বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে বিস্তারিত জানুন

বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, সরকারি পাসপোর্টের সুবিধা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন বিবাহিতদের পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন। 
বিবাহিতদের-পাসপোর্ট-করতে-কি-কি-লাগে-বিস্তারিত-জানুন
বিদেশে যাওয়ার ব্যাপার এবং পদ্ধতি নিয়ে কমবেশি সকলের মধ্যে উদ্বিগ্নতা কাজ করে। বিভিন্ন রকম পাসপোর্ট এর ধরণ এবং পাসপোর্ট অনুমোদনের জন্য যে প্রক্রিয়াগুলো পারি দিতে হয় সেগুলোর উপর ভিত্তি করে বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত উভয় ব্যক্তিগণ পাসপোর্ট বানানো নিয়ে বিভিন্ন রকম দ্বিধায় ভুগেন। তাই আজকের পোস্টে বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

নিজ দেশ থেকে ভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়। পাসপোর্টে সুবিধা গুলো বিবেচনা করে পাসপোর্ট এর সময়কাল এবং শর্ত গুলো জেনে রাখা জরুরী। বিদেশে ভ্রমণ কিংবা যে কোন উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট বানাতে হলে জেনে রাখা উচিত একটি পাসপোর্ট বানাতে কি কি জিনিস লাগতে পারে এবং কোন ধরণের পাসপোর্টের কি রকম কাগজপত্রের প্রয়োজনীয়তা পরে এবং তার পদ্ধতি সম্পর্কে। তাই আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানবো, পাসপোর্ট কি, পাসপোর্ট কত প্রকার, ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট কি, পাসপোর্ট করার নিয়ম, সরকারি পাসপোর্টের সুবিধা এবং বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তার সম্পর্কে।

পাসপোর্ট কি

সাধারণ অর্থে পাসপোর্ট এর মর্ম হলো, ভিন দেশে যেতে হলে সেখানে প্রবেশ করার জন্য নিজ দেশ হতে প্রাপ্ত অন্য দেশে প্রবেশের অনুমতি সম্মত নথিপত্র। আন্তর্জাতিক সফরের ক্ষেত্রে সফরকারীর প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে কোন দেশের অধিকারী সেটি ব্যাখ্যা করার উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট বহন করা আবশ্যকীয়।

আন্তর্জাতিক সফরে ব্যক্তির তথ্য চিহ্নিত করার জন্য পাসপোর্ট ব্যতীত কোন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক সফরে বের হতে পারবে না। একটি পাসপোর্ট সর্বদায় ব্যক্তির নাগরিকত্ব সম্মত দেশ থেকে অনুমোদিত করা হয়। বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হওয়া এমআরপি এবং ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট এর ধরণের জন্য প্রস্তুত হয়।

তবে দেশীয় সকল আলোচনার মধ্যে জানা যায় যে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল গুলোর তালিকায় বাংলাদেশ সর্ব শুরুতে ই-পাসপোর্ট বাস্তবায়ন করা হয়। বর্তমানে প্রচলিত পাসপোর্ট এর মধ্যে সুরক্ষা উপাদান সহ প্রায় ৪১টি বিশেষত্ব এবং ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর সম্বলিত একটি চিপ থাকে।

পাসপোর্ট তৈরি প্রক্রিয়ার মধ্যে ব্যবহারকারীর হাতে দশটি আঙ্গুলের বৈশিষ্ট্য সমেত ব্যক্তির দুটি চোখেরি অক্ষিকূট যাচাই-বাছাই করে ব্যবহারকারী চেহারার একটি রঙ্গিন দর্শন ছবি পাসপোর্ট অফিস থেকে তৎক্ষণাৎ অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়।

এ সকল কিছু ই-পাসপোর্ট এর ইলেকট্রনিক মাইক্রো চিপ এর মধ্যে ব্যবহারকারীর জনতাত্ত্বিক এবং ব্যক্তিগত বায়োমেট্রিক এই সকল তথ্য-উপাত্ত আকারে জমা করে রাখা হয়। ব্যবহারকারী নিজ প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে পাঁচ বছর কিংবা ১০ বছর মেয়াদী পর্যন্ত পাসপোর্ট প্রস্তুত করার জন্য সকল নিয়ম মেনে আবেদন করতে পারেন।

পাসপোর্ট কত প্রকার

বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে তিন রকমের পাসপোর্ট এর প্রচলন করা হয়ে থাকে। সরকারি এই তিন রকমের পাসপোর্ট গুলো চেনার জন্য প্রথম ধাপে এই পাসপোর্ট গুলোকে বলা হয় লাল পাসপোর্ট, নীল পাসপোর্ট এবং সবুজ পাসপোর্ট বা সাধারণ পাসপোর্ট।

