খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন খেজুর খাওয়া সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি অনেকেই জানেন তবে খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বেশিরভাগ লোকই অবগত নয়। তাই আজকের পোস্টে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা এর বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
খেজুর আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি শুকনো ফল। তবে ফল সেবনের সঠিক নিয়ম ভঙ্গ করে খালি পেটে খেজুর খাওয়া আমাদের স্বার্থের জন্য অনেক ক্ষতি কারণ হতে পারে। তাই আজকের এই খেজুর নিয়ে সতর্কতা সম্পর্কিত আলোচনা ভিত্তিক পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো খেজুরের পুষ্টি উপাদান, ভালো খেজুর চেনার উপায়, দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত, খেজুর খাওয়ার উপকারিতা, খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে, খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা এবং সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
খেজুরের পুষ্টি উপাদান
খেজুর হলো এক প্রকার গ্লাইসেমিক এবং ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ শুকনো খাবার। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার জন্য খেজুর কে চিনির বিকল্প এর মতো সেবন করার ব্যবস্থা নেয়া হয়। যেহেতু চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক দিক থেকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তাই প্রাকৃতি কভাবে পাওয়া এই ফল খেজুর কে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। তবে এই প্রাধান্য অবশ্যই যুক্তিসম্মত।
খেজুরে থাকা পুষ্টির উপাদান গুলোর পরিমাণ খেজুরের প্রাধান্য পাওয়া এই যুক্তিগুলোকে সমর্থন করে। আমাদের পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের দেয়া তত্ত্ব অনুযায়ী খেজুর সেবনে আমাদের শরীর অনেক গুলো পুষ্টি উপাদান সঞ্চয় করতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো আয়রন। প্রতিদিন নিয়ম করে খেজুর খাওয়ার ফলে একটি সুস্থ স্বাভাবিক মানব দেহে যতটুকু পরিমাণ আয়রন প্রয়োজন, তার এগারো ভাগ প্রতিদান খেজুর থেকে পাওয়া সম্ভব হয়।
তাছাড়াও খেজুরে থাকা উল্লেখযোগ্য কিছু উপাদান যেমন ভিটামিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ড্রিঙ্ক এবং আয়রন জাতীয় খনিজ সমূহ। খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো নিয়ে কথা বললে এই পরিমাণের ভিত্তিতে পুষ্টি উপাদান গুলোকে দেখা দেওয়া সম্ভব। প্রতিবার চারটে খেজুর একত্রিত করলে প্রায় ৩০ গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছায়।
তাই যদি এই হিসাব ধরে বলা যায় তবে, প্রতি ত্রিশ গ্রাম সমান পৃথিবীরে ক্যালরি পরিমান থাকে প্রায় ৯০ ক্যালরি। এই একি পরিমাণ খেজুরে প্রোটিনের পরিমাণ হয় প্রায় ১গ্রাম সমান। অতটুকু খেজুর এই ক্যালসিয়াম এর উপস্থিতি থাকে প্রায় ১৩ মিলি এবং গ্রাম এর হিসেবে আশঁ পাওয়া যায় প্রায় ২.৮ পরিমাণে।
তবে উল্লেখিত এ সকল পুষ্টি উপাদান গুলো ছাড়াও খেজুরে আরো কিছু পুষ্টি উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া যায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় খেজুরের মধ্যে বিপুল পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। যেহেতু খেজুর একাই এতগুলো পুষ্টি উৎপাদনের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করছে তাই এটি সেবন করার ফলে তৎক্ষণাৎ ভাবে শরীরের অবসাদ মুছতে এটি সাহায্য করে।
ভালো খেজুর চেনার উপায়
এমন একটি ফল যা কমবেশি করে বিশ্বের প্রায় অনেকগুলো দেশে চাষ করা হয়। বিশেষ করে আরব এবং আরব সংবলিত সকল অঞ্চলগুলোতে খুব বেশি ভাবে জনপ্রিয় একটি শুকনো খাবার। এর মধ্যে ইজিপ্টে উৎপাদিত হওয়া খেজুরের গুণ বর্তমান উৎপাদন হারের দিক থেকে এটি বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় উৎপাদিত হওয়া খেজুর গুলোর মধ্যে অনেক গুলো প্রকারভেদ পাওয়া যায়।
বিভিন্ন রকমের এই খেজুর গুলোর মধ্যে মাঝে মাঝে খেজুর গুলোর স্বাদ এবং গুণগত মান সমূহের কিছু তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। এগুলোর মধ্যে প্রস্তুতকৃত এবং ভালো খেজুর চেনা কিছু ক্ষেত্রে জটিল হয়ে পড়ে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক ভালো মানের খেজুর চেনার জন্য কোন কোন বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
