ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত বিশ্বের প্রথম শহর কোনটি

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত বিশ্বের প্রথম শহর কোনটি সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে বাংলাদেশে বর্তমানে কয়টি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট রয়েছে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন বাংলাদেশের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
ইউনেস্কো-ওয়ার্ল্ড-হেরিটেজ-সাইট-হিসেবে-ঘোষিত-বিশ্বের-প্রথম-শহর-কোনটি
প্রতিনিয়তই সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে নজরে রেখে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলোর মধ্যে নতুন পাতা সংযুক্ত হচ্ছে। আজকের পোস্টে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত বিশ্বের প্রথম শহর কোনটি সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

বিশ্বের বিশেষ কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থান গুলোকে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্বারা তাই আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কি, হেরিটেজ শিল্প কাকে বলে, বাংলাদেশে বর্তমানে কয়টি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট রয়েছে, হেরিটেজ আইন কী, হেরিটেজ এর সঙ্গে ইতিহাসের সম্পর্ক, ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত বিশ্বের প্রথম শহর কোনটি এবং হেরিটেজ সংরক্ষণের গুরুত্ব আলোচনা কর এর সম্পর্কে।

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কি

সাধারণ ভাবে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হল ইউনেস্কো দ্বারা ঘোষিত এবং পরিকল্পিত একটি আন্তর্জাতিক মর্যাদা সম্পন্ন এলাকার সংঘ। বিশ্বের সকল স্থান গুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্য পূর্ণ স্থান গুলোকে নির্বাচন করে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সম্পর্কে ঘোষণা দেয়। বিশ্বের বিশেষ রকমের সব বন, পাহাড়, নদ-নদী, মরুভূমি সহ স্থল এবং জল পূর্ণ এলাকার থানগুলোকে নির্বাচন করেই ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বাবরহাটের সাইটগুলো সম্পর্কের ঘোষণা দিয়েছে।


এই সাইটের মধ্যে এই জাতীয় সকল স্থান গুলোকে একত্রিত করে একটি তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সময়ের বিবর্তনে বিশ্বের যে কোন পোনা থেকে নতুন তথ্য পাওয়া গেলে সেগুলো কেও যাচাই-বাছাই করে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার বা স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণেই প্রায় প্রায় ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলোর মধ্যে নতুনত্ব লক্ষ্য করা যায়।

ওয়ার্ল্ড হেটের সাইটের জন্য প্রথমে উদ্যোগ নেয়ার উদ্দেশ্যে ইউনেস্কো একটি প্রকল্প গঠন করে। এই প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র নিয়ে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পরিচয় দেয়া হয় আন্তর্জাতিক কিছু ঐতিহ্য প্রকল্প হিসেবে। এই প্রকল্পের মধ্যে থাকা রাষ্ট্র গুলো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি এর একটি নথি তৈরি করার কার্য সম্পাদন করে।

১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের দিকে এর প্রথম সূচি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের তৎকালীন ইজিপ্টিয়ান সরকার এমন একটি বাঁধ গড়ার রায় নেয় যার দরুন সেটি পরবর্তী সময়ে নীল উপত্যকার এক বড় অঞ্চলকে ভাসিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখছিল। যে এলাকাটুকু ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেটি আসলে ইজিপ্ট রাষ্ট্রের প্রাচীনতম ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে ছিল।

এ সকল কারণেই পরবর্তীতে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে ইজিপ্ট এবং সুদান এর তৎকালীন সরকার জাতিসংঘের একটি সংস্থা ইউনেস্কোর নিকট নিজস্ব প্রাচীন ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করার জন্য সাহায্য চেয়ে আর্জি দিয়েছিলো। পরবর্তীতে এ সকল কার্যসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন স্থান গুলো পুনরুদ্ধারের কাজ করতে করতে একটি বিরাট সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।


এই সিদ্ধান্তে যাওয়ার জন্য পরবর্তীতে কয়েকটি রাষ্ট্র একত্রিত হয়ে তৎকালীন ৮০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এতে প্রায় পঞ্চাশটির মতো দেশ অংশগ্রহণ করে ৪০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করতে পেরেছিল এবং বাকিটাও ধীরে ধীরে সংগ্রহ করে ইউনেস্কো একটি সম্মেলন প্রতিষ্ঠিত করে। সেই সময়ে সম্মেলন কে খসড়া অবস্থায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। এর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ, সংস্করণ এবং সুরক্ষা প্রদান করা। এটিই হলো ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলোর বিস্তারিত পরিচয়।

হেরিটেজ শিল্প কাকে বলে

হেরিটেজ শিল্প বলতে বোঝায় সে সকল নৈপুণ্য তাকে বোঝায় যা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য এর ইতিহাস এবং মানের ভিত্তিতে চলে আসা কোন নির্ধারিত গোষ্ঠী বা সমাজের বা অঞ্চলের সংস্কৃতি এবং ইতিহাসে প্রতীকিকে। হেরিটেজ শিল্পে বা জন্মগত পদ্ধতি, উপাদানের সমৃদ্ধি ও পরস্পর চিরাচরিত প্রথার এবং ইতিহাসের সংস্করণ এবং ব্যবহার প্রতিলক্ষিত হয়। যেমন বাংলাদেশ ব্যতীত বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত বিশ্বের প্রথম শহর কোনটি তার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত শহরটির ঐতিহ্য ফুটে উঠবে।

