চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন এর সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
চুলে-সরিষার-তেলের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
সরিষার তেলে রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণ। যা রান্না থেকে শুরু করে রূপচর্চা এবং চুল চর্চা সহ আরো অন্যান্য কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই আজকের পোস্টে চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।

ভূমিকা

আদিকাল থেকেই চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে সরিষার তেল। এই তেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের এক বিশাল অংশ হিসেবে আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। আজকে আমরা এই পোষ্টে জানব, সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ , খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়, নতুন চুল গজাতে সরিষার তেল, সরিষার তেল দিয়ে চুলের যত্ন, চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা, চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা, চুলে সরিষার তেলের অপকারিতা এবং চুলে সরিষার তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে সব কিছু।

সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ

বহু গুণে গুণান্বিত এই তেল শুধুমাত্র রান্নার কাজেই ব্যবহৃত হয় না। আদিকাল থেকেই চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে সরিষার তেল। এটি মূলত হলুদ রংয়ের হয়ে থাকে যা সরিষার বীজ থেকে তৈরি হয়। এটি খুব কড়া সুবাসযুক্ত একটি তেল। এটি একটি ঝাঁঝালো প্রকৃতির তেল। ভেষজ গুনে গুণান্বিত এই তেল আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের কাজও করে থাকে।

এই তেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের এক বিশাল অংশ হিসেবে আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। বর্তমান সময়ে চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করতে সচরাচর দেখা যায় না। তবে প্রাচীনকালে চুলের যত্নের মানেই ছিল সরিষার তেল। অর্থাৎ চুলের যেকোনো সমস্যার সমাধান পেতে সরিষার তেল ব্যবহার করা হতো।

সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে এর থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে বর্তমান সময়ে যারা এই তেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন তারা নিয়মিতভাবে এই তেল ব্যবহার করছেন। এবার আসুন জেনে নেয়া যাক সরিষার তেলে থাকা পুষ্টি উপাদান সমূহ সম্পর্কে। নিম্নে এর পুষ্টি উপাদান সমূহ সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করা হলো।
  • ফ্যাটি এসিড
  • ভিটামিন ই
  • ওমেগা আলফা ৩
  • ওমেগা আলফা ৬ ফ্যাটি এসিড
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
আরো পড়ুনঃ

খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়

সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু পরিবর্তন ঘটেনি চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতার বিষয়বস্তুর। সাথেই পরিবর্তন ঘটেছে খাঁটি সামগ্রীর। বর্তমান বাজারের ভেজালযুক্ত খাবারের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগের আশঙ্কা দিনদিন বেড়েই চলেছে। ভেজাল সরিষার তেল রান্নায় ব্যবহার করলে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

তাই একটু কষ্ট হলেও যদি ঘানি থেকে সরিষার তেল ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আসা যায় তাহলে খাঁটি সরিষার তেল পাওয়া যায়। তাছাড়াও এই আসল এবং নকল জিনিসের মাঝেই আমাদের প্রয়োজনীয় পণ্য যাচাই করে নিতে হবে। তবে কিছু কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে আসল পণ্য পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না তার মধ্যে রয়েছে সরিষার তেল। চাইলে আমরা নিজেরাই পারি সরিষার তেলের বিশুদ্ধতা যাচাই করতে। তাই নিম্নে খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • খাঁটি সরিষার তেলে থাকে তীব্র ঝাজালো গন্ধ যা আপনার চোখে জ্বালাপোড়া করে চোখে পানি এনে দিতে পারে। তার জন্য প্রয়োজন হবে প্রথমেই সরিষার তেলের ঘ্রান নেয়া অর্থাৎ সরিষার তেলটির ঘ্রান নেয়ার পরে আপনার যদি সেই ঘ্রাণের কারণে চোখে জ্বালাপোড়া শুরু হয় এবং সরিষার তেলের ঝাঁজ আপনার মাথায় উঠে যায় তাহলে বুঝে নিবেন যে, এটি খাঁটি সরিষার তেল।
  • দ্বিতীয় উপায়টি হলো, আপনার হাতের তালুতে সামান্য কয়েক ফোঁটা পরিমাণ সরিষার তেল নিয়ে দুহাতের তালুতে ঘর্ষণ করতে থাকুন। এই ঘর্ষণের ফলে যদি সরিষার তেল থেকে রঙ ছাড়তে শুরু করে তাহলে বুঝে নিবেন এটি আসল সরিষার তেল নয় অর্থাৎ ভেজাল যুক্ত তেল।
  • খাঁটি সরিষার তেল রংয়ের দিক থেকে খুবই গারো প্রকৃতির হয়ে থাকে। এবং এর ঘনত্বটাও অনেক বেশি হয়। তবে নকল তেলের ক্ষেত্রে এর বিপরীত দেখা যাবে। অর্থাৎ আপনি যেই তেলটি ক্রয় করছেন তা যদি একটু হালকা রংয়ের হয়ে থাকে এবং ঘনত্ব টাও কম হয় তাহলেই বুঝতে পারবেন যে, তেলটিতে ভেজাল থাকতে পারে।
  • সরিষার তেল হাতে নিয়ে ঘষতে থাকলে যদি সেই তেলে আঠালো অথবা চিটচিটে ভাব অনুভব হয় তাহলে বোঝা যায় যে এটি নকল এবং ভেজাল যুক্ত তেল।
  • সরিষার তেল কিনে আনার পর দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরের রেখে দিতে হবে। তারপর ফ্রিজ থেকে বের করে দেখতে হবে যে, তেলটি জমতে শুরু করেছে কিনা। কারণ খাঁটি সরিষার তেল কখনোই জমবে না এবং ফ্রিজে রাখা এই তেলটি যদি কিছুটাও জমতে শুরু করে এবং জমের সাদা সাদা ভাব হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে এটি নকল তেল।
  • নকল সরিষার তেল চেনার সর্বশেষ উপায় হল, একটি সুতির কাপড়ে সরিষার তেল ঢেলে দেখুন। এতে যদি কালো দাগ হয়ে যায় এবং এই দাগটি যদি উঠানো সম্ভব না হয় তবে এটি নকল তেল। কারণ আসল সরিষার তেলের দাগ সুতি কাপড়ে থাকেনা বা পড়ে না।
  • আশা করি, উপরোক্ত আলোচনার পর অবশ্যই আপনারা আসল এবং নকল সরিষার তেলের মধ্যেকার পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন। চুল এবং ত্বকের ব্যবহারের জন্য খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায় জেনে রাখা খুব বেশী প্রয়োজনীয় কারণ চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতার বিষয়গুলোও এর উপরেই অর্থাৎ পণ্যের গুণগত মানের উপর নির্ভর করে।

