ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে আজকের আমাদের মূল আলোচনার প্রেক্ষাপট। সাথেই আপনাদের জন্য এই আলোচনায় আরও থাকছে, পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকের পোস্টের সাথে থাকুন এবং পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন ব্রণ সম্পর্কিত নানা তথ্য এবং এটি থেকে মুক্তি উপায় সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন। 

ছেলেদের-মুখের-কালো-দাগ-ও-ব্রণ-দূর-করার-উপায়-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

বর্তমান প্রজন্মে প্রায় দু-চার জন ব্যক্তি পরপরই এমন মুখের কালো দাগ এবং ব্রণ নিয়ে দুশ্চিন্তাতে ভোগা ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া সম্ভব। ছেলেদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা থেমে নেই। তারা খুঁজে বেড়াচ্ছেন পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করার ক্রিম। তাই আজকের পোষ্টের মাধ্যমে ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা ধৈর্য সহকারে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ভূমিকা

পরিষ্কার ও স্বচ্ছ ত্বক ব্যক্তির সৌন্দর্য বর্ধনে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখে। ত্বকে কালো ছোপ দাগ বা ব্রণ সৃষ্ট হলে পুরুষ কিংবা মহিলা উভয়ের জন্য এটি দৃষ্টিকটুর একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা গুলো মেয়েদের জন্য যতটা দুশ্চিন্তা ঠিক তেমনই ভাবে পুরুষের জন্যও তাদের মুখের কালো দাগ বা ব্রণ হওয়া একটি দুশ্চিন্তার বিষয়।

তাই ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার উপায় এর সাথে জেনে রাখা জরুরি মুখের ত্বকে ব্রণ এর উৎপত্তির কারণ এবং কালো দাগ আসার কারণ। তাই আজকের পোস্টে আমরা জানবো, ব্রণ কি, ব্রণ কত প্রকার, ছেলেদের মুখে ব্রণ কেন হয়, ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়, ব্রণ হলে কি খাওয়া উচিত নয়, ছেলেদের মুখে কালো দাগ কেন হয়, মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করার ক্রিম সম্পর্কে।

ব্রণ কি

ব্রণ বা একনি হল ত্বকের এমন একটি সমস্যা যা ত্বকের নিষ্প্রাণ কোষ ও ত্বকে অবস্থিত গুটিকার জন্য হয়। ব্রণ ত্বকের একটি প্রদাহজনক সমস্যা। মূলত ত্বকে তৈলাক্ততা জড়ো হওয়ার কারণে ব্রণ এর সমস্যা হয় কিন্তু এ কারণটি কেবলমাত্র ড্রনের উৎপত্তি স্থল এবং প্রক্রিয়া বর্ণনা করে। ত্বকের গ্রন্থিতে যখন তৈলাক্ততা পুঁজিভূত হয় তখন এটি ত্বকের গ্রন্থিকে তার কার্যকলাপ চলমান রাখতে বাধা দেয়।

এছাড়াও বংশগত কারণ কিংবা পারিপার্শ্বিক, অস্বাস্থ্যকর এবং অনিয়মিত জীবনধারা কিংবা অন্যান্য অনেক অসংখ্য কারণে ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে। তাই ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার উপায় অবলম্বন করে বর্তমান সময়ে নবীনদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পরিচিত সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব।

তবে বর্তমান সময়ে বয়ঃসন্ধিকালীন পর্যায়ে ব্রণ এর সমস্যাতে ঘুরতে বেশি দেখা যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে স্বাভাবিকত ২০ থেকে ২২ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্রণের প্রসার বেশি লক্ষণীয় হয়। তাছাড়া ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে ত্বকে ব্রণের উৎপত্তির হার অনেকাংশে পাওয়া যায়।

ব্রণ কত প্রকার

ব্রণের সমস্যাটি কেবল আমাদের মুখের ত্বকে নয় বরং এটি ত্বকের যে কোন অংশ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে আবার কারণ ভেদে ব্রণের কয়েকটি প্রকার বিভক্ত করা হয়েছে। ব্রণ একটি একক শব্দ ও এক নামে পরিচিত হলেও এটির প্রায় ৫০ টি ভিন্ন ভিন্ন ধরন রয়েছে। সাধারণত ব্রণ ত্বকের এক দীর্ঘ সময়ব্যাপী সমস্যা। এই ৫০ রকমের ব্রণ একেক রকম ত্বকে একে কারণে উদ্ভব হয়ে থাকে।

