ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে জানুন
ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই আমাদের আজকের মূল আলোচনা। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা এর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন এর সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
'ইসলামী ব্যাংক' এই নামটি আমাদের সকলেরই পরিচিত। কিন্তু ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হলে আমাদের করণীয় কি তা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আজকের পোস্টে আমরা ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে তার সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।
ভূমিকা
ইসলামী শরীয়তের নিয়ম কানুন মেনে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করা হয়ে থাকে এই ইসলামী ব্যাংকে। তবে নিজেদের প্রয়োজনে আমরা এখান থেকে কিভাবে লাভবান হতে পারি বা সুবিধা গ্রহণ করতে পারি তা সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন কিছু জানিনা।
তাই এর সম্পর্কে আজকের পোস্টে আমরা যা জানব তা হলো- ইসলামী ব্যাংক কি, ইসলামী ব্যাংক শাখা, ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার, ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা, ইসলামী ব্যাংকের সেবা সমূহ, ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে এর সম্পর্কে।
ইসলামী ব্যাংক কি
ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী একটি সুদমুক্ত অর্থনৈতিক লেনদেন করে থাকে। যেহেতু ইসলাম হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যই এখানে রয়েছে একটি শাশ্বত নিয়ম-কানুন এবং নির্দিষ্ট পথ নির্দেশনা। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত এই নির্দেশনার বিস্তার রয়েছে।
এই সকল নিয়ম-নীতি মানুষের জীবনের সব ধরণের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। জীবন জীবিকার জন্য এ সকল ক্ষেত্রের মধ্যে অর্থনীতি হচ্ছে একটি মূল ক্ষেত্র। ইসলামে সুদ নেয়া এবং দেয়া দুটিতেই বিশেষ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা মেনে অর্থাৎ ইসলামিক শরীয়তের নীতিমালাকে সাথে নিয়ে অর্থনীতির কার্যক্রম সম্পন্ন করাই ইসলামী ব্যাংকের মূলনীতি।
ইসলামী ব্যাংকের শাখা কয়টি
বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাংক হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক। এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এমন একটি ব্যাংক যা শরীয়ত অনুযায়ী পরিচালনা করা হয়। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে শরীয়ত মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংক রয়েছে পাঁচটি।
যথা- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকের মোট শাখা রয়েছে ৬২৩টি। দেশের সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক হিসেবে স্থান অর্জন করেছে।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার
বর্তমান সময়ে একটি বিশ্বস্ত ব্যাংক হিসেবে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক। প্রায় প্রতিটি গ্রাহকই এই ব্যাংকের সাথে অর্থের লেনদেন করে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ভোগ করছেন। যেহেতু ইসলামী ব্যাংক শরীয়ত মোতাবেক চলে তাই এই ব্যাংকে অর্থ লেনদেনে কোন ধরণের অসুবিধা নেই বললেই হয়।
তাছাড়াও সময়ের সাথে সাথে ইসলামী ব্যাংকের প্রতি মানুষের চাহিদা প্রায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, যার কারণে সকলেই এখানে অ্যাকাউন্ট খুলতে চায়। আর যদি একাউন্ট খুলতে হয় তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার এবং সাথেই জানতে হবে ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে।
মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট সমূহ কে। এই তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী একটি অ্যাকাউন্ট আপনি চয়ন করতে পারবেন। ভিন্ন ভিন্ন একাউন্টে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা। ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট মূলত তিন প্রকার।
- কারেন্ট একাউন্ট
- সেভিংস একাউন্ট
- স্টুডেন্ট একাউন্ট
ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা
ইসলামী ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে ভিন্ন ধরণের ব্যবহারকারীদের বা বক্তাদের জন্য। এই ব্যাংকের তিন ধরণের একাউন্ট এর মধ্যে সেভিংস একাউন্ট একটি ভিন্নধর্মী একাউন্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। নিম্নে ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা বা মুনাফার বিষয়ে উল্লেখ করা হলো।
