কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই আমাদের আজকের মূল আলোচনার প্রেক্ষাপট। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, কোঁকড়া চুলের রহস্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন এর সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
সুন্দর এবং মজবুত চুল প্রতিটি নারীর কাম্য। কারণ প্রত্যেকটি মানুষের আসল সৌন্দর্যই হচ্ছে চুল। তবে চুল যদি কোঁকড়া হয় সেক্ষেত্রে এর যত্নের তালিকা একটু আলাদা হয়ে যায়। তাই আজকের পোস্টে কোঁকড়া চুলের যত্ন এবং কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি কোঁকড়া চুল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো আপনারা ধৈর্য সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

লম্বা, সুন্দর, ঝলমলে, মজবুত এবং সিল্কি চুল কে না চায়। কিন্তু কোঁকড়া চুলের ব্যক্তিদের বা নারীদের ক্ষেত্রে এই ইচ্ছেটা পূরণ করতে এর জন্য কিছু পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। তাই কোঁকড়া চুলকে সুন্দর, ঝলমলে এবং সিল্কি করার জন্য এই সকল পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা উচিত। কোঁকড়া চুলের সম্পর্কে আজকের পোষ্টে যা যা বিষয়বস্তু আমরা জানব তা হচ্ছে, চুল কোঁকড়া হওয়ার কারণ, কোকড়া চুলের যত্ন, কোঁকড়া চুলের রহস্য, কোঁকড়া চুলের কাটার নিয়ম, কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায়, কোঁকড়া চুলের শ্যাম্পুর নাম সম্পর্কে।

চুল কোঁকড়া হওয়ার কারণ

পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের মানুষ রয়েছে। প্রতিটি মানুষই দেখতে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। গঠণের দিক থেকেও প্রতিটি মানুষ আলাদা হয়ে থাকে। ঠিক একই সোজা ভাবে মানুষের গঠন বা ধরণ অনুসারে চুল মূলত চার ধরণের হয়ে থাকে। যথা - ঢেউ খেলানো বা ওয়েইবি চুল বা স্ট্রেইট চুল, কোঁকড়া চুল এবং কোমল চুল।

ধরণ অনুযায়ী চুল যেমনই হোক না কেন সৌন্দর্য বজায় রাখতে বা ধরে রাখতে চুলের যত্ন নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাছাড়া অন্যান্য ধরণের চুলের তুলনায় কোঁকড়া চুলের জন্য একটু বেশি যত্ন নিতে হয়। কোকরা চুল অনেক বেশি শুষ্ক এবং আঁকানো বাঁকানো হওয়ার কারণে এ যত্ন নেয়াটা অনেকটা কষ্ট সাধ্য বিষয় হয়ে পড়ে এবং সঠিক যত্নের অভাবে এই চুল দিনে দিনে আরো বেশি দুর্বল হয়ে যায।

কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে জানার আগে আসুন জেনে নেই চুল কোঁকড়া হওয়ার কারণ যেন চুলের যত্নের ক্ষেত্রে কিছুটা উপকৃত হওয়া যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারনেও কোঁকড়া চুল হয়ে থাকে। তবে মূলত সোজা চুল তখন হয় যখন ফলিক গোলাকার হয়। তবে ফলিক যদি ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে চুল কোঁকড়া হয়।

সোজা চুলের তুলনায় অতিরিক্ত শুষ্কতার প্রবণতা দেখা যায় কোঁকড়া চুলে। কারণ প্রাকৃতিক যে তেল আমাদের মাথার ত্বকে উৎপাদিত হয় তা সহজেই চুলে পৌঁছাতে পারেনা তাই চুলের শুষ্কতার ভাব থেকেই যায়। আর এই শুষ্কতা থেকে শুরু হয় চুলের জট, কুঁচকানো এবং ভঙ্গুরতা। তাই অন্ততপক্ষে কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে এর সৌন্দর্য এবং সুস্থতা বজায় রাখতে নিয়মিত যত্ন এবং পরিচর্যা করতে হবে।

কোকড়া চুলের যত্ন

কোকরা চুল বহন করা ঝামেলা দায়ক হলেও এটি দেখতে অনেক বেশি সৌন্দর্যপূর্ণ হয়। তবে যাদের কোকরা চুল রয়েছে একমাত্র তারাই জানেন এই চুল সামলানোর ভোগান্তি সম্পর্কে। তাই এই ভোগান্তি দূর করতে জেনে রাখা উচিত বিশেষ কিছু টিপস সম্পর্কে যার ব্যবহারে অতিরিক্ত ভোগান্তি আর পোহাতে হবেনা। নিম্নে কোঁকড়া চুলের যত্ন করতে কিছু টিপস শেয়ার করা হলো।