এত প্রকারে বিস্তৃত ত্বকের এই প্রদাহ জনক সমস্যাটি নিরাময়ের জন্য ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। বয়ঃসন্ধি জনিত কারণ কিংবা হরমোন ঘটিত কারণ বা পারিপার্শিকবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সাথে সম্পৃক্ত কারণ সহ আরো নানা রকম কারণে আমাদের ত্বকে ব্রণ এর দেখা মেলে। তাছাড়াও ধরণ ও বৈশিষ্ট্য ভেদে ৪ প্রকারের ব্রণ আবিষ্কৃত হয়েছে। যথা- নন-ইনফ্লামেটরি ব্রণ, মিল্ড পপুলার ব্রণ, স্কেয়ারিং প্যাপুলার এবং নডুলার বা স্কেয়ারিং।

ছেলেদের মুখে ব্রণ কেন হয়

মুখের ব্রণ উৎপত্তির কারণ অনেক দিক থেকে বিস্তৃত হয়ে আসে। শারীরিক অবস্থা, অস্বাস্থ্যকর জীবন ধারা, অনিয়ম তান্ত্রিকতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, জাংকফুড ও তৈলাক্ত খাবারের দিকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে ঝোক, অনিদ্রা, বয়ঃসন্ধি কাল জনিত কারণ, দুশ্চিন্তা, কোষ্ঠকাঠিন্য, শরীরের অনাদ্রতা বা অপরিমিত পানি পান করার অভ্যেস, অতিরিক্ত পরিষেধক গ্রহণের ফলে।

কিংবা প্রসাধনের ব্যবহার, চিকিৎসা পদ্ধতির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিংবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে ত্রুটিপূর্ণ আচরণ ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই ত্বকে ব্রণের সমস্যা বয়ে আনার সাথে এটি বাড়িয়েও দেয়। ছেলেদের ত্বকে অনেক রকম একক বা সমষ্টিগত কারণে ব্রণ হতে পারে।

সাধারণত পুরুষ মানুষের বাইরে অতিরিক্ত ধুলাবালি পরিবেশ কিংবা সূর্যের ক্ষতিকর কিরণের প্রভাবে তোকে বন জাতীয় সমস্যা উদ্ভব ঘটে। তাছাড়া নিয়মিত মুখ পরিষ্কার না করার ফলে বিশেষ করে মুখের ত্বকে তৈলাক্ততা ও ধুলাবালি জাতীয় পদার্থ জমতে থাকে। এগুলো ত্বকের লোমকূপ ও অন্যান্য গ্রন্থিকে মিস কার্য পরিচালনায় বাধা প্রদান করে।

ফলে এ সকল বহিরাগত কারণে ছেলেদের ত্বকে ব্রণ হয়। সাথেই অতিরিক্ত সময় ধরে বাইরে থাকার কারণে পানি পান করার ক্ষেত্রে অমনোযোগী মনোভাব কাজ করে এবং এ ধরনের অযত্নের অভাবে ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে। দুশ্চিন্তা নির্ঘুম রাত খাদ্যাভাসের দিকে গাফিলতির কারণ ছেলে দের ত্বকে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ।

ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়

ছেলে হোক কিংবা মেয়ে, বিশেষ করে তারুণ্যে উভয়ের ক্ষেত্রেই মুখের ব্রণ জাতীয় সমস্যা দূর করার জন্য প্রথমেই মুখের ত্বকে ব্রণ হওয়ার কারণ উদঘাটন করে সেই কারণগুলোকে সংশোধন করে ব্রণ দূর করার উপায় অবলম্বন করতে হবে। ব্যক্তিভেদে এই ব্রণের সমস্যা লম্বা সময় পেতে হতে পারে এবং সাথে করে ত্বকে কালো দাগের সমস্যার উদ্ভব ঘটতে পারে।

যার জন্য অনেকে পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করার ক্রিম ব্যবহার করায় আগ্রহী হন। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য বাজারজাত প্রসাধনী ব্যবহারে খানিকটা ভিতি ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আতঙ্ক থাকতে পারে। তাই ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো যেনো ব্রণের প্রতিকূলতা মোকাবেলা করা সহজ হয়ে ওঠে। নিম্নে মুখের ব্রণ দূর করার কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো।

  • ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ফেসওয়াশ হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শ করে নেয়া ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উত্তম।
  • ত্বকে ব্রনের পরিমাণ হ্রাস করতে চিকিৎসক প্রদত্ত ঔষধি সেবন করা যেতে পারে।
  • ব্রণ এর উপস্থিতি থাকাকালীন ত্বকে রেজর ব্লেড বা কোনরকম শেভিং ফোম ব্যবহারে সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে ব্রণের চিকিৎসা চলাকালীন শেভ করা থেকে বিরত থাকুন।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রণের সমস্যা তৈলাক্ত তাকে হওয়ায় দিনে কমপক্ষে ৫-৬ বার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এক্ষেত্র সচেতন থাকতে হবে শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে বারবার মুখে পানি দিয়ে ধোয়া উচিত নয়।
  • যথেষ্ট জল পান করতে হবে যেন শরীর ও ত্বক ভেতর থেকে অনদ্রতা অনুভব না করে।
  • খাবারের দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং সবুজ শাকসবজি ও মৌসুমী ফল উদ্ভিজ্জ প্রায় সব রকমের উপাদানই গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে।
  • ফাস্ট ফুড আইটেম ও অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার অপেক্ষা করতে হবে।
  • রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে হবে যেন শরীর ও মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত ঘুম পায় এবং অনিদ্রা জনিত সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়।
  • ক্যাফেইন ও নিকোটিন জাতীয় উপাদান বর্জন করতে হবে।
  • রোদের ক্ষতিকর রশি থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল পথ অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনের আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। চুলের যত্নে ব্যবহৃত প্রসাধনী ব্যবহারের সময় সেটি যেন মুখের সংস্পর্শে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইতি ত্বকের যত্নে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার একটি অংশ।
  • আপনার ত্বকে ব্রণের ধরন যদি ইনফ্লামেটরি বা ফাঙ্গাল ধরনের হয় তবে অবশ্যই যাচাই করে যে সকল খাদ্য উপাদান কিংবা বহিরাগত উপাদান ইনফ্লামেশন ছড়ায় সেগুলো থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ ইস্ট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
  • ত্বকের সংস্পর্শে আসে এমন সকল কিছুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং মুখে খসখসে জিনিস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

ছেলেদের মুখে কালো দাগ কেন হয়

সাধারণত ব্রণ পরবর্তী সমস্যা গুলোর মধ্যে মুখের কালো দাগ একটি সমস্যা। তাছাড়া অন্যান্য অনেক করানো মুখের কালো দাগ হতে পারে। মুখের কালো দাগ হওয়ার সমস্যা নিয়ে এবং এর কারন গুলো সম্পর্কে সন্ধান না করতে পারে অনেকে অনেক রকম বিভ্রান্তিতে ভুগতে থাকেন।

যেহেতু ছেলেদের মুখের ব্রণ ও কালো দাগ হওয়ার কারণ কোন না কোন ভাবে পরস্পর ভাবে জড়িত তাই ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার উপায় জানার জন্য হলেও প্রথমে কালো দাগ হওয়ার কারণগুলো সন্ধান করে নেয়া উচিত। ছেলেদের মুখে কালো দাগ কিংবা কালো ছোপ পড়ার অনেকগুলো কারণ থাকলো এগুলোর মধ্যে কিছু অন্যতম কারণগুলো নিম্নে দেয়া হলো।

  • হরমোনের অস্থিতিশীল অবস্থা কিংবা হরমোনের পরিবর্তনশীল কারণ।
  • ত্বকে ব্রণ হলে ব্রণ সেরে যাওয়ার পর সাময়িক দাগ বা ক্ষত রেখে যায়।
  • সূর্যের অতিরিক্ত তাপ সরাসরি ত্বকে পড়ার কারণে।
  • জিনগত কিংবা পারিবারিক কারণে।
  • ত্বকের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে।
  • ত্বকে নানারকম প্রসাধনের ব্যবহার অথবা এই প্রসাধনী গুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে।
  • তুলনামূলক তৈলাক্ত ত্বকে যথাযথ যত্নের অভাবে, ইত্যাদি।

ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার উপায়

ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা দরকার। সর্বপ্রথম মুখের ব্রণের প্রতিকূলতা দূর করার জন্য নিজের জীবন যাপনে কিছু শৃঙ্খলতার পরিবর্তন আনলে ছেলেদের মুখে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশ কমে যাবে। তার মধ্যে অন্যতম কিছু পরিবর্তন হলো স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস, দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করা।

তাছাড়া আরো কিছু পরিবর্তন হচ্ছে- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত মুখকে পরিষ্কার রাখা এবং ধুলাবালি ও সূর্যের অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়া এসকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেও ছেলেদের মুখে ব্রনের উপদ্রব দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসাকার শরণাপন্ন হয়ে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করে দেয়া উচিত।

