বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে তার বিস্তারিত জানুন

বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আবিষ্কার হয় সে বিষয় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন এন্ড্রয়েড ফোনের উৎপত্তি সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
বাংলাদেশে-প্রথম-এন্ড্রয়েড-ফোন-কত-সালে-আসে-তার-বিস্তারিত-জানুন
আমরা সবাই প্রায় স্মার্টফোনের সাথে পরিচিত তবে কজনই বা এর উৎপত্তি এবং ইতিহাস সম্পর্কে পুরোপুরি রুপে জানে।তাই আজকের পোস্টে বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করলে এর পাশাপাশি বাংলাদেশে এর ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা রাখাও দরকার। তাই এন্ড্রয়েড ফোন সম্পর্কিত আলোচনা ভিত্তিক পোস্টের মাধ্যমে আজকে আমরা জানবো এন্ড্রয়েড ফোন সম্পর্কে, এন্ড্রয়েড ফোন কে আবিষ্কার করেন, এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আবিষ্কার হয়, মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ইতিহাস, বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে এবং সর্বপ্রথম কোন দেশে মোবাইল ফোন চালু হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমূহ।

এন্ড্রয়েড ফোন

মূলত এন্ড্রয়েড ফোন বলতে বোঝায় প্রযুক্তিগত দিক থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের গুণগতমান সম্পন্ন মুঠোফোন বা স্মার্ট ফোনকে। বর্তমান সময়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কিংবা কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনে বিভিন্ন কাজে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার প্রতিলক্ষিত হয়। এন্ড্রয়েড ফোন হলো অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম অবলম্বনে চলা একটি মুঠোফোন।

আর এন্ড্রয়েড সিস্টেম বলতে মোবাইল অপারেট করার জন্য ওপেন সোর্স এর মাধ্যমে ব্যবহার করা একটি অপারেটিং সিস্টেমকে। মোবাইল ফোন অপারেট করার এই অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমটি লিনাক্স মেথডের ওপরে নির্ভর করে প্রস্তুত হওয়া একটি কার্যক্রম। তবে বর্তমানে বিভিন্ন রকম পর্যায়ের উন্নয়ন সম্পৃক্ত কাজগুলো সম্পাদন করা হচ্ছে।


এর মধ্যে বিভিন্ন ডেভলপার এবং সর্ববৃহৎ পর্যায়ে থাকা কিছু কোম্পানি যেমন গুগল এর অবদান অনেক অংশে জড়িত রয়েছে। পরবর্তী সময়ে কিছু তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের দিকে গুগল কোম্পানি প্রথম পর্যায়ে ডেভলপার এর নিকট হতে এন্ড্রয়েডকে ক্রয় করে নিজের করে নিয়েছে। তাই সহজ ভাবে বলতে বর্তমানে এন্ড্রয়েড মোবাইলে কার্যকর হওয়া অপারেটিং সিস্টেমটি গুগল এর মাধ্যমে প্রস্তুত করা একটি অপারেটিং সিস্টেম।

নানা রকম এন্ড্রয়েড ফোনে নির্মাতারা বর্তমানে এই অপারেটিং সিস্টেম এর উপর ভরসা রেখেই এন্ড্রয়েড ফোন গুলোর মধ্যে নতুনত্ব নিয়ে আসছে। এক বিশ্ব জরিপের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ হয় যে গোটা বিশ্বে এন্ড্রয়েড মোবাইল এর প্রস্তুত করার হার এবং জনপ্রিয়তা শতকরা প্রায় ৭০ শতাংশেরও অধিক পরিমাণে রয়েছে।

এন্ড্রয়েড ফোন কে আবিষ্কার করেন

সারা বিশ্বের জনপ্রিয় তালিকায় রয়েছে এন্ড্রয়েড ফোন এবং এর অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য সমূহ। এন্ড্রয়েড ফোন আবিষ্কারের জন্য নির্দিষ্ট কোন একজন ব্যক্তির অবদানে রয়েছে ব্যাপারটা এমনটা না। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের আবিষ্কারক এর ভিত্তিতে বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে তার কিছুটা যোগসাদৃশ্য রয়েছে।

