গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ বিস্তারিত জানুন

গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ তার সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়েই আমাদের আজকের মূল আলোচনার প্রেক্ষাপট। সাথেই আপনাদের জন্য আরও থাকছে, গর্ভাবস্থায় আমল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন এর সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন। 
গর্ভাবস্থায়-কোন-কোন-সবজি-খাওয়া-নিষেধ-তা-বিস্তারিত-জানুন
গর্ভধারণের শুরু থেকেই নিজস্ব এবং গর্ভে থাকা নতুন প্রাণের সুস্থতা এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আজকের পোস্টে গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ তার সম্পর্কে বিশদভাবে সকল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি গর্ভাবস্থার সতর্কতা সহ গর্ভাবস্থায় আমল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যগুলো আপনারা ধৈর্য সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই একজন গর্ভবতী নারীর নানা রকম শারীরিক পরিবর্তন এবং শারীরিক অবস্থা ও স্বাস্থ্যের নানা রকম উত্থান-পতন হতে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিকূলতা এড়িয়ে চলার জন্য নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কতা সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে বলা হয়ে থাকে। এসময়ে নিজের যত্নে গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ তা মেনে চলতে কোনো ক্ষতি নেই।

তাই আজকের পোস্টে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় আমল, গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে সর্তকতা, গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার তালিকা, গর্ভাবস্থায় কি কি করা যাবে না, গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা এবং গর্ভাবস্থায় টক খাওয়া যাবে কি না এই সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর।

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের সতর্কতা

গর্ভাবস্থাকালীন পুরো সময় ধরে গর্ভবতী নারীকে বিভিন্ন ঝুঁকির মুখ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টায় থাকতে হয়। গর্ভাবস্থাকালীন এই সময়গুলির মধ্যে একটি নারীর শাড়ি ও মানসিকভাবে নানা রকম পরিবর্তন জটিলতা কিংবা উত্থান পতন আসতে যেতে থাকে। তবে শুরুর দিক থেকে গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে হওয়া সকল পরিবর্তন এবং জটিলতার ওজন তুলনামূলক ভারী মনে হয়।

গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস সম্পূর্ণ গর্ভকালীন সময়ে এর তুলনায় প্রচুর সূক্ষ্ম হয়। গল্পকালীন সময়ের এই প্রথম তিন মাস এত সূক্ষ্ম হয় যে এই সময় যত সতর্কতা অবলম্বন করা যায় ততই শ্রেয়। কারণ গর্ভ কালের প্রথমে এই তিন মাস গর্ভকালীন মা এবং শিশু উভয়ের জন্য প্রচুর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে।

তাই গর্ভ কালের সময়ের প্রাথমিক ঝুঁকি গুলো এড়িয়ে চলার জন্য তুলনামূলক বেশি মাত্রায় সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এবং চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রয়োজন অনুযায়ী মনোযোগ রাখতে হবে। কেননা গর্ভকালে প্রথম সময়ের দিকে গুরুতর যত রকমের ঝুঁকিপূর্ণ আকস্মিক ঘটনা কিংবা প্রত্যাশিত ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভাবস্থায় প্রথম মাস গুলো তো দেখা দেওয়া কিছু গুরুতর ঝুঁকির উদাহরণ নিম্নে দেওয়া হলো।

গর্ভপাত হওয়াঃ শতকরা হিসাবে অধিকাংশ গর্ভবতী নারীর প্রথম মাসের ক্ষেত্রেই গর্ভপাতের অত্যাধিক ঝুঁকি থাকে এবং গর্ভকালের প্রথম তিন মাসে গর্ভপাতের হার শতকরা অনেক বেশি। এর কারণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে থাকতে পারে। সাধারণত হরমোনের পরিবর্তনশীল স্বভাব, জেনেটিক কারন, ডায়াবেটিক এর সমস্যা বা বিভিন্ন রকম সমস্যাযুক্ত সিনড্রোম বা চুলকানি বা প্রদাহ জনিত কারণ সহ আরো অন্যান্য অনেক কারণে গর্ভকালীন প্রাথমিক সময়ে গর্ভপাত এর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।

জরায়ু বহির্ভূত গর্ভধারণঃ এই প্রকার গর্ভধারণের অবস্থাকে অ্যাক্টোপিক গর্ভধারণ বলে। জরায়ু বহির্ভূত গর্ভধারণ ইতঃপূর্বেই জটিলতা সমৃদ্ধ গর্ভধারণ এর অবস্থা। শুরুর দিকে এর চিকিৎসার ব্যবস্থা না নেয়া হলে এটি পরবর্তীতে রক্তপাত এর সাথে মৃত্যুর আশঙ্কা পর্যন্ত বয়ে আনে।

ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চাঃ একটি গর্ভে বাচ্চার মূল গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয় এর প্রথম বারো সপ্তাহের মধ্যে। অর্থাৎ প্রথম বারো সপ্তাহে গর্ভে থাকা ভ্রুণ বৃদ্ধি ও সুগঠিত হতে শুরু করে। তাই প্রথম মাসের দিকে বিশৃঙ্খলার অর্থ দাঁড়ায় সম্পূর্ণ বাচ্চাটি গঠনে নানা রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া। বাচ্চার ভ্রুণের প্রথম মাসের গঠনে ত্রুটি আসার ফলে তার জীবনে জন্মগত কোন ত্রুটির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

তাই গর্ভকালীন সময়ে প্রথম এক মাসে সতর্কতা অবলম্বনের সাথে গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ সে সম্পর্কেও যথাযথ করণীয় জেনে রাখা দরকার এবং এই সতর্কতা অবলম্বনের জন্য কিছু করণীয় সম্পর্কে নিম্নে ছোট একটি আলোচনার মাধ্যমে বর্ণিত করা হল।

  • গর্ভধারণ করার পূর্ব মুহূর্ত হতে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকের থেকে সকল সতর্কতা বোঝাপড়া করে গর্ভধারণের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং সতর্কতার সাথে অভীক্ষা সমূহ করে নিতে হবে। যেন যেকোনো ব্যাধি চিকিৎসা করা সহজ হয়ে পড়ে।
  • গর্ভধারণের পর এক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা না করে সাথে সাথেই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হতে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করে দিতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় ঔষধপাতি থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • প্রথম মাসে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে নেয়া ভালো। এতে করে গর্ভধারণ কালীন পরবর্তী মাস গুলোতে আশা প্রত্যেকটি প্রতিকূলতা সম্পর্কে পূর্বাভাস নেয়া সম্ভব যার ফলে চিকিৎসা পদ্ধতি সহজতর হয়ে উঠবে।
  • খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারটি কেবল প্রথম মাসের দিক থেকে নয় বরং গর্ভধারণের পূর্বে থেকেই পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করতে হবে এবং স্বাস্থ্যের সাথে বোঝাপড়া করতে চায় না এমন খাদ্য পরিহার করতে হবে।
  • গর্ভাবস্থা কালীন বিশেষ করে প্রথম এক মাস কিংবা তিন মাস পর্যন্ত যেকোনো যানবাহনে ঘনঘন ওঠাচোরা কিংবা দূরের সফরে কোথাও যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • গর্ভধারণের প্রথম সময়টুকু অতিরিক্ত সংবেদনশীল হওয়ার কারণে যেকোনো ভারী কাজ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ এড়িয়ে চলতে হবে যেন গর্ভপাতের ন্যূনতম শঙ্কা মুছে ফেলা সম্ভব হয়।
  • গর্ভধারণের প্রথম এক মাস থেকে শুরু করে মোট বারো সপ্তা পর্যন্ত যথাসম্ভব বিশ্রাম নেয়ার প্রয়োজন।
  • এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে যেন গর্ভধারণের কেবল প্রথম এক মাস নয় বরং তিন মাস সহবাস করা যাবে না। কোষ্ঠকাঠিন্য জাতীয় সমস্যা না হয় সেদিকে অনেক মাত্রায় সচেতন থাকতে হবে।

গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার তালিকা

গর্ভবতী নারীর গর্ভকালীন সময়ে গ্রহণ করা সতর্কতা এবং নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেয়ার প্রবণতা তুলনামূলক বেড়ে যায়। গর্ভধারণ করার ফলে গর্ভবতী নারীর সম্পূর্ণ চেষ্টা থাকে তাই স্বাস্থ্যকে এবং তার গর্ভে থাকা নতুন প্রজন্মটির স্বাস্থ্যের দিকে যথাযথ পুষ্টি পৌঁছানো। এর জন্য গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাদ্যের তালিকা আলাদাভাবে তৈরি করা হয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা এবং বিধি নিষেধ তার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলা তার গর্ভে থাকা বাচ্চাটির যথোপযোগী দৈহিক গঠন এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশ অবশ্যম্ভাবী করার পক্ষে যেকোনো স্বাস্থ্য সম্বন্ধ প্রতিকূলতা এড়িয়ে চলতে এবং জটিলতা সমাধানে দৃঢ় ভূমিকা পালন করার চেষ্টায় থাকেন যার প্রথম মাধ্যম শুরু হয় খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে।