- যদি কেউ ইসলামী ব্যাংক সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে তাতে টাকা রেখে থাকেন তাহলে প্রতি ছয় মাস পর পর ৩.৫% হারে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
- সেভিংস একাউন্ট থেকে প্রাপ্ত মুনাফার উপর সরকারি ভ্যাট প্রায় ১৫% কার্যকর হয়।
- এখান থেকে টাকা লেনদেনের জন্য বা উত্তোলনের জন্য এটিএম কার্ড, চেক বই এবং অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার করা যায়।
- একাউন্টে যদি শুধুমাত্র এক হাজার টাকাও জমা রাখা হয় তাহলেও অ্যাকাউন্ট সচল রাখা সম্ভব।
- যেকোনো প্রয়োজনে খুব সহজেই এক শাখা থেকে অন্য শাখাতে অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করা যায়।
- এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য কোনরকম হিডেন চার্জ থাকে না।
- অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যে পরিমাণ টাকা দেয়া হয় তা ভোক্তার একাউন্টে যোগ করা হয়।
ইসলামী ব্যাংকের সেবা সমূহ
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে এতক্ষণ আমরা ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে জানলাম এবার জানব এই ব্যাংকের সেবা সমূহ সম্পর্কে। ইসলামী ব্যাংকের পূর্বের সেবা গুলোর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে আরো কিছু ডিজিটাল সেবা। নিম্নে এ সকল সেবা সমূহের বিষয় উল্লেখ করা হলো।
- ডিপোজিট হিসাব সেবা
- বিনিয়োগ স্কিম সেবা
- বিকল্প ব্যাংকিং সেবা
উপরোক্ত তিনটি সেবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আরো অনেকগুলো সেবা তা এমনি উল্লেখ করা হলো।
ডিপোজিট হিসাব সেবা সমূহ
- মুদারাবা স্পেশাল নোটিশ অ্যাকাউন্ট
- মুদারাবা প্রায়োরিটি সেভিংস একাউন্ট
- মুদারাবা পেয়ে রোল অ্যাকাউন্ট
- মুতারাবা ওয়াকফ ক্যাশ ডিপোজিট একাউন্ট
- মোতারামা উপহার ডিপোজিট স্কিম
- মুদারাবা ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট একাউন্ট
- আল-ওয়াদিয়াহ কারেন্ট একাউন্ট
- আল-ওয়াদিয়াহ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট
সেভিংস একাউন্ট
- মুতারাবা ফার্মার্স সেভিং একাউন্ট
- মুদারাবা সেভিংস অ্যাকাউন্ট
- মুদারাবা স্টুডেন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট
- মুদারাবা স্কুল স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্ট
- মুদারাবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এমপ্লোইস সেভিংস একাউন্ট
টার্ম ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্ট
- মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট একাউন্ট
- মুদারাবা সেভিংস বন্ড স্কিম
- মুদারাবা এনআরবি সেভিংস বন্ড
- মুদারাবা মাসিক প্রফিট ডিপোজিট একাউন্ট
- মুদারাবা সিনিয়র সিটিজেন মাসিক প্রফিট ডিপোজিট স্কিম
মাসিক সেভিংস অ্যাকাউন্ট স্কীম
- মুদারাবা এডুকেশন সেভিংস স্কিম
- মুদারাবা হজ সেভিংস একাউন্ট
- মুদারাবা এক্সপার্টিরিয়েট হাউসিং ডিপোজিট স্কিম
- মুদারাবা বিবাহ সেভিংস একাউন্ট
- মুদারাবা স্পেশাল সেভিংস (পেনশন) অ্যাকাউন্ট
- মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট
বিনিয়োগ স্কিম সেবা সমূহ
- ট্রান্সপোর্ট ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- ইনভেসমেন্ট স্কিম ফর ডক্টরস
- হাউসিং ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম
- এগ্রিকালচার ইনক্রিমেন্টস ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- এস এম ই'স ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিস ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- আরবান পুত্তর ডেভলপমেন্ট স্কিম
- ফ্রুট গার্ডেনিং ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- হাউজহোল্ড ডিউরেবলস স্কিম
- কার ইনভেসমেন্ট স্কিম
- স্মল বিজনেস ইনভেসমেন্ট স্কিম
- হাউসিং ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম
- এস এম ই ই ওয়েম্যান ইন্ট্রাপ্রোনারস ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- রুরাল হাউসিং ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- এনআরবি ইনভেস্টমেন্টস স্কিম
- সোলার প্যানেল ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- ক্লাসটার ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইনভেসমেন্ট স্কিম
- ওয়ার্ক অর্ডার ফাইন্যান্সিং ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- সোলার প্যানেল ইনভেস্টমেন্ট স্কিম
- রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইনভেসমেন্ট স্কিম
বিকল্প ব্যাংকিং সেবা সমূহ
- এটিএম - নগদ উত্তোলন
- ফোন ব্যাংকিং - ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা
- সেবাঘর - বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা
- কনট্রাক্ট সেন্টার - ১৬২৫৯ অথবা ৮৩৩১০৯০
- এস এম এস ব্যাংকিং - অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স স্টেটমেন্ট
- আই ব্যাংকিং - ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা
- পেমেন্ট গেটওয়ে - অনলাইনে কেনাকাটা ও বিল পরিশোধ
- হজ্ব কার্ড - হজ্ব ও ওমরা যাত্রীদের জন্য বিশেষ কাজ
- আইডিএম - টাকা জমা চব্বিশ ঘন্টা
- খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড - নগদ উত্তোলন, POS এর মাধ্যমে কেনাকাটা
- ট্রাভেল কার্ড - বিদেশে ভ্রমণকারীদের জন্য বিশেষ কার্ড
- আইবিবিএল আইস্মার্ট অ্যাপস - ব্যালেন্স, মোবাইল রিচার্জ, ফান্ড ট্রান্সফার
- বিজনেস এক্সপেন্সেস কার্ড - কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রিপেইড কার্ড
- ই এফ টি - আর টি জি এস - ইসলামী ব্যাংক হতে অন্য ব্যাংকে স্বয়ংক্রিয় ফান্ড ট্রান্সফার
- ভিসা ডেবিট কার্ড - নগদ উত্তোলন POS এর মাধ্যমে কেনাকাটা
- এম ক্যাশ - মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, ফান্ড ট্রান্সফার
- এজেন্ট ব্যাংকিং - হিসাব খোলা, জমা, উত্তোলন, অনলাইন জমা, ই এফ টি, ফরেন রেমিডেন্স, এটিএম লোগো
ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ইসলামী ব্যাংক সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটি ব্যাংক হওয়ার অন্যতম আরো একটি কারণ হচ্ছে, খুব বেশি সহজেই এখানে একাউন্ট তৈরি করা। তবে যে কোন জায়গায় অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে কিছু জরুরী কাগজপত্রের দরকার অবশ্যই হয়। ইসলামী ব্যাংকে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে উল্লেখ করা হলো।
- সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত করা ছবি।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের পাসপোর্ট এর ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি (যেকোনো একটি হলেই চলবে)।
- নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- রেগুলার ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি।
- ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জায়গা ভাড়ায় চালিত হলে চুক্তিনামা এবং নিজস্ব জায়গা হলে যে কোন ইউটিলিটি বিলের কপি।
- অ্যাকাউন্টকারীর মাধ্যমে নমিনির পাসপোর্ট সাইজের এক কপি সত্যায়িত ছবি।
- একাউন্ট কারীর স্বাক্ষর।
- এই ব্যাংকের যেকোনো একজন একাউন্ট হোল্ডারের স্বাক্ষর যার মাধ্যমে গ্রাহকের ছবিও সত্যায়িত করতে হয়।
- অন্ততঃপক্ষে ইনস্ট্যান্ট ডিপোজিট এর জন্য এক হাজার টাকা।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশের সাশ্রয়ী মূল্যের ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী একমাত্র ব্যাংক হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক। সুদবিহীন ব্যাংকিং এবং এর নীতিমালার কারণেই এই প্রতিষ্ঠানটি মানুষের কাছে জনপ্রিয়। এবার আসুন জেনে নেয়া যাক ইসলামী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে।
ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে এই প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম একটি উত্তর হচ্ছে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় সে সকল দরকারি কাগজপত্রের সাথে কিছু অতিরিক্ত খরচও প্রযোজ্য হতে পারে। নিম্নে যে সকল বিষয়ের উপর অ্যাকাউন্ট খোলার খরচ নির্ভর করে তা উল্লেখ করা হলো।
মাসিক ফিঃ মাসে মাসে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কিছু একাউন্টে ফি প্রযোজ্য হয়।
একাউন্টের ধরণঃ প্রায় প্রতিটি অ্যাকাউন্ট এর জন্যই নিজস্ব কিছু খরচ এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাছাড়া একাউন্টের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের সাশ্রয়ীমূলক, লেনদেনমূলক এবং বিনিয়োগমূলক অ্যাকাউন্ট অফার করে থাকে ইসলামী ব্যাংক।
প্রাথমিক জমাঃ প্রাথমিক পর্যায়ে নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ জমা দেওয়ার প্রয়োজন আছে এমন ধরণেরও কিছু অ্যাকাউন্ট রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের প্রাথমিক জমা মূলত অল্প মাসিক ফি এবং অন্যান্য অনেক ধরণের সুবিধা প্রদান করে থাকে ইসলামী ব্যাংক।
অন্যান্য খরচঃ চেকবুক ইস্যু থেকে শুরু করে এটিএম কার্ড ব্যবহার এবং লেনদেন ইত্যাদির জন্য অতিরিক্ত খরচ নির্ধারিত হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ারের মাধ্যমে অন্য সবাইকেও ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।
মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url