মূলত এন্ড্রয়েড ফোন এর আবিষ্কার হয় চারজন ব্যক্তি বিশিষ্ট একটি কমিটির মাধ্যমে। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে চারজন ব্যক্তিকে নিয়ে একটি অফিসিয়াল সংগঠন তৈরি করার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সংগঠনের সদস্য হিসেবে ছিলেন অ্যান্ডি রুবিন, রিচ মাইনার, নিক সিয়ার্স ও ক্রিস হোয়াইট। চায় সদস্য দ্বারা গঠিত এই কোম্পানি বা সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি এন্ড্রয়েড এর সঙ্ঘবদ্ধ তৈরি করা যা গেমিং এর দিক থেকে, মোবাইল ফোনের উইন্ডোজ ও ইন্ডিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের বরাবরে প্রতিযোগী প্রস্তুতি নিতে পারে।


এর উদ্দেশ্যে তারা ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেটেড প্রস্তুত করেছে। তবে বিতর্কিত তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় Andy rubin এবং Rich Miner নামক দুজন ব্যক্তি মূলত এন্ড্রয়েড ফোন আবিষ্কারে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছেন। পরবর্তীতে গুগল এর প্রদান করা চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েডের সকল আপডেট এবং অনুদানগুলো গুগল কর্তৃপক্ষ থেকে পাওয়া যাচ্ছে।

এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আবিষ্কার হয়

অ্যান্ড্রয়েডের মোবাইল ফোন আবিষ্কার নিয়ে বলতে গেলে শুরুতেই এর অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে প্রসঙ্গ বের হয়ে আসে। একটি মোবাইল ফোন কিংবা প্রযুক্তিগত ডিভাইসের পরিচয় তার মধ্যে পরিচালিত হওয়া অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে। তবে মোবাইল জগতে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ এর যাত্রা আরম্ভ এর সময় কাল ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসের ৫ই তারিখ।

তবুও এই সময়কে সরাসরি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের আবিষ্কারের সময় হিসেবে বলা যায় না। তৎকালীন সময়ে এন্ড্রয়েড মোবাইল এর কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য নতুন অপারেটিং সিস্টেম চালু করা হয় যাকে বলে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের জন্যই ছিলো। তবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের এই সংস্করণ এর মূল কপি প্রকাশ হয়নি। সেটি ছিলো কেবল বেটা সংস্করণ।


তবে বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে তা এই প্রথম আবিষ্কৃত কোনটির সাথে সম্পৃক্ত নয়। তবে বাজারে মুক্তিলাভ করার ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে ২৮ শে সেপ্টেম্বর এ গুগল এর অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে এন্ড্রয়েড এর নতুন সংস্করণ বাজারে মুক্তি পায়। এই নতুন সংস্করণ টির নাম হয় এন্ড্রয়েড ১.০। এই সংস্করণকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই পরবর্তী সময় অনুসারে এন্ড্রয়েড ফোনের অপারেটিং সিস্টেম গুলো নতুন রূপে সংস্করণের কাজ বরাবর চলমান অবস্থায় রয়েছে।

মোবাইল ফোন আবিষ্কারের ইতিহাস

প্রযুক্তির ব্যবহারের একদম প্রথম দিকে মোবাইল ব্যবহারের জন্য এত সহজ পদ্ধতি বলতে কিছুই ছিল না। অর্থাৎ তখনকার সময় মুঠোফোন এর ধারণা লোকজনের মধ্যে পাওয়া যেত না। প্রথম প্রথম ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে মোবাইল ফোন বলতে মোবাইলের টেলিফোন সিস্টেম এর গাড়ি বা অন্যত্র পথ চালিত গাড়ির গুলোর মধ্যে সংযুক্ত করে একটি নির্দিষ্ট গন্ধের মধ্যে বাধিত ছিল।

তখনকার সময় সেলুলার নেটওয়ার্ক এর ব্যবহার কোথাও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দের দিকে এসে কমভিক নামক নামক মিলিকমের একটি সংযুক্ত স্থাপনা প্রাপ্ত অফিস প্রযুক্তির কাছে হাতে বহণ করা যাবে এমন একটি মোবাইল প্রস্তুত করেছিল। এই মোবাইল ফোন ছিলো যেকোন স্থানে বহণ করার সুবিধা সাপেক্ষে তৈরি সেলুলার নেটওয়ার্ক সম্পন্ন মোবাইল ফোন।

