বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কিলোমিটার তার বিস্তারিত জানুন
বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কিলোমিটার সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে কসোভো ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন কসোভো দেশ এবং এই দেশের ভিসা সংক্রান্ত বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
কর্মসংস্থান এর খোঁজে অনেকেই কসোভো এর দিকে অগ্রসর হতে চান। তাই আজকের পোস্টে বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত সেই বিষয় সহ কসোভো যাওয়া সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
বিশ্বের মানচিত্র সবার শেষে স্বাধীনতা খুঁজে পাওয়া একটি দেশের নাম কসোভো। আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো কসোভো কোথায় অবস্থিত, কসোভো বেতন কত, কসোভো যেতে কত টাকা লাগে, কসোভো ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা, কসোভো ভিসা ফর বাংলাদেশী, কসোভো কাজের ভিসা কত টাকা, বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কিলোমিটার এবং কসোভো থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
কসোভো কোথায় অবস্থিত
ইউরোপ মহাদেশের বলকান এলাকায় অবস্থিত একটি রাষ্ট্র রয়েছে কসোভো যা বিশ্বের ইতিহাসে স্বাধীনতা অর্জন করা অন্যান্য ইসলাম প্রতিষ্ঠিত দেশগুলোর মধ্যে নব্য স্বাধীনতা অর্জন করা একটি দেশ। অর্থাৎ বিশ্বের নকশাতে সর্বশেষ স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব অর্জন করা ইউরোপীয় অঞ্চলের একটি জায়গার নাম কসোভো।
১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দে ঘটিত যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে এখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সূত্রপাত হতে শুরু করে। কিন্তু তারপরেও ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ অব্দি এই কসোভো দেশটি পরাধীন অবস্থাতেই থাকে। তখন অব্দি এই দেশের অবস্থা থাকে অটোমান এর রাজত্বের আওতা ভুক্ত। পরবর্তীতে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অনেক রকম ত্যাগ এবং হেনস্তার শিকার হওয়ার পরে তারা সার্বিয়ারভাত থেকে তাদের স্বাধীনতা অর্জন করে নেয়।
এই সময়কাল ছিল ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ এর ১৭ই ফেব্রুয়ারী। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর নকশাতে কসোভো ইউরোপীয় অঞ্চলের একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। অবশেষে জাতিসংঘ এর সদস্য দেশগুলো মাঝ থেকে প্রায় ১১৫ টি স্বাধীন রাষ্ট্র কসোভো কে এর স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব পাওয়ার স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
বর্তমানে এই দেশের আয়তনের হিসেব পাওয়া যায় ১০,৮৮৭ বর্গ কি.মি.। কসোভো এর সামগ্রিক জনসংখ্যার হিসেব পাওয়া যায় ১৯,০৭৫৯২। বেশ ক্ষুদ্র জনসংখ্যা সমৃদ্ধ একটি দেশ হলেও মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে এই দেশে ইসলাম ধর্মে আবদ্ধ ব্যক্তিদের হার শতকরা প্রায় ৯৫.৬ ভাগ।
এগুলোর মধ্যে শতকরা হিসেবে বাকি অংশগুলোতে রোমান ক্যাথলিক এর হিসেব শতকরাতে প্রায় ২.২ ভাগ মানুষ এবং অর্থোডক্স রয়েছে শতকরা প্রায় ১.৫ ভাগ মানুষ। তাছাড়া যেএ ১ শতাংশ বেঁচে যায় সেই সংখ্যা অন্যান্য ধর্মের মানুষদের দিকে নির্দেশ করে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের সাথে সামঞ্জস্যতা রাখলেও বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে তা জেনে এদের জনবল সেখানে নিয়মিত হতে পারছেনা।
