ইদুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় তার সম্পর্কে জানুন
ইদুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, ইঁদুর কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন ইঁদুর এর কামড় সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
আমাদের চারপাশে নানা ধরনের জীবজন্তু আছে তার মধ্যে ইদুর অন্যতম একটি প্রাণী। এই প্রাণীটি যদি মানুষকে কামড় দেয় তাহলে এতে করে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার এবং রোগবালাই হতে পারে। তাই আজকের পোস্টে ইদুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় এই প্রশ্ন সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভুমিকা
ইঁদুর একটি সাধারন স্তন্যপায়ী প্রাণী যা প্রায় প্রতিটি এলাকায় এবং সবরকম পরিবেশেই পাওয়া যায়। তাই আজকের এই ইঁদুরের কামড় এর আলোচনা সম্পর্কিত পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো ইঁদুরের বৈশিষ্ট্য, ইঁদুর কামড়ালে কি করণীয়, ইঁদুর কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয়, ইঁদুর তাড়ানোর দোয়া, ইঁদুর কামড়ালে কি রোগ হয়, ইঁদুর তাড়ানোর উপায় এবং ইদুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় সে সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ইঁদুরের বৈশিষ্ট্য
ইঁদুর হলো একটি ছোট এবং সস্তা স্তন্যপায়ী প্রাণী, যা প্রায় সারা পৃথিবী জুড়ে পাওয়া যায়। এটি পৃথিবীর অন্যতম মুক্ত প্রাণী যা প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট পরিবেশে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। নিম্নে এদের বৈশিষ্ট্য সমূহ বর্ণনা করা হলো।
- ইঁদুর সাধারণত ছোট আকারের হয়। এদের শরীর মূলত লম্বা ও চিড়ে হয়ে থাকে। এদের মাথা ছোট ও সরু হয়, চোখ দুটি বড় ও গোলাকৃতির এবং গহ্বর যুক্ত হয়। ইঁদুরের লেজ লম্বা এবং বিভিন্ন অবস্থার জন্য এটি ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক।
- ইঁদুরের সামনে দুটি ধারালো দাঁত থাকে যা অতি দ্রুত এবং সোজা হয়ে বাড়তে থাকে। এই দাঁতগুলি খাদ্য চিবানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
- ইঁদুর সাধারণত বাড়ির আশেপাশে, ক্ষেতে এবং বনাঞ্চলে আবাসন করে। এরা সাধারণত রাতে সক্রিয় থাকে এবং দিনের বেলা গর্তে লুকিয়ে থাকে।
- ইঁদুর বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করে, যার মধ্যে শস্য, ফল, সবজি এবং কখনো কখনো ছোট পোকামাকড় থাকে।
- ইঁদুর খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বড় পরিবার গঠন করতে পারে। একটি মা ইঁদুর সাধারণত প্রত্যেকবার তিন থেকে বারটি বাচ্চা জন্ম দেয়।
- কিছু প্রজাতির ইদুর সামাজিক জীবন যাপন করে যেখানে তারা গর্তে দল বেঁধে থাকে এবং একসাথে খাদ্য জোগাড় করে।
- তবে ইঁদুর কখনো কখনো ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে কারণ তারা বিভিন্ন রোগের বাহক হয়ে থাকে। বিশেষ করে এরা জলাতঙ্ক, লেচম্যানিয়াসিস, সানটা ভাইরাস, প্লেগ রোগ এবং সেলুলোজিসের মতো রোগ সরবরাহ করতে পারে। তাছাড়া এরা খাদ্যের মজুদ নষ্ট করতে পারদর্শী হয়ে থাকে। যে সাধারণ মানুষের জন্য একটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- ইঁদুরকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে জিনগত গঠন এবং মানুষের রোগের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণায় বৈজ্ঞানিকরা এদের ব্যবহার করে থাকেন।
ইঁদুর কামড়ালে কি করণীয়
আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় আমরা বাসা-বাড়ি, ক্ষেত-খামার এবং আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে ইঁদুর দেখতে পাই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবেশের জন্য ইঁদুর অনেক উপকারী একটি প্রাণী। তবে ইঁদুর মূলত বেশ কিছু রোগের বাহক, বিশেষ করে প্লেগ রোগ ইঁদুরের কাছ থেকেই ছড়ায়। ইঁদুরের কামড়ের জন্যেও মানবদেহে নানা রকম সংক্রমনের সৃষ্টি হতে পারে।
