গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কোন জিনিসটি থাকা অত্যাবশ্যক বিস্তারিত জানুন
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কোন জিনিসটি থাকা অত্যাবশ্যক সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বেতন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং এর সাথে জড়িত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
বর্তমানে অনেকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে আগ্রহী হলেও এই কোর্স শেখা এবং কর্মজীবনে কাজে লাগানোর পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই আজকের পোস্টে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কোন জিনিসটি থাকা অত্যাবশ্যক সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত আলোচনা ভিত্তিক এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে কম্পিউটারে বসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করার চাহিদা খুব করে সকলের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। তবে এর সহজ পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে এখনো অনেকেই জানেন না। তাই আজকের গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত এই আলোচনা ভিত্তিক পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানব গ্রাফিক্স ডিজাইন কি, গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার, গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বেতন, গ্রাফিক্স ডিজাইন বেসিক, গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ার, গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কোন জিনিসটি থাকা অত্যাবশ্যক, গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি
গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে বোঝায় নতুন প্রযুক্তির দ্বারা নকশা প্রস্তুত করার প্রণালীকে। গ্রাফিক্স ডিজাইন নামক শব্দ দুটির কথা উঠলে আমরা মনে করি এটি লোগো ডিজাইন, ফ্লায়ার ডিজাইন এবং ইন্টারফেস ডিজাইন এমন কিছু কাজকে ইঙ্গিত করে। তবে আসল অর্থে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বর্ণনা দিতে গেলে এটির বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা বিশাল আকারে বিস্তৃত। গ্রাফিক্স ডিজাইন কে ক্যারিয়ার গড়ার একটি ছোট মাধ্যম হিসেবেও দেখা হয়। কেবল মাত্র দৃঢ় মনোযোগ এবং মনোবল থাকলে ঘরে বসেই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কোর্স সম্পূর্ণ রূপে শেখা সম্ভব।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার
গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন একটি ভিজুয়াল আর্টের প্ল্যাটফর্ম। বর্তমান সময়ে নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর দিকে এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজের দিকে ঝুকে পড়ছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে হলে জানতে হবে ব্রেস্টাইন এর সম্পূর্ণ বৃত্তান্ত। কাজের প্রকারভেদ এবং পদ্ধতি অনুযায়ী গ্রাফিক্স ডিজাইনের উদ্দেশ্যকে দুভাবে উল্লেখ করা সম্ভব হয়। সেগুলো হলো।
- বাণিজ্যিক ভাবে
- ব্যক্তিগত ভাবে
তাছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন এ নিজস্ব কিছু মূলনীতি ধারণ করে। তবুও এ সকল তথ্যাদির মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কোন জিনিসটি থাকা অত্যাবশ্যক তা সংজ্ঞায়ীত হয় না। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ধারনকৃত মূলনীতি গুলো হলো সমতা, কন্ট্রাস্ট, এম্ফাসাইয, মুভমেন্ট, প্রোপোর্শন এবং রিদম। ডিজাইনের এসকল মূলনীতি এবং উদ্দেশ্য এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ধরন গুলোর উপর নজর রেখে গ্রাফিক্স ডিজাইন কে প্রায় সাতটি প্রকারে বিভক্ত করা হয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ কে সুন্দরভাবে গ্রাহক এবং দর্শকের সামনে উপস্থাপন বা প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এই সাতটি প্রকার গুলোকে মিলিয়ে কাজ করা অঅত্যাবশ্যক। গ্রাফিক্স ডিজাইনের এই সাত প্রকার গুলোকে নিম্নে যথাক্রমে উল্লেখ করা হলো
- লোগো নকশা করা
- পণ্যকে বা প্রোডাক্ট নকশা করা
- ব্র্যান্ডিং এর নকশার কাজ
- ওয়েবসাইট নকশা এর কাজ
- প্রিন্ট করার মতো ডিজাইন
- অ্যানিমেশন অর্থাৎ উদ্দীপন বা মোশন জাতীয় গ্রাফিক্স এর নকশা এবং
- পাবলিশিং গ্রাফিক্স নকশা।
গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বেতন
গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মেধা, অভিজ্ঞতা এবং ধৈর্য সহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় সকল অনুপাত গুলোর সমন্বয়ে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে বেতন পাওয়া সম্ভব। ডিজাইনের সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন দেশ হলো আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট। সেই হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন মধ্যস্তরের গ্রাফিক ডিজাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করা ব্যক্তি বাৎসরিক হিসেবে প্রায় ৪৫ থেকে ৫৫ হাজার পর্যন্ত ডলার আয় করার ক্ষমতা রাখেন।
