ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি বিস্তারিত তথ্য জানুন
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর ভূমিকা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
ইউনেস্কো হচ্ছে মূলত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম যার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা। তাই আজকের পোস্টে ইউনেস্কো সম্পর্কে এবং ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
ইউনেস্কো হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা যার মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং শান্তি বজায় রেখে বাহিরের দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা। এই সংস্থার বিষয়ে আমরা অনেকেই বিস্তারিত তথ্য জানিনা। তাই আজকের বিশ্ব ঐতিহ্যের তথ্য সম্পর্কিত এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা এই সংস্থার সম্পর্কে বিস্তারিত যা জানব তা হচ্ছে, ইউনেস্কো কি, ইউনেস্কোর কাজ কি, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর ভূমিকা, ইউনেস্কোর সর্বশেষ সদস্য দেশ কোনটি, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কোনটি এবং ইউনেস্কো ঘোষিত বাংলাদেশের বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি।
ইউনেস্কো কি
ইউনেস্কো এর ইংরেজি পূর্ণরূপ হচ্ছে ' United Nations educational scientific and cultural organization' এবং বাংলায় এর পূর্ণরূপ হচ্ছে 'জাতিসংঘের শিক্ষা বৈজ্ঞানিক ও সংস্কৃতির সংস্থা'। মূলত ইউনেস্কো হচ্ছে স্বাধীন দেশসমূহের একটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থার নাম যা জাতি সংঘের একটি বিশেষ সংস্থা। অর্থাৎ আমাদের কাছে জাতিসংঘ নামে পরিচিত সংস্থাটির অন্তর্বর্তী সংস্থা হচ্ছে ইউনেস্কো।
দরিদ্রতা এবং বিশ্ব শান্তির সাথেই অন্যায়ের বিরুদ্ধেও কাজ করার লক্ষ্যে এইসব স্বাধীন দেশগুলো একত্রিত হয়েছিল। বিশ্বের শান্তি রক্ষার সহায়তার জন্য বিশ্ব সংস্থা গঠিত করার একটি ধারণার উৎপত্তি হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অর্থাৎ ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ এর মধ্যবর্তি সময়ে। এই ধারণার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল মোট ৫১ টি দেশের সমন্বয়ে ১৯৪৫ সালের ২৪ শে অক্টোবর।
এবং তৎকালীন সময়েই এই সংস্থার নামকরণ করা হয় জাতিসংঘ নামে। পরবর্তীতে এই লন্ডনে ১৯৪৫ সালের নভেম্বরে ইউনেস্কোকে প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যার বাস্তবায়ন হয় ১৯৪৬ সালে তখন জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসেবে স্বাক্ষরিতভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয় ইউনেস্কো। বর্তমানে ইউনেস্কোর সদস্য সংখ্যা রয়েছে মোট ১৯৫ টি। এবং এতে সহযোগী সদস্য হিসেবে আছেন ১২ টি সদস্য।
ইউনেস্কোর কাজ কি
ইউনেস্কোর সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে জাতিসংঘের বিষয়ে। জাতিসংঘ হচ্ছে স্বাধীনতা প্রাপ্ত অনেক গুলো দেশের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক একটি সংস্থা। যা পরিচালনা করার জন্য অঙ্গ সংগঠন হিসেবে আরো কয়েকটি সংগঠন বা সংস্থাকে তৈরি করা হয়।
যার মধ্যে ইউনেস্কো অন্যতম একটি সংস্থা। এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য বা কাজই হচ্ছে পৃথিবীতে শিক্ষা, সংস্কৃতির বিস্তার, বিজ্ঞান এর সঠিক ব্যবহার এবং উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবনে উন্নতি ঘটিয়ে অন্ধকার দূরীকরণ করা।
নিম্নে বোঝার সুবিধার্থে সহজ ভাবে ইউনেস্কোর কাজগুলো উল্লেখ করা হলো। ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি এর উত্তর জানার পূর্বে আমাদের এর কাজ সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। এতে করে আমরা জানতে পারবো পুরো বিশ্বের সাথে বাংলাদেশে ইউনেস্কোর ভূমিকা সম্পর্কে।
- আন্তর্জাতিক ভাবে সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি দেশের মানুষকে শিক্ষিত রূপে গড়ে তোলা।
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করতে উৎসাহ প্রদান করা।
- দীর্ঘমেয়াদী ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা ক।
- বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিতে আন্তর্জাতিক ভাবে সাহায্যের মাধ্যমে শান্তি গড়ে তোলা।
- আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতার জন্য স্বল্প মেয়াদি ঋণ প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করা।
বাংলাদেশে ইউনেস্কোর ভূমিকা
