সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার অপকারিতা জানুন
সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে থাকছে আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই এই আলোচনায় আপনাদের জন্য আরও থাকছে, ভরা পেটে লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের সম্পুর্ণ পোস্টটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, নিয়ম ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
সকালে খালি পেটে কিংবা ভরা পেটে লেবু এবং পানির মিশ্রণ খাওয়ার ব্যাপারটাকে অনেকেই আভিজাত্য বিষয় বলে মনে করে থাকেন। লেবুতে অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও খালি পেটে গরম পানির সাথে এটি সেবন করা কতটা ক্ষতিকর প্রমাণ হতে পারে তার সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। তাই আজকের পোস্টের মাধ্যমে সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।
ভূমিকা
লেবু পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেকাংশ উপকারী ভূমিকা রাখে কিন্তু লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে না জানার কারণে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কারণগুলো নিয়ে আসে। ঘুম থেকে উঠার পরপর লেবু পানি খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য উপকারের বদলে অপকার করে দেয়। তবে লেবু পানি খাওয়ার চাহিদা এতই বেশি যে এর উপকার বা গুণগুলোর সামনে এর অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না কিংবা জানতে চান না।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই লেবুর পানি অনিয়মের সাথে খাওয়ার ক্ষতিকর ফলাফল গুলোর বিবেচনায় আজকে আমরা জানব লেবুর পুষ্টিগুণ, লেবু কত প্রকার, লেবু কিভাবে খাওয়া উচিত, লেবু খাওয়ার সঠিক নিয়ম, সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার অপকারিতা এবং ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
লেবুর পুষ্টিগুণ
মূলতঃ লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু আমরা যা জানি তা পুরোপুরিভাবে জানিনা। বাজারে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মী লেবু পাওয়া যায়। এই সব ধরণের লেবুর মধ্যে প্রতি ১০০ গ্রাম পাতি লেবু বা কাগজই লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হল।
- ভিটামিন সি ৬৩ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম ৯০ মিলিগ্রাম
- লৌহ ০.০৩ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন এ ১৫ মাইক্রগ্রাম
- ভিটামিন বি ০.১৫ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম
তবে শুধু লেবুর রসই নয় টাটকা সবুজ রঙের লেবুর খোসাতেও রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ।
লেবু কত প্রকার
লেবু হল সপুষ্পক গাছের একটি কুল যা স্বাভাবিকত ভারতের এক ভাগের একটি অংশীয় দেশজ উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত। লেবুতে সাইট্রিক এসিড বিদ্যমান হওয়ায় এটি সাইট্রাস উপাদান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তাই সাইট্রাস উপাদান সমৃদ্ধ অন্যান্য সকল ফলের প্রসঙ্গ উঠলে লেবুর নামটি কখনো বাদ পড়ে থাকে না।
সাথেই ভরা পেটে লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতাকে নজরে রেখে সারা বছরে লেবুর চাহিদা প্রায় সকলের মধ্যে পাওয়া যায়। লেবুর পুষ্টি গোনার কারণে এটি বিশ্বজুড়ে পরিচিত একটি ফল যা বছরে বারোটি মাসে যে কোন সময়ই পাওয়া যায় এবং যেকোনো অঞ্চলে লেবুর উপস্থিতি পাওয়া খুবই সহজ।
