ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
তিসি বীজের গুণাগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে এখনো অনেকে অজ্ঞাত রয়েছেন। আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে এবং ওজন হ্রাস করতে তিসি বীজ অনেক উপকারী ভুমিকা পালন করে। তিসি বীজের উপকারিতা অনেক রকম ইতিবাচক পরিবর্তন প্রদান করলেও জনে জনে তিসি বীজের পরিচিতি তেমন একটা ব্যাপক হারে পাওয়া যায় না। তাই আজকের পোষ্টের মাধ্যমে ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভুমিকা
তিসি বীজের গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে এটি একটি কার্যকরী খাদ্য উপাদানের মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রায় কিছু শতাধিক বছর যাবত তিসির বীজ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে নির্বাচিত হয়ে রয়েছে। তিসি ওজন কমাতে যেভাবে সাহায্য করে ঠিক সেভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ বিপাকীয় কার্যক্রমে সহায়তা করে।
তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের সাথে বেশিরভাগ মানুষ সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে তিসি বীজের দিকে আগ্রহ দিয়ে থাকে। তবুও তিসি বীজের জনপ্রিয়তা কেবল স্বাস্থ্য সচেতন লোকের মধ্যে পাওয়া যায় এবং বাকিদের মধ্যে তিসির উপকারিতা নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ পাওয়া যায়না।তাই আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো তিসি বীজের পুষ্টিগুণ, তিসি গুড়া করার নিয়ম, তিসি বীজের দাম, তিসির উপকারিতা, ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম এবং তিসির অপকারিতা সম্পর্কে।
তিসি বীজের পুষ্টিগুণ
তিসি বীজ অনেক গুলো পুষ্টি উপাদানের সমৃদ্ধে একাই বহু গুণে গুণান্বিত একটি খাদ্য উপাদান। সৌন্দর্যের বর্ণনায় এটি গাঢ় বাদামী রঙের হয়ে থাকে এবং বেশ মুচমুচে বা খাস্তা মতন তিসি বীজ একপ্রকার কার্যকরী খাদ্যশস্য। তিসি বীজের মধ্যে রয়েছে অনেক রকমের বিস্তৃত আকারের উপাদান যা শরীরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্বিক উপকারিতা প্রদান করে থাকে। বাকি খাদ্য উপাদানের তুলনায় তিসি বীজে বিদ্যমান লিগনান প্র্যায় ৮০০ বার বেশি গোণা হয়।
উদ্ভিজ্জ উপাদানের এই ক্ষুদ্র অংশকে ৮০০ গুণ বেশি হওয়ার কারণে তিসিকে সুপার ফুড হিসেবে নাম করণ করা হয়। তিসি বীজে আরো রয়েছে ফাইবার, আলফা লিলোলেনিক অ্যাসিড যা ওমেগা-৩ হিসেবেও জানা যায়। ফ্যাটি এসিডের সাথে তিসি বীজে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপস্থিতি থাকে। তিসি বীজের পুষ্টিগুণ এর ভিত্তিতে ওজন কমাতে এটি খাওয়ার নিয়ম মেনে চললে তিসির উপকারিতা অনেক দ্রুত গতিতে অর্জন করা সম্ভব।
তিসি গুড়া করার নিয়ম
তিসি গুড়া করার জন্য সর্বপ্রথম যেটি করতে হবে তা হল - এটিকে চুলাতে কড়াইয়ের উপর হালকা আছে একটু গরম করে নিতে হবে বা টেলে নিতে হবে। তারপর একটু ঠান্ডা হলে এটিকে ব্লেন্ডারে বা শিল পাটাতে পিষে নিতে হবে। পিষা হয়ে গেলে তারপর একটি ছাকনি দিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে তিসির গুড়া বের করে নিতে হবে। ছাকনি দিয়ে ছাকার সময় যতটুকু অবশিষ্ট থাকবে তা আবারো একটু হালকা গরম করে নিয়ে আবার একটু বেটে নিলে এটিও গুড়া হয়ে যাবে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, এর গুড়া করার জন্য যখন এটিকে গরম করা হবে তখন যেন এটি পুড়ে না যায়। এবং যখন এটিকে পিষার জন্য ঠান্ডা করা হবে তখন যেন অতিরিক্ত ঠান্ডা অবস্থায় পিষা না হয়। অর্থাৎ হালকা গরম থাকা অবস্থাতেই এটি পিষতে হবে। তাছাড়া তিসি খাওয়ার জন্য বা ব্যবহার করার জন্য শুধুমাত্র এটি গুড়া করার নিয়ম জানলেই হবে না সাথেই জানতে হবে ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও।
তিসি বীজের দাম
প্রকৃতির কাছে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সব ধরনের সমাধান লুকিয়ে আছে। কিন্তু এই সকল সমাধান আমাদের সবার জানা নেই। তবে যেটুকু জানা রয়েছে তার মধ্য থেকে আমাদেরকে নিজেদের সমস্যার সমাধান গুলো বের করতে হবে। এ সকল প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিসি।