আর ছেলেদের মুখের দাগের জন্য প্রথমতই একইভাবে ব্রণ হওয়ার কারণগুলোকে গুরুত্ব সহকারে ধরে সে কারণগুলো থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা এবং ত্বককে পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ রাখার চেষ্টা করতে হবে। নিম্নোক্ত একটি অনুচ্ছেদে মুখের কালো দাগ দূর করার প্রসঙ্গে কিছু করণীয় উল্লেখ করা রয়েছে। সর্বশেষ ভাবে বলা যায় ছেলেদের মুখের কালো দাগ এবং ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে প্রথম পদক্ষেপটি হল চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চলা।

মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঘরোয়া উপায় মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য প্রথমেই নিজের ঘরে রাখা উপকরণ গুলোর দিকে তাকালে সমাধান আপনা আপনি চলে আসবে। মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় নিম্নে সংক্ষেপে ব্যক্ত করা হলো।

আলুঃ ঘরোয়া উপকরণের সর্বসাধারণ উপকরণ হলো আলু। আলু থেকে আলুর রস বের করে মধুর সঙ্গে মেখে মুখে ব্যবহার করলে মুখের কালো দাগ ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়।

লেবুঃ তাইতো সমৃদ্ধ হওয়ায় লেবুর রস এবং দইয়ের মিশ্রণ মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতার সাথে ত্বকের দাগও দূর হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরাঃ সরাসরি অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে কিংবা বাজারজাত অ্যালোভেরা জেল নিয়ম করে মুখে দিলে মুখের কালো দাগ দূর হবে এবং ত্বক কোমল হবে।

হলুদঃ কাঁচা হলুদের ব্যবহার মুখের কালো দাগ দূর করতে পারে।

টমেটোঃ রূপচর্চায় এবং ত্বকের যত্নে টমেটো সব সময় ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এইবারও মুখের কালো দাগ কিংবা কালো ছোপগুলো দূর করার জন্য টমেটো পেস্ট ভীষণ কার্যকরী।

পেঁপেঃ পাকা নরম পেঁপে দোলে সরাসরি মুখে দিলে কিংবা পাকা পেঁপের ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করলে মুখের কালো দাগ দূর হবে।

পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করার ক্রিম

পুরুষের মুখের কালো দাগ সচরাচর অনেকগুলো সাধারণ কারণে হয়ে থাকে। তবে মুখের এই কালো দাগ গুলো সাধারণ কারণে হলেও এগুলোকে দূর করা কতিপয় কঠিন। কিছু ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে অনেক রকম ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেও দীর্ঘ সময়ের পূর্বে এই দাগ থেকে নিরাময় পাওয়া যায় না।

ফলে বেশিরভাগ মানুষের প্রথম আচ্ছা বাজারজাত পণ্য গুলোর দিকেই দাঁড়ায়। বাজারে মুখের দাগ দূর করার জন্য নানা রকমের ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে যা বিভিন্ন ত্বকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া বা ফলাফল দিতে পারে। নিম্নে ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য কিছু প্রচলিত ক্রিম সম্পর্কে বলা হলো।

বেটনোভেট ক্রিমঃ বেটনোভেট ক্রিম কেবল মুখেই না বরং ত্বকের অনেক জায়গাতেই দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ম্যানকিন্ড অ্যাকনিস্টার রিমুভ্যাল জেলঃ এই জেল সরাসরি কোন ক্রিম না হলেও এটি ত্বকে সৃষ্ট ক্ষত দূর করতে কিংবা ব্যাকটেরিয়া সরিয়ে ত্বকের দাগ দূর করতে কার্যকরী।

নিভেয়া হোয়াইটেনিং ওয়েল কন্ট্রোল ময়েশ্চারাইজার ফর মেনঃ নিভেয়ার এই ক্রিম ব্যবহারে এটি তেলতেলে ত্বককে আরাম দেয়ার সাথে ত্বকের দাগ দূর করতে ধীরে ধীরে কাজ করে।

তবে অবশ্যই ত্বকের যেকোনো সমস্যার জন্য যেকোন ক্রিম বা প্রসাধনী ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উত্তম এবং অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে যেকোনো কিছু ব্যবহারের পূর্বে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ছেলেদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু জানতে পেরেছেন। আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন মতামত আমাদের জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে মুখের কালো দাগ ও ব্রণ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাহ্ফুজ আইটি বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url