লেবুর আকার, উৎপাদনের স্থান এবং বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে লেবুকে অনেকগুলো ভাগে বিভক্ত করা হয়। লেবু প্রত্যেকটি ধরনের ব্যাপারে পৃথকভাবে বলা না গেলেও আমাদের আবহাওয়াতে প্রচলিত কয়েকটি লেবুর ধরন গুলো নিয়ে বলা যায়। চলতি বছরের বাজারে লেবুর খোঁজ করতে গেলে সাত রকমের লেবুর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। বর্তমান বাজারে উপস্থিতি সাত রকমের লেবুগুলোর ধরন নিম্নে উল্লেখ করা কথা হলো।
- সিলেটি লেবু
- লিচু লেবু
- বাতাবি লেবু বা পর্বতীয়া অঞ্চলের লেবু
- এলাচি লেবু বা টাঙ্গাইলের লেবু
- বিচিহীন লেবু বা সিডলেস লেবু
- কলম্বো লেবু এবং
- কাগজী লেবু
তবে লেবুর প্রজাতি বিবেচনায় লেবুকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। জাতের ভিত্তিতে বিভক্তিতে এই লেবুগুলো বছরের বারো মাস উৎপাদন করা সম্ভব। নিম্নে এগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো।
সিডলেস লেবুঃ এটি প্রায় প্রায় জ বাজারে পাওয়া যায় বিচিহীন লেবু নামে অভিহিত।
বারি লেবুঃ এই বারি লেবুর তিনটি ধরন রয়েছে যাকে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অংশের বারি লেবু বলা হয়।
কাগজি লেবুঃ একে বাউ কাগজিও বলা হয়। এই লেবু কেও ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। বাউ লেবু ১,২ এবং ৩ এর পরিক্রমায়।
এছাড়াও মাটির উপর ভিত্তি করে এবং লেবু ছোট-বড় আকার বিবেচনায় লেবুর অনেকগুলো প্রকার খুঁজে পাওয়া যায়।
ভরা পেটে লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা
লেবু পানি বা কেবুর শরবত, দুটির যেটি-ই বলিনা কেন লেবু পানি পান করার তৃপ্তি সারা শরীরে শান্তি জুড়ে দেয়। বিশেষভাবে ক্লান্তি ভাব মেটানোর জন্য লেবুর পানি অনেক ভূমিকা রাখে। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড এর সমৃদ্ধতা। ফলে লেবু পানি পান করার ফল স্বরূপ শরীর, ত্বক এবং শরীরের বিষাদ দূর করা সহজ হয়ে ওঠে।
বিশেষ করে গরমের দিনে নিয়ম করে প্রতিদিন এক গ্লাস লেবু পানি পান করার অনেক সুফল রয়েছে। পানীয় হিসেবে অনেকে চা, কফি জাতীয় অনেক দ্রবণ সেবন করেন তবে এগুলোর কোনোটিই লেবু পানি পান করার সমতুল্য নয়। ভরা পেটে লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে সংক্ষেপে বলা হলো।
- ভরা পেটে লেবু পানি খাওয়ার অন্যতম এবং সবচেয়ে প্রচলিত উপকারিতা হলো এতে ওজন কমে। অর্থাৎ সঠিক নিয়মে লেবু পানি পান করলে দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানো সম্ভব।
- লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপাদান অর্থাৎ ভিটামিন সি তাই লেবু পানি খাওয়ার ফলে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বৃদ্ধি হয় এবং দৃঢ় হয়।
- লেবু পানি পান করার ফলে শরীরে থাকা কোষগুলো নিজেদের সুরক্ষা করার ক্ষমতা সাধন করে।
- লেবু পানি পান করার ফলে শরীরে পর্যাপ্ত দ্রবণ পৌঁছায় এবং এটি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
- লেবু পানি খাওয়ার ফলে লেবু পানিতে থাকা ডিটক্স উপাদান শরীরের ক্ষতিকর উপাদান দূর করে শরীরকে দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
- ঘুম থেকে উঠে ভরা পেটে পরিমাণ মতো লেবু পানি পান করলে এটি দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
- লেবু পানি পান করার ফলে দেহের পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার থাকে এবং এটি শরীরের কোষ্ঠবদ্ধতা নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে।
- সাইট্রাস সমৃদ্ধ উপাদান হওয়াতে লেবু পানি খাওয়ার ফলে দেহে ভিটামিন সি এর চাহিদা মেটানোর সাথে এর অভাব দূর করে। কিন্তু এই উপকারিতার মাঝেই সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার অপকারিতা থাকায় সচেতন থাকতে হবে।
