মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে আজকের আমাদের মূল আলোচনার প্রেক্ষাপট। সাথেই আপনাদের জন্য এই আলোচনায় আরও থাকছে, তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টের সাথে থাকুন এবং পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন মুখের তৈলাক্ত ভাব এবং ত্বকের তৈলাক্ততা নিরাময় সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন।
মুখের-তৈলাক্ত-ভাব-দূর-করার-ঘরোয়া-উপায়
ত্বকে তৈলাক্ত ভাবে সমস্যা বর্তমানে একটি বহুল পরিলক্ষিত একটি সমস্যা। মুখের তৈলাক্ত ভাব ত্বকের বর্ণ অনুজ্জ্বল করে দেওয়ার কারণে অনেকেই তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায় সন্ধান করে থাকেন। তাই আজকের পোস্টের মাধ্যমে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত বিষয়বস্তু আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব এমন একটি সমস্যা যা ত্বকের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়। কিছু কিছু সময় মৌসুমী কারণে যেকোনো ত্বকের ক্ষেত্রে তৈলাক্ত ভাব দেখা যায়। মুখের ত্বকের এই তৈলাক্ত ভাব হতে পারে সম্পূর্ণ মুখে কিংবা মুখের কোন একটি অংশে। অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের তৈলাক্ত ভাবের কারণে ত্বকের রং শ্যামলা হতে থাকে ফলে তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায় খুঁজতে লেগে পড়তে হয়।

তবে এরই মধ্যে যাদের তৈলাক্ত ত্বক রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যার দেশ সংবেদনশীল প্রভাব গুলো দেখা দেয়। তাই ত্বক তৈলাক্ত হোক কিংবা স্বাভাবিক ধরনের, ত্বকের যত্ন নেয়া আবশ্যক। এজন্যই আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো, তৈলাক্ত ত্বক কি, তৈলাক্ত ত্বক কেন হয়, তৈলাক্ত ত্বক চেনার উপায়, তৈলাক্ত ত্বকের ফেসওয়াশ, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো এবং মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

তৈলাক্ত ত্বক কি

সাধারণত মুখে তেলতেলে কিংবা ছিপছিপে ভাব কে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বলা হয়। ত্বকের মধ্যে এই তেলতেলে ভাগ দীর্ঘস্থায়ী কিংবা সম্পূর্ণরূপে স্থায়ী ভাবে উপস্থিত থাকলে ত্বকের এই অবস্থার ভিত্তিকে এমন ত্বকের ধরনকে তৈলাক্ত ত্বক বলে। বিস্তারিতভাবে বললে দাঁড়ায়, ত্বকে অবস্থিত প্রতিটি সূত্রপাতে সেবেসিয়াস নামক গ্রন্থির উপস্থিতি পাওয়া যায় যা ত্বকে তেল উৎপাদনকারী গ্রন্থী হিসেবে পরিচিত।

সেবেসিয়াস গ্রন্থিটির কাজ স্বভাবত ভাবেই তেল উৎপাদন করা। প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে উৎপাদিত এই তেল 'সেবাম' হিসেবে পরিচিত হয়। ত্বকের সুস্বাস্থ্য এবং আদ্রতা বজায় রাখতে এই সেবাম কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে যখন সেবামের উৎপাদন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন তা ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার সাথে ত্বককে একটু বেশি তৈলাক্ত করে তোলে।

স্বাভাবিক ত্বকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যখন সেবেসিয়াস গ্রন্থি অতিরিক্ত সক্রিয়তা প্রদর্শন করে তখনই স্বাভাবিক ত্বকে তৈলাক্ত ভাব প্রদর্শিত হয়। কিন্তু এই সেবেসিয়াস গ্রন্থি যখন বরাবরে প্রবল সক্রিয় ভাব বজায় রাখে তখন এটি ত্বকের তৈলাক্ততা ধরে রাখার কাজ করে। অর্থাৎ সেবেসিয়াস গ্রন্থির স্থায়ী সক্রিয়তাকে তৈলাক্ত ত্বক বলে।