কসোভো দেশের মূল নগরীর নাম প্রিস্টিনা৷ সর্বশেষ অনুমান অনুযায়ী কসোভো দেশের জিডিপি ছিল প্রায় ৩.২৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর অর্থ হলো এই দেশটি আয়তন এবং জনসংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্র হলেও উন্নয়নের দিকে অনেক অংশে এগিয়ে আছে। এই দেশের জিডিপি থেকে অনুমান করা যায় এটি দ্রুত বেগে উন্নতির সম্ভাবনা রাখছে।
কসোভো বেতন কত
নব স্বাধীনতা অর্জিত দেশ কসোভো ইউরোপীয় এলাকার একটি অংশবিশেষ। তাছাড়াও এটি ইউরোপীয় এলাকার একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র। যেহেতু বাংলাদেশেও এটি মুসলিম রাষ্ট্র পরিচয় পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক বিরাট অংশে মধ্যে বহিরাগত কোন দেশে কাজ করার প্রয়োজন বোধ করলে সবার প্রথমে বাংলাদেশের সে বিরাট সংখ্যক জনগণ অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সন্ধান করেন।
সেই হিসেবে কসোভো এই সন্ধানের মধ্যে সামিল হওয়া একটি দেশ। বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ বহিরাগত দেশে যাওয়ার কারণেই হলো কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে সেখানে যাওয়া। আর এর জন্য প্রথম এদিকে নজরে যায় সেটাই হলো কোন জায়গায় কতটুকু পরিমাণ অর্থ বা মজুরি প্রদান করা হয়। তাই কসোভো তে বেতন কত টাকা তার উপর ভিত্তি করে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাজের ধাঁচ নির্ধারণ এবং নির্বাচন করা সহজ হয়ে থাকে।
তাছাড়াও কাজের ধরন এবং বেতন উভয়ই প্রয়োজনের তাগিদে ব্যস্ত ব্যক্তিকে আগ্রহী করার জন্য মূল উপাদান। তাছাড়াও কসোভো এর বেতন সহ বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কিলোমিটার সেটিও কসোভো তে কাজ করার পক্ষে বা বিপক্ষে বলতে সহায়ক বাক্য হিসেবে কাজ করবে। যেহেতু আমরা সকলেই জানি যেকোনো জায়গায় কাজের বেতন নির্ধারণ করা হয় সেখানকার কাজের ধরন এবং কাজ বন্টনকারীর উপরে।
কসোভো তে কাজের অনেক গুলো বৈচিত্র্যতা রয়েছে। কসোভো দেশে পাওয়া যায় নানা রকম কর্মসংস্থানের সুযোগ। তবে এখানে কাজের সুযোগ অনেক বেশি পরিমাণে থাকলেও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের মজুরি তুলনামূলক ভাবে কম অংশে প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ কসোভো যেই মহাদেশে অবস্থিত, সেখানে বিদ্যমান আরো দেশগুলোর তুলনায় কসোভো এর বিভিন্ন রকম কাজগুলোর বেতন কিছুটা কম।
তাছাড়া এই দেশে স্বাধীন হওয়ার মাত্রই কিছু বছর হওয়ার কারণে এটিকে অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিযোগিতায় নামার জন্য কিছুটা হলেও সময় প্রয়োজন। চলতি সময়ে গড় হিসেবে এই দেশের বেতন শুরু হয় প্রায় দু'শ পঞ্চাশ ইউরো হতে চারশো পঞ্চাশ ইউরো কিংবা এর কাছাকাছি পর্যায়তে।
উল্লেখ্য যে, ইউরোপীয় আবহাওয়ার অধীনস্থ দেশ হওয়ার কারণে এই দেশের অর্ধকে ইউরোপীয় অর্থ অর্থাৎ ইউরো মুদ্রার মাধ্যমে প্রদান করার নিয়ম রয়েছে। তবে বেতনের এই রেট ব্যতীত কাজের স্তর অনুযায়ী বেতনের মান পরিবর্তন হতে থাকে।
যেমন ২৫০ বা ২০০ ইউরো হতে শুরু হওয়া কসোভো এর বেতন সর্বাধিক মানের কাজের ভিত্তিতে পাঁচশত হতে সাতশত ইউরো পর্যন্ত প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে কাজের গুণগতমান এবং দক্ষ কর্মী হিসেবে কসোভো এর কর্মসংস্থানগুলো তাদের কর্মীকে উচ্চ পর্যায়ের বেতন প্রদান করে থাকে। তাই সেই হিসেবে এই দক্ষ কর্মীদের বেতন প্রায় এক হাজার ইউরো কিংবা এর পরিমাণ অতিক্রম করে থাকে।
কসোভো যেতে কত টাকা লাগে
কসোভোতে যাওয়ার জন্য সরকারি কিংবা বেসরকারি উভয় পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব। অর্থাৎ সরকারি ভাবে লাইসেন্স গ্রহণ করে কসোভো দেশে কর্ম সন্ধানের লক্ষ্যে কিংবা অন্যান্য কারণে যাওয়া সম্ভব। এরই সাথে সরকারের সাহায্য ব্যতীত ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে কিংবা কোন পৃথক সংস্থার সাহায্য নিয়ে কসোভো তে নিজ উদ্যোগে যাওয়া সম্ভব। তবে এর মধ্যেও কিছু তফাৎ রয়েছে।