কোঁকড়া চুল এর জট খোলাঃ কোঁকড়া চুলে সবচাইতে বেশি সমস্যা হয়ে থাকে যা নিয়ে তা হচ্ছে জট। তাই বলা যায় যে জট হচ্ছে কোঁকড়া চুলের সবচাইতে বড় শত্রু। তাই চেষ্টা করতে হবে যেন চুল শুকনা থাকা অবস্থাতেই কোনভাবেই যেন জট ছাড়ানো না হয়। এর জন্য চুলে স্প্রে ব্যবহারের মাধ্যমে চুলকে হালকা ভাবে ভিজিয়ে নিন। এই হালকা ভিজা থাকা অবস্থাতেই চুল আচড়িয়ে নিতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে বড় দাঁতের চিরুনি চুলে ব্যবহার করার।

চুলে প্রি শ্যাম্পু করাঃ চুল যেন অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে যায় তার জন্য শ্যাম্পু করার পূর্বে চুলে কন্ডিশনার বা হাইড্রেটিং কোয়ালিটি কোনো মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে জানার সময় আমরা এই ধরণের মাস্ক ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা সম্পর্কেও জানতে পারবো।

চুল ময়েশ্চারাইজ করাঃ সোজা চুলের তুলনায় কোঁকড়া চুলে বেশি পরিমাণে মশ্চারাইজার প্রয়োজন হয়। যেহেতু কোঁকড়া চুল একটু দুর্বল, শুষ্ক এবং ভঙ্গুর প্রকৃতির হয়ে থাকে তাই এই ধরণের চুলে প্রতিদিন মসচারাইজিং করা অত্যাবশ্যক।

হিট ট্রিটমেন্ট থেকে বিরত থাকাঃ প্রথমত যে কোন চুলেই হিট ট্রিটমেন্ট করা থেকে বিরত থাকা উচিত তাছাড়া কোঁকড়া চুলে তো একেবারেই হিট ট্রিটমেন্ট করা উচিত নয়। কারণ প্রাকৃতিকভাবেই কোঁকড়া চুল অনেক বেশি পরিমাণে শুষ্ক হয়ে থাকে। তাই এই ধরণের শুষ্ক এবং ভঙ্গুর চুলে হিট জাতীয় কোন কিছু ব্যবহার করলে তাতে চুলে ড্যামেজের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। তাই চুলে হিট ট্রিটমেন্ট থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। সাথেই চুলের স্টাইল করার জন্য যে সকল অ্যালকোহল জনিত পণ্য চুলে ব্যবহার করা হয় তার থেকেও বিরত থাকা উচিত। সেই সাথেই চুলে গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার করা থেকেও দূরে থাকতে হবে।

ঘনঘন চুল ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকাঃ যেহেতু ঘনঘন চুল ব্রাশ করলে বা আঁচড়ালে চুল ভেঙ্গে যায়। তাই অতিরিক্ত চুল আঁচড়ালে বা ব্রাশ করলে চুল ভাঙ্গার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কারণ কোঁকড়া চুল স্বভাবতই অনেক বেশি পরিমাণে ভঙ্গুর হয়।

সিল্ক বা সাটিন কাপড়ের চাদর এবং বালিশের কভার ব্যবহার করাঃ চুলের অতিরিক্ত সুস্কতা এড়ানোর জন্য এবং চুলকে অতিরিক্ত ফ্রিজি হওয়ার থেকে বাঁচাতে বা রক্ষা করতে সুতি কাপড়ের চাদরের পরিবর্তে অবশ্যই সিল্কের চাদর এবং বালিশের কভার ব্যবহার করা উচিত।

চুলের ভেঙে যাওয়া বা ভঙ্গুরতা দূর করতে সিল্ক কাপড় অনেক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া কোন কারনে যদি এটি করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে সুন্দর করে চুলে খোপা করে এক টুকরা সিল্ক কাপড় দিয়ে চুল টিকে ভালোভাবে পেঁচিয়ে নিতে হবে।

ভেজা অবস্থায় চুল সেট করাঃ যে সকল ব্যক্তিদের কোঁকড়া চুল তারা অবশ্যই ভিজা থাকা অবস্থাতেই চুলে ক্রিম জাতীয় পণ্য অথবা চুলের জেল ব্যবহার করে তা সেট করে নিতে পারেন। যার ফলস্বরূপ সারা দিনের মনে চুল অনেক সুন্দর ভাবে সেট হয়ে থাকবে।

আশা করি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা কোঁকড়া চুলের যত্ন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। আমাদের এই পোস্টে সামনের আলোচনায় আরো জানবেন কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় বা ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

