শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয় জেনে নিন

আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনি লক্ষ্য করেন যে আপনার শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেছে, তখন তা খুবই উদ্বেগজনক হতে পারে। কিন্তু, চিন্তা করবেন না, এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করণীয় এবং কীভাবে আপনার শিশুকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেব।
শিশুর-শরীরের-তাপমাত্রা-কমে-গেলে-কি-করনীয়-জেনে-নিন
নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ধরা হয় এটা জানার পাশাপাশি শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেছে নাকি সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই আপনি যদি লক্ষ্য করে দেখেন যে আপনার শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেছে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ করুন।

ভূমিকা

শিশুর শরীরের তাপমাত্রা সাধারণত ৯৮.৬°F (৩৭°C) এর আশেপাশে থাকে। তবে কখনো কখনো শিশুর তাপমাত্রা হঠাৎ করে কমে যেতে পারে, যা সাধারণত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সেজন্য এই আর্টিকেলে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয় এবং নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ধরা হয় এই বিষয়গুলো আলোচনা করবো। তাই আর দেরি না করে আসুন এই সমস্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে জেনে নেওয়া যাক।

মানুষের শরীরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত

আপনার মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা মানুষের শরীরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত জানতে চান। দেখুন মানুষের শরীরের তাপমাত্রা স্বাস্থ্য এবং শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। সাধারণত মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬°F (৩৭°C) এর কাছাকাছি থাকে, তবে এটি আপনার সময়, আবহাওয়া এবং শারীরিক কার্যকলাপের উপর নির্ভর করে কিছুটা ওঠানামা করতে পারে। 

কিন্তু যদি আপনার শরীরের তাপমাত্রা অত্যন্ত কমে যায় (সেটি হাইপোথারমিয়া নামে পরিচিত) একটি শারীরিক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে, যা ৯৫°F (৩৫°C) বা তার কম তাপমাত্রায় ঘটে। আর এই তাপমাত্রা যদি আপনার শরীরে আসে তাহলে সেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হার্টবিটের গতি কমিয়ে দেয়। 
দীর্ঘ সময় ধরে শরীরের তাপমাত্রা খুব কম থাকলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং এটি জীবন-হুমকির কারণ হতে পারে। তাই শরীরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকা আবশ্যক। আশা করি উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে আপনি বুঝতে পেরেছেন আপনার শরীরের তাপমাত্রা কিভাবে সঠিকভাবে রাখবেন।

শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ধরা হয়

সাধারণত আমাদের শরীরে তাপমাত্রা ৯৭ থেকে ৯৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। হয়তো একটু উঠানামা করে কিন্তু এর কারণও রয়েছে। যেমন- সকলের তুলনায় রাতে শরীরের তাপমাত্রার কিছু পার্থক্য থাকে। ধরুন আপনার থার্মোমিটারে শরীরের তাপমাত্রা দেখা গেল ৯৯.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তাহলে কি আপনার জ্বর? বা হয়তো ডাক্তার দেখাতে হবে কিংবা ওষুধ খেতে হবে? 

এরকম প্রশ্ন আপনাদের মনে আসতেই পারে স্বাভাবিক। যদিও সামান্য একটু তাপমাত্রা বৃদ্ধি হলে সেটা পূর্ব রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাছাড়া অন্য কোন কারণে ও হয়তো স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ৯৯.৯ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রাকে সাধারণত জ্বর বলে ধরা হয় না। একজন সুস্থ মানুষের শরীরের স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রী ফারেনাইট। 
থার্মোমিটারে লাল দাগে সেটাই দেখানো হয়। কিন্তু যদি আপনার শরীরে তাপমাত্রা ১০০ দশমিক ৪ ডিগ্রি ফারেননেট হয় তাহলে আপনার জ্বরের লক্ষণ দেখা দিবে। আর যদি আপনার ১০৪ ডিগ্রির উপরে উঠে যায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার উপায়

শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে। তবে সঠিক উপায় অবলম্বন করাটা আপনার জন্য কার্যকারী। তাই এই আর্কেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই সঠিকভাবে জেনে নিন। একজন সুস্থ সবল মানুষের এই বিষয়টি জানা অত্যন্ত জরুরী। 

শরীরের তাপমাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে সবার আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি শরীরের জ্বর কমাবেন নাকি তাপ? যদি আপনার শরীরে তাপ প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং কমাতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। এই পদ্ধতিটি আপনি অবলম্বন করলে খুব সহজেই ঘরে বসেই শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে পারবেন। 