তাই ইদুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় তা সম্পর্কে এখন আমরা জানব। ইদুর কামড়ালে আমাদের করণীয় কি তা নিম্নে আলোচনা করা হলো। ইঁদুর কামড়ালে সর্বপ্রথম যা করতে হবে তা হল, যত দ্রুত সম্ভব সেই স্থানটি সাবান ও জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
সাবান ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে তাই এতে করে সংক্রমনের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে যায়। এরপর যত দ্রুত সম্ভব ইঁদুর কামড়ানোর রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। কারণ কামড়ে আক্রান্ত রোগীর সুস্থতার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।
এই পদক্ষেপ গুলোর ব্যবস্থা একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে পাওয়া যাবে। তাই ইঁদুর কামড়ালে অবহেলা না করে অবশ্যই একজন যোগ্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়া আবশ্যক। এক্ষেত্রে চিকিৎসক যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে ইঁদুরের কামড়ের জন্য ভ্যাকসিন দিতে পারেন।
ইঁদুর কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয়
বর্তমান সময়ে এসেও আমাদের আশেপাশে ইঁদুরের উপদ্রব কমেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে না। ইঁদুরের ছোটখাটো আচরণ থেকে শুরু করে কামড় পর্যন্ত প্রায় সবকিছু নিয়েই মানব জীবনে তোলপার লেগে থাকে। ইঁদুর নিয়ে সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হলো ইঁদুরের কামড় এর ব্যাপারটি।
ইঁদুরের কামরে কতটুকু ব্যথা লাগে তার চেয়ে বড় চিন্তার বিষয় মনে করা হয় এ থেকে কোন কোন রোগ জীবাণু ছড়ায় বা ক্ষতিকর প্রভাব কি কি সেগুলোকে। যদিও ইঁদুর এর কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম অংশে প্রমাণ হয়েছে। তবে ইঁদুরের কামড়ে জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা যতোটুকুই কম থাকুক না কেন এ সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অবশ্যই আবশ্যক।
এক্ষেত্রে মনে সংখ্যা থাকলে অবশ্যই টিটেনাস গ্রহণ করা সম্পর্কে ভেবে দেখা যায়। প্রকৃতির এই ছোট্ট প্রাণীটির দাঁতের ছোবল গায়ে পড়লে কিরূপ যন্ত্রণা দায়ক হয় সে ব্যাপার সম্পর্কে কেবল ওই ব্যক্তিটিই ব্যক্ত করতে পারবেন। ইঁদুর নিয়ে আমাদের মাঝে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে আছে তা নিরর্থক নয়। প্রকৃতির এই ছোট্ট প্রাণ একটি প্রায় ষাটটি কিংবা এরও অধিক সংখ্যক জীবাণু সঙ্গে নিয়ে চলাচল করে।
সাধারণত ইঁদুর এর কামড় খেলে শরীরে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু যন্ত্রণা লক্ষ্য করা যায়। এগুলোর মধ্যে খুবই প্রচলিত কিছু সমস্যাটা তাৎক্ষণিকভাবে চোখে পড়ে সেগুলোর মধ্যে একটি হলো ইঁদুর কামড় দেয়ার সাথে সাথে ক্ষত স্থানটি লালচে বর্ণের রং ধারণ করে। কামড় লাগা ক্ষত স্থানটি লালচে হওয়ার সাথেই কিছুটা ফোলা ভাব ধারণ করে এবং সামগ্রিকভাবে ব্যথার অনুভব দেয়।
অন্য ক্ষেত্রে একই ক্ষত অর্থাৎ ইঁদুর কামড় দেয়ার কারণে ক্ষতস্থানে এলার্জি জাতীয় চুলকানি এর উৎপত্তি হয়। চুলকানির সাথেই স্বাভাবিক ভাবে কামড় লাগার স্থানে ব্যথার অনুভূতি যুক্ত হয়। এ সকল সমস্যার সাথে আরো যুক্ত হয় মাথাব্যথা এবং সংক্রামক রকমের জ্বর। এ সকল সমস্যা একত্রে দেখা দিলেই বুঝে নিতে হবে এটি ইঁদুরে সংক্রমণ হতে শরীরে বাড়তে থাকা কোন রোগের লক্ষণ।
তাছাড়াও ইঁদুরের কামরে ক্ষতস্থানে চুলকানি না কমলে এটি পরবর্তীতে ভালো ভাবে ইনফেকশনের আকার ধারণ করে। এক্ষেত্রে হেঁয়ালিপনা উপেক্ষা করে অবশ্যই জটিলতা এড়াতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ইঁদুর কামড়ানোর পরপরই এ সকল সমস্যা দেখা দিবে তা কোথাও নির্দিষ্টভাবে উল্লেখিত নেই।