নতুন চুল গজাতে সরিষার তেল

যেকোনো ধরনের ভর্তায় যেমন সরিষার তেল অতুলনীয় সাত বাড়িয়ে তোলে ঠিক তেমনি চুলের যত্নেও রয়েছে এর অনেক অবদান। সরিষার তেলের সঠিক ব্যবহারে ঝরে যাওয়া চুল থেকে নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সরিষার তেলে থাকা প্রচুর মাত্রার বিটা ক্যারোটিন নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই তেলে থাকা আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফ্যাটি এসিড বিটা ক্যারোটিনের মতোই সমান পরিমানেই চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন গজাতে সহায়তা করে থাকে।

এই তেলটি মাথার তালুতে মালিশ করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। প্রতিদিন নিয়ম করে গোসলের অন্ততপক্ষে ৩০-৪০ মিনিট পূর্বে মাথার তালুতে সরিষার তেল ভালোভাবে কিছুক্ষণ মালিশ করে সম্পূর্ণ চুলে লাগাতে হবে। এভাবে যদি প্রতিদিন চুলের গোড়ায় সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করা হয় তাহলে অবশ্যই কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যাবে।

সরিষার তেল দিয়ে চুলের যত্ন

সরিষার তেল যেহেতু চুলের যত্নে একটি সনাতন পদ্ধতি। তাই এটি বিভিন্নভাবে চুলের যত্নে প্রতিনিয়ত ব্যবহার হয়ে আসছে। যদিও বা বর্তমান সময়ে এর প্রচলন একটু কমে গিয়েছে অর্থাৎ আগের তুলনায় এটির ব্যবহার বর্তমানে অনেক কম করা হয়ে থাকে। তারপরও পরম্পরা অনুযায়ী এখনো অনেকেই চুলের যত্নে সরিষার তেল ব্যবহার করছেন।

এটি একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার যা আমাদের চুলকে করে তুলবে ঝলমলে এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল। বিভিন্ন ধরনের প্যাক ব্যবহার করার সময় সে প্যাকের ভেতর যদি একটু সরিষার তেল দিয়ে দেয়া হয় তাহলে এতে করে পেকে থাকা বাকি উপাদানের সাথে সরিষার তেলের গুনগুলিও তার মধ্যে পাওয়া যাবে। তাছাড়া তেলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উপকারী জিনিস দিয়েও তেলটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে চুল আরো বেশি পুষ্টিগুণ গ্রহণ করতে পারবে।

চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

চুলে পুষ্টি যোগাতে তেলের ব্যবহার অপরিহার্য। অনেকেই তেলকে চুলের খাদ্য হিসেবে গণনা করে থাকেন। চুনকের স্বাস্থ্যজ্জল এবং সুন্দর রাখতে তেলের ব্যবহার সকলেই করে থাকেন। আজ জানবো চুলে সরিষার তেল ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। সরিষার তেল কতটা গুণ সমৃদ্ধ তা নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি।

তবে এর বিষয়ে এখনো অনেক কিছু জানা আমাদের বাকি রয়েছে যা আমরা এখন জানব। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক, সরিষার তেলের বাকি বিষয় বস্তু সম্পর্কে যেন আপনারাও এর থেকে উপকৃত হতে পারেন। তাই নিম্নে চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জন্য বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।