- লেবুর জল পান করার ফলে শরীরে ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে পৌঁছায় যার ফলে ত্বক নিজস্ব লাবণ্যতা এবং সৌন্দর্য দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে।
- ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত লেবু পানি খেলে কিডনিতে পাথরের সমস্যাকে দূরে রাখা যায়।
- লেবু পানি নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বকের বিভিন্ন রকম রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- সর্বোপরি লেবু পানি খাওয়ার ফলে শরীরের শ্রান্তি ভাব দূর হয় এবং শরীরে চটপটে ভাব চলে আসে।
লেবু কিভাবে খাওয়া উচিত
বেশিরভাগ মানুষ দৈনন্দিন জীবনে নিজেদের দিন শুরু করার জন্য গরম গরম চা কিংবা এক কাপ কফি পান করে থাকেন। তবে এতে শরীরে উপকারের চেয়েও অপকারই বেশি হয়। শরীরে উদ্ভব হয় পানি শূন্যতা জনিত সমস্যার। এরকম সমস্যা দূর করতে অবশ্যই পদ্ধতিটা বদলে ফেলে প্রাকৃতিক উপাদান লেবুর দিকে নিয়ে আসা যেতে পারে।
সকালে এক গ্লাস পানিতে খানিকটা রেবুর রস মিশিয়ে খেলে এটি শরীরে অনেক রকম উপকারিতা প্রদান করে। লেবুর পানি খাওয়ার নিয়ম মানার সাথে কোন কোন পদ্ধতিতে লেবু পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী চলুন সে বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নিই।
- সকালে ভরা পেটে লেবুর পানি খাওয়ার জন্য স্বাদ এবং পুষ্টির মাত্রা বাড়াতে এই মিশ্রণে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নেয়া উচিত।
- তাছাড়া লেবুর রসের পরিবর্তে লেবুর খোসাটিও একইভাবে শরীর ও ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। লেবুর খোসা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে কিংবা লেবুর খোসা মধুতে ডুবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- লেবুর রস এর সাথে মধু এবং হালকা উষ্ণ পানি ও জল মিশিয়ে এই দ্রবণটি মুখের রুচি বজায় রেখে খাওয়া যেতে পারে। এটি কোষ্ঠীবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপশম।
সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার অপকারিতা
লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা অনেক বিস্তৃত আকারে রয়েছে। তবুও লেবুর রস খাওয়ার ফলের শরীরে অনেক রকম ক্ষতি সাধন হয় যা পরবর্তীতে লেবু খাওয়ার অপকারিতা হিসেবে বিবেচিত হয়। বাস্তব অর্থে এই বিষয়টি সরাসরি লেবু খাওয়ার অপকারিতার সাথে সম্পৃক্ত নয় বরং লেবু খাওয়ার ভুল নিয়ম অবলম্বন করার কারণে শরীর বিভিন্ন রকম ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
সকালে খালি পেটে লেবুর পানি খাওয়া তার মধ্যে একটি কারণ, সকালে ঘুম থেকে উঠার পরপরই লেবুর পানি খালি পেটে পান করার ফলে এটি কোন ভাবেই একটি আকর্ষণীয় রূপ নিতে পারে না। অনেকের ধারণায় এমন তথ্য ঘুরে যে, যেহেতু এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি উপাদান তাই এটি যেকোনো ভাবে খেলেও এর উপকারিতা পাওয়া যাবে।
এই তথ্যটি সত্যতা উন্মোচন করতেই মূলতঃ লেবু সম্পর্কিত এত কথা আজ বলা হচ্ছে। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার অপকারিতা হিসেবে এটি শরীরে অনেক রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। খালি পেটে লেবু পানি খাওয়ার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে নিম্নে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
