ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে বিস্তারিত জানুন
ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, Facebook account restricted মানে কি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকশন সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
বিভিন্ন রকম কারণ বসত অনেক ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্ট প্রায় সময় রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যায়। এটি অনেকের জন্য দুশ্চিন্তার একটি কারণ। তাই আজকের পোস্টেফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম একটি মাচা। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মাঝে মাঝে কিছু বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হন। অনেক সময় দেখা যায় অনেকের আইডি রেস্ট্রিকটেড হয়ে যায়। তাই আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো রেস্ট্রিকশন মানে কি, ফেসবুক রেস্ট্রিকশন কি, Facebook account restricted মানে কি, ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিকটেড হওয়ার কারণ, কেন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সীমাবদ্ধ, ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে এবং মেসেঞ্জারে রেস্ট্রিকটেড করলে কি হয় সে বিষয় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্ত।
রেস্ট্রিকশন মানে কি
রেস্ট্রিকশনের মূল শব্দ রেস্ট্রিক্ট এর মর্ম হলো সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ কোন কাজে কিংবা উদ্দেশ্যের মাঝে একটি বাধ্যবাধকতা ও নিয়মতান্ত্রিকতা এর সৃষ্ট হওয়াকে রেস্ট্রিকশন বলা হয়। রেস্ট্রিকশন বলতে মূলত যে কোন কার্যক্রম কিংবা কর্মসূচি পরিচালনার ক্ষেত্রে দুটি সীমিতকরণ প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়। বর্তমানে বিশেষ করে বিভিন্ন রকম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে এই শব্দটি বেশ পরিচিত একটি শব্দ।
নানা রকম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম এবং নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। এসকল ব্যপার গুলোর বিরোধে গিয়ে নিজস্ব ভাবে কোন কার্য সম্পাদন করার ফলে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের উপর যে বাধা নিষেধ জারি করা হয়, তাকেই মূলত সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোর কিংবা অনলাইন জগতের রেস্ট্রিকশন বলা হয়। তবে অনলাইন জগৎ ব্যতীত বাস্তব খেতে রেস্ট্রেশনের বিভিন্ন রকম অর্থ প্রণীত হয়ে থাকে।
ফেসবুক রেস্ট্রিকশন কি
ফেসবুক এর মতো যোগাযোগ মাধ্যমগুলি কম বেশী প্রায় অনেকেই ব্যবহার করেন। বয়সের দিক থেকে ছোট থেকে বড় যেই হোন না কেন প্রায় প্রত্যেকেরই একটি করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে বলে জানা যায়। তবে ১০ জনের মধ্যে ৯ জন ব্যক্তি ফেসবুক অ্যাপের ইউজার হলেও এর সকল বাধা নিষেধ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
ফেসবুক রেস্ট্রিকশনস কি এ সম্পর্কে অনেকে ধারণা রাখেন না। ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা প্রায় সময় নানা রকম জটিলতার শিকার হয়ে থাকেন। ব্যবহারকারী যখন নিজের স্বাচ্ছন্দ মতো ফেসবুক ব্যবহার করতে সক্ষম হয় না তখন এটি ফেসবুক রেস্ট্রিকশন এর একটি পর্যায়ের মধ্যে পড়ে।
অর্থাৎ ফেসবুক ব্যবহারকারী যখন ফেসবুকে কার্যকলাপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অর্থাৎ কোন কমেন্ট কিংবা পেইজের কোন অ্যাক্টিভিটি এর জবাব কিংবা নিজের প্রতিক্রিয়া প্রদান করতে অসক্ষম হয়ে থাকেন তখন একে ফেসবুকের রেস্ট্রিকশন বলা হয়। আসলে ফেসবুক রেস্ট্রিকশন এর ব্যাপারটা কিছুটা জটিল।
এ কারণেই অনেক সময় আমদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকটেড হলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের রেস্ট্রিকশন এবং ফেসবুক একাউন্ট গঠনের জন্য দেয়া শর্তাবলী মোতাবেক নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে দুটিকে মিলিয়ে ফেলি। ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে তা জানার জন্য এই ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা রাখা জরুরী।