হেরিটেজ শিল্পের উদাহরণ হিসেবে কিছু নাম বলা যায়। পুরাতন বা প্রত্নতত্ত্ব স্থাপত্য, পুরাতন কিংবা ঐতিহাসিক লোকশিল্প, বুনন শিল্প, মৃৎশিল্প, সঙ্গে চর্চার নানারকম ধরন ইত্যাদি শিপ্ল গুলো হলো হেরিটেজ শিল্পের কিছু উদাহরণ সমূহ। হেরিটেজ শিপ্ল হলো একটি দেশ বা জাতির পুরনো পরিচয় যা এই পুরনো নিদর্শন গুলো দেখে উপলব্ধি করা হয়। যেকোনো অঞ্চলের হেরিটেজ শিল্প রক্ষা করা অত্যাবশ্যকীয় একটি দায়িত্ব।


কেননা প্রতিটি অঞ্চলের হেরিটেজ শিল্প সেখানকার এক কালীন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং বর্তমান সময়ে পারি দেয়ার পথের পরিচয় সম্পর্কে। হেরিটেজ শিল্প এ সম্পর্কে সামনের ব্যক্তি বা সমাজের দৃষ্টিকোণে নিজস্ব জাতিকে প্রতিফলিত করতে সহায়তা করে। হেরিটেজ শিপ্ল যত্ন সহকারে প্রতীকের মতো তুলে ধরে রাখলে এটি ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের নিকট জাতির পুরনো সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে সর্বদা সিথিল রাখে।

বাংলাদেশে বর্তমানে কয়টি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট রয়েছে

বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৩ টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এর সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। তবে মোট হিসেবের এই তিনটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ব্যাতিত বাংলাদেশের এছাড়া অন্যত্র চিহ্নিত ০৭টি সাময়িক হেরিটেজ সাইট লিপিবদ্ধ অবস্থাতে রাখা হয়েছে। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এর ঘোষিত সাইটগুলি সম্পর্কে নিম্নে বলা হলো।

  • ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে স্বীকৃতি পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম স্থান হলো বাগেরহাট এর মসজিদ শহর। বাগেরহাটের এই ঐতিহাসিক মসজিদ শহর ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব ঐতিহাসিক স্থান সমূহের মধ্যে লিপিবদ্ধ করা হয়। এই জায়গাটি খুলনা বিভাগের আওতায় পড়েছে। এখানে প্রায় তিন শতাধিক মসজিদ, সমাধি, সেতু সহ অনেক কিছু সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের মুসলিম স্থাপত্যের প্রত্নতাত্ত্বিক একটি নিদর্শন হিসেবে রয়েছে।
  • এর পরবর্তীতে একই বছরে পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এ বাংলাদেশের হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া দ্বিতীয় স্থান। এটি রাজশাহী জেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতান্ত্রিক স্থান। বর্তমানে এটি পাহাড়পুরের একটি ধ্বংসাবশেষ হিসেবে রয়ে গিয়েছে। পাহাড়পুরের এই ধ্বংসাবশেষে রয়েছে অনেক রকমের শিল্পকর্ম যা বাংলার পুরনো ঐতিহ্যের পরিচয়ক।
  • ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এ ঘোষিত বাংলাদেশের তৃতীয় এবং সর্বশেষ হেরিটেজ সাইট এর নাম হলো সুন্দরবন। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের দিকে এটি ইউনেস্কো দ্বারা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট গুলোর নথিতে লিপিবদ্ধ করে সংযুক্ত করা হয় এবং এর যথার্থ স্বীকৃতি দেয়া হয়। বাংলাদেশের জাতীয় এই বিজ্ঞান বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি পরিচয়ক। এই বৃহৎ বন বাংলাদেশের খুলনা জেলাতে নিজের অবস্থান রেখেছে।

হেরিটেজ আইন কী

হেরিটেজ আইন বলতে বোঝায় বিশ্ব ঐতিহ্য কিংবা জাতীয় ঐতিহ্য রক্ষার্থে তৈরি কমিটি বা সম্মেলনের সকল নিয়ম মেনে চলার জন্য বর্ণিত করা আইন ব্যবস্থা সম্পন্ন শর্তগুলোকে। সময়ের বিবর্তনে দেশীয় এবং বিশ্ব হেরিটেজ আইন উভয়েরই নানারকম পরিবর্তন এসেছে।

