জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্স সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্স সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে সমমান ডিগ্রি মানে কি তার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ। তাই আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
জাতীয়-বিশ্ববিদ্যালয়ের-ডিগ্রি-কোর্স-সমূহ-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া ডিগ্রি এবং সাধারণ ডিগ্রি ওর সম্পর্কে অনেকে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে থাকে। ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির কিছু কিংবা অধ্যান রোড শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত করছে সুবিধা সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। তাই আজকের পোস্টে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্স সমূহ এর প্রসঙ্গ সম্পর্কিত সকল তথ্য বিশদভাবে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করছি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের ডিগ্রি কোর্স সম্পর্কিত পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

উচ্চ শিক্ষার জন্য গ্রহণ করা একটি কোর্সের নাম ডিগ্রি কোর্স। সাধারণত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই কোর্সটি গ্রহণ করা হয় বলে ডিগ্রি কোর্সের নাম উঠলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত কোর্সগুলোর খুঁটিনাটি বিষয় সংযুক্ত হয়ে যায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্স সমূহ সম্পর্কে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী আগ্রহ পোষণ করে থাকে। তাই তাদের কৌতূহল সমূহকে চিন্তায় রেখে আজকে আমরা জানবো, ডিগ্রি মানে কি, ডিগ্রি কোর্স কত বছর, বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কয়টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি খরচ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি ভর্তি হতে কি কি লাগে তার সম্পর্কে।

ডিগ্রি মানে কি

ডিগ্রি শব্দের সাধারণ অর্থ হিসেবে স্নাতক শব্দটিকে অনুমান করা হয়। ডিগ্রি পাস কিংবা ডিগ্রি কোর্সটি সাধারণত দীর্ঘ তিন বছর ব্যাপী একটি কোর্স যা সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর অধ্যয়ন করার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। অর্থাৎ উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে গ্রহণ করা একটি কোর্সের বিবরণ দিতে একটি শব্দের মাধ্যমে আখ্যায়িত করতে চাইলে তাকে ডিগ্রি বলা হয়।


ডিগ্রি কোর্সটির অনেক রকম ধরন রয়েছে। তার মধ্যে কিছু লিখিত ধরন হলো অনার্স ডিগ্রি কোর্স, পাস ডিগ্রি কোর্স, পিএইচডি ডিগ্রির কোর্স, এম ফিল ডিগ্রি কোর্স, ডিলিট ডিগ্রি কোর্স ইত্যাদি। সহজভাবে উল্লেখে, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় এর মাধ্যমে পাঠ করা কেতাবি অর্জন বা সাধনার নির্দেশক হলো ডিগ্রি।

ডিগ্রি কোর্স কত বছর

ডিগ্রি কোর্স সাধারণত দীর্ঘ ৩ বছরের সময় সাপেক্ষ একটি উচ্চ শিক্ষা ভিত্তিক কোর্স। তবে ডিগ্রি কোর্স এর অনেক গুলো ধরন রয়েছে। ডিগ্রি কোর্সের বিভিন্ন ধরনের ভিত্তিতে এই কোর্সের সময় সীমা উল্লেখিত তিন বছর ব্যাপী সময় সীমা এর তুলনায় বৃদ্ধি বা হ্রাস পেয়ে থাকে।

যেমনটা বলা যায় সাধারণ ক্ষেত্রে ডিগ্রি পাস অর্জন করার জন্য যে সময় দেয়া হয় বা অনার্স ডিগ্রি পাসের জন্য নির্ধারিত সময় সীমা কারিগরি বা টেকনিক্যাল বিভাগের ডিগ্রির কোর্স থেকে অধ্যয়ন করে অর্জিত ডিগ্রি পাস সার্টিফিকেট তোলার সময় সীমা ভিন্ন ভিন্ন হয়।

একই ডিগ্রি পাস করার সময় যা সাধারণ শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে যেমন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিংবা অন্যত্র ক্ষেত্র থেকে অনার্স বা অন্যান্য ডিগ্রি কোর্স পাসের মতো কোর্স গুলোর সময় সীমা ৩ বছর সেখানে এই ডিগ্রি পাস করতে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রদত্ত প্রণীত সময় হলো চার বছর মেয়াদী।

তবে এই সময়সীমা নির্ধারণ করা তিন বছর কিংবা চার বছরের মধ্যে নির্ধারিত থাকবে তার কোন নিশ্চয়তা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ডিগ্রি কোর্সের শিক্ষার্থীদের নানান অভ্যন্তরীণ কিংবা বহিরাগত কারণে সেসনের বাধা কিংবা অন্যান্য জটিলতার কারণে অনেক সময় এই সময় কিছুটা প্রসারিত হয়।

যেমন, তিন বছর মেয়াদী কোর্স সম্পূর্ণ রূপে শেষ করতে কখনো কখনো কিছুটা সময় বৃদ্ধি পেয়ে চার বছরের কাছাকাছি পর্যন্ত সময় চলে যায় এবং চার বছরের মতো দীর্ঘ কোষগুলো অর্জন করতে কিছু ব্যতিক্রমী সময়ে এই কোর্স গুলোর সময় সীমা পাঁচ বছর পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে থাকে।

