবন না করা হয়। অর্থাৎ সব ভাষায় বলতে গেলে, ড্রাগন ফল রান্না করে খাবার উপযোগী নয়।

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন ফলে ভিটামিন বি এর উপাদান গুলো, ভিটামিন-এ এর সাথে আরো নানান পুষ্টি উপাদান উপস্থিত রয়েছেন। ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার জাতীয় উপাদান গুলো অন্ত্রের কার্যকারিতা সচল রাখতে সহায়তা করে। একারণেই ড্রাগন ফল বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি ফল। বাচ্চাদের বাড়ন্ত বয়সের পরবর্তী ধাপের অপেক্ষা না করে প্রথম ছয় মাস থেকে ড্রাগন ফল খাওয়ানো উচিত।

বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য নির্দিষ্ট খাবার গুলোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন হওয়া সব রকমের খাবারের প্রয়োজন রয়েছে। তবে সব রকমের পর বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য বোধগম্য নয়। এখন জেনে নেয়া যাক বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য।

রোগ প্রতিরোধঃ ড্রাগন ফলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান বাচ্চাদের শরীরের কোষকে রক্ষা করার সাথে শরীরের দিকে আগত ক্ষতি গুলোকে উপেক্ষা করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ এটি বাচ্চাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

হৃদরোগ মোকাবেলায়ঃ ড্রাগন ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান হ্রদ রোগ এর আশঙ্কা কমায় এবং হাটকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

অস্থির গঠনঃ ড্রাগন ফল সেবনের ফলে বাচ্চাদের শক্তিশালী অস্থিগুলোর গড়ন ভালো হয়। শিশুকাল থেকে শরীরের হাড়ের গঠন মজবুত হলে এটি একটি সুস্বাস্থ্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে। সাথে বাচ্চাদের রিকেট ও আর্থ্রাইটিস এর আশঙ্কা কমে।

ভিটামিন সিঃ ড্রাগন ফলে থাকা অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন সি বাচ্চাদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবজনিত কারণ দূর করতে সহায়ক। সাথে এটি বাচ্চাদের পেশী, ত্বক এর উন্নতি সাধনে কাজ করার সাথে রক্ত সরবরাহ করে।

ফাইবারঃ ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার বাচ্চাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি বাচ্চাদের পাকস্থলী কার্যকলাপকে পরিছন্নভাবে সাধন করতে সহায়তা করে।

স্নায়ু স্বাস্থ্যঃ বাচ্চাদেরকে নিয়মিত ড্রাগন ফল সেবন করানোর ফলে এটা থাকা ক্যালসিয়াম ও সোডিয়াম জাতীয় উপাদান বাচ্চাদের স্নায়ুতন্ত্রের জন্য উপকারী ভূমিকা রাখে।

চোখের সমস্যাঃ বাচ্চাদের দৃষ্টি শক্তি দৃঢ় করতে কিংবা চোখের সমস্যা গুলো থেকে দূরে রাখার জন্য ড্রাগন ফল অনেক উপকারী। ড্রাগন ফলে থাকা ওমেগা-৩ বাচ্চাদের বাড়ন্ত স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয়

ড্রাগন ফলের অতিরিক্ত সেবনের ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রসাবের গারো রং প্রতিলক্ষিত হতে পারে। তবে এটা খুবই বিরল ক্ষেত্রে হয়। তবে এটা কি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রস্রাবের রঙ লালচে বর্ণের হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে।

এরমধ্যে শারীরিক কারণ এবং আমাদের জীবন ধারার ব্যাপার গুলো বেশি ভাবে জড়িত। ড্রাগন ফল স্বভাবতই লাল বা গোলাপি কিংবা সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। ড্রাগন ফল সেবনে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে এর অর্ধে এমন মোটেই নয় যে এটি আমাদের প্রসবের রং কে প্রভাবিত করবে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে ড্রাগন ফল সেবন করা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url