কোঁকড়া চুলের রহস্য

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোঁকড়া চুল খুব কম মানুষের দেখা যায়। মানুষের ধর এবং গঠন অনুযায়ী চুলের ধরন বা গঠন তৈরি হয়ে থাকে। উপরোক্ত পোস্টে আমরা জেনেছি চুলের ধরণগুলো সম্পর্কে কিন্তু শুধু ধরন ছাড়া আরও কিছু জিনিস আছে যা প্রত্যেক মানুষের চুলে লক্ষণীয়।

অর্থাৎ শুধুমাত্র সোজা কোঁকরা এ সকল ধরনেরই চুল হয় না। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষের চুল পাতলা বা মোটাও হয়ে থাকে। তবে আমরা যদি খালি চোখে চুলের ভিন্নতা দেখতে যাই তাহলে শুধুমাত্র বাহ্যিক আকৃতিগত ভিন্নতাই দেখতে পাবো।

আমরা যদি একটি সোজা চুল এবং একটি কোকরা চুল অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে চাই তাহলে দেখতে পাবো যে, এদের আকৃতিতে কোনভাবেই কোন মিল নেই অর্থাৎ এদের আকৃতি একেবারেই আলাদা পাওয়া যাবে। অণুবীক্ষণ যন্ত্রে সোজা চুলের আকৃতি দেখা যাবে মসৃণ এবং সুষম, কিছুটা সিলিন্ডারের মত। আবার অন্যদিকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কোঁকড়া চুল ডিমের আকৃতির মত দেখতে পাওয়া যাবে।

কোঁকড়া চুলের কাটার নিয়ম

নিয়মানুবর্তিতার সব জিনিসের ক্ষেত্রে প্রয়োজন। অর্থাৎ চুল যেই ধরনেরই হোক না কেন নিয়ম করে প্রায় চুলের আগা কাটা উচিত। কারণ চুলের আগা কাটলে চুলের জন্য অনেক বেশি উপকার হয়। তবে যেমন এক একজন মানুষের একেক রকম চুলের ধরন হয়ে থাকে ঠিক তেমনি করে সবার নিজ নিজ পছন্দ থাকতে পারে চুল কাটার বিষয়ে।

তবে বলে রাখা শ্রেয় যে, সোজা চুলে যেভাবে চুল কাটা হয় কোঁকড়া চুলে মূলত সেই নিয়মে চুল কাটা যায় না। অর্থাৎ সাধারণত চুল কাটতে হলে চুলে হালকা পানির স্প্রে করে তারপর কাটতে হয় কিন্তু কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে যদি স্প্রে করে চুল হালকা ভিজানো হয় তাহলে হতে পারে হিতের বিপরীত।

কেননা কোকরা চুল ভিজে গেলে একটু ভারী এবং ঘন হয়ে যায় যার কারণে ভেজা অবস্থায় চুল কাটলে পরবর্তীতে চুল শুকানোর পর চুলের ভাত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কোঁকড়া চুল সব সময় শুকনো অবস্থাতেই কাটা উচিত।

কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায়

বাঁকানো, কোঁকড়ানো চুল সোজা করার ইচ্ছা সবারই থাকে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় কোঁকড়া চুলের চাইতে সোজা চুলের চাহিদা অনেকটা বেশি। নিম্নে কোকড়ানো চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

  • এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং অ্যাভোকাডো ভালোভাবে মিশ্রিত করে প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
  • লেবুর রসের সাথে ডাবের পানিকে একত্রে মিশ্রিত করে সারা রাত্রি এভাবে রেখে দিতে হবে। সকালে চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত সম্পূর্ণ চুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিটের মতো রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে সম্পূর্ণ চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশ্রিত করে চুলে লাগাতে হবে। তারপরও ৩০ মিনিট পর গরম জল দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
  • সামান্য নারকেল তেল কিছুক্ষণ ধরে গরম করে হালকা গরম অবস্থাতেই চুলের গোড়া থেকে শুরু করে চুল পর্যন্ত ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে
  • প্রথমত ডিম এবং অলিভ অয়েলের একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর ৩০ মিনিট এর জন্য এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

কোঁকড়া চুলের শ্যাম্পুর নাম

মূলত সরাসরি কোন শ্যাম্পুর নাম এভাবে চয়ন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারপরও একটি শ্যাম্পু কেনার ক্ষেত্রে যে সকল দিক আমাদের দেখে নেয়া উচিত তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • হাইড্রোটিং এবং আর্দ্রতা পুনরায় পূরণ করা যায়
  • ফ্রিজ ফাইটিং তেল দিয়ে তৈরি করা
  • সার্ফেক্ট মুক্ত
  • প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য মৃদু

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা কোঁকড়ানো চুল সোজা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ারের মাধ্যমে অন্য সবাইকেও কোঁকড়ানো চুলের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url