- সাধারণ ভাবে ভালো খেজুর বলতে বোঝায় তাজা এবং সতেজ মত যেসব খেজুর পাওয়া যায় সেগুলো কে। এগুলার উপরের স্তর কিছুটা পরিমাণে জড়োসড়ো হয়ে তাকানো অবস্থাতে দেখা যায়। এমন আঁকাবাঁকা ত্বক ধারণ করে থাকা খেজুর গুলো না বেশি শক্ত হয় আর না কোমল বা নরম হয়।
- এগুলো মাঝা মাঝি অবস্থায় থাকা স্বাভাবিক পর্যায়ের ত্বক ধারণ করে। এটি দেখতে কিছুটা চকচকে এবং মসৃণ রকমের হয়।
- তাছাড়া তাজা খেজুরের ত্বকে কোনরকম অস্বাভাবিক বর্ণ কিংবা দানা দানা বলতে কোন কিছুর উপস্থিতি পাওয়া যাবে না। তবে এ সকল দিক উপেক্ষা করার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাজার জাত অন্য হিসেবে পাওয়া খেজুর গুলোর উপরে তৈলাক্ত উপাদান বা গুড়া গুরা কিছু উপাদান মেখে দেয়া হয় যেন এটি দেখতে তাজা মনে হয়।
- খেজুরের গায়ে অতিরিক্ত কিছু অনুভূত হলেই সেটিকে ভালো মানের খেজুরের তালিকা থেকে বহির্ভূত করতে হবে। এটি আরেক দিক থেকে জালিয়াতি বা নিম্ন গুন সম্পন্ন খেজুর চেনার একটি উপায় হতে পারে।
- ভালো মানে খেজুর চেনার আরেকটি উপায় হল একটি স্বাভাবিক খেজুরে মিষ্টির পরিমাণ সীমিত মাত্রার হয়। যখনই এটি অতিরিক্ত পরিমাণের মনে হবে তখন বুঝতে হবে এটি সতেজ কিংবা ভালো খেজুরের পর্যায়ের নয়।
- ভালো মানের খেজুর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন কীটপতঙ্গ কে নিজের আশেপাশে আশায় অনুমতি দেয় না। অর্থাৎ এটি প্রাকৃতিক ভাবে মিষ্টি হওয়ার কারণে এতে মাছি বা পিপড়া ইত্যাদি কি পতঙ্গ ভার করেনা। স্বাধারন্ত ভেজাল যুক্ত খেজুরের ক্ষেত্রে এগুলো হয়ে থাকে।
- ভালো মানের খেজুর সরাসরি সরবরাহ করার জন্য বাজার থেকে প্যাকেট করা খেজুর ক্রয় করা উত্তম।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
খেজুর এর স্বাদের জন্য অকারণে অনেকে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রাখেন। এতে থাকা এত এত পুষ্টি উপাদান গুলোও এই ক্ষেত্রে সায় দিয়ে থাকে। তবে যেকোনো কিছুই পরিমিত আকারে সেবন করা শ্রেয়। এমনকি জল, যা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। এই জল দিনে পরিমাণের অতিরিক্ত সেবন করলে শরীর নানা ভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়ে থাকে। ঠিক একইভাবে এই তথ্য খেজুর খাওয়ার নিয়মের উপরেও প্রতিপালন করা হয়।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর। একজন ব্যক্তির শারীরিক স্বাস্থ্য কোন অবস্থায় আছে কিংবা তার কতটুকু মিষ্টি সহনীয় ক্ষমতা রয়েছে তার উপর নির্ভর করে তার খেজুর খাওয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। খেজুর খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো নাস্তার ন্যায় সেবন করা। এই নাস্তা হতে পারে সকালের কিংবা বিকালের নাস্তা।
প্রতিদিনের নাস্তায় ২ থেকে ৩টি খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম হবে। তবে কর্মে অধিক সময় দেয়া কিংবা কায়িক শ্রম করা ব্যক্তিদের ক্ষত্রে খেজুর খাওয়ার এই পরিমাণ বাড়িয়ে ৪টা থেকে ৫টা করে প্রতিদিনের আহারে রাখা যাবে। এছাড়াও দুধের সাথে চিনির বদলে খেজুর ব্যবহার করে প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে যুক্ত করা যাবে।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
সুস্বাদ এবং স্বাস্থ্য উন্নতির দিক থেকে খেজুরের উপকারিতা এর জুরি নেই। যারা স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি তাদের নিয়ন্ত্রিত খাদ্য তালিকায় খেজুর অনেকগুলো পুষ্টিকর খাবারের অনুপস্থিতির বিকল্প হিসেবে কাজ করে। এ কারণেই একে এই ধারার ব্যক্তিদের জন্য সুপার ফুড এর পরিচয় দেয়া হয়। বিশ্বের সকল দেশের উৎপাদনের উপর একটি গড় হিসাব করে পাওয়া যায় সারা বিশ্বে প্রায় তিন সহস্র জাতের খেজুর এর সন্ধান মিলেছে।
খেজুরের মধ্যে এর পুষ্টি উপাদান গুলোর উপস্থিতি ব্যাপকভাবে প্রতিলক্ষিত হয়েছে। তবুও স্থান বিশেষে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি ধারণার অভাব দেখা যায়। এই ধারণা সম্পর্কে পরিষ্কার বক্তব্য দিতে নিম্নে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু কথা বলা হলো।
পরিপাকে সহায়তাঃ খেজুরে বিদ্যমান আঁশ জাতীয় পুষ্টি উপাদান মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রের কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত ফেসবুক খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে আমাদের পরিপাকতন্ত্র সচল এবং স্বাস্থ্যসম্মত অবস্থায় থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ যেহেতু নিয়মিত খেজুর সেবনের পরিপাকতন্ত্র সঠিক নিয়মে পরিচালিত হয় তাই এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধ করা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