তৈলাক্ত ত্বক কেন হয়

ত্বকে মাত্রাতিরিক্ত সেবাম উৎপাদন হওয়ার ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়। সবিস্তারে, স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে ত্বকে লোমকূপের অভ্যন্তরে সেবেসিয়াস গ্রন্থির বসবাস রয়েছে এবং উক্ত গ্রন্থি সরাসরি সেবাম উৎপন্ন করার সাথে জড়িত। সেবাম হলো শরীরে উৎপন্ন হওয়া প্রাকৃতিক তৈলাক্ত পদার্থ। ত্বকে সেবামের মাত্রা পরিমিত থাকলে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত থাকে।
কারণ সেবাম ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখতে এবং পরিমিত তেলাক্রতা দিয়ে ত্বকে শুষ্কতা দূর করে ও ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। তাই ত্বক সুস্থ থাকার ফল স্বরূপ ত্বক আপনা আপনি চকচকে ও উজ্জ্বল মনে হয়। তাছাড়াও আরো অন্যান্য অনেক কারণে ত্বক তৈলাক্ত হয়। আমাদের মুখের টক তৈলাক্ত হওয়ার কিছু কারণ আমাদের দৈনিক জীবন যাপনের অভ্যাস সম্পৃক্ততা রাখে।

মাত্রাতিরিক্ত মুখ পরিষ্কার করা কিংবা ত্বকের জন্য অনার্দ্র পরিবেশ সৃষ্টি করা, মানসিক দুশ্চিন্তা এবং আমাদের অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এর কারণে মুখের ত্বক তেলতেলে হয়ে থাকে। এছাড়াও বয়ঃসন্ধি কালীন পরিবর্তনের কারণে, গর্ভাবস্থায় কালীন সময়ের শারীরিক পরিবর্তনের কারণে বা মেনোপজের প্রভাব হিসেবে ত্বক তৈলাক্ত ভাব ধারন নিতে পারে।

তৈলাক্ত ত্বক চেনার উপায়

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় আরোপন করার জন্য প্রথমে তৈলাক্ত ত্বক শনাক্ত করা জানতে হবে। ত্বকের কয়েক ধরনের মধ্যে তৈলাক্ত ত্বক এক প্রকার ত্বকের অবস্থা। স্বাভাবিক ত্বক এর ধরন না তৈলাক্ত হয় না খুসখুসে বা শুষ্ক স্বভাবের হয়। তাই শুষ্ক কিংবা স্বাভাবিক ত্বকের ক্ষেত্রে কোনভাবেই তৈলাক্ত ত্বক দূর করার উপায় গুলো কাজে লাগিয়ে দেখার চেষ্টা করা উচিত নয়।

তবে কিছু কিছু সময় স্বাভাবিক ত্বকের ক্ষেত্রেও হালকা তৈলাক্ত ভাব প্রতিলক্ষিত হয়। সেক্ষেত্রে সাময়িক অবস্থার এই তেলতেলে ভাব দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। তবে এই সকল কিছুর পূর্বে চলুন জেনে নেয়া যাক তৈলাক্ত ত্বককে কিভাবে চিহ্নিত করা যাবে। আপনার ত্বক তৈলাক্ত কিনা সেটি সনাক্ত করার জন্য সাধারণ ভাবে পাঁচটি তত্ত্ব নিম্নে প্রদান করা হলো।

টি-যোনের মাধ্যমেঃ ত্বককে রেখাগণিত কিংবা জ্যামিতির আকারে ব্যাখ্যা করলে সম্ভাব্যকারণের ভিত্তিতে ত্বকের কপাল ও কপালের অংশসহ নাক বরাবর মুখের সোজা কিছু অংশ নিয়ে সেটিকে একত্রে মুখের টি-জোন বলে। এই টি-জোন এর ভেতরে কপাল, নাক এবং ঠোঁটের উপরে ভাগের অংশসহ থুতনির অংশ। তৈলাক্ত ত্বক চেনা সহজ প্রণালী হল এই টি জোনের উপর তৈলাক্ত ভাব। ব্যতিক্রম কারণ ব্যতীত এই অংশ সমূহে বেশি তেলতেলে ভাবের আনাগোনা হলে বুঝে নিতে হবে মুখের ত্বকের ধরণ তৈলাক্ত।

হোয়াইট হেডঃ মুখের ত্বকে বিশেষ করে নাকের উপরিভাগ কিংবা এর আশেপাশে ছোট ছোট দানা দার সাদা বর্ণের কিছু দেখতে পেলে এদিকে তৈলাক্ত ত্বকের একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে গণ্য করা হয়। ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এটি হয় যা তৈলাক্ত ত্বক এর প্রভাবে বন্ধ হয়।