এখন কথা হল কসোভো যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে। যেকোনো বহিরাগত দেশে যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে সেটা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে ভ্রমণকারী ব্যক্তির ভিসার ধরন ও কারণের উপরে। তারই সাথে কসোভো যেতে কত টাকা লাগে এর উত্তর পুরোপুরি নির্ভর করে আপনার যাওয়ার ধরন এবং উদ্দেশ্য এর উপরে। এমনিতেই কসোভো এবং বাংলাদেশের অবস্থান বলে দেয় বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
তাই দূরত্বের ভিত্তিতে এর খরচও সেভাবেই নির্ধারিত হয়। সরকারি কার্যক্রম সম্পন্ন করে এবং সকল নিষেধাজ্ঞা মেনে বাংলাদেশ থেকে কসোভো দেশে যাওয়ার জন্য প্রায় পাঁচ হতে ছয় লাখ পরিমাণ বাংলাদেশী টাকা খরচ হতে পারে। এই একই কাজ অনত্রভাবে অর্থাৎ কোন অস্থায়ী কিংবা বেসরকারি সংস্থা, দালাল, ভিসা গ্রুপ বা এজেন্সি এর সহায়তা গ্রহণ করলে অধিক পরিমাণে অর্থ খরচ হওয়া সম্ভব না থাকে।
অর্থাৎ সরকারি ব্যবস্থা ব্যতীত অন্যান্য সংস্থা বা এজেন্সের সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশ হতে কসোভো তে যাওয়ার জন্য প্রায় সাত হতে আট লাভ পরিমাণ বাংলাদেশি টাকা খরচ হতে পারে। এক্ষেত্রে এই পরিমাণটি সম্পূর্ণরূপে অনির্দিষ্ট একটি পরিমাণ। অর্থাৎ বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন রকম খরচ এবং উপস্থাপিত চাহিদার ভিত্তিতে এই ০৭ বা ০৮ লাখ টাকা বেড়ে ১০ লাখের কাছাকাছি কিন্তু এর বেশিও হতে পারে।
কসোভো ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
কসোভো তে সেখানকার ব্যবহৃত মুদ্রা কে ইউরো মুদ্রা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই সবচেয়ে বড় একটি কারণ হলো এটি ইউরোপীয় মহাদেশের একটি দেশ এবং এদেশের অর্থ পরিচালনার দায়িত্ব ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক এর অধীনস্থ রয়েছে। প্রায় ২০০২ খ্রিষ্টাব্দ হতে ইউরো কসোভো দেশের রাষ্ট্রীয় মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
কসোভো দেশ এটি ক্ষুদ্র আয়তন বিশিষ্ট দেশ হলেও এটি উন্নয়নে কিছু দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। এই দেশের অগ্রসরের যাত্রা সর্বশেষ প্রায় ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ হতে লক্ষণীয় হতে শুরু করে। বর্তমানে এই দেশের রাষ্ট্রীয় মুদ্রা ইউরোর মান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মুদ্রা বাংলাদেশি টাকার তুলনায় অনেক অংশে বেশি।
সেখানকার এক ইউরো বাংলাদেশী টাকার হিসেবে প্রায় ১২৯.৩৩ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রতি ১২৯ বাংলাদেশী টাকা তে কসোভো এর ১ ইউরো গণনা হয়। মূলত বাংলাদেশি অর্থের মান এত নিম্ন হওয়ার মুখ্য কারণ হলো এটি বিশ্ব বাণিজ্যে নিজের উপস্থিতি রাখে না। আর অন্যদিকে ইউরো মুদ্রা বিশ্ব ব্যাপী৷ ব্যবহৃত একটি মুদ্রা।
কসোভো কাজের ভিসা কত টাকা
ইতোমধ্যে আমরা জানতে পারলাম কসোভো ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা এর সমপরিমাণ হয় সে সম্পর্কে। তারই সাথে সামনে আমরা আরো জানতে পারবো বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সে সকল বিষয় সম্পর্কে। এর সাথে বাংলাদেশ থেকে কসোভো তে কাজের ভিসা নিয়ে প্রবেশ করার ব্যাপারটি অনেক বেশি ভাবে সামঞ্জস্য রাখে।
কসোভো তে কাজের ভিসা নিয়ে প্রবেশ করার জন্য প্রথমেই ওয়ার্ক পার্মিটে কসোভো এর ভিসা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের ভিসা এর কার্যক্রম সম্পন্ন করার দপ্তর থেকে ওয়ার্ক পারমিটের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এখন আসা যাক অর্থের হিসাব নিকাশে।
কসোভো দেশের কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে এই আবেদন এর খরচ পড়বে মাত্র প্রায় ৬০ ডলার অর্থ। অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় এই আবেদন এর খরচ হয় প্রায় ৭ হাজার টাকার কাছাকাছি। তবে এই খরচটি কেবলমাত্র ভিসা পাওয়ার জন্য করা আবেদন এর খরচ।