এটি বাজার এর পরিবেশে এই মোবাইলের কার্যকারিতা প্রথম প্রথম ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দের দিকে মুক্তি পায়। এ প্রস্তুতিতে ই এফ জনসন এবং মিলিকম উভয়ের অবদান রয়েছে। হাতে করে যে কোন স্থানে ব্যবহার করার জন্য প্রথম প্রথম যে মোবাইল ফোন চালু করা হয় তার কোম্পানির নাম হলো মটোরেলা। মটোরেলা নামক প্রতিষ্ঠানটি প্রধান বিশেষজ্ঞ এর নাম অধ্যাপক মার্টিন কুপার।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাকে মোবাইল ফোনের জনক এর সমান মর্যাদা প্রদান করা হয়। তবে বাণিজ্যিক দিক থেকে মটোরেলা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হলেন জন এফ মাইকেল। তিনি পোর্টেবল কমিউনিকেশন প্রোডাক্ট এর চিফ ওবং মার্যতিন কুপারের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্যবহারের সহজ পদ্ধতি আনা এই সেলুলার মোবাইল ফোনটি থেকে প্রথম প্রযুক্তিগত বার্তা প্রেরণ করে।

অর্থাৎ মার্টিন কুপার সর্বপ্রথম মোবাইল টেলিফোন থেকে কল এর ব্যবহার করেছেন। দিনটি ছিল ১৯৭৩ সালের ৩রা এপ্রিল। এর আগে তিনি তার হাতে নিয়ে ব্যবহার যোগ্য এই মোবাইল ফোনটি এর সাতগে প্রথম প্রথম ১৯৭২ এ প্রকাশ্যে আনার কাজ শুরু করেন এবং ২০০৭ এ এটি নিয়ে ছবি সংস্করণ করে রেখে দিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে প্রথম পর্যায়ে অধ্যাপক মার্টিন কুপার এর দ্বারা ব্যবহার করা সেই মুঠো ফোন এর ভর ছিল প্রায় ২ কিলো গ্রাম।

এই মোবাইল ফোন এর চারিদিকে মেপে এর পরিমাণ এসেছিল ২৩ সেন্টিমিটার, ১৩ সেন্টিমিটার এবং ৪.৫ সেন্টিমিটার এ। তখন মোবাইল ফোন ব্যবহারে কল করার জন্য সহজ পদ্ধতি চালু হলেও এতে কিছু শর্ত প্রযোজ্য ছিল। অন্যতম শর্ত হিসেবে ছিল এতে প্রায় ৩০ মিনিটের মত সময় নিয়ে কল করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ সংযুক্ত শর্তটি হলো একদিনে এই কল এর প্রটোকল ব্যবহার করে নিলে পরবর্তী সময় কল করার জন্য ১০ ঘন্টা পর্যন্ত বিরতির অপেক্ষা করতে হতো।

এই সময়কাল এবং শর্তের ব্যবধান কে দ্য ব্রিক নাম দিয়ে অভিহিত করা হতো। এখন মার্কিন কুপার এর ব্যবহার এর পর প্রশ্ন থেকে যায় বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে। বহন যোগ্য এই মোবাইল ফোনটি ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে অক্টোবর মাসে পূর্ব সময় পর্যন্ত বাজারে ঠিকঠাক মত মুক্তি পায়নি। দিন যত যায় সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তি এই যোগ সাদৃশ্য রেখে চলা মুশকিল হয়ে উঠেছে।

তবে উন্নয়ন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ফোনের মান ইতিবাচক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবার শুরুতে যে এনালগ ধরনের নেটওয়ার্ক এবং মোবাইলে ফোনের কার্যক্রম চলমান রাখা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল সে মাধ্যমটির নাম নিপ্পন টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন ব্যবস্থা। এটি শুরুর দিকে ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দ এর সময় হতে টোকিও শহরে পথে চলাচল করা যান গুলোর জন্য ব্যবহার করা হতো।

বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে

বাংলাদেশ এ কার্যকর হওয়া মোবাইল ফোনের সর্ব শুরুর দিকের কোম্পানির নাম গ্রামীণফোন কোম্পানি। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের দিকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই কোম্পানি একটি মোবাইল ফোন লঞ্চ করেছিলো। গ্রামীণফোনের ফোনের এই কোম্পানি বাংলাদেশে নিজস্ব হল এর আসল ঠিকানা এবং মালিক সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নরওয়ে নামক জায়গাতে অবস্থিত।

বাংলাদেশের কোম্পানির গ্রামীণফোনের অধিপত্য দেয়া হয়েছে নরওয়ে টেলিকম কোম্পানির মালিক টেলিনর কে। তবে জনপ্রিয়তার হারে বাংলাদেশের প্রায় ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের দিক থেকে স্মার্টফোন এর আনাগোনা পাওয়া যায়। এর পূর্ববর্তী ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা প্রথম মোবাইল ফোনগুলো হল বাটন পদ্ধতির মোবাইল ফোন গুলো। সেগুলো বাংলাদেশে প্রচলিত হওয়া প্রথম মোবাইল ফোন হলেও স্মার্টফোনের তালিকাতে সর্বপ্রথম ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের তারিখটি আসে।

তৎকালীন সময়ে এসেও বেশিরভাগ জনগণের মধ্যে স্মার্টফোন খরিদারি করার সামর্থ্য বিরাজমান করত না। পরবর্তীতে ২০১০ এর সময় থেকে ধীরে ধীরে স্মার্টফোনের খরিদারি এবং ব্যবহার বাড়তে থাকে। দু'বছর পরে এসে এই এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় কিছু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মোবাইল ফোন বাংলাদেশ এক ভালো পর্যায়ের পরিচয় এবং ভালোবাসা পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু কোম্পানিগুলোর নাম হল নোকিয়া, স্যামসাং ইত্যাদি।

সর্বপ্রথম কোন দেশে মোবাইল ফোন চালু হয়

আজকের এন্ড্রয়েড ফোনের উৎপত্তি সম্পর্কিত আলোচনাতে ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আবিষ্কার হয়। মোবাইল ফোন যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, বাচ্চা মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে তুলেছে। কিন্তু এই প্রযুক্তির সূচনা কোথায় এবং কিভাবে হয়েছিল তা জানাটা আমাদের অনেকের জন্যই দারুন ভাবে কৌতূহলপূর্ণ একটি বিষয়।

মোবাইল ফোনের প্রাথমিক প্রযুক্তির সেবাটি সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয়েছিল। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি মটোরোলা এর ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার প্রথমবারের মতো মোবাইল ফোনে কল করেন। তিনি একটি বিশাল আকারের ডিভাইস হাতে নিয়ে কল করেন, যা তখনকার সময়ের জন্য একটি অসাধারণ প্রযুক্তি ছিল। তবে এটি শুধুমাত্র একটি পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ ছিল, যা পরবর্তীতে একটি বাণিজ্যিক সেবায় রূপান্তরিত হয়।

মটোরোলা কোম্পানি ১৯৮৩ সালে প্রথমবার 'ডিনা টেক ৮০০০x' নামক মোবাইল ফোন বাণিজ্যিকভাবে বাজারে অবমুক্ত করে। সেই সময় এই ফোনটির দাম ছিল প্রায় ৩,৯৫০ ডলার, যা তখনকার প্রযুক্তির জন্য একটি বিশাল বড় ধরনের সংখ্যা ছিল। এই ফোনটি ছিল প্রথম '১-জি' অর্থাৎ প্রথম প্রজন্মের ফোন যা মানুষের হাতে থেকেও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সংযোগ বজায় রাখতে সক্ষম ছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোন সেবার সফলতা অন্যান্য দেশগুলিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম পর্যায়ে এটি বিপণন হয় প্রধানত শহরের ব্যবসায়ী ও ধনী ব্যক্তিদের মাঝে। তবে সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নতি এবং খরচ হ্রাসের সাথে সাথে সাধারণ মানুষের কাছেও মোবাইল ফোন জনপ্রিয় হতে থাকে। তাই বলা চলে মোবাইল ফোনের আবির্ভাব মানব সম্পর্কের মধ্যে একটি মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে আসে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে বাংলাদেশে প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আসে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে এন্ড্রয়েড ফোনের উৎপত্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url