প্রাকৃতিক এই উপাদানটি আমাদের নানা রকম সমস্যার সমাধান করে থাকে এবং আমাদেরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এটি আমরা সাধারণত প্রায় সব জায়গাতেই পেতে পারি। বর্তমান বাজারের দর হিসেবে প্রতি ১০০ গ্রাম তিসির মূল্য প্রায় ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।
তিসির উপকারিতা
মানব দেহের জন্য তিসি একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা দেহের বিভিন্ন রকম সমস্যা নিবারণ এবং পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে থাকে। নিম্নে তিসি খাওয়ার কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলো।
ত্বক সুন্দর রাখেঃ চুল এবং ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে তিসির বীজের জেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি সাধারণত সবচাইতে বেশি ভাল কাজ করে থাকে রুক্ষ ও খসখসে ত্বকের উপর। প্রতিদিন নিয়ম করে তিসির তেল মাথায় লাগালে এবং তিসী খেলে ত্বক আর্দ্র হয় এবং নরমও হয়ে থাকে।
চুলের পুষ্টিতে তিসি বীজঃ তিসি বীজ গ্রহণ এবং ব্যবহারের ফলে চুলের গোড়া শক্ত এবং মজবুত হয়ে ওঠে। এটি ব্যবহার করলে বাজারজাতকরণ কোন সামগ্রী চুলে ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না।এতে থাকা ভিটামিন ই চুলের ড্যামেজ রোধ করতে এবং রক্ত চলাচল বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করতে সহায়তা করে তিসিতে থাকা ওমেগা - ৩ সাথেই নতুন চুল তৈরিতেও সহায়তা করে থাকে। এ সকল পুষ্টিগুণে চুল হয়ে ওঠে ঝলমলে এবং প্রাণবন্ত।
পরিপাকে সহায়তাঃ তিসি বীজে থাকা ফাইবার দেহের পরিপাকের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে অর্থাৎ দেহে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ অতিরিক্ত মোটা মানুষ প্রায় সব সময় নিজের ওজন কমাতে ইচ্ছুক থাকেন। কিন্তু অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগার কারণে ওজন কমানোর ইচ্ছা বেশিরভাগ সময় পূরণ হয় না। এ সময় ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে অবশ্যই তিসির বীজ রাখতে হবে। কারণ এটি ক্ষুধা নিবৃত্তিতে সহায়তা করে।
অর্থাৎ এটি গ্রহণের ফলে অনেক সময় পর্যন্ত পেট পরিপূর্ণ থাকে যার কারণে সহজে ক্ষুধা লাগে না। সাথেই জানতে হবে ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কেননা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে তিসির বীজ এর ভূমিকা অপরিসীম।
কোষ্ঠবদ্ধতা নিরাময়েঃ তিসির বীজে দু'রকম ফাইবার এর উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই দুই রকমের ফাইবারের মধ্যে একটি দ্রবণীয় এবং অন্যটি অগ্রগনীয় ফাইবার। আমাদের দেহে দ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্রের টক্সিন বের করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব কার্য করি একটি বীজ। এটা থাকা ফাইবার রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। তবে এটি সবচাইতে বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। গবেষকদের মতে, প্রায় ৮ থেকে ২০% পর্যন্ত সুগারের লেভেল কমাতে সক্ষম হয়ে ওঠে তিসির বীজ গ্রহণের মাধ্যমে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ পিসির বীজের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে এখন পর্যন্ত অনেক গবেষণা চলছে। প্রায় সব গবেষণা দিয়ে এটি দাবি করা হয়েছে যে, তিসির বীজ ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লীগনেন যা ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাকে একেবারে গভীর থেকে দূর করে। তাছাড়া মহিলাদের উপরে হওয়া গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় যে, এটি স্তন ক্যান্সার এর মত ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। সাথেই পায়ূপথের ক্যান্সার এবং স্কিন ক্যান্সার বা ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ব্রেনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ সকলেই মস্তিস্কের কার্যক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটাতে চায় কিন্তু এর জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে খাদ্য। এমন কিছু খাদ্য আছে যা ব্রেনের ক্ষমতা বা স্মৃতি শক্তি বাড়াতে অনেক বেশী কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই সকল খাদ্যের মধ্যে তিসির বীজ হচ্ছে অনতম একটি পরিপূরক খাদ্য।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ তিসিতে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন আমাদের শরীরে ফাইবারের চাহিদা থাকে প্রায় ৮ থেকে ১২% যা হজম শক্তির কাজকে সহজ এবং দ্রুততর করে থাকে।
ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম
অতিরিক্ত ওজন হয়ে গেলে জীবনে চলার পথ অনেকটা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই অতিরিক্ত ওজন প্রভাবিত করে দৈহিক সৌন্দর্যের সাথে স্বাস্থ্যের উপরেও। এর ফলে অনেক সময় দেহে নানা রকম রোগেরও সৃষ্টি হতে দেখা যায়। তাই এ সকল সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য ওজন কমানোর চেষ্টা করেন প্রায় সকলেই।
বাজারে মূলত দুই রকমের পিসি পাওয়া যায়, যথা- হলুদ এবং বাদামী। দুইটাই সমান পুষ্টিকর হওয়ায় এই দুটোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি খেলেই চলবে। তবে ওজন কমানোর জন্য তিসি গুড়া করে খাওয়াই শ্রেয়। নিম্নে ওজন কমাতে পিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- যেহেতু আঁশযুক্ত খাবার ক্ষুধা কমাতে সহায়তা করে তাই তিসি খেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে আসে। তাই প্রতিদিন সকালে খাবারের পূর্বে এক চামচ তিসির গুঁড়ো পানিতে মিশ্রিত করে পান করলে অনেক তাড়াতাড়ি ওজন কমতে শুরু করবে।
- এর কার্যকারিতা দ্রুত পেতে হলে এক গ্লাস পরিমাণ পানিতে এক চামচ তিসির গুড়া মিশিয়ে কিছুক্ষণ চুলাতে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর এটি একটু ঠান্ডা হলে অর্থাৎ কুসুম গরম থাকা অবস্থায় এতে গুড় এবং লেবুর রস মিশিয়ে দৈনিক সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি খেতে হবে।
- তবে মনে রাখতে হবে যে, কোন খাবারই বসে থেকে দেহের ওজন কমাতে সহযোগিতা করতে পারে না। অর্থাৎ এটি গ্রহণের পাশাপাশি অবশ্যই দৈহিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করতে হবে।
তিসির অপকারিতা
ভেষজ গুণে গুণান্বিত তিসি বীজ মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী একটি শস্য দানা হিসেবে পরিচিত। নানান ধরনের রোগের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে এই তিসিবীজ। তবে এত উপকারী হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন তিসি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এতক্ষণ আমরা জানলাম পিসির উপকারিতা এবং ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এখন জানব এর অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। তাই নিম্নে তিসি বাতিশি বীজ খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করা হলো।
- তিসি বীজে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি প্রতিদিন গ্রহণ করলে ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিসি খেলে এলার্জিজনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই তিসি খাওয়ার পর যদি দেহের কোন অংশে চুলকানি বা রেসের সৃষ্টি হয় অথবা চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে ফুলে যায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- তিসি যেহেতু হরমোনের উপর কু প্রভাব ফেলে তাই সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও এটি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই সন্তান ধারণ করার ইচ্ছা থাকলে অন্ততপক্ষে ৬ থেকে ৭ মাস আগের থেকেই এটি খাওয়া বন্ধ করা উচিত।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে তিসি খেলে শরীরের প্রদাহ জনিত সমস্যা কমে যায় আবার এর ভিন্নতাও মাঝে মাঝে দেখা যায়। অর্থাৎ এর উল্টো প্রতিক্রিয়াও দেখা যেতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষ প্রদাহ কমে যাওয়ার বদলে আরো বেশি হয়ে যায় বা প্রদাহ বেড়ে যায়।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ওজন কমাতে তিসি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত প্রায় সকল বিষয়বস্তু জানতে পেরেছেন। আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অথবা পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন মতামত যদি আমাদের জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে তিসি বীজের উপকারিতা ও তিসির বীজ সম্পর্কিত বিস্তৃত তথ্যাদি জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url