বাংলাদেশের অর্থনীতি কিসের উপর নির্ভরশীল তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বাংলাদেশের অর্থনীতি কিসের উপর নির্ভরশীল সে প্রসঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির খাত কয়টি এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন। 

বাংলাদেশের-অর্থনীতি-কিসের-উপর-নির্ভরশীল-তার-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাধীনতার পর থেকে বিগত বছর গুলোতে বাংলাদেশের সাফল্যতা প্রশংসনীয়। তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাতে এই পরিবর্তনের উৎস এবং নির্ভরশীলতা অনেকেই জানেন না। তাই আজকের পোস্টে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিসের উপর নির্ভরশীল সেই বিষয় সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্জন করার পর থেকে বর্তমানে প্রায় ৫৩ বছরের দিক পর্যন্ত আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অনেক রকম পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং নির্ভরশীলতা নিয়ে তবুও অনেক রকম প্রশ্ন এবং কৌতূহল রয়েছে। তাই আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানব- বাংলাদেশের অর্থনীতির খাত কয়টি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস, বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সম্ভাবনা, অর্থনীতির দেশের তালিকা ২০২৩, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি কিসের উপর নির্ভরশীল তার সম্পর্কে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একটি অস্থির বা চলনশীল অর্থনীতির অবস্থা সম্পন্ন। অর্থাৎ আমাদের দেশের অর্থতত্ত্ব সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল হতে থাকে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রের ন্যায় নিজস্ব অধিকার অর্জন করে নেয়। এ পরবর্তী সময় হতে বাংলাদেশের অর্থনীতি বাংলাদেশের অর্থনীতি দেশে যথেষ্ঠ সাফল্য নিয়ে এসেছে এবং বাংলাদেশের এই অর্থনীতি সাফল্য পূর্ণ পরিবর্তন অবশ্যই প্রশংসনীয় বটে। 

স্বাধীনতার পরবর্তী সময় হতেই পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে সাফল্যের সাথে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে এবং দিন যেতে যেতে পরবর্তী কিছু সময়ের মধ্যে এই পোশাক শিল্পই হয়ে ওঠে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শিল্প গুলোর তালিকার অন্যতম শিল্প।

তবে স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরবর্তী কিছু সময় অর্থাৎ ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রধানত পাট শিল্প এবং পাট জাত অন্যের অধীনস্থ হয়ে ছিল। তৎকালীন সময়ের দিকে সাধারণত পাট এবং পাট জাত দ্রব্য-পণ্য অন্য দেশে পাঠানোর মাধ্যমে আমাদের দেশ-বিদেশের নগদ অর্থ আয় করার প্রবণতা বেশি ছিল।

তবে ধীরে ধীরে ১৯৭০ সালের দিকে এসে বাংলাদেশে পাট এবং পাট জাত পণ্যের অধীনস্থ থাকা অর্থনৈতিক চাহিদা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। এর মূল কারণ হিসেবে পাওয়া যায় পলিপ্রপিন জাতীয় দ্রব্যের আনাগোনা বৃদ্ধি হয়ে যাওয়া। ফলে দেশের জনগণের মাঝে পাটজাত পণ্যের চাহিদা হ্রাস পাওয়ার ফলে এর বাণিজ্যিক অগ্রগতি এবং চাহিদা উভয়ই কমে যায় ফলে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অন্যদিকে মোর নিতে শুরু করে। 

বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর তৎকালীন সময়ে প্রায় ১৯৭১ হতে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি মাথাপিছুর হারে শতকরা ৫৭ ভাগ পর্যন্ত উন্নতি লাভ করে। কিন্তু জিডিপি এর এই ঊর্ধ্বগতি বাংলাদেশে বেশিদিন পর্যন্ত থাই হয়ে থাকতে পারেনি।

এর পরবর্তী দশকে বাংলাদেশের মোট জিডিপি প্রায় শতকরা ২৯ ভাগে নেমে এসেছিল এবং তার পরবর্তী সময় অর্থাৎ ১৯৯০ হতে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যা নেমেছিল শতকরা ২৪ ভাগ পর্যন্ত। বিগত দশ বছরে আমাদের দেশের জিডিপি গড় হিসেবে শতকরা প্রায় ৬.৩ ভাগ ঊর্ধ্বগতি লাভ করছে। নিম্ন মধ্যে আয়ের দেশ হয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক থেকে সপ্তম দ্রুতগামী অর্থনৈতিক উন্নয়নের দেশ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

বর্তমানে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় ৩৫ তম স্থান ধারণ করেছে এবং পারচেজিং পাওয়ার বা পিপিপি এর দিক থেকে ২৯ নম্বর থানে বাংলাদেশের অবস্থান। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জিডিপি এর হার শুধু বেড়েই চলছে। যে কারণে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে এসে আমাদের দেশ বিশ্ব উন্নয়নশীল একটি রাষ্ট্র হিসেবে এই উক্তির প্রয়োজনীয়তার চাহিদা মিটিয়ে এর মর্যাদা পায়। ২০২০ খ্রিস্টাব্দে আমাদের দেশের জিডিপি ৮৬০.৯৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়।

বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য

অর্থনৈতিক অবস্থার দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কাছ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। প্রচলিত অর্থবছরের অনুলিতে অনুসারে বর্তমান সময়ে বিশ্বে মূলত চার ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপস্থিতি বহুল আকারে দেখা যায় যা-ধণতান্ত্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা, সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। তার মধ্যে এদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশ হওয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিম্নে তুলে ধরা হলো।

  • বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা অন্যতম খাত এর প্রতি খানিকটা উদাসীন মনোভাব। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অন্যতম ভূমিকা রাখে কৃষি খাত তবে এই কৃষি খাতের চাষ পদ্ধতি বীজ এবং অন্যান্য দিকে উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে অন্যতম শিল্প হওয়ার সত্বেও বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন অন্যান্য দেশের কৃষি খাত এর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
  • শিল্প খাত গুলোর উন্নয়নের পদ্ধতিতে মন্থর গতি ধারণ করা। ২০১০ এ প্রণীত শিল্পনীতি অনুযায়ী কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা, শিল্প খাত গুলোতে নারী-পুরুষ উভয়ের উপস্থিতি এবং সমতা বৃদ্ধি করা এবং দারিদ্রতা রাশ করার উদ্দেশ্যে কাজ করার উদ্দেশ্য গুলো বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়।
  • দেশের মাথাপিছু আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা। আমাদের দেশের জনসংখ্যা তুলনামূলক বেশি থাকার কারণে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও উন্নত রাষ্ট্রর থেকে আমাদের মাথাপিছু আয় পিছিয়ে রয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির খাত কয়টি

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত এর বিস্তৃতিতে চলে আসে অনেক রকম উত্তর। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রধান চালিকাশক্তি বলা হয় তিনটি খাতকে যা সরাসরি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে অর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছে। এই তিনটি খাত হলো কৃষি শিল্প, পোশাক শিল্প এবং বৈদেশিক আয় বা রেমিটেন্স যা প্রবাসী আয় থেকে সংগ্রহ করা হয়।

তবে এদেশের জিডিপির উর্ধ্বগতিতে মূলত পাঁচটি খাত ভূমিকা রেখে আসছে। জিডিপির উর্ধ্বগতির সাথে সম্পৃক্ত পাঁচটি খাত হলো কৃষি, উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, পরিবহন এবং নির্মাণ। বিগত অর্থবছরে এই পাঁচটি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জিডিপির এক স্বনামধন্য ভূমিকা প্রদান করেছে। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত কয়টি এ প্রশ্নের উত্তরে ভিত্তি অনুযায়ী ব্যখ্যা প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমস্যা ও সম্ভাবনা

বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা উভয় এক পরিবর্তনশীল ব্যাপার। বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় তিনটি অংশ হলো কৃষি শিল্প, পোশাক শিল্প এবং রেমিটেন্স বা বৈদেশিক আয়। মূল কথা হলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভাবনা তখনই নিশ্চিত হবে যখন বর্তমানে অর্থনীতির প্রবাহ দ্রুতগামী এবং অর্থনীতিকে উন্নয়নের পথে ধরে রাখার চেষ্টা করা হবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য এই ব্যাপারে জানান দেয় যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কিভাবে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। অর্থাৎ বর্তমানের উন্নতি ধরে রাখতে চেষ্টা করতে হবে আরভতার জন্য প্রথম ধাপ হবে শিল্প খাত গুলোকে শক্তিশালী করে তোলা।

বাংলাদেশের অর্থনীতি কিসের উপর নির্ভরশীল এই একটি দিকে কেন্দ্রবিন্দু ধরে না রেখে সকল দিকে ত্রুটি গুলো তুলে ধরতে হবে। জনসংখ্যার সাথে কর্মসংস্থানের এবং সমতার সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে। তার সাথে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং শিল্প খাতে উন্নত উৎপাদন ব্যবস্থা বৃদ্ধি করার দিকে সচেতন হতে হবে।

বর্তমানে অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানে বৃহত্তম অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিক থেকে দাঁড়িয়ে থাকা ৫০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম স্থানে। সি ই বি আর এর প্রণীত তথ্য অনুসারে অনুমান করা হয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কোন বাধা বিপত্তি না আসলে এটি ২০৩৮ খ্রিস্টাব্দের দিকে এসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অবস্থানের দিক থেকে ৩৮ তম স্থান থেকে সরে এসে ২০ তম স্থানে অগ্রসর হতে পারে।

বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশের তালিকা ২০২৩

বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক দেশের নাম হল যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এর প্রদান করা তথ্য গবেষণা করে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ অর্থনৈতিক মানদন্ড সম্পন্ন দেশগুলোর তালিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে। অর্থনৈতিক মানদন্ডের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের প্রেক্ষাপটে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পন্ন দেশগুলোর তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলো।