তাছাড়া যদি আপনার জ্বর কিংবা অন্য কোন সমস্যার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিক উপায় কিভাবে আপনি শরীরের তাপমাত্রা কমাবেন তার কিছু ঘরোয়া উপায়-

  • ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন।
  • ঠান্ডা পানিতে পা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।
  • বেশি পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন।
  • ঢিলাঢালা পোশাক পরিধান করুন।
  • শরীরের মূল পয়েন্টে ঠাণ্ডা লাগান।যেমন- কব্জি, ঘাড়
  • নিয়মিত শরবত পান করুন। কিন্তু চিনিযুক্ত পানীয়, অ্যালকোহল, এবং ক্যাফেইন এই গুলো বাদে।
  • শরীরের তাপ কমাতে নিয়ন্ত্রিত শ্বাসের ব্যায়াম করুন।
  • কিছুটা সময় এসি বা ফ্যানের সামনে থাকুন।
উপরে উল্লেখিত যে ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে অনুসরণ করে চলতে পারেন তাহলে আশা করি আপনার শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। আর এগুলো করার পরেও যদি আপনার শরীরের তাপমাত্রা ঠিক না হয় তাহলে হয়তো অন্য কোন সমস্যার কারণে আপনার শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয়

শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে তা উদ্বেগজনক হতে পারে। এটি সাধারণত হাইপোথার্মিয়া নামক অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করে, যা শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। শিশুর স্বাভাবিক দেহের তাপমাত্রা ৩৬.৫°C থেকে ৩৭.৫°C হওয়া উচিত। 
এর কম হলে, শিশুর শরীর প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারছে না এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। এই আর্টিকেলে আমরা শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয় তা বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

শিশুকে গরম কাপড়ে ঢেকে রাখুনঃ শিশুর শরীরে তাপ দিতে যে সকল উষ্ণ কাপড়গুলো রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করুন এবং পাশাপাশি কম্বল দিয়ে ভালোভাবে জড়িয়ে রাখুন যাতে করে শিশুর কোন ঠান্ডা না লাগে।

উষ্ণ ঘরে রাখুনঃ যেখানে শিশুটি রয়েছে, সেই ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে হিটার ব্যবহার করতে পারেন। তবে সরাসরি শিশুর মুখের মুখে যেন না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

ত্বকে ত্বকে যোগাযোগঃ শিশুকে ত্বকে ত্বকে যোগাযোগ করে রাখতে পারেন। অর্থাৎ আপনার চোখের সাথে শিশুর ত্বক একসাথে রেখে জড়িয়ে কিছুক্ষণ রাখলে এটি দ্রুত তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং শিশুকে আরাম দেয়।

উষ্ণ তরল খাবার দিনঃ যদি শিশুটি কোনো তরল খাবার খেতে সক্ষম হয়, তবে তাকে উষ্ণ পানি বা দুধ দিন। এটি শরীরের ভেতরে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিনঃ তাপমাত্রা দীর্ঘক্ষণ কম থাকলে বা বাড়তে না চাইলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, কারণ এটি বড় কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এসব উপায় অবলম্বন করা উচিত। শিশু স্বাভাবিকভাবে সুস্থ এবং সুরক্ষিত রাখতে তার তাপমাত্রা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করতে ভুলবেন না। কারণ একজন মা তার শিশুর সুরক্ষার জন্য এই উপায় গুলো অবলম্বন করা জরুরি। আশা করি শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয় সেটা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ধরা হয়

সন্তানের যখন কোন সমস্যা হয় তখন অনেক চিন্তায় পড়ে যান সন্তানের বাবা-মা। বিশেষ করে ওই সময় তারা সন্তান ঠিক করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন। যেমন ধরুন দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে। এটা আসলে সব বাবা-মার ক্ষেত্রেই উচিত। যখন নবজাতকের বয়স ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে হয় তখন সেই সময় জ্বরের আশঙ্কা পেটের সমস্যা এগুলো বেড়ে যায়। 

ওই সময় সন্তানরা অনেক বেশি চিৎকার করে কান্না শুরু করে। সন্তানের কান্না দেখে অনেক অভিভাবক খুব টেনশনে পড়ে যান বুঝতে পারেন না কিভাবে কি করবেন। কিন্তু আপনাদেরকে আজকে আমি এই আর্টিকেলে এমন কিছু তথ্য জানাবো যেগুলো আপনার সন্তানের জন্য হলেও জানা জরুরী। এই আর্টিকেলে নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ধরা হয় এই সম্পর্কে আলোচনা করব। 