তাই চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভবতী নারীর খাদ্যে পুষ্টির সম্পৃক্ততা কেমন হওয়া উচিত যার মাধ্যমে জানা যাবে গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ করা আছে। গর্ভকালীন খাবারের তালিকায় প্রতিদিন অবশ্যই সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ খাদ্য তালিকায় ছয় রকমের খাবার রাখতে হবে। সেশন খাদ্য শরীরের যথেষ্ট পুষ্টি উৎপাদন করতে সাহায্য করে। এই খাবারের কিছু উদাহরণ গুলো নিম্নে দেওয়া হল।

শর্করা সমৃদ্ধ খাবারঃ ভাত, আলু, গম, কর্ন, ওটস ইত্যাদি এবং এই তালিকা আঁশ জাতীয় খাদ্যকেও রাখতে হয়।

তাজা শাকসবজিঃ গাজর, মিষ্টি আলু বা কুমড়া, টমেটো পালং শাক, মটর, সিমলা মরিচ ইত্যাদি। গর্ভবতী নারীর খাদ্য তালিকার মধ্যে পরিবেশনার অন্তত এক কোণাতে প্রাকৃতিকভাবে রঙ্গিন এবং ভিটামিন পূর্ণ খাবার থাকা দেহের অনেক ভিটামিনের চাহিদা এবং ক্ষণিকের ঘাটতি পূরণ করে।

রঙ্গিন ফল-মূলাদিঃ মৌসুমী ফলগুলো সবচেয়ে বেশি উপকারী হয় যেমন- আম, কলা, মালটা, বাঙ্গি, বাতাবি লেবু ইত্যাদি। ফলমূল এ বিদ্যমান ক্যারোটিন গর্ভের বাচ্চার বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং ফলমূল ও সবজিতে পাওয়া আজ গর্ভবতী নারীকে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে দূরে রাখে।

দুগ্ধজাত খাদ্যঃ গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে দুগ্ধ শর্করা অসহিষ্ণুতার সমস্যা না থাকলে প্রতিদিনের খাবার অবশ্যই সরাসরি দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাদ্য উপাদান যেমন দই, পনির বা মিষ্টি ইত্যাদি পরিমাণ মতো থাকা ভালো। দুগ্ধতা পণ্য শরীরে অনেক রকমের পোস্টটি সাধন করার সাথে যথেষ্ট ভাবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।

আমিষ আহারঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম ও ডাল জাতীয় আমিষ উপাদান সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় আমি উপাদান গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টি সম্মত।

সর্বশেষে অবশ্যই প্রতিদিন পরিমাণ মতো পানি পান করা উচিত। গর্ভাবস্থায় শরীরে কোন ভাবেই ডিহাইড্রেটেড করা যাবে না।

গর্ভাবস্থায় আমল

গর্ভকালীন সময় একজন নারী যেভাবে নিজের শারীরিক স্বাস্থ্য এবং গর্ভে থাকা শিশুর সুস্বাস্থ্য, গরম এবং বৃদ্ধির জন্য অশেষ নিয়ম এবং সতর্কতা অবলম্বন করে থাকেন একইভাবে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে এই সতর্কতা অনেক গুণে বাড়িয়ে তোলা সম্ভব। মানুষ জীবিত থাকে ধর্মীয় বিশ্বাসের আঁধারে।

এক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের মনোবল দৃঢ় করার জন্য প্রবীণগণ গর্ভবতী নারীদের সামনে কোরআনের কিছু আমলের সত্যতা তুলে ধরেন। তাদের পরিব্যক্ত তথ্য অনুসারে কোরআনের আমল পাঠের ফলে গর্ভবতী নারী এবং তার শিশু সর্বোচ্চ উপকার পাওয়ার আশা রাখতে পারে। গর্ভাবস্থায় আমল করা কোরআনের দোয়াটি হলো।

رَبِّ هَبْ لِىْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً‌ۚ اِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَآءِ

অর্থঃ আমার প্রভু, আপনি আপনার তরফ থেকে আমাকে ধার্মিক সন্তান অর্পণ করুন। কেননা নিশ্চিতভাবে আপনি দোয়া শ্রবণকারী।

গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে কি হয়

গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের শারীরিক অবস্থা এবং তার গর্ভে থাকা ভ্রুণের বৃদ্ধি ও গঠনের কথা চিন্তা করে কোন বেলার খাবারেই অবহেলা করা যাবে না। গর্ভকালীন সময়ে যে কোনো একবেলার খাবার বাদ গেলে সেটি গর্ভে থাকা সন্তানের সাথে গর্ভবতী নারীর পুষ্টি সাধনা বাধা দেয়। এতে মা ও শিশুর দুর্বলতার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে কিংবা হিমোগ্লোবি ইত্যাদির অপূর্ণতা সহ গর্ভবতী নারী নানা রকম সমস্যা যেমন রক্তস্বল্পতা কিংবা ওজন কমে যাওয়ার মত সমস্যার উপদ্রব হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ

গর্ভাবস্থায় স্বভাবতই একটি সংবেদনশীল বা সূক্ষ্ম ব্যাপার। গর্ভবতী নারীর জীবন এই গুরুত্বপূর্ণ সময়কালের নানা রকম পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য বিশেষজ্ঞরা কিছু জিনিস এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম কাতারে পরে গর্ভাবস্থায় খাবার দাবারের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন। তাই অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞদের প্রদান করা নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ তা সম্পর্কে নিম্নে অল্পতে কিছু কথা বলা হলো।

  • করলা
  • কাঁচা পেঁপে
  • বিভিন্ন রকম খাদ্যশস্য
  • শীম
  • সজনে
  • কাঁচা মুলা
  • বেগুন জাতীয় এলার্জিজনিত খাবার
  • অ্যালোভেরা।

এছাড়াও আরো কিছু খাবার খাওয়ার জন্য গর্ভকালীন সময়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা বিশেষ এক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাছাড়া আরও কিছু ক্ষেত্র যেখানে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে সেগুলো নিম্নে বর্ণিত করা হল।

  • গর্ভাবস্থায় যে কোন ফল বা সবজির খোসা সহ খেতে নিষেধ করা হয়েছে।
  • গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা রয়েছে। কেননা পেঁপে তে থাকা ল্যাটেক্স সরাসরি গর্ভপাত হওয়ার কারণ হয়ে থাকে।
  • বিশেষ করে অতিরিক্ত পরিমাণে পারদ থাকা সবজি জাতীয় খাবার দাবার গর্ভকালীন সময়ে উপেক্ষা করে চলা ভালো। এগুলো কিছু উদাহরণস্বরূপ পালং শাক, মিষ্টি আলু বা সুইস চার্ড জাতীয় খাবার কে বলা যায়।
  • যেকোনো খাবারই অর্ধপক্ষ অবস্থায় খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত সচেতনতা অবলম্বনের মাঝে অবশ্যই আধা কাঁচা কিংবা আধা পাকা কোন খাবার, সেটি হোক সবজি কিংবা অন্যান্য আমেজ জাতীয় আহার তা উপেক্ষা করে চলা উচিত।

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ রয়েছে তার সম্পর্কে এতক্ষণে আমরা জানলাম। চলুন এখন এক নজরে দেখে নেয়া যা কর্মস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া গর্ভবতী নারী এবং গর্বে থাকা শিশুর জন্য সুবিধার নয়।

  • গর্ভাবস্থায় আনারস ফলটি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত এবং যথাসম্ভব এটি না খাওয়াই ভালো।
  • স্বাভাবিক পেঁপে কিংবা আধা কাঁচা পেঁপে কোনটিই গর্ভবতী নারীর জন্য খাওয়া সুবিধার নয়।
  • যেকোনো প্রকার পরজীবী ফল এড়িয়ে চলতে হবে।
  • আঙ্গুর ফল যতই স্বাদের হোক না কেন গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি শংকর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে সেক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো।
  • গর্ভকালীন সময় যে কোন ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল থাকতে হবে সেই ফল যেন সরাসরি গ্রহণ করা না হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় আমল মেনে চললে গর্ভকালীন সময়ে এটি নানান সমস্যার উপশম হিসেবে ধারণা করা হয়।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খাওয়া নিষেধ তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। তবে আপনার অথবা আপনার পরিবারের বা পরিচিত কারো যদি গর্ভাবস্থায় কোনো রকমের কোনো সমস্যা বা পরামর্শের প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে সর্বপ্রথম অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরই কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে। উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের পোস্টটি শেয়ারের মাধ্যমে অন্য সবাইকেও গর্ভাবস্থার সকল তথ্য এবং সতর্কতা অবলম্বনে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url