ফেসবুক এর মত যত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে সবগুলো ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারী দেখে কিছু নীতিমালা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই নীতিমালা গুলো লঙ্ঘন করার ফলেই ব্যবহারকারীর ফেসবুক একাউন্ট কিংবা ফেসবুক পেজ মাঝে মাঝে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত নিয়ম অনুযায়ী রেস্ট্রিকশন এর শিকার হয়ে থাকে।
এ কারণেই যে কোন কিছু ব্যবহারের পূর্বে এ নিয়ম এবং নীতিমালা সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। ফেসবুক মাধ্যম কর্তৃক গৃহীত নিয়ম কিংবা নীতিমালা সকল ব্যবহারকারীকে সমান অধিকারের সঙ্গে জানানো হয়ে থাকে। ভুলবশত কিংবা অন্য কোন কারণে এটি ভঙ্গ করা হলে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তৎক্ষণাত নোটিশ পেয়ে যান।
তবে এই নোটিশটি তৎক্ষণাৎ না পেয়ে থাকলেও পরবর্তী সময়ে অডিট এর মাধ্যমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। ফেসবুক মাধ্যমটি এর নিয়ম নীতি বজায় রাখার জন্য সর্বক্ষণিক কর্মী নিযুক্ত রেখেছে। অর্থাৎ বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ফেসবুক আইন নীতিমালা লঙ্ঘন করা মাত্রই ফেসবুক এর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।
তাছাড়াও একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী অন্য কোন ফেসবুক ব্যবহারকারী সম্বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিকট কোন রিপোর্ট প্রদান করলে কর্তৃপক্ষ তা ২৪ ঘন্টার মধ্যে যাচাই বাছাই করে দেখেন এবং এই জরিপ অনুযায়ী কোন তথ্য সঠিক প্রমাণিত হলে তখন সেই ব্যক্তির ব্যবহার করা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিংবা ফেসবুক পেজ ব্যক্তির কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে রেস্ট্রিক্ট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে নানা রকম কারণে রেস্ট্রিক্টেড হওয়া সম্ভাবনা রাখে। আশা করি এতক্ষণে Facebook account restricted মানে কি তার সম্পর্কে হালকা ধারণা নিতে পেরেছেন। এই রেস্ট্রিকশন এর বাধা প্রদানকারী পদক্ষেপ গুলো এবং রেস্ট্রিকটেড হওয়ার কারণগুলো কিছু কিছু জায়গায় অর্থাৎ প্রদেশ ভিত্তিক ভাবে ভিন্নতা রাখে। তবে সেক্ষেত্রে ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে তার করণীয়তে কোনো পরিবর্তন আসে না।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুব ছোটখাটো কারণেও ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রেশনের শিকার হয়। এই ছোটখাটো ব্যাপারের জন্য রেস্ট্রিক্ট হওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ক্ষুদ্র কারণ হলো অনিবার্য কোন পোষ্টের সাথে সম্পৃক্ততা রাখা কিংবা কোন প্রকারের প্রতিক্রিয়া প্রদান করা।
অর্থাৎ অনিবার্য কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত পোস্টে কিংবা কোন ফেসবুক পেইজের কোন পোস্টে কমেন্ট শেয়ার কিংবা অন্যান্য প্রকার রিঅ্যাকশন প্রদান করার জন্য মাঝে মাঝে ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যায়। তবে ফেসবুকে রেস্ট্রিকশন বড় কোন চিন্তার বিষয় নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিংবা ফেসবুক পেজের রেস্ট্রিকশন সাময়িক সময়ের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
এই রেস্ট্রিকশন এর উদ্দেশ্য হল ফেসবুকে রেস্ট্রিকটেড হয়ে যাওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর ব্যবহারকারীকে ফেসবুক কর্তৃক প্রদত্ত নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করা। সাধারণত ফেসবুক একাউন্টের রেস্ট্রিকশন বড়জোর একমাস অর্থাৎ ৩০ দিন নির্ধারিত করে প্রদান করা হয়। অর্থাৎ ৩০ দিন ব্যবহারকারী কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া প্রদান কিংবা ফেসবুকের যাবতীয় কার্যকলাপ হতে বিরত থাকবেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সময় পার হওয়ার পরে ফেসবুক ব্যবহারকারী আপনা আপনি নিজের একাউন্টের সচ্ছলতা ফিরে পায়। তবে বিরল ক্ষেত্রে এই সময় পার হওয়ার পরেও ফেসবুক একাউন্টটি ঠিকঠাক মতো সচল না হলে তবে ফেসবুক এর কর্তৃক বার্তা প্রেরণ করে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরায় পূর্বের অবস্থায় পুনর্জীবিত করে ফেরত আনতে হবে। তবে ফেসবুক একাউন্টের এই ভাবে রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যাওয়ার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী নিজের একাউন্টে উজ্জীবিত অবস্থা হারিয়ে ফেলেন।