তাই আসুন আর দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিকার জেনে নিন। তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি বয়সও একটি কারণ হয় দাঁড়ায়। বিশেষ করে কম বয়সি নবজাতক শিশুদের অনেক বেশি জ্বর হয়। তবে যে সকল শিশুর বয়স তিন মাসের কম তাদের ১০০.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে জ্বর হয়ে থাকে। 

আর যে সকল শিশুর বয়স ছয় মাসের কম তাদের তাপমাত্রা ১০২.২ ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে জ্বরের লক্ষণ দেখা দেয়। কিন্তু অনেক অভিভাবক মনে করেন যে তাপমাত্রা যত বেড়ে যাবে শিশুর জ্বর তত বেশি হবে। কিন্তু আসলে তা নয়। শিশুর শরীরের তাপমাত্রা 103 ডিগ্রি বড় কথা নয় কিন্তু এতে করে শিশু যদি ভালোভাবে আরাম করে খেলতে পারে তাহলে এতে করে সমস্যা নেই। 

কিন্তু তার মানে এই নয় যে জ্বরে আরামদায়ক ভাবে খেলাধুলা করছে বলে তাকে ওষুধ দেওয়ার দরকার নেই। তাকে অবশ্যই ওষুধ দিতে হবে। কিন্তু শিশু শরীরে তাপমাত্রা যদি ১০১ ডিগ্রি হয় আর যদি শিশু ক্লান্ত অনুভব করে কিংবা বিরক্ত বোধ করে সাথে সাথে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

চিকিৎসকরা আপনার বাচ্চার জ্বর থার্মোমিটার দিয়ে মাপার পর যে ওষুধ দিবে সেটি শিশুকে সেবন করাবেন। আশা করি শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয় এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ধরা হয় এটিও সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় কেন

শরীরের তাপমাত্রা সাধারণত ৯৮.৬°F বা ৩৭°C-এর কাছাকাছি থাকে, যা আমাদের শারীরিক সুস্থতার একটি মানদণ্ড। তবে অনেক সময় বিভিন্ন কারণবশত শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে, যা হাইপোথার্মিয়া নামে পরিচিত। 

শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনকি জটিলতাও তৈরি হতে পারে। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় কেন এই সম্পর্কে। তাই আশা করি আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণঃ 

শীতল আবহাওয়া ও ঠান্ডা পরিবেশে দীর্ঘ সময় থাকাঃ ঠান্ডা আবহাওয়া বা পানিতে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে, কারণ যখন আপনি ঠান্ডা আবহাওয়া কিংবা পানিতে দীর্ঘ সময় ধরে থাকবেন তখন আপনার শরীর থেকে দ্রুত তাপমাত্রা হারিয়ে যাবে ফলে আপনার শরীর থেকে তাপমাত্রা কমে যাবে।

পুষ্টিহীনতা ও দুর্বলতাঃ যদি আপনার পুষ্টির অভাব এবং শারীরিক দুর্বলতা হয় তাহলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে। শুধু তাই নয় শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার কম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের যথাযথ তাপমাত্রা উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয় ফলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে কমে যায়।

বেশি বয়স বা শারীরিক অসুস্থতাঃ যদি আপনি বয়স্ক হয়ে যান কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কম থাকে, ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়।

নিদ্রাহীনতা এবং মানসিক চাপঃ আপনার যদি নিয়মিত ঘুমের অভাব হয় বা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করতে পারে, ফলে শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

প্রতিকার ও সতর্কতাঃ

শীতের সময় উষ্ণ পোশাক পরুন এবং তাপ সংরক্ষণে সহায়ক খাবার গ্রহণ করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখুন।
পুষ্টিকর খাবার খান যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে।
যত সম্ভব মানসিক চাপ থেকে মুক্তি থাকুন।

যদি আপনি সঠিকভাবে শরীর যত্ন নিতে পারেন তাহলে আপনার তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। আর যদি আপনার শরীর অযত্নে রাখেন তাহলে কখনোই তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয় তাই সব সময় শরীরকে সঠিক তাপমাত্রা দেওয়ার জন্য উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো অবলম্বন করুন পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

শেষ কথা | শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয়

প্রিয় পাঠক আশা করি এই আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয় এবং নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ধরা হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আপনার শিশুর তাপমাত্রা কমে যায় তাহলে বিশেষ করে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করে চলুন পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। তাহলে আশা করি আপনার শিশু অনেক সুস্থ থাকবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url