পাসপোর্টগুলোর উপরের কভার লাল নীল এবং সবুজ রঙের হয়ে থাকা এগুলো তো প্রচলিত ভাবে রঙের ভিত্তিতে পরিচিত করানো হয়। এক্ষেত্রে বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা বুঝার জন্য সাধারণ পাসপোর্ট এর ধরণকে করা যেতে পারে। তবে এই পাসপোর্ট গুলোর অর্থ বিশেষায়িত রূপে রয়েছে। নিম্নে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত তিন রকমের পাসপোর্ট সম্পর্কে বলা হলো।

কূটনৈতিক পাসপোর্টঃ লাল রঙের আবরণ সমৃদ্ধ পাসপোর্টটি হল কূটনৈতিক পাসপোর্ট। অর্থাৎ সরকার প্রতি কোন কর্মকর্তা দ্বারা কিংবা রাজনৈতিক ভাবে বিদেশের কোন রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ কারণে ভ্রমণের জন্য এই পাসপোর্টটি ব্যবহার করা হয়। কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহারকারীদের কিছু ক্ষেত্রে ভিসা ব্যতীত প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হয়ে থাকে।

সরকারি পাসপোর্টঃ বাংলাদেশের সরকারি খাত বা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ও ডাক্তারি বা সরকারি কাজে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশকে চিত্রিত করার কাজগুলো জন্য ঘটা ভ্রমণের সময় সরকারি পাসপোর্ট বা দপ্তরি পাসপোর্ট বা নীল পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়। যে সকল ব্যক্তি সরকারি পাসপোর্ট বহন করে তাদের ভিন্ন দেশ গমনে ভিসা সংক্রান্ত নানা দরকারি দিকগুলোকে বিবেচনা করে ব্যতিক্রমী সুবিধা প্রদান করে দেখা হয়।

সাধারণ পাসপোর্টঃ সাধারণ পাসপোর্ট বা সবুজ পাসপোর্ট বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যক্তিদের জন্য যেকোনো কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। সাধারণ পাসপোর্ট বহন করার মাধ্যমে ব্যবহারকারী আন্তর্জাতিক পরিবেশে সফর, চিকিৎসা কর্ম উদ্যোগ, পড়াশোনা কিংবা যে কোন রকম কারণে ভ্রমণ করতে পারেন।

ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট কি

ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট বলতে বোঝায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত হওয়া একটি নথিপত্রকে। ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট বহন করে ব্যবহারকারী আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত পাসপোর্ট গুলোকে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট এর ধরনে পরিবর্তিত করা হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট করার জন্য বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা নিয়ে চিন্তা করতে হয়না।

ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট করার জন্য সাধারণত মূল পাসপোর্ট এর সাথে এটি প্রথম পৃষ্ঠার একে অনুলিপি তৈরি করা অর্থাৎ ফটোকপি গ্রহণ করে অনলাইনের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট তৈরির জন্য আবেদন করা যেতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল পাসপোর্ট এর মধ্যে ৪৮ টি পাতা সমৃদ্ধ একটি ছোট বইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ব্যবহারকারীকে বহিরাগত রাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করে থাকে

সরকারি পাসপোর্টের সুবিধা**

বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার প্রতিফলিত পাসপোর্ট অধিদপ্তর পাসপোর্ট এর জন্য কিছু নিয়ম প্রণয়ন করেছে। এইসব নিয়ম এই ভিত্তিতে যে সকল পাসপোর্ট ব্যবহারকারী সরকারি কাজের উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে গিয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব প্রদান করে তারা সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। এর জন্য প্রয়োজন হয় সরকারি বা দপ্তরীক পাসপোর্ট।

এই দাপ্তরীক বা নীল পাসপোর্টটি কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী যখন তাদের সরকারি কাজের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে দেশের বাইরে সফরে বের হন তখন তাদেরকে এই পাসপোর্টটি বহন করে এর সাহায্য নিয়েই ভিন্ন দেশে প্রবেশ করতে হয়। সরকারি পাসপোর্ট ব্যবহারে ব্যবহারকারীরা সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহারকারীদের তুলনায় অধিক সুবিধা লাভ করে থাকেন।

নীল পাসপোর্ট অধিকারীদের যে সকল সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে তার সাথে তাদের জন্য কিছু নিয়ম এবং সতর্কতা সমূহও জারী করা হয়ে থাকে। নীল পাসপোর্ট ব্যবহারের এই সুবিধা গুলোর উর্ধ্বে পৌঁছে এর কিছু জটিলতাও রয়েছে। যেমন, কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী এই নীল পাসপোর্টের সাথে নিজের ইমিগ্রেশন করাতে পারবেন না।

উদাহরণস্বরূপ কানাডাতে ইমিগ্রেশন করানোর জন্য নীল পাসপোর্ট এর ইস্যু করা সম্ভব হয় না। সেই ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী ইতোমধ্যে একটি পাসপোর্টের অধিকারী হওয়ার কারণে আলাদাভাবে সাধারণ পাসপোর্ট বা সবুজ পাসপোর্ট ব্যবহার করার অনুমতি পাবেন না।

তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ তাদের দাপ্তরিক কাজ নিবারণের উদ্দেশ্যে সরকারি পাসপোর্ট ব্যবহার না করে সাধারণ বা সবুজ পাসপোর্ট এর ইস্যু করিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে তারা সরকারি পাসপোর্ট এর সুবিধা গুলো ভিসা অফিস থেকে পেতে পারেন না। মূলত সরকারি পাসপোর্ট এর সুবিধা গুলোর জন্যই এত জনপ্রিয়তা রাখছে। এখন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে সরকারি পাসপোর্টের সুবিধা গুলো সম্পর্কে নিম্নে কিছু কথা বলা যাক।

  • সরকারি পাসপোর্ট কিংবা ভাবতেই কাজে ব্যবহৃত পাসপোর্ট বহন করে ব্যবহারকারী কোন মিতা ব্যতীত একাধিক দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে তাকে ভিসা নিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। কেবল জিও দেখিয়ে ব্যবহারকারী একাধিক রাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে যায়।
  • কিছু কিছু রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে ইমিগ্রেশন প্রদানের সময় সরকারি পাসপোর্ট ব্যবহারকারীকে সাধারণ পাসপোর্ট বহনকারীদের সারি তে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়না। কেননা তাদের জন্য পৃথক একটি সারি করা থাকে যা এই নীল পাসপোর্ট বহনকারীদের সুবিধা উদ্দেশ্যে করা।
  • কেবল সরকারি পাসপোর্টটি দেখিয়ে বিমান এর সফরে ব্যবহারকারী বিজনেস ক্লাসে সফর করার সুবিধা লাভ করে থাকেন।
  • আন্তর্জাতিক ভ্রমণে রাষ্ট্র গুলো সরকারি পাসপোর্ট ব্যবহার কারীদের ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যায়ন এবং আপ্যায়ন করে থাকে।
  • সরকারি পাসপোর্টধারী ব্যক্তির এনওসি থাকলে তার পাসপোর্ট এবং ভিসার জন্য কোন পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন পড়ে না।

পাসপোর্ট করার নিয়ম

বর্তমানে প্রচলিত ই-পাসপোর্ট তৈরির জন্য অবিবাহিত বা বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা নিয়ে নিম্নে কিছু নিয়ম গুলো উল্লেখ করা হলো।

  • প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পাসপোর্ট তৈরির আবেদন ফরম অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ করে নিতে হবে।
  • পাসপোর্ট আবেদন ফরমে কোন সত্যায়িত নথি বা ছবির দরকার পড়ে না। কেননা অনলাইনে ফরম পূরণের সময় সকল তথ্য ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়ে থাকে।
  • আবেদনপত্র পূরণের সময় অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র জন্ম নিবন্ধনীর নথি অনুসারে ফরমটি পূরণ করা হয়।
  • অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনী পত্র এবং অভিভাবকের জাতীয় পরিচয় পত্র এই তথ্যাদি অনুযায়ী ফরমটি পূরণ করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে ২০ বছর বয়সের বেশি হলে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
  • চিহ্নিত করা সকল ক্রমিক সংখ্যাগুলো পূরণ করতে হবে।
  • অনলাইনে পাসপোর্ট তৈরির আবেদন ফরম পূরণ করে জমা করার অনলাইনে পূরণ করা এবং জমা দেয়া সকল দলিল গুলোর হার্ডকপি উচ্চ দপ্তরী বিভাগে জমা করতে হবে।
  • প্রাসঙ্গিক সকল নথি এবং সনদ পত্র যেমন- শিক্ষার্থী কিংবা কর্মজীবনে চলমান কিংবা অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার সনদপত্রগুলো সংযুক্ত করতে হবে।

বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

পাসপোর্ট করতে ব্যক্তিগত প্রকৃত এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য সমূহ প্রদান করে পাসপোর্ট তৈরির প্রধান কার্যক্রম গুলোর দিকে অবসর হতে হয়। এক্ষেত্রে বিবাহিতদের জন্য কিছুটা একই নিয়ম অনুসরণ করে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা হয়ে থাকে। তাই বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।

  • অনলাইনে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার পর সেই আবেদন এর একটি অনুলিটি বা কপি।
  • পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার একটি সারাংশ বা প্রমাণ স্বরূপ কোন চিহ্ন।
  • আবেদনকারীর জন্ম সনদ এবং এন আই ডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র।
  • অনলাইন ব্যাংকিং মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি প্রদান করার পর সেই অর্থ প্রদানের অর্থাৎ ফি এর প্রমাণ পত্র।
  • আবেদনকারীর নাগরিকত্ব পত্র বা জেলাভিত্তিক চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রণীত সনদপত্র।
  • পেশা বা শিক্ষা জীবনের বর্তমান কিংবা বিগত কোন দলিল বা নথি।
  • বৈবাহিক দলিল বা বিচ্ছেদ হয়ে থাকলে সেটির প্রকৃত দলিলের কপি।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে বিবাহিতদের পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url