Facebook account restricted মানে কি
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড এর অর্থ হলো ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা এবং প্রাইভেসি এর নিয়ম গুলো লঙ্ঘন করার দায়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এর থেকে সাময়িক সময় বা নির্ধারিত কিছু সময়ের জন্য ফেসবুক ব্যবহারকারীকে প্রদান করার দন্ড। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট যখন রেস্ট্রিক্টেড হয় তখন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যবহারকারীকে এ সম্পর্কে একটি বার্তা প্রেরণ করে থাকে।
এই বার্তা ফেসবুক লগইন করার পরপরই দেখা যেতে পারে কিংবা অন্যথায় ব্যবহারকারী প্রদান করা যোগাযোগের মাধ্যম গুলো যেমন, ইমেইলের মাধ্যমে কিংবা নাম্বারে দেখা দিতে পারে। ফেসবুকে কমিউনিটি এবং স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ফেসবুক ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীকে কিছু নীতিমালা এর সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।
ব্যবহারকারী এর সম্পর্কে ধারণাগুলো যেকোনো সময় পুনরায় মনে করে নিতে পারেন। ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে তা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এর দেয়া শর্তগুলোর উপনির্ভরশীল। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের কিছু শর্তাবলী থাকে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- নীতিমালার বিরুদ্ধে গিয়ে পোস্ট করা
- নিজস্ব নাম ব্যবহার না করে অন্যের পরিচয় বহন করা
- ফেসবুকের অ্যালগরিদম এবং নীতিমালা এর বিরুদ্ধে গিয়ে কোন আচরণ প্রদর্শন করা
- অপ্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপনের সাথে সংযুক্ততা রাখা
- উপরোক্ত শর্তগুলো সহ আরো অন্যান্য অনেক রকম নীতিমালা রয়েছে যেগুলো ভঙ্গ করার ফলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকটেড করা হয়।
ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিকটেড হওয়ার কারণ
ফেসবুক একাউন্ট, ফেসবুক পেজ কিংবা ফেসবুক এড অ্যাকাউন্ট মূলত রেস্ট্রিকটেড হওয়ার কিছু কিছু কারণ রয়েছে। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্ট হওয়ার সকল কারণগুলোর একত্রিত সারসংক্ষেপ গুলো নিম্নে দেওয়া হলো।
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পর্যালোচনার প্রক্রিয়ার মধ্যে নানা রকম ত্রুটির জন্য কিংবা ফলস পজেটিভ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ফেসবুক এড একাউন্ট চিহ্নিত হলে।
- একনাগারে একাধিক ফেসবুক এড নাকচ করা হলে।
- ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড প্রণীত নীতিমালা, ফেসবুক এড এবং বিজনেস বা কমার্সের নীতিমালা লঙ্ঘন করলে বা উপেক্ষা করলে। ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে তা এই রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার কারণের কপি দেখলেও বোঝা সম্ভব।
- ফেসবুক কর্তৃপক্ষ রিভিউ করতে না পারে এমন অক্ষর, কোদ এবং চিহ্নযুক্ত করে কর্তৃপক্ষের যাতে বাছাই থেকে নিজের পোস্টের বিশৃংখলতা গোপন করার চেষ্টা।
- ছবিতে কিংবা স্ট্যাটাসে কিংবা উভয়ভাবে ব্যাকরণগত ভ্রান্তি, ফেসবুক পোস্টের বাক্যে উৎসর্গ করা চিহ্ন এর ভুল বা বিকৃত ব্যবহার ইত্যাদি।
- ভিন্ন কোন অ্যাড ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্মে ফেসবুকের প্রবেশে রেস্ট্রিকশন প্রদান করা।
- ফেসবুক কমিউনিটি থেকে বন্ধ করে দেয়া একাউন্টের এড কিংবা কমার্শিয়াল পোস্টগুলো নতুন কোন একাউন্ট হতে দেয়া।ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ছলচাতুরি জাতীয় আচরণ পোষণ করলে।
- নকল পরিচয় বহন করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করা কিংবা একাধিক ফেসবুক একাউন্ট রাখা।
- নিরর্থক ও কাল্পনিক অফার সহ ক্লিক বেইট এর প্রচার চালানো।