এক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করতে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তাছাড়াও ইদুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় কি না সেই ব্যাপারে সুষ্ঠু ধারণা অর্জন করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আশা করছি এতক্ষণে আমরা জানতে পেরেছি ইঁদুর কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয় কিনা সে সম্পর্কে।
ইঁদুর তাড়ানোর দোয়া
আপনার বাসস্থান কিংবা খোলা জমি হোক, শহর কিংবা গ্রাম প্রকৃতির এই ছোট্ট প্রাণী ইঁদুরের উপদ্রব কমবেশি করে প্রায় সব জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে। সামান্য একটি প্রাণী হিসেবে এই ব্যাপারটিকে তুচ্ছ বলে ধারণা করা হয়। তবে এটিকে সাধারণত আমরা যতটা হালকাভাবে গ্রহণ করি এই ব্যাপারটি ঠিক ততটা হালকাতে গ্রহণ করার কোন ব্যাপার না। কারণ এই ইঁদুরের কারণে হতে পারে অনেক রকমের সংক্রামক রোগ।
ইঁদুরের উপদ্রব যে কেবল রোগ ব্যাধির মধ্যে থেমে আছে তাও তো নয়। এর কারণে বাড়ির ফার্নিচার কিংবা অন্যান্য ছোটখাটো জিনিস সকল কিছুই নষ্ট হতে থাকে। এক্ষেত্রে এই ক্ষতি গুলোকে দমন করার উদ্দেশ্যে ইসলাম ধর্মের রাসুল (সা) নিজের সমর্থকদেরকে সচেতনতার উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা প্রেরণ করেছিলেন। হাদিসে বর্ণিত কথা অনুযায়ী, তখনকার সময় থেকে ইঁদুরকে দুষ্টু প্রাণী হিসেবে আখ্যায়িত করা হত।
কেননা এই প্রাণীটি কেবল আগেকার সময়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটানো মত বড় সর কাণ্ডে অংশ নিত তা নয়। বরং চলতি সময়ও ইঁদুর বিভিন্ন জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে থাকে। তাছাড়াও হযরত আয়েশা (রা) বলেছেন রাসূলুল্লাহ এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রকৃতিতে পাঁচটি প্রাণীকে প্রকৃতির অনষ্টিকারক বা অযথা ক্ষতির কারণ হিসেবে উল্লেখিত প্রাণীর তালিকাতে যুক্ত করা হয়েছে। এই প্রাণীগুলোর নাম গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হল।
- ইঁদুর
- বিচ্ছু
- চীল
- কাক
- পাগল কুকুর
এই প্রাণীগুলোর অন্তরালে ইদুর কে সবচেয়ে বেশি দুষ্টু এবং ক্ষতিকর হিসেবে গণ্য করা হয়।
ইঁদুর কামড়ালে কি রোগ হয়
প্রকৃতির সবচেয়ে দুষ্টু প্রাণী ইদুরের কারণে মানবদেহে সংক্রমিত হয়ে থাকে অনেক রকমের রোগ কিংবা রোগের জীবাণু। ইঁদুরের কামড়ে কিংবা এর লালা পেয়ে অনেক একাধিক ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইঁদুরের কামড় লাগার ফলে সরাসরি ভুক্তভোগী ব্যক্তির এক প্রকারের জ্বর অনুভব হয়। এই জ্বর টির নাম আরবিএফ।
এটি একটি ইঁদুর দ্বারা ঘটিত রোগ। আর বি এফ এমন একটি ব্যাকটেরিয়া যাওয়া সরাসরি কিংবা আপেক্ষিক ভাবে নিজের ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত মাধ্যমগুলিকে কর্ম বিরতি থেকে রোধ করে। তাছাড়া ইদুর কামড়ালে যে সকল রোগ হয় তার মধ্যে চর্মরোগ, বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ, জ্বর, অন্ত্রের সমস্যা, পেশির পীড়া ইত্যাদি বেশি পরিমাণে দেখা যায়।
এই প্রাণীটির নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে, সংস্পর্শে এবং লালা সবকিছু থেকেই ছড়াতে পারে ভয়াবহ রোগের জীবাণু সমূহ। তাই সচেতনতা অবলম্বনের জন্য ইদুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় সে বিষয়ে খোলামেলা ধারণা রাখতে হয়। ইঁদুরের কামড়ে এবং অন্যান্য কারণে এর থেকে প্রতিবাহিত হওয়ার রোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু রোগ বা সংক্রমনের নাম গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- প্লেগ রোগ
- অ্যাইরোসিস রোগ
- স্কিন ডিজিজ
- অন্ত্রে কৃমির উৎপত্তি
- ত্বকের প্রদাহ বা বিভিন্ন রোগ
- হান্টা জীবাণুর সংক্রমণ বা উৎপত্তি
- সংক্রমিত জ্বর
- টাইফয়েড এর সংক্রমণ
- ইক্টেরাস বা জন্ডিস
- জলাতঙ্ক রোগ ইত্যাদি
ইদুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়