অন্যথায় বাকি সকল খরচ মিলিয়ে সরকারি হিসেবের পরিপেক্ষিতে কসোভো যেতে প্রায় ৫ কিংবা ৬ লাখ এর মতো টাকার দরকার পড়বে। সামগ্রিকভাবে এই কিছু লাখ সংখ্যক টাকার মধ্যেই ভিসার আবেদন ফি সহ সকল খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাছাড়াও অন্যত্র উপায় বা এজেন্সি অবলম্বনে কসোভো কাজের ভিসার এই খরচ প্রায় ৭ লক্ষ এর মতো প্রয়োজন হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কিলোমিটার
যেকোনো দেশ থেকে অন্য দেশের দূরত্ব মাপার জন্য প্রথমে দেখতে হবে কোন কথা অবলম্বনে দূরত্ব এর প্রসঙ্গ নিয়ে বলা হচ্ছে। একটি দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য নৌ পথে যতটুকু দূরত্ব পাড়ি দিতে হয় তার সাথে সড়ক কথা পাড়ি দেয়া দূরত্ব কখনো সমান হয় না।
একইভাবে বিশ্বের মানচিত্র অবস্থান নেয়া যেকোনো এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে সড়কপথে যতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করতে হয় সেই দূরত্ব আকাশ পথে পাড়ি দেয়া দূরত্ব সমান হয়না। অতিক্রমের পথ মাধ্যম অনুযায়ী এক এক মাধ্যমে এই দূরত্ব গুলো এর মধ্যে তারতম্য থেকে থাকে।
কসোভো ইউরোপীয় মহাদেশে স্বাধীনতার সাথে উপস্থিত একটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মুসলিম রাষ্ট্র। কসোভো দেশের পরিচয় ই হলো এটি একটি স্বাধীন মুসলিম দেশ। প্রথমত কসোভো সম্পর্কে এসকল খুঁটিনাটি বলার মূল কারণ হলো কসোভো এর অবস্থান সম্পর্কে ধারণা দেয়া। এটি বাংলাদেশ হতে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন মহাদেশে অবস্থিত একটি দেশ।
বাক্যটির অর্থ হলো, কসোভো এবং বাংলাদেশ দুটি ভিন্নমহাদেশে অবস্থিত পৃথক পৃথক দুটি দেশ। বাংলাদেশের অবস্থান পাওয়া যায় এশিয়া মহাদেশে এবং অপরদিকে কসোভো এর পাওয়া যায় ইউরোপে। তাই বুঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কি.মি. দূরে অবস্থিত রয়েছে। কসোভো এবং বাংলাদেশ এর প্রায় সমান্তরাল ভাবে চিহ্নিত দূরত্ব প্রায় ০৬ হাজার ৬০৫ কিলোমিটার।
কসোভো থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত একটি মুসলিম দেশের নাম কসোভো। দীর্ঘ সময় ধরে উত্থান পাথানের মধ্যে থাকা এই দেশটি সার্বভৌমত্বের মুখ দেখতে সহ্য করে গিয়েছে অনেক রকমের রাজত্ব। এত কিছুর মধ্য দিয়ে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে এসে এই দেশ সার্বিয়ার নিকট হতে নিজের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
তবুও মাত্র ১৬ বছর এর এই স্বাধীন দেশটি বর্তমানে উন্নত হওয়ার চেতনায় বাণিজ্যিকভাবে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা তে রয়েছে। বর্তমান সময়ে এসে এটি একটি উচ্চ মাধ্যম স্তরের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পন্ন একটি দেশের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। কসোভো এর স্বাধীনতাকে জাতিসংঘের সমগ্র সদস্য দেশগুলো হতে ১১৫ টি দেশ সাধুবাদ জানায়।
তাছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে এই দেশটি আন্তর্জাতিক বাণীতে নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টাতে সব সময় স্বাগতম জানিয়েছে। এই দেশের মুদ্রাও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত হওয়া একটি বাণিজ্যিক মুদ্রার অংশ। তাই মোটামোটি সবকটি দেশ থেকে কসোভো তে প্রবেশ নিয়ে সরকারিভাবে অনুমতি প্রদান করে রাখা হয়েছে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে বাংলাদেশ থেকে কসোভো কত কিলোমিটার তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে কসোভো দেশে যাওয়ার বিষয় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url