১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইউনেস্কোর বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৯৫ টি। এর সদর দপ্তর বা মূল কার্যালয় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত। এই সংস্থাটি অসংখ্য দেশের সমন্বয়ে গঠিত। তবে এই সংস্থাতে বাংলাদেশ যোগদান করে ১৯৭২ সালের ২৭ শে অক্টোবরে এবং বাংলাদেশের সরকার ১৯৭৩ সালে 'বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশন' গঠন করেন। ইউনেস্কোর কর্মসূচি সমূহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে 'বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশন' সহায়তা করে থাকে। নিম্নে বাংলাদেশে ইউনেস্কোর ভূমিকা সমূহ উল্লেখ করা হলো।
- বাংলাদেশে বয়স্কদের শিক্ষা অর্জন করার সুযোগ প্রদানে ইউনেস্কোর ভূমিকা অপরিস।
- বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন করে সমাজকে উন্নত করার লক্ষ্যে ইউনেস্কোর অবদান বা ভূমিকা অনেক বেশি
- সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যেমন বাউল সংগীত সংরক্ষণে ২০০৫ সালে ইউনেস্কো দ্বারা এই সংগীতকে 'Masterpiece of the oral and intangible heritage of humanity' হিসেবে ঘোষণা দেয়া হ।
- নিরক্ষরতা দূরীকরণের মাধ্যমে সমগ্র জাতির উন্নয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
- বাংলাদেশের ভাষা শহীদ দিবসটি ইউনেস্কোর উদ্যোগেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সম্পূর্ণ পৃথিবীতে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
- যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার সুব্যবস্থা।
- বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য, যেমন- সুন্দরবন,বাগেরহাটের স্বাট গম্বুজ মসজিদ, নওগাঁর পাহাড়পুর এবং সোমপুর বৌদ্ধবিহার সহ অন্যান্য আরো সংরক্ষণে ইউনেস্কোর ভূমিকা অপরিসীম।
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলোর মধ্যে সর্বশেষ গননার হিসেবে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সমগ্রভাবে আট শত ত্রিশ টি জায়গা বিশ্বের চিরাচরিত জায়গা গুলো একনাগাড়ে লিপিবদ্ধ করে সূচি বা নথির ন্যায় এক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। বিশ্ব ব্যাপী পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখা এসকল জায়গা গুলোকে এদের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন কয়টি স্তরের মধ্যে বিভক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাপী ঐতিহ্য সম্পূর্ণ জায়গা গুলোর মধ্যে সমগ্রভাবে চিহ্নিত হওয়া আটশত ত্রিশ টি জায়গা গুলোর মধ্যে প্রায় ৬৪৪ টি চিরাচরিত জায়গা কে সাংস্কৃতিক ধারার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাছাড়াও ১৬২টি চিরাচরিত জায়গাকে ঐতিহ্যের দিক বিবেচনা করে ইউনেস্কো প্রাকৃতিক ধারার ঐতিহ্যবাহী জায়গা গুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
সর্বমোট জায়গা গুলোর মধ্যে বাকি আর ২৪টি জায়গা কে মিশ্র ধাঁচের ঐতিহ্যবাহী জায়গা এর মর্যাদায় বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী জায়গা গুলোর সারিতে রাখা হয়েছে। সময়ের বিবর্তনে বিভিন্ন সময়ে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোকে নাড়িয়ে চারিয়ে নথি গুলোর মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন বের করা হয়ে থাকে।
ঠিক সেভাবেই বিশ্ব ঐতিহ্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ পরিবর্তন আনা হয় ২০০৬ সালে। ইউনেস্কো দ্বারা ঘোষণা করা এই আটশত ত্রিশ টি ঐতিহ্য বাহী জায়গা গুলোর জীবন বৃত্তান্ত বের করলে একটি মৌলিক তথ্য পাওয়া যাবে। এ মৌলিক তথ্যটি হল এ সকল চিহ্নিত জায়গা গুলো সমগ্রভাবে ১৩৮ টি রাজ্যের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে উপস্থিত রয়েছে।
ইউনেস্কো ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী ঐতিহ্যবাহী জায়গার সূচী মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা সকল জায়গা গুলোকে পৃথকভাবে একটি করে সনাক্তকরণ করার জন্য পৃথক পৃথক ভাবে সংখ্যা প্রদান করা হয়। ইউনেস্কো কে প্রদান করা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চলতি সময়ে সনাক্তকরণের জন্য প্রদান করা এই সংখ্যা গুলোর পরিমাণ প্রায় ১২০০ সংখ্যার বেশি অতিক্রম করে নিয়েছে।
তবে সনাক্তকরণী সংখ্যা এত বেশি হলেও সমগ্র ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলো সংখ্যা এত বেশি নয়। একারণেই ক্ষেত্রে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি এর প্রতিবেদন কিছুটা জটিল মনে করা হয়। বিশ্ব ব্যাপী ঘোষিত এ সকল ঐতিহ্য বাহী জায়গা গুলো ইউনেস্কো দ্বারা ঘোষিত হলেও এর মালিকানা থাকে জায়গাটি যেখানে অবস্থিত তার মালিকানার পরিচয় এর ওপর।