চুলে সরিষার তেলের উপকারিতাঃ প্রথমে আমরা জানবো সরিষার তেলের ব্যবহারে চুলে কি কি উপকার হয়ে থাকে তার সম্পর্কে।
  • চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে থাকে।
  • খুশকি মুক্ত চুল রাখতে এর বিকল্প নেই।
  • সরিষার তেল ব্যবহারে মাথায় চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
  • এন্টি ফাঙ্গাসের কারণে চুলের গোড়ায় ফাঙ্গাস হয়ে চুল পাতলা চুল পাতলা হওয়ার সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
  • এটি মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে করতে সাহায্য করে।
  • রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া চুলকে সতেজ ও প্রাণবন্ত করতে সাহায্য করে।
  • এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড চুল বড় হতে সহায়তা করে।
চুলে সরিষার তেলের অপকারিতাঃ এবার আমরা জানব সরিষার তেলের ব্যবহারে চুলের কোন সমস্যা হতে পারে কিনা অর্থাৎ সরিষার তেলের অপকারিতা সম্পর্কে।
  • চুল আঠালো এবং চিটচিটে হয়ে থাকে যা একজন ব্যক্তির জন্য খুব বিরক্তিকর একটি বিষয় হতে পারে।
  • সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে চুলে করা এবং ঝাঁঝালো গন্ধ হয়ে থাকে।
  • সরিষার তেল রাতে লাগিয়ে ঘুমালে এটি সুফলের পরিবর্তে কুফল দিতে পারে।

চুলে সরিষার তেল ব্যবহারের নিয়ম

যেকোনো ধরনের তেল হোক না কেন তা চুলের জন্য অপরিহার্য একটি খাদ্য। আমরা হয়তো অনেকেই জানি বর্ষাকাল এবং শীতকাল এ দুটি সময়ে আমাদের চুল উসকো খুশকো এবং রুক্ষতায় ভোগে। সাথেই খুশকি, চুল ঝরে যাওয়া আরো নানান ধরনের সমস্যাও দেখা দেয়। এর কারণ মূলত জলীয় আবহাওয়ার পরিবর্তন। এতক্ষণ আলোচনা করা হল, চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবার বিভিন্ন সমস্যায় সরিষার তেলের ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

  • শীতকালে এবং বর্ষাকালে খুশকির উৎপাত অনেকটা বেড়ে যায়। এর থেকে মুক্তির জন্য সরিষার তেলের কিছু ঘরোয়া উপায় করা যেতে পারে। এক চামচ সরিষার সরিষার তেল এবং দুই চামচ দই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় এবং চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। কয়েকদিন এই মিশ্রণটির নিয়মিত ব্যবহারেই খুশকির উৎপাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে।
  • সরিষার তেলের সঙ্গে যদি একটু মেথির বীজ মিশিয়ে লাগানো যায় এতে চুলের জন্য অনেক বেশি উপকার মেলে। মেথি চুলের জন্য খুব উপকারী একটি বীজ। তৈরি করার জন্য নিজের পরিমাণ অনুসারে সরিষার তেল নিয়ে তা গরম করে এতে মেথি দানা বা মেথি বীজ মিশ্রণ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মেথি দানা রং যেন খানিকটা বদলে যায়। অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত মেথি ডানার রং বদলে যাবে না ততক্ষণ গ্যাস বন্ধ করা যাবে না। এরপর এই তেলটি ঠান্ডা হলে তখন ব্যবহার করতে হবে। এই তেলটি লাগানোর অন্ততপক্ষে এক ঘন্টা পর চু ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
  • প্রথমে একটি পাত্রে চার চামচ সরিষার তেল নিন। এবার এর ভিতরে এক চামচ মেথি, এক চামচ কালোজিরা, এক চামচ মৌরি এবং একটি পান পাতার রস মিশিয়ে দিতে হবে। এবার এটিকে হালকা আঁচে গরম করতে হবে। গরম করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন এটি পুড়ে না যায়। তাই অনবরত এটিকে নাড়াচাড়া করতে থাকতে হবে। পাঁচ থেকে সাত মিনিট পর চুলার গ্যাসটি অফ করে এটি নামিয়ে ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিতে হবে। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে ছাকনিতে করে ছেকে কাঁচের কৌটোয় করে ভরে রাখতে হবে। এই মিশ্রণটি খুশকি দূর করার সাথে সাথে, চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলের যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • দুই চামচ সরিষার তেল এবং সামান্য পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার এই জেলটি চুলসহ চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে প্রায় ৪০ মিনিটের মতো রাখতে হবে। তারপর ভালোভাবে চুলটি ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি চুলের খুশকি দূর করে রুক্ষতা দূর করবে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ওভারি চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। তবে আপনার অথবা আপনার পরিবারের বা পরিচিত কারো যদি ওভারি সিস্ট হয়ে থাকে তবে সর্বপ্রথম অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ারের মাধ্যমে অন্য সবাইকেও চুলের যত্নে সরিষার তেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url