এই হিসেবে বলা যায় ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে থেকে শুরু করে ২০০২ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বার হেরিটেজ আইন সংস্কার এবং নতুন নিয়ম অর্পণ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়। সর্বশেষ ব্যক্ত হওয়া জাতীয় ঐতিহ্য আইন ২০০২। তবে অনেকক্ষণ ঘোষিত ঐতিহ্যবাহের গান গুলোর মধ্যে প্রণীত হওয়া প্রধান নীতিমালা হল প্রত্নতাত্মা অঞ্চল এবং নির্বাচিত হওয়া সকল ঐতিহাসিক বা সাংস্কৃতি মর্যাদা সম্পন্ন স্থানগুলো সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত বিশ্বের প্রথম শহর কোনটি

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বলতে বোঝায় ভৌগলিক একটি সম্মেলন যেখানে সকল দেশ থেকে বাছাই করা ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক স্থান গুলোকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট গুলোর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো প্রাচীন এই বিশ্ব ঐতিহাসিক স্থান গুলোকে সংরক্ষণ করা এবং সুরক্ষা প্রদান করা।

১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই ডিসেম্বরে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান গুলোর ঐতিহ্য ধরে রাখার উদ্দেশ্যে বিশেষ সংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক অতীতের সুরক্ষা নামক এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ এর সম্মেলন নিজের কার্যকারিতা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে বিগত পত্র ২০২৩ পর্যন্ত সমগ্রহ ভাবে ১৯৫ টি রাজ্য এই ওয়ার্ল্ড হেলথ সাইকেল সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য স্বীকার্য বার্তা দিয়েছে।

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেলথ এর সাইটের অন্তর্ভুক্ত থাকা ১৫৫ টি রাজ্যের মধ্যে ১৯১টি দেশ হলো জাতিসংঘের সদস্য দেশ হিসেবে রয়েছে এবং বাকিগুলো দুটি করে পর্যবেক্ষণের মধ্যে এবং সহযোগে রাস্তায় হিসেবে আওতাধীন অবস্থাতে রয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, এই পদক্ষেপটি সকল কাজে সম্পাদন করার পরে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দের দিকে পৌঁছে একটু একটু করে ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোকে নির্বাচন করে এরা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

যেহেতু এক নাগারে পাওয়া তথ্যগুলোতে যাচাই-বাছাই করে অনবরত স্থানগুলোর দায়িত্ব লিপিবদ্ধ করার কাজে সম্পাদন করা হচ্ছিল তাই নির্দিষ্টভাবে কোন একটি জায়গা বা শহরকে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় স্থানের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিয়েজ সাইট হিসেবে ঘোষিত বিশ্বের প্রথম শহর কোনটি এটি তাই খুবই জটিল একটি প্রশ্ন এবং উত্তর এর সমষ্টি হয়ে যায়।

তবে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বিশ্ব হেরিটেজ সাইট থাকা রাজ্যের নাম হল ইতালি। ইতালিতে সর্বোচ্চ ৬০ টি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের খোঁজ পাওয়া যায়। ইতালির পরবর্তী স্থান পাওয়া দ্বিতীয় হেরিটেজ সাইট সম্পন্ন দেশটির নাম হলো চীন। চীনে মোট ৫৯ টির মত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এই সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

এরপরে বিশ্ব ঐতিহ্য বহন করে স্থানের মধ্যে তৃতীয় স্থানধারী রাজ্যের নাম জার্মানি। জার্মানিতে একাই ৫৪ টি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট থাকা দেশগুলো এবং শহরগুলো বিশুদ্ধ তালিকা পাওয়ার জন্য এগুলোকে পাঁচটি ভৌগলিক এলাকার মধ্যে ভাগ করা হয়। এই ৫টি এলাকা হলো আফ্রিকা, আরব আমিরাত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সহ এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা সহ ক্যারিবিয়ান সাইট।

হেরিটেজ সংরক্ষণের গুরুত্ব

হেরিটেজ সংরক্ষণ বলতে বোঝায় জাতির ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা। একটি জাতির পুরানো ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলো সংরক্ষণ করলে এগুলোর বয়স ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘকালীন রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্কারের মাধ্যমে এগুলো হাই ভাবে দেশকে আওতাধীন জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করার একটি মাধ্যম হয়ে ওঠে। এইটাই সংরক্ষণের অন্যতম গুরুত্ব হলো এটি আজাধীন রাষ্ট্রের ইতিহাস এবং পুরনো ঐতিহ্যের নিদর্শন।

হেরিটেজ বা ঐতিহ্য বলতে সরাসরি বোঝায় সংশ্লিষ্ট জায়গার চিন্তা-ধারা, বিশ্বাস, সংস্কৃতি, সাহিত্য, শৈল্পিক কাজকর্ম ইত্যাদি। এগুলোকে সংরক্ষণ না করে রাখলে সংশ্লিষ্ট জায়গায় ইতিহাস ধীরে ধীরে কালকে একটি অবয়বে পরিণত হয়। মুছে যায় দেশের ইতিহাসের পৃষ্ঠাগুলো। তাই সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সকল কিছু বিবেচনা করেই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট গঠন করা হয়।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত বিশ্বের প্রথম শহর কোনটি তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে বাংলাদেশের হেরিটেজ সাইট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url