ইঁদুর মানব জীবনের এক পরিচিত ক্ষতিকারক প্রাণী। এরা বিভিন্ন ধরনের রোগের বাহক হিসেবে পরিচিত এবং মাঝে মাঝে কামড়ের মাধ্যমে এর থেকে সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে। সাধারণত রোগের বাহক হওয়ার কারণে ইদুর আমাদের জন্য একটি অযোগ্য প্রাণী হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে রোগের বাহক হওয়ার সাথে সাথে এদের কামড়ের কারণেও মানুষকে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই বা সংক্রমণ এর শিকার হতে হয়। ইঁদুর কামড়ালে যে সকল সমস্যা হতে পারে তা শুধুমাত্র শারীরিক ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর কামড়ের কারণে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়ার মতো অবস্থা হতে পারে।
ইঁদুর কামড়ালে সবচাইতে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় র্যাবিস ভাইরাসের সংক্রমণ। তবে সাধারণত ইদুর জলাতঙ্ক বা র্যাবিস ছড়ায় না, কারণ এরা র্যাবিসের প্রধান বাহক নয়। তবে বন্য ইদুর যদি জলাতঙ্কের জীবাণু বহন করে থাকে তাহলে এটি মানুষের এবং অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।
তাই কোন বন্য ইঁদুরের কামড় বা আঁচড় লাগলে সর্তকতা হিসেবে র্যাবিসের ভ্যাকসিন নিতে হবে। তবে এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। তাছাড়াও ভ্যাকসিন গ্রহণের কারণে অনেকের মনের প্রশ্ন ইঁদুর কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয় কি না সেটির আতঙ্ক দূর করা সম্ভব।
ইঁদুর তাড়ানোর উপায়
ইঁদুর একটি দুষ্টু প্রকৃতির এবং ক্ষতির সাধন করার মতো ক্ষমতা সম্পন্ন ছোট্ট একটি প্রাণ। তবে এই প্রাণীটি দেখতে ছোট হলেও এটি বিরাট সংখ্যক মানুষকে হয়রান করে ফেলার ক্ষমতা রাখে। ইঁদুরের উৎপাত ঘরে এবং বাইরে সব জায়গাতেই প্রতিলক্ষিত হয়।
কেবল ঘরের মধ্যে জিনিসপাতি ধ্বংস করার মধ্যে ইঁদুরের উৎপাত সীমিত থাকে না। এটি ফসলে, রাস্তায় কিংবা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক কাজে নিজের এলোমেলো কাজের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি সাধন করে থাকে। ইঁদুরের এই সকল উৎপাতের কারণে মানবজীবন প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
যেখানে ইঁদুরের একটু উৎপত্তি শুরু হলো সেখানেই মানুষের দুশ্চিন্তা এক লাফে উচ্চমাত্রায় বেড়ে ওঠে। এ কারণেই বাড়িতে কিংবা বাড়ির আশেপাশে ইঁদুর দেখা মাত্র আমরা ইঁদুর তাড়ানোর উপায় সন্ধানে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। অনেকে অনেক রকম ট্র্যাপ ব্যবহার করে থাকে।
বর্তমানে এ সকল পদ্ধতি অনেকের কাছে অমানবিক আচরণ হিসেবে গ্রহীত হয়। অনেকে কিংবা পুরনো রকমের কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। কেউবা আমল গ্রহণ করে ইঁদুর তাড়ানোর উপায় অবলম্বনে লেগে পড়ে। সবকটি দিককে ধ্যানে রেখে ইদুর তাড়ানোর কিছু উপায় সম্পর্কে নিম্নে সংক্ষেপে বলা হলো
শ্যাম্পুর ব্যবহারেঃ চুলে মাখার শ্যাম্পু ব্যবহার করে ইঁদুর তাড়ানোর জন্য প্রথমে কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। একাধিক ছোট কাট পিসের কাপড় কিংবা পুরনো ন্যাকড়ার যোগার দিতে হবে। একটি বোল এর মধ্যে অল্প পরিমাণ আটা, একদম সামান্য চিমটি পরিমাণ কর্পূর, শুকনো মরিচের গুড়া এবং এক পিস শ্যাম্পু সামান্য পানি দিয়ে ঠিকমতো মিশিয়ে নিতে হবে। পরবর্তীতে এই মিশ্রণটি একটু একটু করে সে ঝড়ো করা কাপড় গুলোতে মাখিয়ে নিতে হবে।
এই ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। এরপরে সর্ব শেষ পদক্ষেপ হিসেবে বাড়ির যে সকল স্থানে ইঁদুরের আনাগোনার সন্দেহ রয়েছে সে সকল স্থানে এই মিশ্রণ মাখানো টুকরোগুলো রেখে দিতে হবে। ইঁদুরগুলো এই টুকরোগুলোর সাথে সামনাসামনি হলে এতে থাকা ঝাঁজ থেকে ভয় পেয়ে নিজের পথ পরিবর্তন করে নেবে। হলে বাড়িতে ইঁদুরের উপদ্রব কমবে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ইদুর কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে ইঁদুরের কামড় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url