ময়েশ্চারাইজারঃ তৈলাক্ত ত্বকে কখনো স্বাধীন ভাবে ময়শ্চেরাইজার ব্যবহার করা যায় না। অর্থাৎ তোকে মশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে যখন ত্বক ময়শ্চারাইজারটি শুষে নেয়ার পরিবর্তে ত্বকে অস্বস্তি বা ঘাম সৃষ্টি করে তবে বুঝে নেয়া যায় যে ত্বকটি তৈলাক্ত ত্বকের অন্তর্ভুক্ত। মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ করে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করার পদ্ধতি সন্ধান করা সম্ভব।

ক্লান্তি ভাবঃ তৈলাক্ত ত্বক চেনার আরো একটি উপায় হল অল্পতেই মুখ দেখতে ক্লান্ত মতন লাগা। তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত ঘামের কারণে টক দেখতে অল্পতেই অবসাদগ্রস্থ লাগে।

চিটচিটে ত্বকঃ ত্বকে প্রয়োজনের অধিক তেল নিঃসৃত হলে ত্বক চকচকে লাগার বদলে ত্বকে চিটচিটে ভাব চলে আসে। এছাড়া ত্বকে কোনরকম প্রসাধনী ব্যবহার করলে এটি বেশিক্ষণ পর্যন্ত তাকে বসে না এবং অল্প সময়ের মধ্যেই প্রসাধনী গুলো ত্বকে অস্বস্তিক সৃষ্টি করে এবং চিটচিটে ভাব নিয়ে আসে। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী ব্যক্তিগণ তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায় সন্ধান করে তার প্রয়োগ করার জন্য প্রবল আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন।

তবে ত্বকের এ সকল ধরন ও বৈশিষ্ট্য ছাড়া অন্য আরো একটি উপায় ত্বকের ধরন কিংবা তৈলাক্ত ত্বক চেনা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে ত্বক সনাক্ত করার জন্য প্রথমেই মুখের ত্বককে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং এই ক্লিনজিংয়ের পর তোকে কোন কিছু ব্যবহার না করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে নিন। এরপর যেসকল চিহ্ন দেখে আপনি তৈলাক্ত ত্বক সনাক্ত করবেন সেগুলো হল
  • মুখের ত্বকে থাকা পোরস গুলো স্বাভাবিকের তুলনায় আকারে বৃদ্ধি লক্ষ্য করতে পারলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক তৈলাক্ত। কেননা ত্বকে অতিরিক্ত সেবাম তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়ার কারণে লোমকূপের অস্বাভাবিক আকার সৃষ্ট হয়।
  • অন্যথায়, কেবল টি-জোন এর তুলনামূলক বড় লোমকূপ দেখা গেলে এটি তৈলাক্ত ত্বকের বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি ধারণ করে না।