একই জায়গাতে সাধারণ স্তরে বা গড় হিসেবে কাজ করা গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রতিমাসের বাংলাদেশের টাকার পরিমানে আয় হয় প্রায় ৩০ হাজার থেকে আশি হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে বাংলাদেশী এই বেতনটি কিছু নির্ধারিত মাধ্যম প্লেস্কেল, গ্লাসডোর, সিম্পলিহায়ার্ড এর ন্যায় কাজ করা গ্রাফিক্স ডিজাইনার পেয়ে থাকেন। তবে তাদের চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশ একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বেতন ধাপে ধাপে কমবেশি হয়ে থাকে।
অর্থাৎ ডিপ্লোমাধারী কিংবা কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে হওয়া গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতিমাসে বেতন হিসেবে প্রায় বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা আয় করে থাকেন। একই কাজের ক্ষেত্রে ফাইন আর্টস এর মাধ্যমে ব্যাচেলর এর ডিগ্রী অর্জন করা ব্যক্তি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে প্রতি মাসে প্রায় চল্লিশ হাজার থেকে শুরু করে দু বা তিন লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন।
তবে এ সকল দেশীয় কর্মসংস্থান ছাড়া অনলাইনে দেশজুড়ে বাইরের যে কোন প্লাটফর্মে লোগো ডিজাইন সহ যেকোনো ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ জানলে কাদের ধরন এবং টাস্ক হিসেবে প্রায় ৫০ ডলার হতে ২০০০ ডলার এর মতো অর্থ উপার্জন হওয়া সম্ভাবনা থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে ঠিকঠাক ধারণা এবং অভিজ্ঞতা থাকলে অল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়ে যায়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন বেসিক
গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমানে কম্পিউটার মাধ্যমে কাজ করার জন্য সবচেয়ে সহজতম পদ্ধতি গুলোর মধ্যে একটি। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কোন জিনিসটি থাকা অত্যাবশ্যক সে প্রসঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেসিক অন্তর্ভুক্ত হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন পোস্টটি শেখার জন্য বিশেষভাবে কোন উচ্চতর ডিগ্রি বা পেশাধারী হওয়ার প্রয়োজন হয় না।
এমনকি গ্রাফিক্স ডিজাইনার করতে শেখার জন্য কম্পিউটার ব্যতীত আলাদাভাবে কোন কিছুরই প্রয়োজন হয় না। গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি কোর্স যা সবচেয়ে সহজ সহজ পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে শেখা হয়। রাতে স্টেজে শেখার মাধ্যমে কর্মসংস্থান বিপুল পরিমাণে বিস্তৃত করা সম্ভব। যেকোনো কাজ শেখার পূর্বে কি কাজ সম্পর্কে সামান্য পরিমাণ হলেও ধারণা অর্জন করা জরুরি। এরপরের পদক্ষেপেই আসে সে কাজটি সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা অর্জন করা।
এই প্রাথমিক ধারণা কাজটিতে ব্যক্তিকে পারদর্শী হতে সাহায্য করবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেশি সম্পর্কে বোঝার জন্য সর্বপ্রথম গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সংজ্ঞা খুটিয়ে দেখতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বেশি সম্পর্কে জানতে প্রথমেই এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরল উপাদানসমূহ সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। এই উপাদান গুলো তারাই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শেখার সূচনা ঘটে। নিম্নে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য ব্যবহৃত এই বেসিক টুলস গুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে দু-লাইন করে বলা হলো।
রেখা বা লাইনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর সবগুলো উপাদানের ভিতরে প্রধান হলো রেখা। এই রেখা সোজা কিংবা বাঁকা বা অন্যান্য যেকোনো ধরনের এ্যাকটিভ বিন্দু হতে পারে।
শেইপঃ শেইপ বা আকৃতি হলো রেখা দ্বারা তৈরি একাধিক মাত্রায় গঠিত একটি অঞ্চল। এটিও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর একটি অন্যতম উপাদান।
কালারঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন এ ব্যবহার করা বাকি উপাদান গুলোকে রং দিয়ে ছবির মনোভাব অন করার জন্য কালার ব্যবহার করা হয়। এখানে ব্যবহৃত রং তিন রকম উপাদান বিশিষ্ট। হিউ, ভ্যালু এবং স্যাচুরেটেড স্থিতি।
টাইপোগ্রাফিঃ গ্রাফিক ডিজাইন কেবলমাত্র ছবি কিংবা নির্ধারিত কোনো আর্ট বা শিল্পের উপর নির্ভর করে না। বরং কোন লেখাকে শৈল্পিক উপায়ে ফুটিয়ে তোলার জন্যও গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে টাইপোগ্রাফি পদ্ধতিটির সাহায্য নেয়া হয়।
