বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত জানুন
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, কুয়েত কোন কাজের বেতন কত সে বিষয় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়া সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
বর্তমান সময়ে এমন সংখ্যক মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি যারা কুয়েত কিংবা দেশের বাইরে অন্যত্র যাওয়ার খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানেন না। তাই আজকের পোস্টে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের কুয়েতে যাওয়া সম্পর্কিত এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় অনেক সংখ্যক মানুষ কুয়েতে কর্মসংস্থান গড়ার উদ্দেশ্যে যেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তবে উদ্দেশ্য সৎ থাকলেও কুয়েতে যাওয়ার পদ্ধতি এবং সেখানে পৌঁছানোর খরচ বাবদসহ অন্যান্য তথ্যাদি এখনো অনেকের কাছে অজানা রয়ে গিয়েছে। তাই আজকের কুয়েত সম্পর্কিত এই আলোচনা ভিত্তিক পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানব কুয়েত কোন মহাদেশে অবস্থিত, কুয়েত টাকার মান কত বাংলাদেশ, কুয়েত কোন কাজের বেতন কত, কুয়েত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, কুয়েত ভিসা পেতে কতদিন লাগে, বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এবং কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
কুয়েত কোন মহাদেশে অবস্থিত
আরব রাজ্য কুয়েত মানচিত্রের দৃষ্টিকোণে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত একটি দেশ। কুয়েত রাষ্ট্র এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত রয়েছে। কুয়েত রাষ্ট্রের দক্ষিণ পাশে অবস্থান করে সৌদি আরব জাতীয় বা সৌদি আরব এবং উত্তর পাশে অবস্থান নিয়েছে ইরাক রাজ্য। পূর্বকালের শাসন আমল থেকে কুয়েত রাজ্য আরব উপজাতিদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিলো। অবশেষে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এসে এই রাষ্ট্রটি ইরাকের একটি শহর বসরা এর বণিকদের অভিগমন বা শরণাস্থান এর ন্যায় কার্য পরিচালনা করেছিল।
এটি ইরাকের বসরা শহরের সে সকল বাসিন্দাদের শরণাস্থল হয়েছিল যারা কিনা অটোমান এর গদি দ্বারা নির্যাতিত হয়ে তৎকালীন সময়ের কুয়েতে অবস্থান নিয়েছিলো। পরবর্তীতে কুয়েত রাজ্যের বাসিন্দারা ইরানের মহাসাগরীয় অংশ বিশেষ এর মতো স্থানের শ্রেষ্ঠ নৌবাহিনী কর্মী বা উপকূলের রক্ষক এর সুনাম লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। কুয়েত রাষ্ট্রের সর্বমোট ছয়টি পরিচালনাসংক্রান্ত রাজ্যক্ষেত্র এবং এগারোটি জেলা অবস্থান নিয়েছে।
কুয়েত টাকার মান কত বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বসবাস করা বেশিরভাগ বাংলাদেশী বাসিন্দারা আরব সংশ্লিষ্ট শহর কিংবা রাষ্ট্রগুলোতে গিয়ে বসবাস কিংবা টাকা আয় করার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। এর অনেক গুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো কুয়েতের অর্থের মান। কুয়েতের অর্থের মান বাংলাদেশের অর্থের মানে তুলনায় অনেক অংশে অধিক। কুয়েতের অর্থের মান এতই বেশি যে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার থেকেও অধিক পরিমাণে নির্ধারণ করা হয়।
এখানে বাংলাদেশের নাগরিক গণ কাজের জন্য এবং বসবাসের জন্য যাওয়ায় অন্যতম এবং মুখ্য কারণ অর্থের মানের এই আধিক্যটিই। তাছাড়াও বাংলাদেশী নাগরিকদের আরো একটি কারণ হলো আরব রাষ্ট্রের নীতিমালা এবং শাসন তোর সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্ততা থাকা। বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশে নাগরিক গণ শুদ্ধ এবং সরকারি মাধ্যমে কুয়েতে অর্থ রোজগারের জন্য যেতে না পারলে অন্যত্র নানারকম পদ্ধতি অবলম্বন করে কুয়েতে কর্মসংস্থান সন্ধান করার চেষ্টায় থাকেন।
কারণ বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে সে বিষয়ে এখনো অনেকেই দ্বিধায় আছেন। কুয়েত রাষ্ট্রের অর্থকে বলা হয় কুয়েতি দিনার। বর্তমান অর্থবছরের হিসেবে কুয়েতের এবং বাংলাদেশের টাকার মানে তার জন্য বলা যায়, কুয়েতি দিনার এর ক্ষেত্রে ০১ কুয়েতি দিনার এর মান বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৮৯.৭৭ বাংলাদেশি টাকা। তবে কুয়েতি দিনারের মান সব সময় একই রকম থাকে না।
অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রায় ন্যায় কুয়েতি দিনারের ক্ষেত্রে প্রতি অর্থ বছর এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনের মধ্যে মুদ্রার মান কমবেশি হতে থাকে। অর্থাৎ অন্যান্য রাষ্ট্রের মুদ্রার মত কুয়েতি দিনার এরও মান পরিবর্তনশীল অবস্থায় থাকে। উদাহরণস্বরূপ কত বছর এবং চলতে অর্ধবছরে কুয়েতি ডিনারের মহান বাংলাদেশি টাকায় কত ছিল সেই ব্যাপারে চোখ বুলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে।
বিগত অর্থ বছরে ০১ কুয়েতি দিনার এর মান বাংলাদেশের টাকায় ছিল প্রায় ৩৫৮ বাংলাদেশী টাকার সমান। বর্তমান সময়ে এই একই অর্থ বর্তমান বাজারে এসে প্রায় ৩৯২ টাকা তে বর্ধিত হয়েছে। কখনো কখনো আবার এই মান নিম্নদিকে অগ্রসর হয়ে থাকে। ঠিক একইভাবে আজকের দিন থেকে প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগ পর্যন্ত কুয়েতের এক দিনার বাংলাদেশি টাকার ৩৭৫ টাকার সমপরিমান অর্থবহ ছিল।
কুয়েত কোন কাজের বেতন কত
প্রগতিশীল দেশ হিসেবে কুয়েত আর্থিক ভাবে, বাণিজ্যিক ভাবে এবং কর্মসংস্থান গঠন করার দিক থেকে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। কর্ম সন্ধানে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের কুয়েতে কর্মসংস্থানের খোঁজে যাওয়ার প্রবণতা এবং আকাঙ্ক্ষা যত দিন যাচ্ছে বরাবরি ততই বেশি হারে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কুয়েত রাষ্ট্রে বাণিজ্যিক দিক এর অগ্রগতি হওয়ার কারণে সেখানে কর্মসংস্থান দিন দিন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর পরিণাম স্বরূপ চলতি প্রতিটি সময়ের সাথে কুয়েতে গঠিত কর্মসংস্থান গুলোতে কর্মীদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হচ্ছে। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো কুয়েত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত নাগরিকদের সহ দেশের বাইরে থেকে আশা কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য। এর ফলে অন্যান্য দেশ থেকে যাওয়া কর্মীদের ক্ষেত্রে কুয়েতে প্রতিষ্ঠিত কর্মসংস্থান গুলোতে কাজ করার আগ্রহ বাড়তে থাকে।
সাথে প্রতি অর্থবছরে কুয়েতের এই কর্মসংস্থান গুলোতে কুয়েতের নাগরিক ব্যতীত বাহিরে থেকে সহস্ত্র কর্মী দের কে তাদের সম্মানিত পদে কাজের জন্য নিযুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে এক একটি পেশার জন্য একজন কর্মী বা শ্রমিক এক এক রকম মজুরি পেয়ে থাকেন। তাই কুয়েত কোন কাজের বেতন কত তা নির্ধারিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।
কেননা সেখানে কর্মরত প্রত্যেকটি কর্মী বেতন নির্ধারিত হয় তাদের কাজের ধরনের উপর। তবে কুয়েত রাষ্ট্র উপার্জন করা অল্প পরিমাণ অর্থও বাংলাদেশে এসে বহুল পরিমাণ অর্ধে পরিণত হয়ে যায়। এর কারণ হলো বাংলাদেশ কুয়েতি দিনারের মূল্য অনেক বেশি হওয়ায়। উদাহরণস্বরূপ একজন শ্রমিকের বেতন নিয়ে বলা যায়।
তৎক্ষণাৎ সময়ে কুয়েত রাষ্ট্রে একজন দীর্ঘ সময় কাজ করা শ্রমিক এর মজুরি সর্বনিম্ন ৪০০০ টাকা হতে শুরু করে এক লক্ষ কিংবা তার ঊর্ধ্বে যেতে পারে। এই অর্তগের পরিমাণ বাংলাদেশী টাকার পরিমাণ সাপেক্ষে বলা হয়েছে। তবুও সার্বক্ষণিক একটি গণনার মাধ্যমে কুয়েত কোন কাজের বেতন কত তার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি ধারণা অর্জন করা সম্ভব।
- কুয়েতে একজন পরিষ্কার কর্মীর বেতন হয়ে থাকে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা হতে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- কুয়েতে একজন গাড়ি চালকের বেতন হয়ে থাকে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা হতে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
- নির্মাণ কর্মী বা রাজমিস্ত্রির বেতন কুয়েতে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা হতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার পর্যন্ত প্রদান করা হয়ে থাকে।
- কুয়েতে একজন দর্জির বেতন বাংলাদেশি টাকার পরিমানে প্রায় ৫০ হাজার হতে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হয়ে থাকে।
- কারিগরি শাখায় এসি জাতীয় কারিগরি কাজের জন্য কুয়েতে প্রায় ৫০০০০ হতে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দেয়া হয়ে থাকে।
- আবার কারিগরি শাখা গাড়ি মেরামত অন্তর্ভুক্ত কাজগুলোর জন্য কুয়েতে বাংলাদেশী টাকার প্রায় ৫০ হাজার টাকা হতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার পর্যন্ত বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে।
- বিদ্যুৎ মিস্ত্রির কাজে নিয়োজিত পেশার জন্য কুয়েতে বাংলাদেশী টাকার পরিমাণে প্রায় ৫২ হাজার ৫০০ টাকা হতে ৭০ হাজার পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
- সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজের জন্য কুয়ে কুয়েতে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা হতে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন নির্ধারণ করা হয়।
কুয়েত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে প্রথমেই ওয়ার্ড পারমিটে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়া কুয়েতে যাওয়ার জন্য আরো কিছু বিষয় যেমন বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে বা সেখানে কোন কর্মসংস্থানের চাহিদা কেমন এ সকল বিষয়ে ধারণা অর্জন করে রাখার জরুরি। কুয়েতে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিটে ভিসার আবেদন করতে হলে।
সর্বপ্রথম প্রতারক হতে নিজেকে রক্ষার জন্য সঠিক এজেন্সি এবং সরাসরি মাধ্যম গুলোকে অবলম্বন করতে হবে। এরপরে উপযুক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজের ভিসার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কুয়েতে হোয়াট পারমিটের ভিসা করনা কালিন দুর্যোগের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। তার পরবর্তী সময়ে আবার এটি চালু করার ব্যবস্থা নেয়া হয়।
তবে বর্তমান সময় বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে বেশিরভাগ দেশগুলোতে কাজের ভিসা সহ অন্যান্য ভ্রমণ ভিসাতেও সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু সময় অপেক্ষার পরে এই ভিসা পুনরায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কুয়েতের উচ্চ মানের অর্থের উপর নির্ভর করে সেখানে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদনেও উচ্চ পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই ভিসায় পাঁচ হতে ছয় লক্ষ টাকা ব্যয় হয়।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ বহির্ভূত কোন দেশে যেতে একজন ব্যক্তির কত টাকা খরচ হবে তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে ব্যক্তির ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং ভ্রমণকালীন বিজার ধরণের উপর। বাংলাদেশ বহির্ভূত অন্য দেশে যেতে হলে যাবতীয় সকল খরচ বাদে শুধুমাত্র লিজার খরচের কথা আসলে এই খরচটিও সম্পূর্ণ রূপে ভিসার ধরণের উপর নির্ভর করবে।
যাওয়ার জন্য যে সকল ভিসা গুলোকে উন্মুক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো ওয়ার্ড পারমিটের ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট বা স্টাডি ভিসা। তবে নির্ধারিতভাবে না জানা থাকলেও সার্বজনীনভাবে বলা যায় কুয়েতে যাওয়ার জন্য ভিসা চালু করতে প্রায় পাঁচ লক্ষ্য হতে ৭ লক্ষ টাকা শুরুর দিকের খরচ হিসেবে জানা যায়। অর্থাৎ ব্যতিক্রমী কারণে ভিসার খরচ এর ঊর্ধ্বে যেতে পারে।
তাই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে তা নিখুঁতভাবে জানতে ভিসা অফিসে যোগাযোগ করা উচিত। তবে তালার কিংবা অন্যান্য বহিরাগত সংস্থার সাহায্য নিলে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য এই বিপুল পরিমাণে টাকা খরচ হয় না। বরং বড়জোর ২ লক্ষ টাকার মধ্যে কুয়েতে যাওয়ার জন্য বাপ পারমিটের ভিসা অনুমোদন করা সম্ভব হয়ে যায়। তবে এই পদ্ধতি খুবই শংকার এবং সাথেই বিপদজনক বটে।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েত রাষ্ট্রে বর্তমান সময় কর্মসংস্থান এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যবস্থা বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। তাই কুয়েতে কর্মসংস্থান এর ক্ষেত্র গুলো অনেকগুলো স্তরে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। এই কর্ম সংস্থান গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দক্ষতা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োজিত করা হয়ে থাকে।
তবে কুয়েতের কর্ম ব্যবস্থা এতই জনপ্রিয় রয়েছে যে দেশব্যাপী লোকজন সহ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য রাষ্ট্রের আগ্রহী কর্মীরাও এখানে কাজ করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। তবে কাজের সবগুলো দিক বিবেচনায় কুয়েতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজ গুলোর তালিকা নিম্নে দেয়া হলো।
- নির্মাণ কর্মী সংযুক্ত কাজ
- পরিষ্কার কর্মের কাজ
- বৈদ্যুতিক কাজ
- কারিগরি কাজ
- গাড়ি চালানোর কাজ
- ঢালাইয়ের কাজ
- মার্কেটের বিভিন্ন রকম কাজ
- সীসার কর্মকার
- হোটেল ম্যানেজমেন্ট এর কাজ ইত্যাদি।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে বাংলাদেশ হতে কুয়েত যাওয়া সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url