যুক্তরাষ্ট্রঃ শীর্ষস্থান ধরে রাখার জন্য ১৯৬০ দশক থেকে শুরু করে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জিডিপির মান বজায় রাখে যার ফলে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রায় ২৬,৮৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

চীনঃ পূর্বের দিকে চতুর্থ অবস্থান ধারী হলেও বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশগুলোর তালিকাতে চীন দ্বিতীয় স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে যার বর্তমানে জিডিপি প্রায় ১৯,৩৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জাপানঃ বর্তমানে জাপানের জিডিপি প্রায় ৪,৪১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এটি বিশ্বের অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় তম দেশ।

জার্মানঃ শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশগুলোর তালিকাতে জার্মানি চতুর্থ অবস্থানধারি যার জিডিপি ৪,৩০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ভারতঃ ভারত নিজের অর্থনৈতিক অবস্থাকে দ্রুত উন্নয়ন এবং বর্জন করার বৈশিষ্ট্য ধরে রেখে বর্তমানে প্রায় ৩,৭৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত নিজের জিডিপির মান আনতে সক্ষম হয়েছে। ফলে এটি বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানধারী।

যুক্তরাজ্যঃ যুক্তরাজ্য (ইউনাইটেড কিংডম) শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ অবস্থান ধারী এবং এর জিডিপি প্রায় ৩,১৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ফ্রান্সঃ ফ্রান্সের জিডিপি দাঁড়িয়েছে ২,৯২৪ মার্কিন ডলার এবং এটি বিশ্বের সপ্তম শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশ।

ইতালিঃ ইতালির জিডিপি দাঁড়িয়েছে ২,১৭০ বিলিয়ন ডলারে অর্থাৎ এটি শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থান অধিকারী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ৩য়।

কানাডাঃ কানাডার জিডিপি প্রায় ২০৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং শীর্ষ স্থানে থাকা অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে এটি নবম স্থানে রয়েছে।

ব্রাজিলঃ ব্রাজিলের জিডিপি ২০৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এটি শীর্ষ স্থানীয় দেশ গুলোর মধ্যে থেকে দশম স্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি কিসের উপর নির্ভরশীল

বাংলাদেশের মিশ্র অর্থব্যবস্থার মধ্যে ছবি তো দেশ হওয়ার সাথেই এদের মাথা অনেক জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা প্রদান করে আসছে সেবা খাত গুলো। তাছাড়া বাংলাদেশের সরকারি আয়ের অন্যতম মাধ্যম বাংলাদেশের কর ব্যবস্থা। তবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরো হতে প্রাপ্ত জ্ঞাপন অনুযায়ী আমাদের দেশে শতকরা প্রায় ৪৬.৬১ ভাগ পরিবারের কৃষি খাতের উপর নির্ভর করে থাকে।

সাথে বাংলাদেশের জিডিপির ঊর্ধ্বগতির ক্ষেত্রে সেবা খাত সহ কৃষি খাত অন্যতম ভূমিকা রেখে আসছে। প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রধান তিনটি শিল্প- কৃষি শিল্প, পোশাক শিল্প ও বৈদেশিক আয় বা রেমিট্যান্স এই তিনটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতি কিসের উপর নির্ভরশীল এ প্রশ্নের উত্তরে কৃষি শিল্পের নাম উঠে আসা আশ্চর্যজনক কোনো ব্যাপার নয়।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্স বা বিদেশি আয় এর মাধ্যমে বৃদ্ধি পাওয়া জিডিপির মান এর পরে শিল্প খাত অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। এক সরকারি পরিসংখ্যান দ্বারা তথ্য পাওয়া যায় যে ২০১৫-১৬ চলাকালীন তৎকালীন অর্থ বছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন হিসেবে শিল্প খাত ভূমিকা রেখেছে শতকরা প্রায় ৩২.৪৫ ভাগ পর্যন্ত। পরবর্তী অর্থবছর গুলোতে মোট দেশজ উৎপাদন এর ঊর্ধ্বগতি বয়ে আনতে এই সংখ্যা বেড়ে শতকরা প্রায় ৩৭.৬৫ ভাগে দাঁড়ায়।

তবে এই দেশের অর্থনীতিতে শিল্প খাতে ভূমিকা দিন দিন বাড়তে থাকলেও কর্মসংস্থান উন্নতির সাথে বাড়ছে না। একই সাথে শিল্প খাতে উন্নত শিল্প ব্যবস্থা আনায়নের অভাবে কৃষি প্রধান একটি দেশ হওয়ার পরেও বাংলাদেশের কৃষি শিল্প দিন দিন অন্যান্য উন্নত দেশ এর কৃষি শিল্প হতে পিছের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্য শিল্প খাত যে পরিমাণে অবদান রাখছে ঠিক সেই পরিমাণ গুরুত্ব এবং উন্নত ব্যবস্থা শিল্প খাত গুলোকে প্রদান করা হচ্ছে না।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিসের উপর নির্ভরশীল তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকেবাংলাদেশের অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url