- খালি পেটে সরাসরি কিংবা জলের সাথে মিশিয়ে লেবু পানি পান করার ফলে এটি পরবর্তীতে শরীরের হাড় গুলোর উপর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আসে। তাই খালি পেটে লেবু পানি প্রভাব হিসেবে পরবর্তীতে হাড়ের এই সমস্যাটি ব্যাপক আকার ধারণ করার সম্ভাবনা রাখে।
- সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার অপকারিতা হচ্ছে এটি আপনার মাইগ্রেণের কারণ হয়ে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রাখে যা পরবর্তীতে দ্বিগুণ আকার নিতে পারে।
- খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে পান করলে এটি শরীরে আয়রনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তোলে। জেনে রাখা ভালো পরিমাণের তুলনায় বেশি আয়রন শরীরের বিশেষ অঙ্গগুলোর জন্য অপকারী ভূমিকা রাখে।
- খালি পেটে লেবু গরম পানি পান করার ফলে পেট খারাপ জনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে খালি পেটে লেবুর পানি পান করার ফলে এটি পরবর্তীতে ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
- গরম পানিতে লেবু মিশে খালি পেটে তা খাওয়ার ফলে এটি শরীরে আলসার, বমি বমি ভাব এবং প্রদাহজনক বিভিন্ন রকম সমস্যা উৎপাদন করে।
- খালি পেটে লেবুর পানি পান করার ফলে এটি মুখে সরাসরি গিয়ে দাঁতের এনামেল গুলোকে ধীরে ধীরে মুছে দেয় যা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
- সকালে উঠে গরম পানির সাথে লেবুর রস খেলে কিংবা অতিরিক্ত লেবুর রস খাওয়ার পরে এটি শরীরে ক্ষতিকর এনজাইম নিয়ে আসে যার কারণে হজম শক্তি ধীরে ধীরে বিনষ্ট হতে থাকে।
লেবু খাওয়ার সঠিক নিয়ম
কম বেশি করে প্রায় অনেকের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আবশ্যকীয় একটি ছোটু উপাদানের নাম হলো লেবু। খাবারে সালাদ হিসেবে খাবারের স্বাদ এবং মুখের রুচি বাড়াতে কিংবা শারীরিক স্বাস্থ্যের সচেতনতার জন্য লেবুর রস পান করার উপকারিতার ভিত্তিতে প্রায় সকলের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই ফলটি। ভরা পেটে লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কোন দেশে অনেকেই জানেন। তবে এই ফলটি সাইট্রিক এসিড সমৃদ্ধ একটি ফল হওয়ায় এটি খাওয়ার নিয়মের ক্ষেত্রে সচেতনতা বজায় রাখা জরুরী। যেমন- লেবু খাওয়ার সঠিক এবং সর্বপ্রথম নিয়ম হলো এটি কখনোই খালি পেটে খাওয়া যাবে না।
- খালি পেটে লেবু খেলেও খেয়াল রাখতে হবে যেন গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া না হয়। তবে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এভাবে খেলে এটি পরবর্তীতে শরীরে ক্ষতির কারণ হতে পারে তাই যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
- লেবুর পানি কিংবা সরাসরি লেবু চিবিয়ে খেলে এতে থাকা অ্যাসিটিক উপাদান আমাদের মুখে আটকে থাকতে পারে। তাই লেবু খাওয়ার পর পরই পানি দিয়ে কুলকুচ করে মুখের ভেতরে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। অন্যথায় পরবর্তীতে এটি আমাদের দাঁতের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়।
- লেবুর পানি খেতে হলে কখনোই পানিতে অতিরিক্ত পরিমাণে লেবুর রস মেশানো উচিত নয়।
- লেবুর পানি কেবলমাত্র জলের সাথে মিশিয়ে খেতে না পারলে অবশ্যই সাথে পরিপূরক হিসেবে মধু কিংবা চিনি খাওয়া যেতে পারে। কেননা সংবেদনশীল ত্বক এবং শরীরের ক্ষেত্রে এটি হজম করা দায়।
- অনেক ক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তি আকর্ষণীয় মুহূর্ত তৈরীর জন্য লেবুর রস সরাসরি সেবন করে থাকেন। এটি করা কখনোই উচিত নয় কেননা অনেকের ক্ষেত্রে লেবুতে থাকা অ্যাসিটিক উপাদান সরাসরি সেবন করায় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলকে লেবু পানি পান করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url