অর্থাৎ, বিশ্ব ব্যাপী ঐতিহ্য বিবেচনায় যে সকল জায়গা গুলোকে ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে, সেগুলো যে রাষ্ট্র কিংবা যে সার্বভৌমত্বের অধীনে রয়েছে সেই জায়গায় বা ভূসম্পত্তির অধিকারী হিসেবে থাকবে কেবলমাত্র অবস্থিত জায়গাটির ক্ষমতাধর ব্যক্তি বা সংঘ।
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কোনটি
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান গুলোকে একত্রিত ভাবে একটি বাক্সের মধ্যে লিপিবদ্ধ করার জন্য একটি প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। এ প্রকল্প কে বাস্তবায়ন করতে ইউনেস্কো প্রায় ২১ টি রাজ্যের সিদ্ধান্তের সহায়তায় এই সকল রাজ্যকে নিয়ে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোকে সারি বদ্ধ করার জন্য একটি সংঘ তৈরি করে।
এই সংঘ যে প্রকল্প দ্বারা তৈরি করা হয় তাকে অভিহিত করার উপায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয় 'আন্তর্জাতিক বিশ্ব ঐতিহ্য প্রকল্প' হিসেবে। ইউনেস্কো কখনো নির্দিষ্ট কোন একটি জায়গা কে বিশ্ব ঐতিহ্য বাহী জায়গা হিসেবে নির্ধারণ চিহ্নিত করেনি।
তাই ইউনেস্কো ঘোষিত বেশি ঐতিহ্য বাহি স্থানের প্রসঙ্গ উঠলে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান কোনটি এ প্রশ্ন বদল হয়ে কিছুটা এমন হতে পারে যে, ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি। তবুও এ পরিক্রমাতে প্রথমদিকে ইউনেস্কো দ্বারা ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য গুলোর মধ্যে বাংলার কয়েকটি ঐতিহ্যের নাম নিম্নে দেয়া হলো।
- ষাট গম্বুজ মসজিদ এবং সোমপুর মহাবিহার। এটি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে নিজের পদবী বুঝে পেয়েছে।
- সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান। এই জায়গাটি ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো দ্বারা বিশ্ব চিরাচরিত ধারণ করা জায়গাগুলোর মধ্যে নিজের স্বীকৃতি পায়।
- সুন্দরবন। এটি বাংলাদেশের একটি বহুল পরিচিত ঐতিহ্যবাহী বন। এটি ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো দ্বারা বিশ্ব চিরাচরিত জায়গা গুলোর মধ্যে নিজের স্বীকৃতি এবং পরিচয় লাভ করে।
- দার্জিলিং হিমালয়ান রেইল। এটি ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো দ্বারা বাংলার বিশ্ব চিরাচরিত জায়গা গুলোর মধ্যে সারিবদ্ধ করা হয়।
ইউনেস্কো ঘোষিত বাংলাদেশের বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি
ইউনেস্কোর সাথে সর্বমোট ঐতিহ্যবাহী জআয়গা গুলোর সংখ্যা প্রায় আট শতাধিকের বেশি। এই আট শতাধিক চিরাচরিত জায়গা গুলো সঙ্গবদ্ধ হয়ে সমগ্রভাবে প্রায় ১৩৮ টি রাজ্যের অধীনস্থ রয়েছে। এই ১৩৮ টি রাজ্যের মধ্যে একটি রাজ্যের নাম বাংলাদেশ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী জায়গা হিসেবে সর্বমোট তিনটি জায়গাকে বাছাই করে সারি বদ্ধ করার কথা উদ্দেশ্য করে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে ইউনেস্কো দ্বারা ঘোষিত বাংলার বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলোর সংখ্যা ছয়টি। এই ছয়টি চিরাচরিত জায়গার মধ্যে কেবল বাংলাদেশে অবস্থিত অতীতে বাহির স্থানগুলোর নাম নিম্নে গুছিয়ে রাখা হলো
- ষাট গম্বুজ মসজিদসহ গোটা রূপে মসজিদের শহর বাগেরহাট
- সোমপুর মহাবিহার এবং
- সুন্দরবন যা বাগেরহাটে অবস্থিত
তাছাড়া ইউনেস্কো দ্বারা ঘোষিত গোটা বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ছয়টি স্থান এর বাকি তিনটি হলো-
- সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান
- দার্জিলিং হিমালয়ান রেইল এবং
- শান্তিনিকেতন
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য মাহি জায়গা গুলো ব্যতীত সারা বঙ্গ এলাকা গুলোতে ঐতিহ্যবাহী জায়গা গুলোকে সমগ্রভাবে ১৪টি সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে সাতটি ঐতিহ্যবাহী জায়গা কে অধরা সংস্কৃতিক পর্যায় রাখা হয়।
একটি জায়গাকে প্রামাণ্য বা সত্যতা সম্পন্ন ঐতিহ্য হিসেবের সারিতে রাখা হয়। বাকি থাকা ছয়টি ঐতিহ্যবাহী জায়গা গুলো গোটা বঙ্গের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই ছয়টি জায়গা গুলোর মধ্যে তিনটি বাংলাদেশের বাংলার বিশ্ব ব্যাপী ঐতিহ্য এবং বাকি তিনটি ভারতীয় বাংলার বিশ্বকাপে ঐতিহ্য হিসেবে পথ মর্যাদা লাভ করেছে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য কয়টি তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url