হার্টের রোগেঃ খেজুরে থাকা পটাশিয়াম জাতীয় পুষ্টি উপাদান রক্তচাপের গতি সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে সহায়ক। রক্তচাপ সঠিক পর্যায়ে থাকার কারণে এটি হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে উপকারী। আবার এতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
দাঁত এবং অস্থিঃ খেজুরের মধ্যে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস এই উপস্থিতি পাওয়া যায়। এগুলো মানবদেহের দাঁত এবং অস্থিমজ্জায় স্বার্থের জন্য খুবই উপকারী উপাদান।
রক্তশূন্যতাঃ খেজুরে উপস্থিত খনিজ উপাদান গুলো হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তকে সুস্থ এবং পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে রক্ত শূন্যতা কিংবা রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমার সাথে একটি প্রতিরোধে খেজুর উপকারী ভূমিকা রাখে।
ওজন বৃদ্ধিঃ যারা নিজেদের শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের জন্য খেজুর অন্যতম উপশম। খেজুরে থাকা অধিক পরিমাণে ক্যালরি। দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের জন্য খেজুর ওজন নিয়ন্ত্রণের কাজেও উপকারী ভূমিকা রাখে।
ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে ও শক্তি সঞ্চয়ঃ দৈনিক খেজুর সঠিক পরিমাণে সেবন করার ফলে এতে থাকা ভিটামিন সি মানবদেহের ইমিউনিটি সিস্টেম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আবার এতে থাকা ফ্রুক্টোজ-সুক্রোজ জাতীয় উপাদান দেহি শক্তি সরবরাহ করে এবং নানা রকম সংক্রমণ থেকে দেহকে নিরাপত্তা দেয়।
খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে
খেজুরে থাকা অতীব পরিমাণে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে অনেক মাত্র ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি খেজুরে প্রায় ২৩ হতে ২৮ কিলো ক্যালোরি গ্রহণ করা যায়। জেনে রাখা ভালো, স্বাস্থ্যকে উন্নত করার জন্য এবং ওজন বৃদ্ধি করার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ক্যালরি এবং প্রোটিন। খেজুর খাওয়ার ফলে শরীর অত্যন্ত পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করতে পারে এবং এর থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনও সংগ্রহ হয়।
তাই খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা এর ব্যাপারে চিন্তা না করে প্রতিদিন সকালে নাস্তার সাথে খেজুর রাখলে ওজন বৃদ্ধি করা খুবই সহজ হয়। খেজুর খাওয়ার নিয়ম অনুসারে যদি একজন ব্যক্তি ওজন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিদিন তিন থেকে চারটি স্টেজে গ্রহণ করে তাহলে সে ব্যক্তি প্রতিদিন প্রায় ১০০ কিলো ক্যালরি নিজের শরীরের জন্য পুষ্টি সঞ্চয় করতে পারবে। তাই বলা যায় খেজুর খেলে আসলেই ব্যক্তির ওজন বাড়বে। এই প্রসঙ্গে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি বলে, প্রতিদিন ২০ গ্রাম হতে শুরু করে ৩৫ গ্রাম পর্যন্ত সাইবা সমৃদ্ধ খাদ্য সেবন করা উচিত।
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
খেজুর হলো উচ্চ পরিমাণে আয়রন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এক প্রকার শুকনো ফল। এই ফলের অনেক উপকারিতা এবং জন পরিচিতি আপনাদের আশেপাশে অনেক দেখা যাবে। তবে যেহেতু প্রত্যেকটা জিনিসেরই উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটি থাকে সে হিসেবে খেজুরের অপকারিতা নিয়েও অনেকে মনে সন্দেহ রাখেন। অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ হলেও খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চান।
এই সন্দেহ পরিষ্কার করতে বলা যায় খালি পেটে খেজুর খাওয়ার কোন ক্ষতিকারক দিক এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বরং পরিমিত পরিমাণে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার কিছু উপকারী দিক অবশ্যই পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করতে সহায়তা প্রদান সহ রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বাড়িয়ে তোলা।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে খেজুর খাওয়া বিষয় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url