টেক্সচারঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন এ আঁকার ক্ষেত্রে কোন নকশার পাশে কোন নকশা কতটা ফুটে উঠবে তা বোঝ তা বুঝার উপায় হলো টেক্সচার।
সাইজঃ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ছোট বড় কোথায় কতটুকু গুরুত্ব প্রয়োজনটা সাইজ চার্ট ব্যবহার করে বোঝা হয়।
স্পেসঃ শুধু আক্ষরিক লেখার ক্ষেত্রেই নয়, বরং আঁকা আখির ক্ষেত্রেও স্পেস কিংবা শূন্যস্থানের প্রয়োজন হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে স্পেস বলতে বোঝায় শূন্য থাকা ডিজাইনগুলোকে। গ্রাফিক্স ডিজাইনার গণ ঐচ্ছিকভাবে তাদের ডিজাইনের মধ্যে আকর্ষণ ধরে রাখতে স্পেস ব্যবহার করেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কোন জিনিসটি থাকা অত্যাবশ্যক
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বেশির ধারণার সাথেই প্রয়োজন কিছু অবশ্যকীয় জিনিসের। কেবলমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইনস এর বেসিক টুলস ব্যবহার করে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রথমেই চোখের মধ্যে দৃশ্য নির্মাণের পারদর্শিতা সহ আঁকা আঁকিতে হাতের অল্প পরিমাণে স্থিরতা প্রয়োজন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য সবচেয়ে বড় এবং প্রয়োজনীয় বিষয়টি হলো শেখার জন্য পর্যাপ্ত আগ্রহ থাকা এবং যেকোনো কাজ করার জন্য মেধার উপস্থিতি থাকা।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য টুলস জাতীয় জিনিস বাদে ব্যক্তি নিজস্ব ভাবে কিছু দিক থাকা প্রয়োজন।
এই প্রয়োজনীয় দিক গুলো হলো আগ্রহী ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা, গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে আগ্রহী ব্যক্তির বয়সএবং পোর্টফোলিও ও অভিজ্ঞতা তৈরির জন্য দৃঢ় মনোবল। এ সকল যোগ্যতা ব্যতীত গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কোন জিনিসটি থাকা অত্যাবশ্যক সেগুলি সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- এডোবি ফটোশপ
- এডোবি ইলাস্ট্রেটর
- এডোবি ইন-ডিজাইন
- এডোবি পেইজ-মেকার
- জিআইএমপি
- ইংকস্পেস
- কোরালড্র
- কোয়ার্ক এক্সপ্রেস
উপরে উল্লেখিত সকল অত্যাবশ্যক উপাদান গুলো হল গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলোর নাম। এগুলোর মাধ্যমে অর্জন করা কারিগরি জ্ঞান ব্যতীত যে সকল যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন সেগুলো হলো
- নতুনত্ব এবং নিজস্ব উপায় অবলম্বন করে জটিলতা বিশিষ্ট করার ক্ষমতা।
- নিজ দৃষ্টিকোনার মাধ্যমে আচ্ছা দৃশ্য বা ঘটনা যে কোন কিছুকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সাহায্যে তুলে ধরা।
- গ্রাফিক্সের মাধ্যমে করা ডিজাইনগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তথ্যগুলো শিল্পের মধ্যে উপস্থাপন করা।
- একা কাজের ক্ষমতা রাখার সাথেই দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার সক্ষমতা রাখা।
- নানা রকমের প্রজেক্ট একসাথে সমাধান করার ক্ষমতা বা যোগ্যতা থাকা ইত্যাদি।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি
ডিজিটাল যুগে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয়ের সঙ্গে বর্তমান প্রজন্ম সংযুক্ত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে বর্তমানে ডিজিটাল যুগে এমনই এক নিত্য নতুন বিষয়ের নাম হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে একজন ডিজাইনার নিজের মনের ভাষা কিংবা ক্লায়েন্টের দেয়া শর্ত অনুযায়ী সকল খুঁটিনাটি বিষয়গুলি মাথায় রেখে একটি প্রযুক্তিগত ডিজাইন করা আলোকচিত্র তৈরি করে থাকে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন পোস্টটির মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়া বর্তমানে অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। এমনকি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বেতন বর্তমান সময়ে ব্যক্তির পরিবেশগত চাহিদার মিটানোর জন্য যথেষ্ট অর্থ প্রদান করে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি সে সম্পর্কে কয়েকটি ডিজাইন সম্পৃক্ত কাজ সম্পর্কে নিম্নে বলা হলো।
- লোগো এর কাজ
- আইডেন্টিটি নকশা করা ও ব্র্যান্ডিং
- এড ডিজাইন করা
- ইউআই/ইউএক্স নকশার কাজ
- ওয়েবসাইট এর কাজ
- সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়বস্তু নকশার কাজ
- প্রিন্টিং মাধ্যমের কাজ
- প্যাকেজ বা গাটরি বা গোছানোর নকশা
- চলমান গতি সম্পন্ন বা এনিমি গ্রাফিক্সের নকশা
- লেখালেখির নকশা
- ছবি সম্পাদনা নকশা ইত্যাদি।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য কোন জিনিসটি থাকা অত্যাবশ্যক তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url