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়*

তৈলাক তোতা খুব উজ্জ্বল করার জন্য ত্বকের যত্ন নেয়া প্রথম পদক্ষেপ। মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন এর মাধ্যমে ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর হওয়ার সাথে সাথে ত্বকের চিপচিপে ভাব দূর হয় ফলে ত্বক নিজস্ব উজ্জ্বলতা ফিরে পায়। ত্বকের এই অসহনীয় এবং অস্বস্তিকর প্রবণতা দূর করে তৈলাক্ত ত্বক উজ্জ্বল করার কিছু উপায় নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • প্রতিদিন অবশ্যই দুবার করে মুখ ভালোমতো ধুতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন ক্লিনজিং প্রসাধনী ব্যবহার করে মুখ ধৌত করলে মুখে লেগে থাকা ধুলাবালি কিংবা জীবাণু এবং অতিরিক্ত তেল মুছে মুখ পুরো দিন পরিষ্কার থাকবে।
  • তৈলাক্ত মুখের ত্বকে স্ক্রাবিং পদ্ধতি উপেক্ষা করে চলার চেষ্টা করুন।
  • মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন এবং অতি প্রয়োজনে হাত পরিষ্কার করে স্পর্শ করার চেষ্টা করবেন। এর সাথে মুখের ত্বকের সংস্পর্শে আসে এমন সকল জিনিস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন।
  • নন- কমেডোজেনিক প্রসাধনী গুলকে আপন করে নিন। এক্ষেত্রে ক্লিনজার, পানিয় সমৃদ্ধ ময়শ্চেরাইজার বা জেল, ফেসওয়াশ ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারে রাখতে পারেন।
  • ত্বককে পরিষ্কার রাখার জন্য যেভাবে প্রতিদিন ফেসওয়াশ এবং ক্লিনজার ব্যবহার করবেন ঠিক সেভাবেই তোর ডাকতো ত্বকের জন্য উপযুক্ত একটি ময়শ্চারাইজার বা জেল যুক্ত মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। কেননা আদ্রতা তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন।
  • সূর্যের ক্ষতিকর রশি কিংবা অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে ত্বককে বাঁচাতে অবশ্যই নিয়মিত সান ব্লক বা ক্রিম ত্বকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন। খেয়াল রাখতে হবে সানস্ক্রিনের ক্ষেত্রেও যেন তেল যুক্ত সানস্ক্রিন উপেক্ষা করে জিংক ও টাইটানিয়াম অক্সাইড সমৃদ্ধ কিংবা জেল সমৃদ্ধ সানব্লক বেছে নেয়া উত্তম।
  • এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য নিম্নক তো কিছু উপায় প্রয়োগ করে দ্রুততলা তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করা সম্ভব।
  • মধু এবং পেঁপে পেস্ট করে ত্বকে ফেসপ্যাক এর মত করে ব্যবহার করলে এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • টমেটো দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক কিংবা সরাসরি টমেটো দিয়ে খুব সহজেই তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করা সম্ভব।
  • বেসন এবং হলুদের পেস্টকে পেজ থেকে নেয় তকে ব্যবহার করলে এটি থেকে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
  • নিয়মিত মুলতানি মাটি ব্যবহার করে তৈলাক্ত ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে পাওয়া সম্ভব।
  • অ্যালোভেরা নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব বজায় থাকে।

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখের ত্বকের তৈলাক্ততা নিয়াময়ে ঘরোয়া ওপার অন্যতম হলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি বিভিন্ন ফেস প্যাক ও ফেসমাস্ক এর ব্যবহার। নিম্নে ঘরোয়া ভাবে মুখের তৈলাক্ততা দূর করার কিছু উপায় দেওয়া হলো।

কলার ফেসমাস্কঃ বাড়িতে বারো মাস উপস্থিত থাকা সবচেয়ে পরিচিত উপকরণ হলো কলা। আপনার পরিমাণ মতো একটি বা অর্ধেকটি কলা হাত দিয়ে ডলে, ভর্তা হওয়া কলাটির সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। কলা এবং মধুর এই মিশ্রণে পরিমাণ মতো অল্প একটু লেবুর রস একত্রিতভাবে মিশিয়ে এই মাস্কটি মুখের ত্বকে ব্যবহার করুন। অল্প কিছুক্ষণ সময় মুখে রেখে এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটি ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

অ্যালোভেরাঃ সরাসরি অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে বের করা জেল কিংবা বাজার থেকে কেনা অ্যালোভেরার জেল মুখে ব্যবহার করুন। কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে মুখ থেকে জেল ভালোভাবে সরিয়ে ফেলুন।

বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা এবং জল দিয়ে সাধারণ একটি পেস্ট বানিয়ে এটি মুখের ত্বকে ব্যবহার করে দেখবেন। এই পেস্ট আপনার ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাব চমৎকার ভাবে সরিয়ে দিবে। তবে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে সচেতনতা অবশ্যই অবলম্বন করবেন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল জাতীয় বা পানি সমৃদ্ধ ক্রিম গুলো ব্যবহার করা বেশি উপযোগী। সাধারণ ও স্বাভাবিক ত্বকের মতো তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন। ত্বক তৈলাক্ত হোক কিংবা স্বাভাবিক ত্বক, ত্বকের যত্নে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ করার প্রয়োজন এবং নিয়মিত বজায় রাখতে প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
তাই তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে যে কোন ক্রিম ব্যবহারের পূর্বে খেয়াল রাখতে হবে সেই ক্রিমে কোন তেল যুক্ত উপাদান আছে কিনা। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করার সকল ক্রিম বা প্রসাধনীর ক্ষেত্রে তেলের সম্পৃক্ততা এবং সুগন্ধী যুক্ত পণ্য ব্যবহার করা যাবে না।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু জানতে পেরেছেন। আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে এবং পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে বা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন মতামত আমাদের জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে
তৈলাক্ত ত্বকের সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url