- ফেসবুক এড গ্রুপ কিংবা পেইজের এডমিন এর অ্যাকাউন্ট দ্বারা ফেসবুকের নীতিমালার লঙ্ঘন ঘটা।সন্দেহভাজনযুক্ত এবং প্রতারণা পূর্ণ অনিশ্চিত নেটওয়ার্ক কিংবা সংস্থার মাধ্যমিক স্কুল ব্যবহার করা।
- র্যান্ডম এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোন ডোমেই পেইজের তথ্যাদি নিজস্ব অ্যাড একাউন্টে সংযুক্ত থাকা।
- কোন একটি এড একাউন্ট কিংবা ফেসবুক পেজে অতিরিক্ত এডমিন অ্যাকাউন্ট ঢাকা কিংবা তাদের অস্বাভাবিক কর্মসূচি।
- প্রায় একই মতবাদ রাখে এবং একই শব্দ ব্যবহার করা পোস্ট এবং এড কয়েকটি ভিন্ন জায়গা থেকে পোস্ট হওয়া।
- ব্যবসায় ক্ষেত্রে কিংবা কমার্শিয়াল ক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ থাকে। এ প্রয়োজনীয়তা মোতাবেক ক্যাটালগ বা শর্ত গুলো উপেক্ষা করলে ফেসবুক পেজ অ্যাকাউন্ট কিংবা অন্যান্য সেগুলি রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে
ফেসবুক ব্যবহারকারীরা প্রায় সময় ফেসবুকের প্রণীত নীতিমালার লঙ্ঘন করার দায়ে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। বিশেষ করে ফেসবুক এখন রেস্ট্রিক্টেড হয়ে যাওয়ার সমস্যাটি। ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে সে ব্যাপারগুলি জানার আগে জানতে হয় ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেসপেক্টেড হওয়ার কারণ কি।
কারণগুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি। এখন প্রশ্ন আসা আমাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকটিভ হয়েছে সেটা কিভাবে বুঝা যাবে। তার জন্য প্রথমেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপনাকে একটি নোটিশ বা বার্তা প্রেরণ করা হবে। এইবারটা অনুযায়ী আপনার ফেসবুকের কার্যক্রম আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয় বলে জানানো হয়।
তাছাড়াও আপনি কোনভাবে যদি এই নোটিশটি মিস করে থাকেন তবুও আপনার প্রোফাইল বা ফেসবুক পেজ থেকে এটি জেনে নেয়া সম্ভব। এর জন্য আপনার ফেসবুকে একাউন্টের কোয়ালিটি অপশনে গেলেই এই তথ্যটি পেয়ে যাবেন। ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিকশন এর সমস্যা হলে যা যা করতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- আপনার সঠিক এবং খাঁটি তথ্য দিয়ে নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভোলার চেষ্টা করুন। এতে করে একাউন্টের সমস্যা হলে আপনার ব্যবহৃত মূল ডকুমেন্টগুলোর অনুলিপি দেখিয়ে আপনার ফেসবুক একাউন্ট রিকভার করা সম্ভব।
- ফেসবুকে আপনার মতবাদ এবং যেকোন পোস্টে রিয়েকশন দেয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। অবাঞ্চনীয় কোন পোস্টে রিঅ্যাকশন কিংবা মতবাদ দেখা দিলে ফেসবুক রেস্ট্রিক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
- ফেসবুকে প্লাটফর্মে অকথ্য ভাষার কিংবা অশ্লীল ভাষার নিরূপণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অপরিচিত অ্যাপ কিংবা লিংকে এক্স এক্স করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- স্প্যামিং এর বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
মেসেঞ্জারে রেস্ট্রিকটেড করলে কি হয়
ফেসবুক একাউন্ট সীমাবদ্ধ রাখার অন্যতম কারণ হলো ব্যবহারকারীকে এর নীতিমালা সম্পর্কে সচেতনতা প্রদান করা। এতক্ষণ আমরা জানলাম Facebook account restricted মানে কি তার সম্পর্কে। আর অন্যদিকে মেসেঞ্জার রেস্ট্রিকশন দেয়ার ব্যাপারটি একজন ব্যবহারকারীর হাতে থাকে। অর্থাৎ মেসেঞ্জারের রেস্ট্রিকশন ফেসবুক কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভরশীল থাকে না।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী যখন অন্য একজন এর ফেসবুক এক অংকের রেস্ট্রিক্টেড করে দেয় তখন রেস্ট্রিক্টেড অ্যাকাউন্ট থেকে কোন বার্তা প্রেরণ করা হলে সেটি অপর ব্যক্তি কাছে সরাসরি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে পৌঁছায় না। রেস্ট্রিক্টেড করা অ্যাকাউন্টটি আপনার ফেসবুকের চ্যাট লিস্টে দেখা যাবেনা। সাথেই দুজন ব্যবহারকারীর মধ্যকার অ্যাক্টিভ স্ট্যাটাস দুজনার কেউ দেখতে পাবেন না।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকশন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url