সমমান ডিগ্রি মানে কি

সমমান ডিগ্রি কোর্স বলতে সহজ ভাষায় বোঝায় একই পর্যায়ে অর্জন করা বা অর্জন করার মত একটি ডিগ্রি কোর্সকে। অন্য ভাবে, সাধারণ স্নাতক বা ব্যাচেলর ডিগ্রি কোর্স অর্জন করার পর কোন নির্ধারিত বিষয়ের উপর বিশেষায়িত ভাবে জ্ঞান অর্জন করার কোর্স বা পদ্ধতিকে সম্মান ডিগ্রি বলে। সমমান ডিগ্রি কে আরেক ভাবে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বলা হয়ে থাকে।

উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য বা উচ্চ শিক্ষা প্রাপ্তির সনদ লাভের জন্য সমমানব ডিগ্রি সম্পন্ন করা হয়। তবে আসল অর্থে সমমান ডিগ্রি কোনো নির্দিষ্ট ডিগ্রি বা কোর্সকে বোঝায় না। সমান পর্যায়ে কিংবা সম পর্যায়ে অর্জন করতে চাওয়া যেকোনো কোর্সের সমতুল্য কোর্সকে সমমান ডিগ্রি বলা হয়। অর্থাৎ স্নাত এ সমতুল্য যোগ্যতা এবং মর্যাদা সম্পন্ন কোর্স কিংবা ডিগ্রী কে সমমান এর ডিগ্রি বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কয়টি

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার উপযুক্ততা বৃদ্ধির এবং মহাবিদ্যালয় অর্থাৎ কলেজ এর পরবর্তী ডিগ্রির উপযুক্ততা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সাল ১৯৯২-এ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা করা হয়। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর বা স্নাত সমমান কিংবা স্নাতকোত্তর সমমান এর শিক্ষার পটভূমি মজবুত করতে দেশে নিয়ে আসা হয় নতুন এক বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হতে উত্তর দিকে প্রায় ৩৫ কি.মি. সড়ক গামী হয়ে গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য বিদ্যায়তন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাই মূলত বাংলাদেশে উপস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কেবল মাত্র একটি। তবে এই একটি প্রধান বিদ্যায়তন হতে প্রায় ২২৭৫টি মহাবিদ্যালয় এর কর্মসূচি দেখাশোনা করা হয়।

অর্থাৎ সহজ ভাবে যদি বলা যায় তাহলে, সর্বমোট মিলিয়ে গোটা বাংলাদেশের প্রায় ২২৭৫ টি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ততা রাখে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্স সমূহ অধ্যায়ন শিক্ষার্থীদের নিকট সহজ করে তোলার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণের চেষ্টা করেছে।

সাধারণভাবে ১৯৯২ সালের পূর্বে কৃষি, চিকিৎসা এবং প্রকৌশলী শিক্ষা ব্যতীত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার কোন মাধ্যম তেমন একটা ছিল না। তাই কৃষি, প্রকৌশলী শিক্ষা ব্যবস্থার দাঁড়া প্রণীত তো কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ঊর্ধ্বে গিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

যেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত কলেজ গুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এর শিক্ষা অর্জন করতে পারে। প্রায় ২৯ লাখ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কলেজ গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন কোর্স থেকে ডিগ্রির মত সম্মান অর্জন করছে।

এখানে অনেকে সমমান ডিগ্রি মানে কি তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়ে থাকে তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কোর্স গুলো সম্পর্কে ছোট করে জানিয়ে দেয়া হলো। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাধারণ শিক্ষায়তন হিসেবে অধীনস্থ থাকা সকল কলেজ হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এর জন্য বিএ, বি এস এস, বি.কম, বিএসসি, এম এ, এম এস এস, এম এস সি, এম কম এর কোর্স গুলো অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।

এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রফেশনাল বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা লাভের জন্য বি এড, বি পি এড, এল এল বি, বি বি এ, সমমান এর মতো কোর্সের মাধ্যমে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের কর্মসূচি প্রদান করা হচ্ছে। উল্লেখিত কোর্স গুলোর জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে নির্বাচন করা কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর দেশজুড়ে মোট হিসাবের তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • সারা বাংলাদেশের স্নাতক পাস শিক্ষার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯২২ টি কলেজ নির্বাচিত রয়েছে।
  • স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রির জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনস্থ বাংলাদেশের মোট ৮৮১টি কলেজ রয়েছে।
  • পিলিমিনারি তো মাস্টার্স পাসের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রয়েছে ১১৫ টি কলেজ।
  • মাস্টার্স পাশ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে পরিচালিত মোট ১৭৮ টি কলেজ গোটা বাংলাদেশ জুড়ে রয়েছে।
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ৭৫ টি কলেজ আইন বিভাগে শিক্ষার জন্য পরিচালিত হয়ে আসছে।
  • বিএড এবং বিপিএড এর জন্য যথাক্রমে ৯০ টি এবং ২৬টি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হয়ে শিক্ষা প্রদান করছে।
  • বিবিএ, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগীয় অধ্যয়নের জন্য বাংলাদেশের ৯৫ টি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে শিক্ষা প্রদান করছে।
  • লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন কলেজ কোর্সটির জন্য বাংলাদেশে মোট ৩০ টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অভিভক্ত কলেজ রয়েছে।
  • এছাড়া স্পেশাল এডুকেশন এর জন্য ৪টি এবং গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোর্সটির জন্য বাংলাদেশের মোট ১২টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ রয়েছে।
  • টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং মিউজিক বিভাগের কোর্সের জন্য বাংলাদেশে দুটি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ আছে।
তাছাড়া পুলিশ স্টাফ কলেজ, মেরিন এবং ফিসারিস একাডেমি, বিকেএসপি, পিজিডি ইন জার্নালিজম, ব্যাচেলর অফ মাদ্রাসা এডুকেশন, ফটোগ্রাফি, থিয়েটার স্টাডি, হোম ইকোনমিক্স, অ্যারোনটিক্যাল এন্ড এভিয়েশন সাইন এবং পিজিডি ইন ফায়ার সায়েন্স এর মত প্রফেশনাল কোর্স গুলোর জন্য বাংলাদেশে প্রতিটি কোর্সের জন্য একটি করে কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্ব-পরিচালনার উদ্দেশ্যে নির্বাচন করেছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি খরচ

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সহ অন্যান্য সকল খরচ সরকারি কলেজের সাথে তুলনা করে নির্ধারণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অভিভক্ত সরকারি কলেজ গুলোতে ভর্তি হতে প্রয়োজন ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত  এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুক্ত বেসরকারি কলেজ গুলোর জন্য এর পরিমাণ ৫০০০ টাকা কিংবা ৬০০০ টাকা অথবা এর যে কিছুটা বেশি প্রয়োজন হতে পারে এবং ভর্তি পরবর্তী কোর্স চলাকালীন খরচ গুলো তুলনামূলক আয়ব্যয়ক হয়।

ফরম ফিলাপ থেকে শুরু করে পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি কিংবা প্রতি মাসে টিউশন ফি এবং অন্যান্য পরীক্ষা এবং কলেজের খরচ গুলো মিলিয়ে মোটামুটি একজন শিক্ষার্থীর ব্যয় করার মত হয়ে থাকে অর্থাৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্স সমূহ পড়ার জন্য খুবই স্বল্প খরচে শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্স সমূহ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলো থেকে ডিগ্রির অধ্যায়ন করা কিছু কোর্সগুলোর নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • বিএ বা ব্যাচেলর অফ আর্টস
  • বিএসএস বা ব্যাচেলর অফ সোস্যাল সায়েন্স
  • বিএসসি বা ব্যাচেলর অফ সায়েন্স
  • বি এস এস বা ব্যাচেলর অফ বিজনেস স্টাডিজ
  • বি এম ইউ বা ব্যাচেলর অফ মিউজিক এবং
  • বি স্পোর্টস বা ব্যাচেলর অফ স্পোর্টস।
তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্স সমূহ এর ধরন গুলোর কিছু উল্লেখে রয়েছে যা নিম্নরূপ।
  • অনার্স ডিগ্রি কোর্স
  • পাস ডিগ্রি কোর্স
  • পিএইচডি ডিগ্রি কোর্স
  • এমফিল ডিগ্রি
  • ডিলিট ডিগ্রি
  • সমমান ডিগ্রি ইত্যাদি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ভর্তি হতে কি কি লাগে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুলিপি গুলোর তালিকা গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন ফরম এবং ফটোকপি।
  • মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আসল মার্কশিট এবং এটির ফটোকপি।
  • মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশংসা পত্র এবং এটির ফটোকপি।
  • মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি।
  • অভিভাবকের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  • ভর্তিতে আবেদন করা শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট এবং স্ট্যাম্প উভয় ধরনের ছবির কিছু কপি।
  • শিক্ষার্থীর এনআইডি কার্ড কিংবা জন্ম নিবন্ধনই পত্রের ফটোকপি।
  • সম্পৃক্ত কোন কোটা থাকলে সেটির সনদপত্র।
তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমান ডিগ্রি মানে কি তা সাধারণ ডিগ্রি কোর্সের যোগ্যতার আধারে বোঝা যায় কি না তা অনেকেরই প্রশ্ন। তাই ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে নিম্নোক্ত যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন।
  • চলতি বছরের কোর্সে ভর্তির জন্য বিগত তিন বছরের পূর্বে এসএসসি পরীক্ষার পাসকৃত হওয়া জরুরি।
  • ভর্তির বছর হতে বিগত তিন বছরের মধ্যে এইচএসসি বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস হতে হয়।
  • মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক দুটি পরীক্ষাতেই পৃথকভাবে সর্বমোট জিপিএ কম হলেও ২.০০ হতে হয়।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্স সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url